নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতো বড়ো ত্যাগের মূল্য কেবল চার লাখ টাকা? =
বাংলাদেশে আমার জীবনের বড়ো অংশ কেটেছে। গ্রাম, শহর দুটোই আমি বেশ চিনি। ইসলাম ধর্ম, সনাতন ধর্ম, বা অন্য যে ধর্মই বলুন না কেন, আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা ধর্মীয়-রক্ষণশীল। এই রক্ষণশীল সমাজে সনাতন ধর্মের একজন নারী কতটা ভালোবাসলে একজন মুসলমান পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে তা ভাবতেই অবাক লাগে।
এটা নারী-পুরুষের স্বাভাবিক ভালোবাসার চেয়েও অনেক বড়ো কিছু। কেননা, মেয়েটি নিজ ধর্ম, পরিবার ছেড়ে এসে শুরুতেই একা হয়ে পড়ে। তার উপর আবার স্বামীর পরিবারের লোকজনও এ ধরণের মেয়েকে পরিবারের একজন ভাবতে দ্বিধা করেন। সোজা কথা, এ ধরণের সম্পর্কে জড়িয়ে মেয়েটা এদিক-ওদিক দুদিকই হারায়।
নিজ পরিবার, ধর্ম, সংস্কৃতি পেছনে ফেলে কেবল ভালোবাসার টানে ছুটে আসা এমন এক মেয়ের সাথে যদি বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী প্রতারণা বা দুর্ব্যবহার শুরু করে তখন মেয়েটার মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে একবার ভাবুন তো! অজপাড়াগাঁয়ের কোন অশিক্ষিত যুবক নয়, সরকারের প্রশাসন ক্যাডারের এক তরুণ অফিসার এমন একটি কান্ড ঘটিয়েছে শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।
এই যুবকের নাম ইউসুফ। সে ৩৭-তম বিসিএস'এ প্রশাসনের অফিসার হয়েছে। ছাত্রাবস্থায় এক হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেছিলো। কিছুদিন আগে মেয়েটির হাতে বিয়ের কাবিনে লেখা চার লক্ষ ধরিয়ে দিয়ে মেয়ের বাবাকে ডেকে নির্দেশ দিলো, 'টাকা বুঝিয়ে দিয়েছি, এবার আপনার মেয়ে নিয়ে যান।' - প্রশাসনের অফিসারের সাথে কি আর তর্ক চলে? টাকাগুলো নিয়ে তাদের চলেই যেতে হয়েছে।
কেমন পাষন্ড দেখুনতো! এই অমানুষটা নাকি আবার বিসিএস অফিসার! ছিঃ!! তার কাছে একটা মেয়ের এতবড়ো ত্যাগের মূল্য কেবল কাবিনের চার টাকা। ভাবা যায়?
তাছাড়া এ যুবক চাকুরী করেছে মাত্র বছর পাঁচেক। সরকারি চাকুরীর বেতন কত তা তো অজানা নয়। আমি তো সাত বছর সরকারি চাকুরী করে একসেট ভালো সোফাও কিনতে পারিনি। আমার বাসায় ছিল সস্তা দামের কয়েকটা বেতের চেয়ার; টেবিল ছিল না। প্রশ্ন জাগে, এই সামান্য সময় চাকুরী করে ইউসুফ চার লাখ টাকাই বা জমালো কিভাবে? এই টাকা ঘুষের কিনা দুদক খতিয়ে দেখবে কি?
প্রশাসনে আমার অনেক ঘনিষ্ঠ আছেন। তাঁদের অনুরোধ করছি, আপনারা ইউসুফদের মতো অমানুষগুলো সরিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে কলংকমুক্ত করুন। আপনাদের আভিজাত্য বাঁচান।
ML Gani/ Canada/ mlgimmigration.com
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
এমেরিকা বলেছেন: তাও তো টাকাটা দিল। না দিলে কি করার ছিল?
এখন কারোরই টাকার অভাব নেই। ঐ অফিসার যদি সৎ ও হয়, তাহলেও সিস্টেম তাকে ধনী করে দেবে। না হলেও কারো কাছে চাইলেই ধার কর্জ পেয়ে যাবে। চার লাখ কোন টাকা?
'টাকা বুঝিয়ে দিয়েছি। এবার মেয়ে নিয়ে চলে যান' - মেয়ের বাবা কি টাকা চেয়েছিলেন?
আরেকটা শাকিব-অপু কাহিনী মনে হল।
০৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৫
এমএলজি বলেছেন: হাতে কিছু কাঁচা টাকা হলেই কাবিনের টাকা দিয়ে এভাবে ধর্মান্তরিত একটা মেয়েকে বিদায় করা যায় না। চাকুরী বাঁচাতে সে নিজেই মেয়ের বাবাকে ডেকে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ভদ্দরনোক সাজার চেষ্টা করেছে।
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিবাহ বিচ্ছেদের আইনের পরিবর্তন দরকার। কাবিন ফাবিনে কোন অর্থের উল্লেখ প্রয়োজন নাই।উন্নত দেশের বিবাহ বিচ্ছেদ আইনের সাথে সামনজশ্য রেখে আইনের সংশোধণ দরকার।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যুরোক্রেসী থেকে অমানুষ বের করে দিলে, ১ জনও থাকতে পারবে না।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬
আমি নই বলেছেন: কিছুদিন আগে পত্রিকায় দেখেছিলাম ৫ সন্তানের মধ্যে ২ জন বিসিএস ক্যাডার বাকি ৩ জনও সমাজে প্রতিষ্ঠিত আর মা ভিক্ষা করে জীবন ধারন করে, পরে ইউএনও সাহেবের কারনে এক সন্তান মায়ের দায়িত্ব নিতে বাদ্ধ হয়। সুতরাং বিসিএস ক্যাডার বা ভার্সিটি পড়ুয়া মানেই শিক্ষিত নয়। পরকালের ভয় না থাকলে এইসব কাজ করা কোনো ঘটনাই নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: নৈতিকতা এমন অনেক বিসিএসের মাঝেই নেই। এরা জাতিকে পিছনে টেনে ধরে রাখে।