নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,
পর্ব - ০১-০২
পর্ব ০৩-০৪
পর্ব -০৫
পর্ব-0৬
পর্ব -০৭
পর্ব-0৮
পর্ব-0৯
পর্ব-১0
পর্ব - ১১
পর্ব - ১২- শেষ পর্ব
------------
পৃথিবীর বুকে যত অশান্তির কারণ এদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো মিথ্যা অপবাদ। মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা যেমন প্রয়োজন তেমনি মিথ্যা অপবাদে অপমানিত হয়ে উপযুক্ত বিচার পাওয়াটা তার চেয়ে কোনভাবেই কম নয়। আজকের যুগের আত্নকেন্দ্রীক মানব সম্প্রদায়ের মাঝে যে জিনিসের প্রকট অভাব তা হলো বিশ্বাস।আমার কাছে এ মুহূর্তে সবচেয়ে ভয়ংকর সমস্যা হলো অবিশ্বাস। মুখের কথা কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না, এমনকি পিতা তার স্বীয় পুত্রকে, স্বামী - স্ত্রীকে, ভাই - বোনের মধ্যে বিচিত্র কারণে বিশ্বাসের শ্বাস বের হয়ে গেছে। আজকাল সবকিছুতে সবাই দলিল,দস্তখত চায়। নিজের উপর মিথ্যা অপবাদের জ্বালা সইতে না পেরে তার দালিলিক প্রমাণের জন্য নিকটস্থ ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। এবং অনায়াসে একটি লেটার নিয়ে আসি যে আমি সক্ষম পুরুষ।
এদিকে আজও জাহাঙ্গীর ভাইকে মানুষ হিসাবে প্যাচুক নাকি মিশুক তার হিসাব মেলাতে পারলাম না। গত কয়দিন থেকে তিনি অনেকবার আমাকে ফোনকল, মেসেজ দিয়ে প্রায় ক্ষুদ্ধ করেই তুলছে। লোকটির এমন বড়ভাই সুলভ আচরনে আমাকে স্বান্তনার বদলে দ্বিধায় ফেলে দিলো ৷ তার কথা হলো সবকিছু বসে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমিও তার কথায় মনে মনে ভাবলাম আমিতো আর চোর -ডাকাত কেউ না আর কোন অন্যায় যে করিনি সেটা সরাসরি বলে দেওয়াটাই অধিকতর ভালো। তাই জাহাঙ্গীর ভাইয়ের কথামতো বন্ধের দিন রবিবারে বানেছা বিবির সাথে দেখা করতে যাই।
বানেছা বিবির ঘর যেখানে বহুদিন থেকেছি আজ সেই ঘরটিতে ঢুকে এক বিদঘুটে দমবন্ধকর অবস্থায় অনেকটা বুঁদ আর বধির হয়ে বসে থাকি। আমার বসার কিছুক্ষণ ওর বানেছা বিবি এসে রুমে ঢুকলেন। আমি স্বভাবতই উনাকে সালাম দিই। বানেছা বিবি ও জাহাঙ্গীর ভাই দুজনই আমার মুখোমুখি বসে আছেন ৷কেউ কোন কথা বলছে না। জাহাঙ্গীর ভাই সাহসা আড়মোড়া ভেঙে বলতে থাকেন।
- তুমি কি মনস্থির করছো সেটা বলো?
আমি মেজাজ ঠিক রেখে হাসিমুখে বোকার মতো অভিনয় করতে থাকি। জাহাঙ্গীর ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলি, যা বলার আপনারা বলেন আমার তো কিছুই বলার নাই। আর ডাক্তারের কাছ থেকে আনা এই লেটারটি নেন। আমি কখনো মিথ্যা বলিনি, আমি সক্ষম নাকি অক্ষম পুরুষ তা এখানে বলা আছে। আমার কথা শুনার পরপরই বানেছা বিবি তার পুরানো কাসুন্দি বলতে থাকেন,
- তুমি আমার ছেলের মতো সংসারে কত কিছু হয় আর তারজন্য মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকবে তা কি হয়? রাগের মাথায় তোমার ও আমার মেয়ের ভুলবোঝাবুঝি হতে পারে সেটা আমি বুঝেছি। এবার আমার দিকে চেয়ে সবকিছু বাদ দাও।
বানেছা বিবির বদলে যাওয়া গলার নরম সুরের সাথে আমি নিস্তব্ধ হয়ে যাই!
- মেয়েটা তার ভুল বুঝতে পেরে না খেয়ে শুধু কান্নাকাটি করতেই আছে।এই নাও বাঁধনের সাথে কথা বলো !
