নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধারা

২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩


গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে একটি প্রত্রিকায় ইউরোপ পাড়ি দিতে যাওয়া সাতাশ জন বাংলাদেশীদের মৃত্যুর খবর পড়ছিলাম। এমন সময় এক বন্ধুর দেখা সে তার নতুন গাড়িটি দেখার জন্য অনুরোধ করলো। অনেক মিনতি করার পর তার একলক্ষ বিশ হাজার পাউন্ডের TESLA গাড়ির বিলাসিতা আর সাথের খবরের কাগজের রিপোর্টে খেয়ে বাঁচার জন্য কিছু মানুষের সলিল সমাধি মনটাকে নাড়া দিলো । সম্পদের এই অসম প্রতিযোগিতা ও ভোগ-বন্টনের বৈষম্য থেকে এ লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস।

ভূমিকা -
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে চিত্র অনুযায়ী কৃষিজ পণ্য কিংবা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্য নকশিকাঁথার বা শীতলপাটি, এগুলো হয়তো আমদানি ও রফতানিতে ভুমিকা রাখার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে তার বিপরীতমুখী অবস্থা লক্ষনীয়। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক বৈরিতা দূরীকরণে গার্মেন্টস ও জনশক্তি রপ্তানি এই দুই সেক্টর মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে।

জনশক্তি রফতানি খাত-

জনশক্তি সংশ্লিষ্ট বাজার অনুযায়ী বর্তমানে জনশক্তি রফতানি খাতকে দেশের ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা নিরসনের নিউক্লিয়াস বলা হয়। কথায় বলে বিশ্বর এমন কোন দেশ নেই যেখানে বাঙালী নেই। সরকারী তথ্য অনুসারে পৃথিবীর ১৬২ দেশে আামদের প্রবাসী বাংলাদেশীরা কর্মরত রয়েছে। সরকারি হিসাবে যার সংখ্যা ৮৯ লাখেরও কিছু বেশি। তবে চিত্রটা বেসরকারী হিসাবে ভিন্ন। বেসরকারি মতে এই সংখ্যা এক কোটি বিশ লাখের কিছু বেশি। এরা যদি বিদেশে কর্মসংস্থান না করে দেশে অবস্থান করতো তাহলে দেশের বেকার সমস্যা, সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতো তা সহজেই অনুমান করা যায়। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৈদেশিক রেমিট্যান্স ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে।

রেমিটেন্স কি -
নিজেদের সার্বিক ভাগ্যোন্নয়নের প্রতি বছর হাজারো তরুণ পরিবার-পরিজন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। বিদেশের শত প্রতিকূলতা ও বৈরী পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে। এই শ্রমিকদের বেশিরভাগই অদক্ষ যারা নির্মাণ শিল্প থেকে শুরু“করে কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থানে দিন-রাত পরিশ্রম করে। তাদের এ অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অর্জিত আয় নিজেদের পরিবারের থেকে শুরু করে মূলত প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষভাবে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে সাহায্য করছে। প্রবাসে কর্মরত এসব শ্রমজীবী মানুষের ঘামের ফলে পাওয়া প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স বলে।

শুরুর ইতিহাস -

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ থেকে ভাউচারের মাধ্যমে অনেকেই যুক্ত রাজ্যে এসে স্হায়ী বসত গড়ে। তবে মূলত ১৯৭০'র দশক থেকেই বাংলাদেশ জনশক্তি রফতানি চালু করে। প্রথমদিক থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো মূলত বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির প্রধান ও অন্যতম বৃহ বাজার। আর ক্রমে সে বাজার বেড়ে ১৯৮০'র দশক থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, লিবিয়া, সুদানসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে জনশক্তি রফতানি শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০'র দশক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, মিসর, মারিসা'সসহ কয়েকটি নতুন বাজার সৃষ্টি হয়। নতুন সহস্রাব্দে ব্রিটেন, ইটালী, জাপান,কানাডাসহ ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে জনশক্তির চাহিদা সৃষ্টি হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ আমেরিকা,আফ্রিকা, ইরাক, ইরান আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড,তিউনেসিয়াসহ শতাধিক দেশে বর্তমানে জনশক্তি রফতানি চলছে । এর মধ্যে ২০-২২টিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনশক্তি যাচ্ছে। তবে অধিকাংশ দেশেই রফতানির ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি কিংবা বন্ধ হয়ে গেছে।

