নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমিলি'র সুখবর!=
এডমন্টন শহরে আমাদের বাড়ির মুখোমুখি রাস্তার ওপারে যে বাড়িটা সেখানে থাকে একটি ছোট্ট শ্বেতাঙ্গ পরিবার। ভদ্রলোকের নাম সিলভে। তাদের এক কন্যা আছে, নাম এমিলি; পরে দ্বাদশ শ্রেণীতে।
তাঁদের মাতৃভাষা ফ্রেঞ্চ, তবে ইংরেজিও বেশ ভালো বলেন। কানাডার মন্ট্রিয়ল হতে পরিবারটি আমাদের শহরে এসেছে ভদ্রলোকের চাকুরীর কারণে। দেখলেই হাই -হ্যালো হয়, মাঝে মাঝে কথাও হয়, মিশুক মানুষ তাঁরা।
গত বিকেলে এক জায়গায় যেতে গ্যারেজ হতে গাড়ি বের করতেই চোখাচোখি হলো সিলভে'র সাথে। মুচকি হাসি হাসলেন তিনি। হাসিটা অর্থপূর্ণ মনে হওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে কয়েক কদম হেঁটে তাঁর কাছে গেলাম। জানতে চাইলাম কেমন আছেন তিনি।
সিলভে হাসিমুখে বললেন, 'একটা সুখবর আছে, আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই।'
- বলুন, দেরি না করে বলে ফেলুন।
- এমিলি মনের মতো কেউ একজনকে পেয়েছে!
- তাই নাকি? কি নাম ছেলেটার?
- জেফ!
- ওয়াও! সে কি এডমন্টনে থাকে?
- না, মন্ট্রিয়ল থেকে। আমার মেয়ের সাথে স্কুলে পড়তো।
- খুব ভালো খবর! এমিলি যেন কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো?
- ইউবিসি।
- আর, জেফ?
- সেও একই জায়গায়। সামনের সেপ্টেম্বরে তারা একসাথে শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
- চমৎকার। তো, জেফ এখন কোথায়?
- আমাদের বাসায়। কাল রাতে এসেছে। - -
আমাদের দেশে যেমন বাবা-মা'রা যথাসময়ে কন্যার বিবাহের পাত্র না পাওয়া গেলে অস্থিরতায় ভোগেন, ঠিক তেমনি, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেও কন্যারা যথাসময়ে ছেলেবন্ধু না পেলে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দেশে দেশে কালচারের কতোই না পার্থক্য!
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১৮
আধুনিক ঈশপ বলেছেন: এমিলির জন্যে শুভকামনা ও ভালোবাসা।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর লেখা!!!
এমিলি নামটা দেখে নস্টালজিক মন চলে গিয়েছে প্রায় অর্ধশতক বছর আগে। আমি তখন সেন্ট জোশেফ স্কুলের ছাত্র। আমাদের স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ফাদার রিগভীর মেয়ের নাম ছিল এমিলিয়া রিগভী।
শুভ কামনা এমিলির জন্য।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৩
বিটপি বলেছেন: আমার কাজিনের ছেলে সামির জন্ম আমেরিকায়। তার বাবা মা অনেক ফ্রি মাইন্ডের, কিন্তু সে নিজে একটু রিজার্ভ। বয়েস ১৭। তার অনেক মেয়ে বন্ধু আছে কিন্তু কোন গার্লফেন্ড নেই।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১১
রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৪
চাঙ্কু বলেছেন: এমিলিরে কপিনন্দন!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:১২
অক্পটে বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। আমার সাথে কাজ করতো এক ফিলিপিনো মহিলা বিয়ে করেছে আমেরিকানকে। এই মহিলা মাঝে মাঝে শেয়ার করতো তার ছেলের ব্যপারে। তার দুশ্চিন্তা ছিল ছেলের এখন পর্যন্ত কোন মেয়ে বান্ধবী নেই বলে।