নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এসেট ও লায়াবিলিটি নিয়ে আলোচনা
রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইয়ের এসেট এবং লায়াবিলিটি নিয়ে চ্যাটজিপিটির সাথে আলোচনা করলাম। আলোচনাটা এখানে দিলাম। আগ্রহীরা পড়তে পারেন।
আমি:
Rich Dad Poor Dad
Book by Robert Kiyosaki
আপনি তো উপরের বইটা সম্পর্কে জানেন। এখানে Asset and Liability এর কথা বলা হয়েছে।
এই ব্যাপারে আমার বোঝার জন্য আরেকটু বিস্তারিত বলেন।
ChatGPT:
"Rich Dad Poor Dad" বইতে রবার্ট কিয়োসাকি "অ্যাসেট" এবং "লাইয়াবিলিটি" সম্পর্কে একটি সাধারণ ও প্র্যাকটিক্যাল ধারণা দিয়েছেন, যা ব্যক্তিগত অর্থনীতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিয়োসাকি অ্যাসেট এবং লাইয়াবিলিটির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেছেন, যা অনেকের জন্য প্রথাগত ধারণার থেকে আলাদা হতে পারে।
অ্যাসেট (Asset)
কিয়োসাকির মতে, অ্যাসেট হলো এমন কিছু যা আপনার পকেটে অর্থ আনে। এটি এমন সম্পদ যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে বা নিয়মিতভাবে আয়ের উৎস হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
• রিয়েল এস্টেট যা ভাড়া আয় দেয়
• শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ যা ডিভিডেন্ড আনে
• ব্যবসা যা লাভজনক
• রয়্যালটি আয় (যেমন বই, গান ইত্যাদি থেকে)
• সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট বা বন্ড যেগুলি সুদের আয় দেয়
লাইয়াবিলিটি (Liability)
অন্যদিকে, লাইয়াবিলিটি হলো এমন কিছু যা আপনার পকেট থেকে অর্থ বের করে নিয়ে যায়। এটি এমন দায় যা আপনাকে খরচ করতে বাধ্য করে। উদাহরণস্বরূপ:
• গাড়ি, যার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ, বীমা, এবং জ্বালানি খরচ হয়
• ঋণ, যার সুদ ও কিস্তি পরিশোধ করতে হয়
• বাড়ি, যেটির জন্য মর্টগেজ বা ট্যাক্স দিতে হয় (যদি বাড়িটি আয় আনতে না পারে)
কিয়োসাকির মূল বার্তা
বইটির মূল বার্তা হলো, ধনী লোকেরা অ্যাসেট ক্রয়ের দিকে মনোযোগ দেন, যেখানে সাধারণ মানুষ প্রায়শই লাইয়াবিলিটিকে অ্যাসেট হিসেবে দেখেন। উদাহরণস্বরূপ, অনেকে বাড়িকে অ্যাসেট হিসেবে গণ্য করেন, কিন্তু যদি সেটি আয়ের কোনো উৎস না হয়, তবে এটি মূলত লাইয়াবিলিটি।
কিয়োসাকি পরামর্শ দেন, আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বেশি করে অ্যাসেট তৈরি করা এবং লাইয়াবিলিটি কমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এভাবে, আয়ের উৎস বৃদ্ধি পায় এবং আপনার পকেটে বেশি অর্থ থাকে, যা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে সহায়ক।
এটি আপনাকে আপনার অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অধিকতর বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণে সাহায্য করতে পারে।
আমি:
আমি একজন বাংলাদেশী। আমি প্রচলিত সুদ থেকে দূরে থাকতে চাই। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এসেট কী কী হতে পারে। আমাকে অন্তত দশটি এসেটের নাম বলেন।
ChatGPT:
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুদ-মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে আপনি নিচের দশটি এসেট বিবেচনা করতে পারেন:
রিয়েল এস্টেট (ভাড়া আনা যায় এমন সম্পত্তি): বাড়ি, ফ্ল্যাট বা দোকান যেগুলি ভাড়া দেওয়া যায়, এ থেকে নিয়মিত আয় অর্জন করা সম্ভব।
স্বর্ণ ও রূপা: মূল্যবান ধাতু হিসেবে এগুলির বাজার মূল্য সময়ের সঙ্গে বাড়তে পারে। এটি সুদ-মুক্ত বিনিয়োগের ভালো বিকল্প হতে পারে।
ব্যবসায়িক বিনিয়োগ: কোনো লাভজনক ব্যবসায় অংশীদার হওয়া বা নিজে ব্যবসা চালানো, যেখানে সরাসরি ব্যবসার লাভ থেকে আয় আসে।
শেয়ারবাজারে হালাল স্টক: শেয়ারবাজারে এমন কোম্পানির শেয়ার কেনা, যারা ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে এবং সুদ-মুক্ত লেনদেনের নীতি অনুসরণ করে।
কৃষিজমি: কৃষিকাজ বা বাগান তৈরির জন্য জমিতে বিনিয়োগ করা। ফসল, ফল, বা সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
রয়্যালটি আয়: বই লেখা, সঙ্গীত রচনা, বা অনলাইন কোর্স তৈরির মাধ্যমে রয়্যালটি আয় করা, যেগুলি বারবার বিক্রি হওয়ার মাধ্যমে আয় আনে।
হালাল স্টার্টআপে বিনিয়োগ: নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করা, যেগুলি ইসলামী নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পেশাদারী দক্ষতা: নিজেকে কোনো বিশেষজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলা, যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, আইটি সার্ভিস, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি, যেগুলি থেকে আয়ের সুযোগ থাকে।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা (ফরেক্স ট্রেডিং): নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে, যাতে সুদের কোনো লেনদেন না হয়।
ইসলামী মিউচুয়াল ফান্ড: বাংলাদেশে কিছু ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড আছে, যেগুলি শরীয়াহ-সম্মত বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এই এসেটগুলির মাধ্যমে আপনি সুদমুক্ত আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন।
©somewhere in net ltd.