কিছু বুঝার আগে দেখলাম মোবাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে বাঁধন কাঁদছে ওর মুখে অনুতাপের চিহ্ন। মেয়েদের কান্না দেখলে আমার মন-মগজে আজানা উৎপাত দানা বেঁধে যায়। কান্না জড়িত কন্ঠে বাঁধন বলতে লাগলো,
- আমাকে মাফ করে দাও,শুধু একটিবার মাফ করে দাও। আর এমন ভূল হবে না। এ জীবন আর কখনো তোমাকে আঘাত করবো না!
- স্ত্রী হিসাবে না হোক অন্তত আমাকে তোমাদের বাড়ির কাজের মেয়ের মর্যদাটুকু দাও!
- প্রবল আবেগপ্রবণ আমিও মৌনব্রত ভেঙে কাঁদলাম..
জাহাঙ্গীর ভাই বললেন, বিয়ে চাইলেই ভাঙা যায় না। এখানে আমরা যারা গার্ডিয়ান আছি তাদের দায়িত্ব হলো ভুল হলে শুধরে দেওয়ার। সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন জীবন শুরু করো। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। আমি বিভ্রান্তির বেড়াজালে আচ্ছন্ন নাকি ভালোবাসার ঠিকাদার বুঝতে পারলাম না৷সবার কথামতো দূর্নিবার ভালোবাসার জিন মাথায় চড়ে বসে। আমি তাদের সাথে রাতে খাবারদাবার করে সেদিনের মতো ঘর থেকে বের হয়ে আসি। আমি আবারো আবদ্ধ হবো বাঁধনের জালে!
এদিকে বাবার কথা মনে হতে শরীরের মাঝে অদ্ভুত ভয় কাজ করতে লাগলো, এবার বাবা কিভাবে ফিতা ছাড়া সংসারের বাঁধাটা মেনে নিবেন?
(১৩)
-----------
বাবাকে ভয়মিশ্রিত গলায় বানেছা বিবির সাথে মিটিং ও ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি বলার পর। বাবা বলেন এসব তামাশা মাথা থেকে বাদ দাও নতুবা তোমার মা মারা গেছে এবার আমাকেও পাবেনা। বাবার হার্ড লাইন আমাকে হামাগুড়ি দিয়ে চলা সম্পর্কের যবনিকা ঘটাতে সাহায্য করলো। আমার ঘরবাঁধার অপারগতার কথা জাহাঙ্গীর ভাই ও বানেছা বিবিকে জানিয়ে দেই। দু-দুবার দেশে যাওয়া আসা। মায়ের কুলখানি এইসবের মধ্যে আমার হাতে বিশ হাজারের বেশি টাকা নেই। কিন্তু আমাকে দশলাখ টাকা দিয়ে বিয়েটা দফারফা করতে হবে নইলে কেইস হয়ে গেলে ঝামেলা।
বাবাকে বললাম, এই মুহূর্তে তো টাকা নেই বাবা। কয়েকটা দিন যাক। আমি টাকাপয়সা ব্যবস্হা করছি
- - তোর, মায়ের কাবিনের জায়গাটা বিক্রি করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবে। হাজার হোক তোর মা তো ব'লেই গিয়েছে।
মা কি বলে গিয়েছে বাবা? তুমি এর আগেও ঠিক তাই বলেছো কিন্তু ক্লিয়ার করনি।
- প্লিজ বাবা।
- কাঁদছো কেনো বাবা? তুমি কাঁদলে আমি আর শুনতে চাইবে না।
- -তুই মায়ের আদরের এক আদর্শ সন্তান সারাজীবন বিদেশে কাটালো একটুকরো সুখ জোটেনি এটা ছিলো তোর মায়ের দুঃখ।
- তোর মা ---মৃত্যুর দুই মিনিট আগে হু হু, কান্নার শব্দ ...
'- কি বাবা?
- তোর মা বলে গিয়েছে, ইয়া আল্লাহ বাঁধন নামক মেয়েটা যদি আমার ছেলের ভালোর জন্য হয় তবে তুমি তাকে রাখো নতুবা আমার ছেলের কাছ থেকে নিয়ে নাও।
- বাবা
- তোর মা স্পষ্ট দেখতে পারছিলো এ মেয়ে তোর জন্য উপযুক্ত নয় ৷ মৃত্যুর আগে মা - বাবা নিজ চোখে সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখতে পায়।
- ঠিক আছে বাবা বুলবুল ,এবার রাখি।
বাবার ফোনটা রাখার পর মনে হলো আমার ছোট্ট পৃথিবীতে এক বিরাট ভুমিকম্প হয়ে গেলো। দশলাখ টাকা কোথায় পাই? এখন সবচেয়ে বড় বোঝা এটাই।
শেষ পর্ব
----------
সমাজিক যোগাযোগ অনেকদিন থেকে নেই। বন্ধুদের সাথে তেমন মিশি না। অনেক দিন পর ফেইসবুক খুললমা। অনেক মেসেজ ইনবক্সে জমা আছে। একে একে বাঁধনের মেসেজগুলি পড়ে কাঁদছি আর ডিলেট বাটনে টিপ দিয়ে চলছি। হঠাৎ একটা মেসেজ দেখলাম রহিমা বেগম। আমার জান্নাতবাসী মায়ের নাম ছিলো রহিমা বেগম তাই বিপুল উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে মেসেজটি খুললমা। শুধু একটি লাইন প্রায় মাসখানেক আগের, আপনি কি বাঁধনের স্বামী বাদশা বুলবুল? অমি চিন্তা করলাম আমি কি এখনো তার স্বামী কি না? কি জবাব দেবো? প্রোফাইলে তেমন কিছু নেই। দুটি শিশুর ছবি ছাড়া ।
আমি উওর দিলাম - জ্বি, আমি বাঁধনের স্বামী। প্রায় তিনঘণ্টা পরে রেসপন্স পেলাম।
- ভাইয়া, একটু কল করবেন?