অর্থনীতিতে অবদান -
প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বাংলাদেশে অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের জিডিপিতে (Gross Domestic Product) বিগত চার বছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রায় তিন দশক ধরেই জনশক্তি রফতানি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে।

প্রবৃদ্ধির হার -
আশির দশকে ৫০ থেকে ৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসতো। নব্বইয়ের দশকে তা প্রায় ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ২০০৬ সালে এ আয় ছিল ৫৪৮ কোটি ডলার। তারপর থেকে রেমিটেন্স আসা দ্রুত বাড়তে থাকে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও আরব বিশ্বের নবজাগরণের কারণে দেশগুলোতে অশান্ত পরিস্থিতি চার বছর ধরেই চলছে। বিশ্বমন্দার কারণে ভোক্তাচাহিদা কমে গেছে। শিল্প উত্পাদন হরাস পেয়েছে। সেবাখাত তার ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে। পূর্বের কিছু অনিয়মের কারণে জনশক্তি আমদানিকারক কয়েকটি দেশের সাথে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব বাধা উপেক্ষা করে জনশক্তি রফতানি খাত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
নিচের সারণীতে তা-ই স্পষ্ট হয়েছে।
১৯৮০ সালে ৩০.৫০ কোটি ডলার
১৯৯০ সালে ৭৮.১৫ কোটি ডলার
২০০০ সালে ১৯৫.৫০ কোটি ডলার
২০০৬ সালে ৫৪৮.৪০কোটি ডলার
২০০৯ সালে ১,০৭১.৭৭ কোটি ডলার
২০১০ সালে ১,১০০.৪৭ কোটি ডলার
২০১১ সালে ১,২১৬.৮১ কোটি ডলার  
২০১২ সালে ১,৪১৬.৪০ কোটি ডলার
২০১৪-১৫ সালে ১,৫০০.৩১ কোটি ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১,২০০.৭৭ কোটি ডলার।
২০১৭-১৮ সালে ১,৪০০.৯৮ কোটি ডলার।

দেশ ভিত্তিক শ্রমিক সংখ্যা -

বাংলাদেশ থেকে অনেক নবীন ও অধুনা স্বাধীনতা লাভকারী দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে। এদের অনেকে আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নেয় যার উদাহরণ হলো, ২০০৭ সালে ২ লাখ ৭৩ হাজার জনশক্তি মালয়েশিয়ায় রফতানি হয়। পরের বছর আরো ১ লাখ ৩২ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যায়। অপরদিকে সিঙ্গাপুরে ৪৫-৫০ হাজার জনশক্তি রফতানি হচ্ছে। ওমানে বিগত ৫ বছর ধরেই দেশটিতে ৪৫-৫০ হাজার জনশক্তি রফতানি হলেও ২০১১ ও ২০১২ সালে মোট ৩ লাখের বেশি জনশক্তি রফতানি হয়েছে।ইটালীতে ৭-৮ হাজার, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২ হাজার জনশক্তি রফতানি হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ রফতানিকৃত জনসংখ্যার মোট আশি ভাগ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সীমাবদ্ধ আছে।

আন-ডকুমেন্টেড শ্রমিক সংখ্যা -

বিশ্বের প্রায় সবদেশে আন ডকুমেন্টেড বা অবৈধ বাংলাদেশী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে এ সংখ্যা কত তার সঠিক কোন হিসাব নেই। ধারণা করা হয় এ সংখা দশ লাখের চেয়েও বেশি। শ্রম ঘন দেশ থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন কারণে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷ হিসাব মতে স্পেন - দশ হাজার অবৈধ বাংলাদেশী, মালয়েশিয়ায় - তিন লাখ, আরব আমিরাতে - পাঁচ লাখ, কাতারে - প্রায় তিন লাখ ভিসার চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। এ বছর সমস্ত ইউরোপ থেকে ৯৩ হাজার অবৈধ বাংলাদেশীদের ফিরত নিতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

