নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'এম এল গনি\' cut & paste করে Google-এ search করলে আমার সম্পর্কে জানা যাবে। https://www.facebook.com/moh.l.gani

এমএলজি

এমএলজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনুশকা যেভাবে মারা গেছে তার একটা কাল্পনিক মডেল

১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

আনুশকা যেভাবে মারা গেছে তার একটা কাল্পনিক মডেল

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্রী আনুশকার মৃত্যু কিভাবে হতে পারে তা নিয়ে আমার নিজস্ব ধারণা শেয়ার করছি। এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ। বাস্তব ঘটনা ভিন্নও হতে পারে।

চার বন্ধু পরিকল্পনা করেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে দিহানের বাসায় ডেকেছে। কারণ, দিহানের সাথে মেয়েটির পরিচয় ও সম্পর্ক মাত্র মাস তিনেকের। এতো অল্প সময়ের পরিচয়ে কোন মেয়েই একপ্রকার অপরিচিত একটা ছেলের সাথে শারীরিক মেলামেশা করার কথা নয়।

মেয়েটিকে দিহান কিছু একটা লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকেছে। তার কিছুক্ষন পরই অন্য তিনজন এসেছে। এতগুলো ছেলেকে এক সাথে ঘরে ঢুকতে দেখে আনুশকা ভয় পেয়ে যায়। সে দ্রুত ওই বাসা ছেড়ে পালতে চায়। কিন্তু চারজন মিলে তাকে ঘিরে ধরে, কোথাও যেতে দেয় না।

তারপর, ওকে ছেড়ে দেয়া হবে আশা দিয়ে নেশাজাতীয় কিছু জোর করে তাকে পান করানো হয়। তারপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। নির্যাতনের শুরুটা হয় স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু, সম্মুখভাগে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তারা বিকৃত যৌনাচারে মেতে উঠে একসময়।

মেয়েটি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে এলে তারা চারজন মিলে কিভাবে এ ভয়াবহ অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তার বুদ্ধি আটে। তারা প্রেমের সম্পর্কের জেরে দিহান একাই শারীরিক সম্পর্ক করেছে বলে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া, স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে দিহান অন্য তিনজনকে ডেকেছে বলেও বক্তব্য দেবে দিহান। তারমানে, প্রেমের সম্পর্কের বোঝাপড়ার বাইরে এখানে কিছু ঘটেনি এমন একটা আবহ তৈরী হবে পুরো ঘটনায়। যা ঘটেছে, তা স্বাভাবিক যৌনতার দুর্ঘটনামাত্র।

পরিকল্পনামতো, গ্ৰুপ ধর্ষণ বা, আদৌ ধর্ষণের মতো কিছু ঘটেনি এমনভাবে কাহিনীকে প্রবাহিত করতে শারীরিক সম্পর্কের দায় দিহান একাই কাঁধে নেয়। এ সুযোগে তার তিন বন্ধু তাৎক্ষণিক বেঁচে গেলেও দিহানের নিজেরও ধীরে ধীরে বাঁচার পথ প্রশস্থ হয়। অন্যথায়, চারজনই একসাথে ফেঁসে যায়।

এতো কম বয়সী কয়েক ছেলে এভাবে সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা করে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করা স্বাভাবিক নয়। গল্পের এই প্লটটা সম্ভবত: দিহানের মায়েরই শিখিয়ে দেয়া। কারণ, তিনি বলে বেড়াচ্ছেন দিহানের সাথে মেয়েটির স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু নয়। একজন মা হিসেবে আগ বাড়িয়ে এমন মন্তব্য কোন বাঙালি মায়ের মুখে বেশ রহস্যময় শোনায়।

দিহানের বাবা খুব প্রভাবশালী ছিলেন বলে তাঁর সাথে পুলিশের শীর্ষমহলে বোঝাপড়া থাকাই স্বাভাবিক। নইলে পুলিশ এত দ্রুত ওই তিনজনকে ছেড়ে দেবে কেন? বাংলাদেশের পুলিশ কাউকে তো এতো সহজে ছাড়ে না। অদৃশ্য কোন মহলের ইশারায় কিশোরী মেয়েটিকে এডাল্ট, আর দৃশ্যতঃ বিশ-একুশ বছরের সুঠাম যুবক দিহানকে বয়স কমিয়ে শিশু বানানোর অপচেষ্টাও চেষ্টাও গভীর তাৎপর্য বহন করে।