- ভাইয়া, রহিমা বেগম ?
আমি কল ব্যাক করলাম, যা শুনলাম তাতে মাথা যেন সাততলা থেকে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় অবস্থা, রহিমার মা বাবা কেউ ইহজগতে নেই সে এতিম একটি মেয়ে। রহিমার বিয়ে হয়েছে সাত বছর। তার স্বামী একজন বাস ড্রাইভার, তাদের ঘরে দুটি সন্তান আছে। আজ ছয় বছর হলো তার স্বামীর সাথে বাঁধনের অবৈধ সম্পর্ক যা কমবেশি সবাই জানে। আমি বললাম এটা তুমি ভুল বলছো। সে খারাপ হলেও অতটা খারাপ না? সে এমন মেয়ে হতে পারে না?
রহিমা আমাকে প্রায় শখানেক ছবি দিলো। আর বললো আপনি আমার ইহজাগতে একজন ভাই, আমাকে সাহায্য করুন! এই অসহায়ের কাছে আরেক কপালপোড়া সাহায্য চায়! জীবনে কতই না নাটক চলছে! এই নরকের কীটের সাথে আমি যৌবনের জলে স্নান হই। নিজেকে শুধু ধিক্কার দিলাম মা বাবার কথা না শুনে নিজের মতামতের ভিত্তিতে বিয়েটা করার পরিণতি ভেবে শিউরে ওঠি। 'মায়ের ক্লোন হলো তার মেয়ে' সে শ্বাশত সত্য মানসপটে ভেসে উঠলো। একজন মায়ের প্রতিবিম্বই হলো তার মেয়ে। তাহলে বানেছা বিবির সাথে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক শুধু সাহায্যের নয় বরং সঙ্গম সুখের তাতে দ্বিমত করার উপায় নেই ! এসব পাপিষ্ঠাদের থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকাটাই বুঝি শ্রেয়তর।
আমি সিলেক্টেড কয়েকটি ছবি বাঁধনের কনটাক্টে,তার মা,ভাই ও এক আত্নীয়কে দিয়ে বললাম এবার আমিই কেইস করবো। এত বড় নরকের কীট? নিউজপেপার সহ সব মিডিয়ায় দিবো। ভাগ্যের কি এমন অদৃশ্য সহায়তায় কোন টাকা পয়সা ছাড়াই বিয়ের নিস্পতি ঘটে। সমাপ্তি হয় আমার নারকীয় জীবনের যত নাটকীয়তার। আমি এখনও মাঝে মধ্যে কিছু টাকা বোন রহিমাকে দেই।
কিছুদিন পরে শোক কাটিয়ে ওঠে আমি চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আসা বাংলাদেশী ছাত্রী মনোয়ার কে বিয়ে করি৷ এটা অবশ্য হলফ করে বলতে পারি এবার ভাগ্যদেবী করুণা করে হলেও আমাকে নিরাশ করেননি। আমার সতী-স্বাধী স্ত্রী মনোয়ারার স্ফটিক হৃদ-পেয়ালায় কোন খাদ নেই, কোনকালেই কোন প্রকার পোকামাকড়ের আক্রমণ ও সংক্রমণ যে ছিলো না সেটা নিদ্বিধায় বলতে পারি। এখন আমাদের সংসারে ছয় মাসের ফুটফুটে একটি মেয়ে আছে। আজও মাঝে মাঝে ভাবি বাঁধন আজ কোন কূলে কি বাসা বেঁধেছে ! নাকি নরকের কীট হয়ে নিজের তৈরি উল্কাপিণ্ডে দগ্ধ হচ্ছে ! কি'ই বা তার নিয়তি ? আর কেমন তার পরিণতি ? তা ভাগ্য বিধাতাই ভালো জানেন।
কৃতজ্ঞতা - যারা গল্পটিকে লেখতে সাহায্য করেছেন সেই সকল গুণী ব্লগারদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা রইলো।।।
দ্যা হিপোক্রেসি সিরিজ ভালো লাগলে আরো পড়ুনঃ দ্যা হিপোক্রেসি - ঠেলা ধাক্কার সংসার
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩০
ল বলেছেন: এককথায় গল্পের মেসেজ বলে দিলেন।।। এইজন্য আপনি গুরুর আসনে।।
পরিবার হলো সন্তানের আসলে শিক্ষক।।।
ভালোবাসা রইলো।।।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: দারুন বাস্তবতা। কি নিদারুন সত্যতা। এই পৃথিবীতে বানা মায়ের চেয়ে আর কেউ কখনই আপন হতে পারে না।
ফিনিস যথেষ্টই ভালো লেগেছে।