শ্রমিক ও আয়ের অনুপাত -

আমাদের দেশ থেকে মূলত পুরুষ শ্রমিক বিদেশে রফতানি করা হতো কিন্তু সে চিত্র সহসাই বদলাতে লাগলো। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় পঞ্চাশ হাজার নারী শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু দূর্ভাগ্য হলে সত্য আমাদের জনবলের বেশিরভাগই অদক্ষ ও অশিক্ষিত ফলে তুলনামূলক ভালো কাজ পায় না। এক্ষেত্রে ভারত, ও শ্রীলংকা ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশ আমাদের চেয়ে কম জনবল পাঠিয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছে। একটা জরিপে দেখা গেছে, ফিলিপাইন আমাদের তুলনায় অর্ধেক জনবল বিদেশ পাঠিয়ে আয় করছে দুইগুনের রেমিট্যান্স।

প্রতিকূলতা -

আমাদের শ্রমিকদের প্রায়ই নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বলা যায় ঘর থেকে পা বাড়ানো থেকে কাজের জায়গা সব জায়গাতেই সমস্যায় পড়ে শ্রমিকশ্রেণী। অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিতে অনেকেই সলিল সমাধি হয়ে হাঙরের খাবার বা আমাজন জঙ্গলে বন্য প্রাণীর শিকার হচ্ছেন। এসবের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কিছু উল্লেখ করছি।
এক, দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির অসহনীয় দৌরাত্ম। দেখা যায় কোন না কোনভাবে দালাল শ্রেনী তাদের মুনাফা আদায় করে নিচ্ছে। একটা ভিসার সরকারি দাম দুই লক্ষ হলে তা শেষ পযর্ন্ত সাত থেকে আট লাখ টাকায় গিয়ে পৌঁছে এই দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির কৃত্বিতের ফলে।

দুই, সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ ও সমন্বয়হীনতার অভাব দেখা যায় নিয়োগ ও ভিসার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেএে।
তিন, যথাযথ তথ্য উপাত্তের অভাবে অনেক দক্ষ শ্রমিক ভিসার আবেদন করতে পারে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া বরং সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
চার, ফ্রিস, পাসপোর্ট নবায়নে জটিলতা দেখা যায় প্রবাসের বিভিন্ন দূতাবাসে এবং দেশের ভেতর।
পাঁচ, দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অভিবাসীদের বিভিন্ন অভিযোগ দেখার ও ব্যবস্হা নেওয়ার কোন সুষ্ঠু উপায় নেই।
ছয়, নানাবিধ কারণে কোন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু ও বিভিন্ন দৃূরারোগ্য ব্যাধি হলে দেখা ভাল করার কেউ নেই।
সাত, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) আজ থেকে পয়ত্রিশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও তাদের সহযোগিতা এবং কল্যাণে কার্যক্ষম যৎসামান্য বলা যায়।
আট, প্রবাসীদের জন্য কোন বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নেই। প্রায়ই দেখা যায় প্রবাসীরা বিভিন্ন হয়রানি, আত্মসাৎ ও মানহানিতে ভুগছেন।
নয়, দেশের সমসাময়িক বিষয়ে প্রবাসীদের মতামত প্রয়োগের কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
দশ, বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসের কর্মচারী ও কর্মকতারা সাহায্য না করে উল্টো আতংকের কারণ হয়ে দাড়ান।

দায়টা কার-

শত প্রতিকূলতায় জর্জরিত শ্রমিক রফতানি সেক্টরের এসব ঝুঁকি ও সমস্যার জন্য দায়ী কি সরকারের একার নাকি সংশ্লিষ্ট জনবলেরও কিছুটা দায় আছে। বলা যায় উভয়ের সমান সমান দায় আছে।
রাষ্ট্রকে যেমন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে তেমনি রাষ্ট্রের জনগণকে সচেতন হতে হবে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য নিম্নোক্ত সুপারিশ করা যায়।