দিহানের অন্য তিন বন্ধুর বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে, কোটিপতির উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলেদের বন্ধুর পরিবারগুলো কেমন হয় তা কমবেশি সবাই অনুমান করতে পারেন। এই তিনজন বিদেশ পালানোর আগে তাঁদের দ্রুত গ্রেফতার, এবং একই সাথে দিহানের মাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে আশা করা যায়।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে +++++। দেশে এখন নিম্বিত্ত, মধ্যবিত্ত , উচ্চবিত্ত সব মেয়েরই কোন নিরাপত্তা নাই। বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে এই দেশে পুরুষেরা নিশৃংষ রেপিস্ট এখন খুনী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ছাড়া পাওয়া বাকি তিনজনের পরিচয় কি জানেন? এদের নাম পরিচয় অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমারও ধারনা তাই । তাকে নেশা জাতীয় বিশেষ করে যৌন উদ্দীপক ওষুধ খাইয়ে এই অসৎ প্রবৃত্তিতে নিয়োজিত হয়েছিল তারা বা সে । কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেছে সাথে সাহায্য করেছে রক্তপাত । চেহারার দিকে তাকালে তাকে বেপরোয়া ক্রুদ্ধ কেউ মনে হয় । আমারও ধারনা তাই । তাকে নেশা জাতীয় বিশেষ করে যৌন উদ্দীপক ওষুধ খাইয়ে এই অসৎ প্রবৃত্তিতে নিয়োজিত হয়েছিল তারা বা সে । কার্ডিয়াক এরেস্টে মারা গেছে সাথে সাহায্য করেছে রক্তপাত । চেহারার দিকে তাকালে হত্যাকারিকে বেপরোয়া ক্রুদ্ধ কেউ মনে হয় । বাপ ছিল সাব রেজিস্টার , আছে হাজার কোটি টাকার সহায় সম্পদ । পুলিশের আই জির উপদেশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ । দেখা যাক কি করে পুলিশ ।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: পরিস্থিতি ধুম্রজাল যুক্ত

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

সাসুম বলেছেন: একমত হতে পারলাম না ভাইজান। তারা যেই সমাজে বাস করে সেই সমাজে পারলে এক জন আরেক জঙ্কে খুন করে হলেও বেঁচে যেতে চায় আর এখানে ৪ জন মিলে খুন করে সেই খুনের দায় নিজের একার কাধে নিবে দিহানের মত লম্পট কোটিপতির বখাটে ছেলে? এখন মামলা যতই দুর্বল হোক না কেন, দিহান কে এক দম কম করে হলেও কয়েক বছর সাজা খাটতেই হবে। তার কি এমন বন্ধু যাদের বাচাতে এই আয়োজন?

আসল ঘটনা যেটা ঘটেছে বলে আমার মতামতঃ

ছেলে মেয়ে দুজনেই নিজ ইচ্ছের সম্মতিতে সেক্স এ জড়িয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে দিহান পুরান খেলোয়ার, আনুশকা নতুন। সো দিহান তার পুরুষত্তব উদ্ধার করে ছাড়তেই হয়ত ভায়াগ্রা আর ইয়াবা সহযোগে পর্ন এর মত করে খেলায় মত্ত হয়েছে।

সমস্যা বাধিয়েছে আনুশকার অনভিজ্ঞতা। সেক্স এর ক্ষেত্রে ব্লিডিং হলে মানুষ মারা যায় না। এখানে যেটা হয়েছে ভায়াগ্রা বা ইয়াবার প্রভাবে নরমাল বুদ্ধিমত্তা কাজ করেনি সো তারা নরমাল এবং এনাল দু ভাবেই সেক্স করে গিয়েছে এবং হিতাহিত জ্ঞান না থাকার কারনে ব্লিডিং হবার পরেও কন্টিনিউ করে গেছে।

এখন তাহলে মারা গেল কেন? ব্লিডিং হলে শুধু যে বাইরে ব্লিডিং হয় এমন না, শরীরের ভেতরেও ইন্টারনাল ব্লিডিং হতে থাকে যার ফলে হেমারয়েজ হয়ে এক এক করে ইন্নটারনাল অর্গান গুলা ফেল করতে থাকে। আনুশকার ক্ষেত্রে ও এমন টা হয়েছে সো যেটা হয়ত বাইরে থেকে বুঝতে পারেনি দিহান। আনুশকা যখন সেন্সলেস হয়ে যায় তখনি দিহান তার বন্ধুদের ডেকে এনে বুদ্ধি চায় অথবা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ফোন দেয়, বন্ধু গফ ব্লিডিং হয়ে সেন্সলেস হয়ে গেছে তাড়াতাড়ি হাস্পাতালে আয়। এদিকে সময় ক্ষেপন অন্যদিকে ইন্টারনাল অর্গার ফেইলিয়র হয়ে আনুশকার মৃত্যু হয়।

