নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,
পর্ব -০৯
সলিসিটরের ফোন ! আইনজীবীর ফোন পেলে প্রথমেই আমার চোখের সামনে তার কালো রঙ্গের পোশাকটি ভেসে ওঠে। কালো রং আমার কাছে কি তবে আতংক আর আশংকার বহিঃপ্রকাশ ঠিক জানিনা ! তবে আষাঢ়ে মেঘে যখন আকাশ জমকালো রং ধারণ করতো তখন অজানা ভয়ে আমার শরীরে যেভাবে শিরশিরে কাঁপুনি দিতো ঠিক তেমনি সলিসিটরদের কালো পোশাক দেখলে আজও অশীতিপর বৃদ্ধের মতো শরীর অবশ হয়ে যায়। আইনজীবীদের পোশাক কালো কেন সেই চিন্তা মাথায় অনেকদিন থেকে ঘুরপাক খাচ্ছিলো ! দেশে থাকতে উকিলদের পোশাক দেখলে যেভাবে ভয় পেতাম আজও তেমনি সলিসিটরদের পোশাকের প্রতি অজানা ভয় আর আতংক মনে সক্রিয় হয়ে আছে। যে জিনিসে যতটা আতংক না চাইলেও সেই জিনিস ততটাই বাস্তবিকভাবেই জীবনের জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়। এই জীবনে নিজের ও বাঁধনের জন্য কতবার যে সলিসিটর অফিসে দৌড়ঝাঁপ দিয়েছি তার হিসাব ভাগ্যবিধাতা ছাড়া কেউ জানেনা । আজ-ও ধীরে ধীরে সলিসিটর অফিসে গিয়ে হাজির হলাম। এই প্রথম আমাকে দেখে সলিসিটর কোমল গান্ধারের মতো হাসির সুর দিলেন। আমি তার সামনে বসার কিছুক্ষণ পরই আমার হাতে খয়েরী রঙের একটি এনভেলপ দিয়ে বললেন,
- গুড নিউজ !
-তোমার হিউম্যান রাইটসের অ্যাপ্লিকেশন সাকসেসফুল হয়েছে।
- এই নাও তোমার ইনডিফিনিট লিভ টু রিমেইন ইন দ্য ইউ কে'র এর কার্ড।
- বেস্ট অফ লাক ।
আমি খামটি হাতে নেওয়ার সাথে সাথেই খামের উপর চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়লো। একটি সুসংবাদ যে আত্মাকে কতটা প্রশান্তি দেয় স্বাদগ্রহণকারী ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না । ঠিক তেমনি দুঃসংবাদও ভুক্তভোগী ছাড়া কারো সাধ্য নেই বুঝার।
- কান্নার কিছু নেই। এবার দেশে গিয়ে বিয়ে করো।
সলিসিটরের রুমে বসে নিজের অবচেতন মনেই আমি বাচ্চা শিশুর মতো কাঁদলাম, সৃষ্টিকর্তা বুঝি আমাকে সুসময় দান করলেন। আমারও বুঝি সময় এলো সুখ-সম্ভোগের । মায়ের কথামতো আমিও তাহলে লাল পাসপোর্টের মালিক হয়ে গেছি।
একটু স্থিরতা আসার পর মন মোহনায় সুখের ধাক্কা খেলাম এই ভেবে....
- হায় ! "বিধির কত রহস্যময় বিধান"...
যে বাঁধন আমাকে এসে লিগ্যাল করার কথা আজ তাকে আমি দেশ থেকে নিয়ে এসে লিগ্যাল করবো এরচেয়ে ভাগ্য আর কি হতে পারে !
এটাই বুঝি ধৈর্যের অদ্ভুত মিষ্টি সুখ। জীবনের জটিল ধাঁধার সমাধান বুঝুন কোন মহা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হয় ! বাঁধনের মুখটা চোখর পাতায় ভেসে উঠলো আর এক স্বর্গীয় আনন্দ আর খুশিতে দু'গাল বেয়ে আনন্দের অশ্রুনালা বইতেই লাগলো।
হেঁটে হেঁটে বাসায় পৌঁছার পূর্বেই মনস্তাপ জুড়িয়ে দিতে দিতে ভাবলাম আর দেরী করা চলবে না !