সুপারিশ -
১) বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অধিকার নিশ্চিত করা -
জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ নেয়া জরুরি। এর ফলে প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে আয় বৃদ্ধিতে
সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে।
২)ওয়ান স্টপ সলিউশন সার্ভিস চালু করা-
প্রায়ই শুনা যায় প্রবাসে কারো মৃত্যু হলে লাশটি দেশে ফেরত পাঠাতে অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়, যেহেতু লাশ ফিরে নিয়ে আসা ব্যায়বহুল ফলে চাঁদা তুলে ও অনেক ঝক্কি ঝামেলায় পোহাতে হয়। তাই সমস্যা ও প্রতারণার শিকার প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত একটি ওয়ান স্টপ সলিউশন সার্ভিস খোলা জরুরি যাতে এইসব রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কিছুটা হলে সেবা পেতে পারেন।

৩)কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি -
আমাদের অনেক কুটনৈতিক সভা, সেমিনার, ফিতাকাটায় নিজেদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ মনে করেন যদি রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং দেশের সকল অঞ্চল হতে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সকল অভিবাসী কর্মীর কল্যাণ নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট কুটনৈতিকদের দায়িত্ব। কূটনীতিকরা তৎপর হলে জনসংখ্যা রফতানির সুফল ও রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

৪) বিকল্প জনশক্তির চাহিদা মেটাতে মনযোগী হওয়া -
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে । বৃটেনে স্বাস্থ্য খাতে ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের চাহিদা ব্যাপক।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশ যেমন শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ২৬ মিলিয়ন দক্ষ শ্রমশক্তির প্রয়োজন হবে। পশ্চিম ইউরোপে ৪৬ মিলিয়ন দক্ষ জনশক্তির আবশ্যকতা দেখা দেবে। বর্তমান বিশ্বে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ গ্রাজুয়েট আন্তর্জাতিকমানের চাকরি করার যোগ্যতা রাখে। ফলে আগামীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষিত জনশক্তির প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে আমাদের দূরদর্শিতা দেখাতে হবে।

৫) হুন্ডি প্রতিরোধ - ব্যাংকি চ্যানেলে টাকা না আসলে সরকার রেমিট্যান্স সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। এখনো প্রায় ২৩. ৩০ শতাংশ এখনো আসে হুন্ডির মাধ্যমে তাই করার উদ্যোগ জোরদার করতে হবে। 

৬) ভকেশনাল ট্রেনিং- বৃটেনে ও কানাডায় হাইটেক ভিসা ও কন্সট্রাকশন ভিসায় ভারতীয় ও চীনাদের আধিপত্য লক্ষনীয়। আমাদের তরুন প্রজন্মকে যথাযথ ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে তারা সহজেই এই সুযোগ নিতে পারবে।

৭) নারী শ্রমিকদের মূল্যায়ন - আমাদের দেশের নারীরা পিছিয়ে নেই । এখন বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তবে তাদেরকে অনেক জটিল পরিস্থিতিত স্বীকার হতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।

৮) বিদেশে কর্মরত জনশক্তির নায্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা -
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জনসংখ্যা রফতানির যেমন প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি বিদেশে কর্মরত জনশক্তির পারিশ্রমিক যাতে কাজ ও দক্ষতা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, সেজন্যেও সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে।

৯) যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, মেকানিক,ও কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনশক্তিকে তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশি হারে রফতানি করা যায়, সেভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১০) নতুন শ্রম বাজার তৈরি করতে হবে-
অনেক যুগ থেজে আমাদের দেশের জনশক্তি রফতানি সামান্য কয়েকটি দেশকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে বেশি সংখ্যক জনশক্তি রফতানি করা হয়। ইউরোপ-আমেরিকা,কানাডা,দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ উন্নত দেশগুলোতে জনশক্তি রফতানি বাড়ানো গেলে এ খাতের আয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়, শুধু বিদেশে জনসংখ্যা রফতানি বৃদ্ধি করলে হবে না। তাদেরকে দক্ষ ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে, আর শ্রমিকদের যথাযথ ট্রেনিং দিয়ে বিদেশ প্রেরণ করলে জনসংখ্যা সমস্যার বিরূপ প্রভাব নয় বরং কল্যানমুখী ও ইতিবাচক প্রভাব আসবে গ্রামীন অর্থনীতিসহ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

(লেখাটি সুলেখক ও প্রাবন্ধিক কাওসার চৌধুরীকে উৎসর্গ করছি,যিনি একসময় রেমিটেন্স যোদ্ধা ছিলেন এখন কর্মক্ষেএ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে চলছেন)

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তথ্য, উপাত্তে ভাবনায় এবং সমাধানে দারুন গোছানো লেখা!