শুভ রাত্রি প্রিয় লতিফ ভাই।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১১
ল বলেছেন: ব্লগ সেরা গল্পকারের ভালোলাগায় উজ্জীবিত হলাম।।
মা - বাবর সুখের কাছে পৃথিবীর সকল সুখ নগণ্য।।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইলো।।।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫
আনমোনা বলেছেন: শেষ হয়ে গেলো? একযুগের স্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নকে পিছনে ফেলে সুন্দর সমাপ্তি।
ভালো থাকুন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১২
ল বলেছেন: আপনার কাছে ঋণী হয়ে রইলাম।
সাথে থেকে যেভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তা অনেক পাওয়া।।
ভালো থাকুন।।। আবারও কৃতজ্ঞতা।।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লেখকের আবেদনে গল্পটি থানা কোর্টে নেওয়া থেকে বিরত থাকার পরও বিচারিক মামলায় জেলা জজ কোর্টে দাখিলকৃত জেলা সদর থানা থেকে চার্জশিটের শেষাংশ কি হতো - তা কি লেখকের জানার আগ্রহ আছে?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৭
ল বলেছেন: জ্বী
আছে মানে আলবত জানার ইচ্ছে আছে --
যেউ আইন আমার মেলো থুক পরে তান বাফর কপাল।।।
( ((যে আসে আমার সহচর হয়ে থু থু পরে তার বাবার কপালে))) শানে নুযূল বুঝলে আওয়াজ দিয়েন।।।
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মাওলা বিবাদী পক্ষ জনাব - - - - - - - - - - এর উকিল।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, সহ যৌতুক ও মুসলিম শরিয়া দেনমোহর আইন মোতাবেক বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি ও আইনের উপর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে জেলা সদর থানার দাখিলকৃত চার্জশিট পুলিশ সুপার জনাব - - - - - - - - - বিপিএন - - - - - - - - তদন্ত একমত পোষন করে পেয়েছি বিবাদী গল্পের লেখক জনাব - - - - - - - - - - পায়ের সাইজ ইউ নং- ৮, আর উক্ত মামলার বাদী পক্ষ তথা জনাবা বনেছা বিবি ও জনাবা বাঁধনের জুতার সাইজ ই্উ নং- ১২। মহামান্য আদালত, আমার মক্কেল জনাব - - - - - - - - - - বিবাদী নির্দোষ এই মর্মে বিবাদীর পা ছোট, আর বাদী পক্ষের জুতা বড়। এই পায়ে এই জুতা অচল, আর অচল জুতা সচল করার ব্যাবস্থা বাংলাদেশে কেনো বিশ্বের কোনো দেশে নাই। জুতা বদল করার জন্য আজ মহামান্য আদালতের কাছে আমার মক্কেল মামলার বিবাদী জনাব - - - - - - - - - - হুজুরের রায়ের আশায় আজ কাঠগড়ায়।
আদালতে পিনপতন নিস্তব্ধতায় জেলা জজ জনাব মাহতাব উদ্দিন কামরান চশমার কাঁচ পরিস্কার করে বিবাদীর দিকে তাকাবেন তারপর ঘোষণা দেবেন সেই ১৩ পর্বের শুনানির রায়, “সমস্ত তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সহ আজ কোর্ট এই রায় দিচ্ছে যে বিবাদী জনাব - - - - - - - - - - নির্দোষ তাকে নিঃশর্ত জুতা বদল তথা জনাবা বাঁধনকে বদল করার অনুমতি প্রদান করছে। THE COURT IS ADJOURNED