একমুহূর্তে আমিই হলাম পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান পুরুষ যে কিনা মা,মাটি, মমতাময়ী স্ত্রী এই এয়ীকে জয়ী। একমাসের মধ্যেই টিকিট কেটে দেশের উদ্দেশ্য রওয়ানা হলাম। দেশে যাবার পথে সৌদি আরব গিয়ে উমরাহ করে আল্লাহর কাছে নতুন জীবনের জন্য দোয়া করলাম।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মা,বাবা, ভাই ও বাঁধন সহ অনেকই আমাকে রিসিভ করতে আসলেন। বাঁধনকে দেখে সত্যি বিমোহিত হলাম। তাকে দেখে মনেই হয়নি এই প্রথম দুজন একে অপরকে দেখছি ! মনে হলো কতদিনের চেনাজানা, আর কতটা আপন। তার নীলাভ দু'চোখ জুড়ে বিস্তৃত মাদকতা আর মুখের অবয়বে মিশে থাকা মোহনীয় সরলতায় মনে হলো সে যেন কোন এক মহামতি নীলাম্বরী বিশ্ব শান্তির মেঘদূত হয়ে পৃথিবীর বুকে এসেছে।
একযুগ পর দেশে পৌঁছে দেখলাম চেনা অনেক কিছুর কোন চিহ্ন নেই কিন্তু চিরচেনা আকাশ, কোমল বাতাস, বড্ড আপন 'মা' আর মাঠির নরম কোমল পরশ এগুলোর কোন পরিবর্তন নেই। এসব যেন আমাকে আপন করে নিজের কোলেই টানছে।
দেশে পৌঁছে সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিলো কিন্তু দুদিন পর-ই হঠাৎ করেই মহাবিপত্তি হয়ে গেলো ৷ বাবা আমার সাথে বাঁধনের বিয়েতে বেঁকে বসলেন।
বাবার কথা হলো,
- এই মেয়ে গত বারোটা বছরে কি দিলো ! না পেলে সংসারে স্বাদ না হলো লন্ডনের স্বাদ শুধু ঘোলাপানিতে সাঁতার ছাড়া কিছু নয়।
এ বিয়ে হবে না। তুই ভিন্ন চিন্তা কর।
বাবা ' এটা কেমন করে হয়?
মা বাবার মত মুখে কিছু না বললেও চোখে-মুখের ভাষাতে বাবার কথার প্রতিধ্বনি যেন স্পষ্ট হয়েছিল, কিন্তু 'সবার আগে সন্তান' জগতের তাবৎ মাতৃকুলের মধ্যে যে মিল আমার অবচেতন মনে গেঁথে আছে তার প্রমান পেলাম। মা' আমার মনের অবস্থা পরখ করতে পেরে আমাকে অভয় দিতে লাগলেন। মা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে চাপাস্বরে বাবার উদ্দেশ্যে বললেন,
-এটা কেমন করে হয়? এতদিন পরে ছেলেটা বাড়িতে এসেছে, কোথায় ওর মানসিক শান্তির কাজ করবে। তা না করে কড়া কড়া কথা বলা! আমার সরল সাদাসিধে ছেলেটার মন ভাঙ্গা আর দিন দুপুরে খুন করা সমান অপরাধ বলে রাখলাম।
-আমি লজ্জা শরম ছেড়ে বাবাকে বলতে লাগলামে
বাবা আমি বাঁধনকে সেই একযুগ থেকে স্ত্রী হিসাবেই জানি।
বাবা বেশ কর্কশ স্বরে বলতে লাগলেন,
- তুই আমাকে জন্ম দিয়েছিস, নাকি আমি তোকে জন্ম দিয়েছি? গত বারো বছরে পরিবারের জন্য কি করেছে ও? শুধু দুআনার প্রেম করা ছাড়া... অবশ্য খেলবে নাই বা কেন, তুমি যে মজনু হয়েছ।
এতক্ষণ বাবার কথা নিরবে হজম করলেও আর যেন মনোজগতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারলাম না। অবচেতন মনেই বলেই ফেললাম,
-বাবা! কি এসব বলছেন?