সম্পদের এই অসম বন্টন আর তীব্র প্রতিযোগীতাইতো পৃথিবীর বহু সমস্যার মূলে!
কোরআনেও আল্লাহ বারবার সতর্ক করেছেন এই্ আসক্তি থেকে দূরে থাকতে! -
"সম্পদের আসক্তি তোমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে
যতক্ষনা তোমরা কবরে উপস্থিত হচ্ছো!
আমি বলছি এ ঠিক নয়
আবারো বলছি এ ঠিক নয়,
নিশ্চয়ই তোমাদের জবাবদিহী করতে হবে" ---
সূরা তাকাসুর!

কিন্তু বিশ্বাসের শুন্যতায় আমরা সত্যকেই হলে করছি।
নিজেও বিপন্ন হচ্ছি, দেশকে বিম্বকেও বিপন্ন করছি।

২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

বলেছেন: সুপ্রিয় কবি,
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ভালো কথা কিন্তু কতটুকু এগিয়ে যাচ্ছে তা কে জানে।
বৃটিশ সরজার তাদের ভিসা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ভাগ করে যেমন

রিক্স মুক্ত দেশ -- কানাডা, আমেরিকা, নিউজিল্যান্ডে, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি।
কম রিক্স দেশ - জাপান, মালেশি, সিঙ্গাপুর, আরব ইত্যাদি।
হাই রিক্স -- বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ইত্যাদি,


তাহলে বুঝতে পারছেন আমরা কতটা সুইজারল্যান্ড হয়ে আছি বহিঃ বিশ্বে।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।।। ভালো থাকুন

২| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "একটু টাইপো ছিলো,,,,"

-মোটেও টাইপো না, আপনি অংক জানেন না; গরূর রচনা লেখাতে পারদর্শী মাত্র।

২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

বলেছেন: এটা ঠিক অংকে বরাবরই কাঁচা আর গরু রচনায় লুজ পেপার ব্যবহার করি।।

কার্ল মার্ক্স, এডাম স্মিথ, এল রবিনসন, স্যামুয়েলসন, অমত্য সেন এদেন অর্থনৈতিক মডেল বাদ দিয়ে
দেশের পাঠ্যপুস্তককে চাঁদগাজীর অথর্ব অর্থনীতিহীনতা চালু করার জোর দাবি রাখছি।।।



ধন্যবাদ নিবেন খুব করে।।।

৩| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো তথ্যমূলক পোষ্ট । বিস্তারিতভাবে জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

শুভকামনা

২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি,,,

ভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি।।।

শুভ কামনা নিরন্তর।।

৪| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,

ঠিক কোথা থেকে শুরু করব সেটি বুঝতে পারছি না। ভীষণ সুন্দর এবং সাজানো লেখা।রেমিটেন্স নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এরকম কিছু লেখালেখি পড়েছিলাম। কিন্তু এই লেখাটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ লাগলো। কাজেই আপনার সঙ্গে সহমত রেখেই বলি বর্ধিত জনসংখ্যা শুধু রপ্তানি করলেই হবে না।তাদেরকে দক্ষ ও যথাযথ ট্রেনিং দিয়ে সময়োপযোগী করে তবেই বিদেশে পাঠালে উপযোগী দেশ ও জাতির পক্ষে তার সাফল্য মিলতে বাধ্য। আর এর ফলেই দেশের চিরাচরিত গ্রামীণ অর্থনীতি পেতে পারে সাফল্যের নয়া দিশা।

উৎসর্গের শ্রদ্ধা। সুযোগ্য ব্যক্তিকে যথাযোগ্য সম্মান। অভিনন্দন জানাই কাওসারভাইকে।

শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা দু'জনকেই।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:০৬

বলেছেন: দাদা,

আপনার কাছ থেকে এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়ে ভালো লাগলো।
তথ্য উপাত্তের অপ্রতুলতা হেতু চেষ্টা করলাম লেখাটা গুরু কাওসার চৌধুরীকে ফলো করে লেখার৷
লেখাটি সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।।।
আপনার লাইনগুলো খুব সুন্দর -- এমনভাবে কয়জন পারে গুছিয়ে লেখতে!!