এটাই হবার পসিবিলিটি সবচেয়ে বেশি। দিহান বা তার বন্ধুরাও কেউ ভাবেও নাই কস্মিঙ্কালেও মেয়েটা মারা যাবে।

এটা একটা পিউর এক্সিডেন্টাল ডেথ।

বাট এ ক্ষেত্রে দিহান কোন ভাবেই দায় এড়াতে তো পারেই না তার দোষ ও সব চেয়ে বেশি।

১। আন্ডার এইজ মেয়ের সাথে সেক্স।
২। ইয়াবা বা যৌন উত্তেজক পান করানো বা করা
৩। ইনফ্ল্যুএন্সড অবস্থায় সেক্স করা যেটা কখনোই উচিত নয়
৪। মেয়েটার ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং শুরু হবার পরেও বিকৃত ভাবে পশ্চাদেশ এ গমন।
৫। দেরি করে হাসপাতালে নেয়া।
৬। সর্বশেষঃ মার্ডার

এটাই একমাত্র উপসংহার আমার কাছে

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

নতুন বলেছেন: এই মৃত্যুর ২টা কারন হতে পারে। আপনি এক পক্ষ নিতে পারে না ।

১) পরিকল্পিত ভাবে ডেকে নিয়ে ধষন এবং হত্যা।
২) সম্মতিপূর্ন সেক্সের মাঝে দূঘটনা।

১) ধর্ষন হতে পারে, সেটা প্রমান করতে হবে।

২) যোনি আর পায়ু পথের মাঝের অংশ ছিড়ে গিয়ে যদি দূঘটনা হয়ে থাকে তবে তারা নিজেরা রক্ত থামানোর চেস্টা করেছে কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে অবস্থা খারাপের দিকে গিয়েছে।

ছেলের বাবা টাকা ওয়ালা বলে সবাই এক তরফা ভাবেই ১ম কারনটাই বেছে নিচ্ছে।

মৃত্যুর কারন হিসেবে যৌক্তিক কারনগুলি বের করে আসল কোনটার ফলে মেয়েটা মারা গেছে সেটা বের করতে হবে। এক তরফা ভাবলে চলবেনা।

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচণ্ড দুঃখজনক ঘটনা।

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

নীতি , নৈতিকতা ও মূল্যবোধ
না থাকাটাই এই দূর্ঘটনার এক
মাত্র কারন।

৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নিরপেক্ষ অনুসন্ধান হলে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে।তবে পুলিশ কেন বয়স ১৮ বছর দেখাল এটা একটা রহস্য।শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ছাড়া সত্য জানা যাবে না।।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:২৯

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: দিহানের মা'র কাছে প্রশ্ন- আপনার সাথে কত জনের এই রকাম স্বাভাবিক শারিরীক সম্পর্ক আছে জানালে বাধিত হব।
শুনলাম দিহানের বাবা থাকেন গ্রামে। ছেলেকে ভালো শিক্ষা দিয়েছেন।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: @সাসুম
আপনার বর্ননা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি উপস্হিত থাকা অবস্হায় ঘটনা ঘটেছে।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

আল ইফরান বলেছেন: @ সাসুম, ইয়াবা এডিক্টেড ছেলেদের বিহেভিয়ারে কি ধরনের এবনর্মালিটি ডেভেলপ করে সেইটা বোধকরি কখনো দেখেন নাই। দেখে থাকলে এইটাকে এক্সিডেন্টাল ডেথ বলতেন না। একটা পিচ্চি মেয়ে (যার শরীর এখনো হয়তো ম্যাচুরিটিই পায় নাই) যদি প্ররোচিত হয়ে সেই ছেলের কাছে গিয়েও থাকে, এমন অস্বাভাবিক আচরন কেন করতে হবে যেখানে মেয়েটাকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মরে যেতে হবে?
এই মেয়ে যদি আপনার পরিবারের কেউ হতো, তাহলেও কি আপনি একই কথা বলতেন?

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুব ভাল বিশ্লেষন করেছেন , এমনটাই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে সব শ্রেনীর মানুষই ধর্ষন করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.