-হ্যাঁ ঠিকই বলছি।যদি সরকার থেকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা না পেতাম তাহলে না খেয়ে মরতাম।তুমি সন্তান হয়ে পিতা-মাতার চিন্তা না করলেও জন্মদাতা হিসেবে আমাদের তোমার কথা ভাবতে হয়। তোমার বিয়ের জন্য আমার কাছে ভালো একটা সম্বন্ধ আছে।
আমি বাবার কথা শুনে নিরবে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। উনি আবার বলতে লাগলেন।
-আমার বন্ধুর সুন্দরী মেয়েকে যদি বিয়ে করো তবে আমাদের সামাজিক বলয় বাড়বে।আর মেয়ের বাবা সিলেট শহরে তোমার নামে একটা দুতলা বাসা লিখে দেবে।
-বাবা! আমি আপনাকে আদর্শ করে বড় হয়েছি, সেই আপনি কিনা যৌতুকের প্রসঙ্গ....
-হ্যাঁ যা বলছি তোমার ভালোর জন্য বলছি। কাজেই আমার কথার উপর শতভাগ নির্ভর করতে পারো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১
ল বলেছেন: হুম ..........
সময় করে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
একরাশ শুভেচ্ছা রইলো।।।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বই আকারে বের হবে কবে??
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৮
ল বলেছেন: হা হা -
দেখা যাক কবে নাগাদ কি করা যায়।।
সময় করে পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: এখন খুব ব্যস্ততা পেজ ওপেন করে রেখেছি এসে পড়ব তারপর মন্তব্য করবো।
শুভসকাল
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯
ল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা।।।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১০
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে।বাঁধনের জন্য ভাবনা হচ্ছে .............
চমৎকার লেখনি ।
ধন্যবাদ
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯
ল বলেছেন: আবারও ফিরে আসায় একরাশ শুভেচ্ছা।।।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চলুক
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০
ল বলেছেন: ধইণ্যবাদ দেশি ভায়া
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখা বেশ ভালো এগুচ্ছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১
ল বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।।।।
ভালো থাকুন প্রিয় রাজীব ভাই।।।
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: হায় হায় আমি কি কোন পর্ব মিস করে গেলাম।
আগের পর্ব পড়ে দেখতে হবে! একযুগ কিভাবে কেটে গেল?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৮
ল বলেছেন: আপনার আগমনে কৃতজ্ঞতা।।।।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
ভালো লেগেছে। অবশেষে বাঁধনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে।দেশে ফিরে প্রাথমিক অবস্থায় বাবার অসম্মতি ভবিষ্যতে প্রোগ্রামটা সমস্যা হবে না বলে মনে হলো যেহেতু মেরা পাশে মা হ্যায়। তবে যে কথা না বললেই নয়,
এই পোস্টে আপনার যত্নশীলতার অভাব পেলাম। গোটা পোস্টটা আপনি আবার পড়বেন।
ইনবক্সে আসছি।
শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০১
ল বলেছেন: আহ!
দাদা আমার,
আপনার দিকনির্দেশনা সম্বলিত মন্তব্য সবসময় একটা এক্সট্রা পাওয়া।।
নিজেকে বড্ড সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে আপনারা মতো একজন আন্তরিক ব্লগার ও শিক্ষক পাশে আছেন ব'লে।।।
হাজারো ধন্যবাদ।।।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ! সলিসিটরের সামনে যেন আমিই বসে ছিলাম!!! হুম অনুভব গুলো আসলেই অনির্বচনীয়!
সূখের সাথে সাথে ক্লাইমেক্সের মেঘে ভার আকাশ . . ..