উৎসর্গের শ্রদ্ধায় হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।।

ভালোবাসা রইলো।।

৫| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"রেমিট্যান্স যোদ্ধা"-দের নিয়ে চমৎকার তথ্যবহুল একটি পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি। সরকার যদিও প্রবাসীদের 'যোদ্ধা' হিসাবে আখ্যায়িত করেছে তথাপি এই রেমিট্যান্স এসব যোদ্ধাদের কতটুকু উপকৃত করছে কিংবা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে তা স্পষ্ট নয়। প্রতিবছর বিদেশে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই কিন্তু এই রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টেও এই টাকা নিরাপদ নয়; ব্যাংকের ভেতরেই রেমিট্যান্স চোরেরা সুযোগ খোঁজে প্রতিনিয়ত।

আমি এক সময় প্রবাসী ছিলাম। তবে খুব ভাল রেমিট্যান্স যোদ্ধা ছিলাম না। আমার আয়-ব্যয়ের মধ্যে ফারাক খুব কম ছিল বলে দেশে রেমিট্যান্স আশানুরূপ পাঠাতে পারিনি। তবুও এই সামান্য একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে গুরুত্বপূর্ণ এ লেখাটি উৎসর্গ করায় খুব সম্মানিত অনুভব করছি। কৃতজ্ঞতা রইলো হে কবি।

আমার পরে লন্ডনে গিয়েও অনেককে আঙুল ফোলে কলাগাছ হতে দেখেছি। দামী গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছে চোখের পলকে। এদের একটা অংশ মানব পাচারে জড়িত। তবে, নৌকায় ইতালি পারাপার নয়; বড় বড় লরিতে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইংল্যান্ড থেকে ইউরোপের অনেক দেশে। এই ব্যবসায় অনেক পুচকি দালাল (বয়স ২৫ হয়নি) কোটি কোটি টাকা কামাইছে। আরেকটা অংশ কলেজ ব্যবসা, হোম অফিসে ভিসার আবেদন, ভিসা রিনিউ আর টয়েক ব্যবসায় টাকার পাহাড় গড়েছে। আরেকটা অংশ ক্রেডিটকার্ড জালিয়াতি, ব্যাংক জালিয়াতি আর ভূয়া এক্সিডেন্ট ক্লেইম করে। এই যোদ্ধাদের রেমিট্যান্সও এদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত আছে।

স্বাধীনতার পরপরই বিদেশে কর্মী যাওয়ার প্রথা শুরু হলেও পাকিস্তান আমলেও অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা ছিলেন, তবে সংখ্যায় তা অল্প ছিল। মূলত আশি আর নব্বই দশকে মধ্য প্রাচ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাড়তে থাকে। মূলত পারিবারিক একটু সচচলতার জন্যই তাদের বেশিরভাগেরই বিদেশ যাত্রা। এই বিদেশ যাওয়ায় দেশে রেমিট্যান্স আসলেও এসব মানুষ মাতৃভূমি আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জীবনকে নিঃশেষ করেছে ধীরে ধীরে।

রেমিট্যান্স নিশ্চিত করতে আপনার সুপারিশগুলো ভালো লেগেছে। তবে আমার মনে হয় এখন সরকার বিদেশে শ্রমিক রপ্তানী বন্ধ করে এসব অদক্ষ/দক্ষ মানুষদের দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। রপ্তানীমুখী শিল্প স্থাপন করলে এসব মানুষ দেশে কাজ করে বিদেশি মুদ্রা উপার্জন করতে পারবেন। নিজের বউ বাচ্চা, পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। এতে পারিবারিক সম্পর্ক দৃঢ় হবে। মানুষজন সম্মানের সাথে দেশে থাকতে পারবে। কেউ তাদেরকে কামলা কিংবা মিসকিন ডাকতে পারবে না।

পরিশেষে, অশেষ কৃতজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ এই ফিচারটি আমাকে উৎসর্গ করার জন্য।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:১৫