উপসংহার: - আমাদের দেশে নারী নির্যাতন, যৌতুক ও দেনমোহর মামলা কঠোর আর এই সুযোগে দেশে তথাকথিত কিছু নারী তার অত্যাধিক সুযোগ নিচ্ছে, আমাদের অভাব ষাটোর্ধ তুখোড় অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন মাওলার মতো উকিলের, আমাদের অভাব জেলা জজ জনাব মাহতাব উদ্দিন কামরান সাহেবের মতো ন্যায় বিচারকের। আর আমাদের অভাব উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্তকারী টিমের প্রধান নাম না জানা সেই পুলিশ সুপারের। এই তিনজন যেখানে ছিলেন এই ধরনের মামলাকে তারা ধুলোয় উড়িয়েছেন।
সর্বশেষে আমি ঠাকুরমাহমুদ গল্পের লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার বাস্তবমুখী একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৪
ল বলেছেন: কি দেখলাম এটা চার্জশিটে তো পুরু আত্মা রিচার্জ হয়ে গেলো।।।
আদালতে পিনপতন নিস্তব্ধতায় জেলা জজ জনাব মাহতাব উদ্দিন কামরান চশমার কাঁচ পরিস্কার করে বিবাদীর দিকে তাকাবেন তারপর ঘোষণা দেবেন সেই ১৩ পর্বের শুনানির রায়, “সমস্ত তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ সহ আজ কোর্ট এই রায় দিচ্ছে যে বিবাদী জনাব - - - - - - - - - - নির্দোষ তাকে নিঃশর্ত জুতা বদল তথা জনাবা বাঁধনকে বদল করার অনুমতি প্রদান করছে।
তারপরঃ -- কি হলো,
কোর্ট পয়েন্টে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হলো এ রায় মানি না, মানি না বলে চারিদিকে শ্লোগান শুরু হলো তাতে নেতৃত্ব দিলো বাঁনের ভাই ছাত্রনেতা " বাবু " শত শত টোকাই, বস্তিবাসী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিশু।।
বিভিন্ন মিডিয়া এই রায়কে পক্ষপাতদুষ্ট বলে শিরোনাম করলো। দেশি-বিদেশি এনজিও একাত্মতা পোষণ করলো বিধবা বাঁধন ও বাবেছা বিবির সাথে,,,,
ফলাফল ----অবশেষে বিচারকের রায়টি পুনঃ বিবেচনার জন্য সুপারিশ গৃহীত হলো।।।।
উপভোগ করলাম আর উপহার হিসাবে আপনারা কথাগুলো মাথা পেতে নিলাম।।
ভালো থাকু।।
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার উপন্যাসের শুরুতে কিছুটা পড়েছিলাম, পরে আর পড়া হয়নি; অবশ্য কে পড়বে, না পড়বে, সেটা লেখকের ভাবনার বিষয় নয়, অনেকেই পড়ে থাকেন, এটাই আসল। লেখা শেষ করার মাঝে নিশ্চয় আনন্দ আছে!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৬
ল বলেছেন: আপনার মহানুভবতার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
ভালো থাকুন।।
লেখা শেষ করার মধ্যে আনন্দ ও ভয় দুটোই কাজ করে।।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২০
ইসিয়াক বলেছেন: অসাধারন লেখনী।বাস্তব সম্মত সমাধান।
প্রিয় লতিফ ভাই .................এই লেখার সবটুকুই কি লেখক মনের কল্পনা ?...........
আজ আর শুভকামনা , শুভেচ্ছা কিছুই জানাবো না !
শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা প্রিয় লতিফ ভাইকে তুমি আরো অনেক অনেক সুন্দর লেখার ক্ষমতা প্রদান।
আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
হ্যাপি ব্লগিং
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৩২
ল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি "ভোরের পাখি"
লেখাটিকে ভালোলাগার এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসাবানের বিহ্বলতায় ভরিয়ে দেয় আকুলিবিকুলি মন।।
এই লেখার সবটুকুই কি লেখক মনের কল্পনা ?.... অসাধারণ প্রশ্ন....