ঝড় না বৃষ্টি রইলাম অপেক্ষায়
++++
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৩
ল বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় কবি।।।
আপনার মন্তব্য সবসময় আলাদা ক্লাইমেক্সের জন্ম দেয়।।।
সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।।।
ভালো থাকুন।।
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এমজেডএফ বলেছেন: যথাসময়ে স্থান-কাল-পাত্রের পরিবর্তনে গল্প নতুন গতি পেয়েছে। সবকিছু মিলে এই পর্বও সুন্দর হয়েছে। আশা করি আগামী পর্বগুলো আরো সুন্দর হবে।
এই গল্পের উল্লেখযোগ্য ঘটনা দুটি। যার মধ্যে প্রথমটির উপস্থাপনা খুবই ভালো হয়েছে। বিশেষ করে নায়কের আবেগ-প্রতিক্রিয়ার বর্ণনা ও সলিসিটরের সাথে সংলাপগুলো ঘটনাকে অনেক জীবন্ত করে তুলেছে। ২য় ঘটনার স্থান-কাল-পাত্র এক যুগ পরের বাংলাদেশ, নায়কের পরিবার এবং বাঁধন। এখানে পুরানো কাহিনীর শেষ ও নতুন কাহিনীর শুরুর ইঙ্গিত গল্পের আকর্ষণকে বাড়িয়ে তুলেছে।
তবে এই দুই ঘটনার মাঝখানে আরো একটি ঘটনা দিতে পারতেন। সেটি হচ্ছে নায়কের ইংল্যান্ডে স্থায়ী আবাসের অনুমতি পাওযার খবর জেনে বানেছা বিবির প্রতিক্রিয়া! সাধারণত বাস্তবক্ষেত্রে এখানে ভালোবাসার পরিবর্তে স্বার্থ, সন্দেহ ও বিশ্বাসভঙ্গের ব্যাপারগুলো চিন্তায় চলে আসে এবং এক জটিল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়!
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো। সেইসাথে একদিকে পিতা-মাতার সিদ্ধান্ত অন্যদিকে হবু শ্বাশুরী ও প্রতীক্ষারত বাঁধন - এই দুই টানাপোড়নে দৃঢ় চরিত্র ও নীতিবান নায়কের পরবর্তী অধ্যায়ের অপেক্ষায় রইলাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৫
ল বলেছেন: ভাষাহীন, স্তব্ধ।।।।
এতে সুন্দর বিশ্লেষণ করতে যেকোনো আনকোরা লেখকের অভিজ্ঞতার ঝুলি বাড়তেই থাকবে।
এতে সুন্দর বিশ্লেষণের কোন ধন্যবাদ হয় না শুধু সেলুন।।।
আশাকরি আগামী পর্বে এই মন্তব্যের শিক্ষা প্রয়োগ করতে পারবো।
এক সাগর ভালোবাসা রইলো।।
ভালো থাকুন।। সাথে থাকুন।।।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯
আরোগ্য বলেছেন: টানাপোড়েনের মাঝে আটকে রইলাম। দেখা যাক কি হয়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৬
ল বলেছেন: ছোট ভাইয়ের ছোট মন্তব্য অনেক প্রেরণার।।
ভালোবাসা নিরন্তর।।।
ধন্যবাদ
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিব ভাই,
কয়েকটা জায়গায় একটু অসামঞ্জস্য লাগলো।
বাবার কথা হল,
-এই মেয়ে গত বারোটা বছরে কি দিলো?
-না পেল সংসারের স্বাদ না হলে লন্ডনের স্বাদ। শুধু ঘোলা পানিতে সাঁতার ছাড়া কিছু নয়। ( এই সংলাপটি কার?)