বলেছেন: এত নাতিদীর্ঘ আলোচনায় কি উত্তর দিবো বুঝতে পারছি না।
আপনার লেখাটা তো একটি সমৃদ্ধ পোস্ট হয়প গেলো।
রেমিট্যান্সের মায়ায় অনেক পররবার নিঃস হচ্ছে কাল খবরে দেখলাম দালালদের খপ্পরে পরে একটি পরিবার তাদের শেষ সম্বল বাড়ির ভিটে হারা হয়ে গেছে।
যেখানে একটা বালিশর মূল্য মানুষের জীবনের চেয়ে বেশি সেখানে শিল্প কারখানা স্হাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি অলিক কল্পনা ছাড়া কিছু নয়৷ আমাদের অদূরদর্শিতা আর নিজে বাঁচার এই হীন প্রতিযোগিতা দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে।
আরেকটা কথা হলো, বিশেষ করে আমাদের সিলেট অঞ্চলের তরুনরা ক্রমশঃ বিদেশমুখী হয়ে যাওয়াতে নিজেদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত না হয়ে বিদেশি বাবু সেজে যাওয়ায় হয়তো ইচ্ছাকৃত বেকারত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে ও সার্বিক অসুবিধা তৈরি হচ্ছে। আমার একটি অনগ্রসর জাতি হিসাবেই থেকে যাবো।।

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।। ভালো থাকুন।।।

৬| ২০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




বিষয়বস্তুর সামগ্রিকতায় অনবদ্য একটি পোস্ট।

যেগুলো আমাদের রপ্তানী তালিকার শীর্ষে থাকা উচিৎ ছিলো তা এখন নিম্নসারিতে কিম্বা আদৌ কোনও সারিতেই নেই। তেমনি জনশক্তি রপ্তানীতে যেখানে স্কীলড শ্রমিক পাঠানো উচিৎ সেখানে একেবারেই কাঁচা-অদক্ষ এবং কাজের অভিজ্ঞতাশূন্য শ্রমিকদের পাঠানো হচ্ছে সোজা-বাঁকা-ত্যাড়া পথে। বিপুল জনসংখ্যা এবং কাজের সংস্থান না থাকার কারনে অসাধু আদম ব্যাপারীরা আমাদের সহজ-সরল-অজ্ঞ মানুষগুলির গলায় ফাঁসির রশি লাগিয়ে সুযোগটা নিচ্ছে পুরোপুরি। সরকারও উদাসীন। তাদের রেমিটেন্স পেলেই হলো। যারা এই বিপুল রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তারা হাঙর-কুমিরের পেটে গেলে যাক, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই খুব একটা।
আপনি যে সব প্রতিকূলতার কথা বলেছেন তা যথার্থ এবং সেখানেই যতো ফাঁক-ফোকড়। এই প্রতিকূলতা থাকলেই বরং সকল ধান্দাবাজদের পকেট ভারী হয়।

বিদেশের মাটিতে আমাদের এই লাখো লাখো সহজ-সরল- অসহায় মানুষগুলির তথাকথিত "জনশক্তি রপ্তানী" নামের নরকটি থেকে উদ্ধারের দায়টি কার ??????????????????????????????????????????????

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২৮

বলেছেন: জনশক্তি রপ্তানী" নামের নরকটি থেকে উদ্ধারের দায়টি কার ???????????????????????????????????????


সুপ্রিয় ব্লগার,

আপনি একজন বিদগ্ধ পন্ডিত মানুষ। জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ একই ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সরকারের হিমশিম খেতে হতো যদি জনসংখ্যা রপ্তানির সুযোগ না থাকতো। আর দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা হয়তো সাউথ সুদান কিংবা কঙ্গো প্রজাতন্ত্রপর মতো থাকতো। আমাদের জনসংখ্যাকে পরিকল্পিত উপায়ে দক্ষ প্রশিক্ষণ ও পেশাজীবি হিসেবে তৈরি করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
আমাদের সীসীমিত শিল্প কারখানা ফলে কাজের ক্ষেএ অনেক সংকুচিত। বিদেশে পাঠাতে দালালদের অভয়ারণ্যে যদু আইনের কড়া নজরদারি থাকতো তবে ভুঁইফোঁড় সংগঠন, ট্রাভেল এজেন্স এগুলো বন্ধ হলে অবৈধ পথে জীবনের ঝুঁকি নুয়ে বিদেশ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হতো।