আসলে প্রতিটি গল্পের পটভূমি জীবনের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন-স্বাদ, ভাবনা -চিন্তা, ভালোবাসা, ভাঙন এগুলো থেকো আসে আমার পটভূমি ঠিক তেমনি।।। কতটা সার্থক হলো তার জানি না।।।
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন -- আমীন।।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
দারুন ক্লাইম্যাক্সে শেষ পর্বটি সমাধা করলেন। 10 লাখ টাকার নিষ্পত্তি যে এমন শান্তিপূর্ণভাবে ঘটবে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি।
বাস্তব জীবনের গল্প রহিমা বেগমের টুইস্টটি ভালো লাগলো। ভালো লাগলো রহিমা বেগমের প্রতি লেখকের মানবিকতার পরিচয় পেয়ে। চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মিসেস মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে লেখকের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রতি অভিনন্দন ও ভালোবাসা রইলো।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
ল বলেছেন: প্রিয় দাদা
আপনি সাথে আছেন বলেই গল্পটি শেষ করতে সাহস পেলাম।
ভালো থাকুন।।
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই ধারাবাহিকের শুরু থেকেই আমি সাথে ছিলাম।
সহজ সরল ভাষায় সুন্দর লিখেছেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
ল বলেছেন: আপনার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।।।
আপনি শুরু থেকে আছেন সেটা আমি জানি।।।
আপনি সবসময় এভাবে সবার পাশে থাকেন তাই আপনি সবার প্রিয়।।।।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হঠাৎ কাজের চাপে বেশ কয়েকটি পর্ব পড়তে পারিনি। তবে এই পর্বটি দেখে পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। গল্পের দুইটা পর্ব ছেড়ে শেষ পর্বের গল্পের পরিণতি দেখেও আগের বাদ যাওয়া পর্ব দুইটি পড়ার ইচ্ছা এখনো বহাল রয়েছে। এই পর্বে গল্পের ফিনিশিং চমৎকার হয়েছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
ল বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,
যতদূর জানি আপনি খন্ড গল্প পড়তে আরাম পান না।। তারপরও গল্পের সারাংশ পড়ে নিজের ভালোলাগাটুকু প্রকাশ করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন।।
ধন্যবাদ নিরন্তর।।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্য যে জীবনের পথ কোনদিকে নির্ধারণ করে দেবে, তা কোনোভাবেই আন্দাজ করা সম্ভব না। কাহিনীটি চমৎকারভাবে এগিয়েছে, সব কটি পর্ব পড়েছি, ভালো লেগেছে; যদিও নানা কারণে মন্তব্য করা হয়নি।
সমাপ্তি ভালো হয়েছে। সৎকর্মশীল এবং ধৈর্যশীলদের আল্লাহ সবসময়ই মিথ্যাবাদীদের উপর জয় দান করেন। এখানেও তাই হয়েছে। পুরো কাহিনীতে +++
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
ল বলেছেন: আপা,
আপনার মতো একজন এলিট পাঠক ও লেখক যখন গল্পটি পাঠে ভালোলাগার কথা বলেন তখন সাহসী হয়ে যাই আরো কিছু লেখার বাসনা জাগে মনে।
তাই পেন্ডিং দুটি গল্প।।।
দ্যা হিপোক্রেসি --- "টাওয়ার তীরের তরুণী "
দ্যা হিপোক্রেসি -- " লীলা-লাস্যের পালাবদল "'।এই দুটি লেখা শেষ করার ইচ্ছে জাগলো।।
পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।।। ভালো থাকুন।।।
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
বিশ্বাসের পদ্মা ফুটোফাটা হয়ে যায়। আচরণে,
আবেশ শব্দটি ভালোলাগা অনুভূতির সঙ্গে বসে। কোন কিছু বিদঘুটে লাগলে সেক্ষেত্রে এক দমবন্ধকর পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করতে পারেন। এগুলো বাদ দিলে মুখের উপর আজকের পর্বটি অনেক পারফেক্ট হয়েছে।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
ল বলেছেন: প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় গুরুমহাশয়।।।
শুদ্ধতা চর্চার সুযোগ করে দেবার জন্য এক আকাশ শুভেচ্ছা।।।
ভালোবাসা রইলো।।।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।।।
আপনি শুরু থেকে আছেন সেটা আমি জানি।।।
আপনি সবসময় এভাবে সবার পাশে থাকেন তাই আপনি সবার প্রিয়।।।।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।।
আমি সবার পাশে থাকতে চাই। দোয়া করবেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩
ল বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা আপনার হায়াত দান করুন।।।।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আরোগ্য বলেছেন: ভুড়ির তাসির।
তবে মোহরানার টাকা দিয়ে দেয়া ফরজ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৫
ল বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ছোট ভাই।।
দেনমোহর মনে হয় সুন্নাত, তবে গল্পের খাতিরে তা অপব্যবহার ও অপবাদ।।। বহুলাংশে অপবিত্র ভেগাস।।।
ভালো থাকুন।।।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ! কি শান্তি!
ওম শান্তি
নরক থেকে মুক্তির অগ্রদূত রহিমাকে ধন্যবাদ।
আসলেই ছলনাময় এ ভুবনে -বিশ্বস বড় দুর্লভ হয়ে যাচ্ছে!
ক্ষনিকের স্বার্থ আর প্রয়োজনেই ডুবে আছে কথিত সভ্যতা!