বাবা এটা কেমন করে হয়? বুঝতে পারছি না বক্তার কথা কিনা। এক্ষেত্রে শুরুতে
-বাবা এটা কেমন কথা হয়? বলাটা কাম্য ছিল। আর তবেই আগের দুটি সংলাপ বাবারকে নির্দেশ করবে। বক্তা একসঙ্গে অনেকগুলি কথা বলতেই পারে। কিন্তু মাঝে কোনো গ্যাপ রাখা যাবে না।
"মায়ের সুর প্রথমে বাবার সুরের সাথে মিল বুঝতে পারলাম।"
বাক্যটি সাবলীল লাগলো না। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ,
মা বাবার মত মুখে কিছু না বললেও চোখে-মুখের ভাষাতে বাবার কথার প্রতিধ্বনি যেন স্পষ্ট হয়েছিল।
অন্য একটি স্থানে,
মা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে/থাকিয়ে চাপাস্বরে বাবার উদ্দেশ্যে বললেন,
-এটা কেমন করে হয়? এতদিন পরে ছেলেটা বাড়িতে এসেছে, কোথায় ওর মানসিক শান্তির কাজ করবে। তা না করে কড়া কড়া কথা বলা! আমার সরল সাদাসিধে ছেলেটার মন ভাঙ্গা আর দিন দুপুরে খুন করা সমান অপরাধ বলে রাখলাম।
বাবা বললেন,
-তুই আমাকে জন্ম দিয়েছিস, নাকি আমি তোকে জন্ম দিয়েছি? গত বারো বছরে পরিবারের জন্য কি করেছে ও? শুধু দুআনার প্রেম করা ছাড়া... অবশ্য খেলবে নাই বা কেন, তুমি যে মজনু হয়েছ।
এতক্ষণ বাবার কথা নিরবে হজম করলেও আর যেন মনোজগতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারলাম না। অবচেতন মনেই বলেই ফেললাম,
-বাবা! কি সব বলছেন?
-হ্যাঁ ঠিকই বলছি।যদি সরকার থেকে আমরা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা না পেতাম তাহলে না খেয়ে মরতাম।তুমি সন্তান হয়ে পিতা-মাতার চিন্তা না করলেও জন্মদাতা হিসেবে আমাদের তোমার কথা ভাবতে হয়। তোমার বিয়ের জন্য আমার কাছে ভালো একটা সম্বন্ধ আছে।
আমি বাবার কথা শুনে নিরবে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। উনি আবার বলতে লাগলেন।
-আমার বন্ধুর সুন্দরী মেয়েকে যদি বিয়ে করো তবে আমাদের সামাজিক বলয় বাড়বে।আর মেয়ের বাবা সিলেট শহরে তোমার নামে একটা দুতলা বাসা লিখে দেবে।
-বাবা! আমি আপনাকে আদর্শ করে বড় হয়েছি, সেই আপনি কিনা যৌতুকের প্রসঙ্গ....
-হ্যাঁ যা বলছি তোমার ভালোর জন্য বলছি। কাজেই আমার কথায় নির্ভর করতে পারো।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৯
ল বলেছেন: প্রিয় শিক্ষক,
আপনাকে জানাই শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।।।
আপনি এতে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরেছেন,তাতে মনে হলো "অন্ধের চোখে যেন আলোর তির্যক রশ্মি এসে পড়েলো "
ভালোবাসা রইলো।।। আসসালামু আলাইকুম।।
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ল'ভাই ,
গল্পের কাহিনী নতুন মোড় নিলো কিন্তু এখানে এসেও সেই
সংগ্রাম । সুখ দুঃখ পালাক্রমে আসে জীবনে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি আসে ? পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
ল বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।।।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পড়েছি।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
ল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।
আশাকরি ভালো আছেন।।।
১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাই। আপনি?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
ল বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান।।।। আল্লাহ সুস্থ রাখছেন।
আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুন।।। আমিন।
১৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮
মাহের ইসলাম বলেছেন: এই পর্বের টুইস্ট চমৎকার লাগলো।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০০
ল বলেছেন: একরাশ শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬
আনমোনা বলেছেন: দেখা যাক কি হয়। ভিন্ন রকম দোলাচল।