সূখময় সমাপ্তির সূখের পরশেই বুদ হয়ে আছি
'সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু'—বিশ্বের সকল জীব সুখী হোক'
+++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৬
ল বলেছেন: প্রিয় কবি,,
নিরাশ আঁধারে প্রভু তুমি হবে আশার আলো।।।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো।।।
ভালো থাকুন।।
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর সমাপ্তি
ভালো লেগেছে গল্প
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৭
ল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আফু,
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
ভালো থাকুন সবসময়।।।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: মায়ের নামের সাথে মিল দেখতে পেয়ে তার টেক্স পড়েইতো সব তথ্য পেলেন।
শেষে নরক থেকে মুক্ত পেলেন।
গল্পের প্রথম প্রথম ২-১ পর্ব পড়লাম।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৮
ল বলেছেন: গল্পে টু মেরে মূল খুঁজে পাওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ চির নবীন ভ্রাতা,
জীবন সুন্দর ও মধুর হোক।।
ভালো থাকুন।।
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
এমজেডএফ বলেছেন:
সফলভাবে যথাসময়ে গল্প সমাপ্ত করার কৃত্বিত্ত্বের জন্য আপনাকে অভিনন্দন! বাদশাহ বুলবুলের নারকীয় জীবনের সমাপ্তি টেনে সতী-সাধ্বী স্ত্রী মনোয়ারার সাথে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করার সুসংবাদে পাঠক-ভক্ত সবাই আনন্দিত এবং সন্তুষ্ট।
সবগুলো পর্ব যোগ করলে আপনার পুরো সিরিজটা একটি বড় গল্পের পর্যায়ে পড়ে। বড় গল্পের দৃস্টিভঙ্গিতে দেখলে আপনার "দ্যা হিপোক্রেসি - নরকের কীটের সাথে সহবাস" নিঃসন্দেহে একটি ভালো এবং সার্থক গল্প।
গল্পটির যে বিষয়গুলো ভালো হয়েছে:
● সময়ের ধাপে ধাপে ঘটনার অপ্রত্যাশিত বাঁকগুলো গল্পকে আকর্ষণীয় করেছে।
● গল্পকে ঘটনাবহুল ছোট সিরিজের মাধ্যমে উপস্থাপন করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠকদের ধরে রাখতে পেরেছেন।
● শতভাগ না হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটনার সাথে বাস্তবতার মিল ছিল। তাই পাঠকের মনে গল্পটি দাগ কাটতে পেরেছে।
গল্পটির যে বিষয়গুলো আরো ভালো হতে পারতো:
● কিছু কিছু ঘটনা এতই আকস্মিকভাবে এসেছে যে মনে হয়েছে জোর করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন হঠাৎ করে এক পর্বে বুলবলের গায়ক হয়ে যাওয়া, শেষ পর্বে রহিমার আবির্ভাব ইত্যাদি। এই ঘটনাগুলো আরো বাস্তবিক হয়ে উঠতো যদি গল্পের শুরুতেই উল্লেখ থাকতো বুলবুল আগে থেকেই একজন গানের শিল্পী, বুলবুলের আগে থেকেই ফেসবুক ব্যবহার করতো ইত্যাদি ...।
● গল্পের ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনার সময় যথার্থ শব্দ ও বাক্যের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোনো ঘটনা বা গল্প বলার সময় আমাদের শারীরিক ভাষা, অঙ্গ ভঙ্গি, কথার সুর ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের মনে আনন্ন্দ বা দুঃখের আবহ সৃষ্টি করে। কিন্তু লিখিত গল্পে পাঠকের মনে এই আবহ সৃষ্টি করতে হলে সাহিত্যভিত্তিক ভাষার কোনো বিকল্প নেই। বার্তার বেলায় সহজ ও সরল ভাষায় লিখলে চলে, কিন্তু অনুভুতি, আবেগ, মানসিক দ্বন্ধ ইত্যাদি বুঝাতে উচ্চমাত্রিক ভাষা ব্যবহার করতে হবে। এতে গল্প শুধু গল্পই থাকবে না, সাহিত্যের মানও অর্জন করবে।
● গল্পের পরিসমাপ্তিতে শেষ প্যারাটি:
"কিছুদিন পরে শোক কাটিয়ে ওঠে আমি চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আসা বাংলাদেশী ছাত্রী মনোয়ার কে বিয়ে করি৷
∙∙∙ ∙∙∙ ∙∙∙
এখন আমাদের সংসারে ছয় মাসের ফুটফুটে একটি মেয়ে আছে।"
আমরা ছোটবেলায় দাদী-নানীর কাছে যেসব গল্প শুনতাম সেগুলো সবসময় শেষ হতো এভাবে:
"রাজপূত্র অনেক যুদ্ধ করে শত্রুপক্ষের সব সৈন্যকে হত্যা করে সুবর্ণদ্বীপের অপরূপ সুন্দরী রাজকন্যাকে নিয়ে দেশে ফিরে এসে ধুমধাম করে বিয়ে করলেন। এরপর তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলেন। আমার গল্পটি ফুরালো নটে গাছটি মুড়ালো!" আপনার গল্পের পরিসমাপ্তি আমার কাছে অনেকটা সেরকম মনে হয়েছে!
"সমাপ্তি হয় আমার নারকীয় জীবনের যত নাটকীয়তার।" –এই লাইনটির সাথে গল্পটির পরিসমাপ্তি হলে মনে হয় আরো ভালো হতো।
যা-ই হোক, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে আমার নিজস্ব মতামতের ওপর ভিত্তি করে আপনার বড় গল্প "দ্যা হিপোক্রেসি - নরকের কীটের সাথে সহবাস"-এর রেটিং পয়েন্ট ৫-এর মধ্যে সাড়ে ৩।
শুভকামনা জানিয়ে আরো গল্পের প্রত্যাশায় রইলাম।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১৫
ল বলেছেন: নতশীরে করি সশ্রদ্ধ সালাম ও অভিবাদন।।।
প্রিয় ভাই,
আপনি একজন বিদগ্ধ পাঠক ও সমালোচক আর আমার কাছে এক পরশ পাথর।।
এমন বিরল বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ নয় বরং করমর্দন হোক।।
চা খান।।।।
আগামীতে আরো সর্তক হবো এবং সময় করে সম্পাদনা করে নিবো।।
ভালোবাসা রইলো।।। ভালো থাকুন।।।
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল ভাই, গল্পের কি আরো কিছু বাকী আছে - আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে কিছু রয়ে গেছে। আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান একটি কথা বলতেন গ্রাম্য ভাষায়, প্রচলিত ভাষায় যার অর্থ দাড়ায় এমন: - বিষাক্ত সাপের দাঁত তুলে নিলে আবার দাঁত গজায় আজ কাল নয়তো পরশু আবার দংশন করে ! - - - - - - -
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫১
ল বলেছেন: হা হা... গুরু তো গুরুই।।।
আরেকটা পর্ব তাহলে যোগ করতে হয়।।
বেশ সুখেই কাটছিলো আমার যাপিত জীবন।"আমার স্ত্রী মনোয়ারর আবেদন করার জন্য দেশ থেকে তালাকনামা আনতে গিয়ে দেখি বিয়ে রেজিস্টি অফিস বলছে ডিভোর্স এবসোলোট মানে ফাইনাল হয়নি।।। আর ডিভোর্স পেপার না হলে ইউ,কে তে আমার স্ত্রীর জন্য আবেদন করা হবে না।
এবার বাঁধনদের সাথে বাবা যোগাযোগ করলেই ওরা সুযোগ বুঝে তার ষোলকলা উসুল করতে উঠেপড়ে লেগে যায়।
শুরু হয় কোর্ট, মামলা, বাহু আর জুজুর ভয়।। ......( চলবে নাকি দাদা) বাকিটা আপনি শেষ করে দেন।।
২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চলতে হবে - - - - -
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
ল বলেছেন: বাকীটা আপনি লিখে ফেলুন।।।।।।
২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল ভাই, বিচিত্র কারণে আমি আপনাকে কতোটা পছন্দ করি তা বলার ভাষা ব্লগে নেই, আপনি আমাকে গুরু বলে সম্বোধন করে যেই সম্মান করেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, তবে কথা হচ্ছে এই আপনি কিন্ত আমার শিষ্য নন। আপনিও আমার গুরু, গুরুতে গুরুতে সখ্যতা। আর এই সম্মানটুকু আপনি ডিজার্ভ করেন। গল্পের বাকী অংশ আপনি লিখবেন, লিখা আপনি শুরু করেছেন শেষটাও আপনি করবেন। আর গল্পে অনেক কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব যেমন সম্ভব বাস্তবে। লেখকের লেখনির শক্তি পরিক্ষা বলে কথা - - - -
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
ল বলেছেন: গুরু, গুরুতে গুরুতে সখ্যত-- পুরাণ থেকে মহাকাব্য— কান পাতলেই শোনা যায় গুরু-শিষ্যের নানা আখ্যান। কোথাও গুরুর প্রতি শিষ্যের অখণ্ড আনুগত্য-আত্মসমর্পণ, গুরুবাক্য পালনে আপন জীবন বাজি রাখা। কোথাও শিষ্যকে গড়ে তুলতে গুরুর জীবনপণ সাধনা।
আপনি জীবনপথের প্রদর্শক হয়ে আমার মনে স্থায়ী রেখা অঙ্কিত করে দিয়েছেন -- ভালোবাসা রইলো
২২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে বললে, কম বলা হবে। অনেক ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১১
ল বলেছেন: এমন ভালোলাগায় শান্তি পেলাম প্রিয় ভ্রমন পিপাসু ভ্রাতা।।।।
ধন্যবাদ।।।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চুলা থেকে কি বার হয়? উত্তর: - আগুন, ধোঁয়া, কয়লা, ছাই।