জনসাধারণের মুখে হাসি ফুটানোর মতো শাসকরা দীর্ঘদি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে
তাই হয়তো কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অচিরেই রেকর্ড অর্জন করবে।।।

ভালে থাকুন।।

৭| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'চমৎকার' তথ্যবহুল একটা লেখা লিখেছেন। তবে লেখাতে বেশকিছু সমস্যা না থাকলে এটা 'অত্যন্ত চমৎকার' হতে পারতো।

আমাদের সব সরকারই মুফতে যতোটুকু রেমিটেন্স এসেছে বা আসছে তাতেই খুশি। এটাকে আরো বহুগুনে যে বৃদ্ধি করা যেতো সেই চিন্তা করে নাই কখনও। আর গালভরা 'রেমিটেন্স যোদ্ধা' নাম দিলেও যোদ্ধাদের স্বীকৃতি কখনও-ই দেয়নি। এয়ারপোর্টে হয়রানি, ভোটের ব্যবস্থা না করা সহ আরো অনেক কিছুই করার ছিল। অবশ্য এদের কাছে খুব বেশী কিছু আশা করা ঠিক না। ইডেয়েটরা প্রশাসনে বসে থাকলে এর চেয়ে বেশী কিছু হওয়ার কথাও না।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ২:২২

বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মফিজ ভাই,

বরাবরই মিডঅর্ডারে অবস্থান তাই লেখাটি সেই মিডলমানের হবে এটাই বড়।।।
আপনি তো ভুলগুলো ধরিয়ে দেন না তাহলে বুঝবো কিভাবে। অবশ্য সম্পাদনা প্যানেলে দিয়ে দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

আমারা তো কেবলমাত্র শাসকদের শোষন পেয়ে গেলাম,, উপশম ঘটেনি আর ঘটবেনা।।।

সময় নিয়ে পাড়ার জন্য ধন্যবাদ।।।

৮| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। তথ্যবহুল পোস্ট।+

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ২:২৪

বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে প্রিয় কবি এলেন বসন্তের জয়গান নিয়ে।।
আপনার আগমনী বার্তায় ধন্য হলাম।।।

ভালো থাকুন।।।

৯| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ কাটাতারে ঘেরা পৃথিবীর বৃহৎ ঘণবসতির দেশ।
এত বেশী ঘণ যে পৃথিবীর সকল বাসিন্দাকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দিলেও সে দেশটি আরেকটি বাংলাদেশ সমান ঘণ হবে না।
এরপর আছে নদীভাঙ্গনে ভুমিহীন হয়ে যাওয়া। এত মানুষ যাবে কোথায়?
সংগতকারনেই অন্যান্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে বেশীসংখক লোক মরিয়া হয়ে দেশের বাইরে যেতে চাইবে।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৬

বলেছেন: এটা অবশ্য সত্যি বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ তাই বহুকাল আগে থেকে শুনে আসছি,।
এই জনসংখ্যাকে অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হিসাবে গড়তে পারলেই কেবল মুক্তি সম্ভব।
কানাডার কুইবেক ও বৃটিশ ভার্জিনিয়া এলাকায় জনসংখ্যা বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করছে।

আধুনিক চীন এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসেছে কারণ দেশটির সরকারি একটি থিঙ্ক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান সতর্ক করেছে যে,
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশের জনসংখ্যা ২০২৭ সালের আগেই উদ্বেগজনক মাত্রায় কমে আসতে পারে।
এ দিকে গত তিন দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে সর্বনিম্ন। তাহলে বুঝা যায় জনসংখ্যার সাথে প্রবৃদ্ধি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তাই সরকারের উচিৎ দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও তাদের যথাযত ব্যবহার করা।

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।। ভালো থাকুন সবসময়।।। শুভেচ্ছা নিরন্তর।।।

১০| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: রেমিট্যান্স + প্রবাস নিয়ে অনেক তথ্য দিলেন,পোষ্ট পড়েই বুঝা যাচ্ছে কতটা পরিশ্রম করে সুন্দরভাবে উপস্হাপন করেছেন। আপনার যুক্তিগুলোর সাথে আমি একমত।

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:২৮

বলেছেন: ধন্যবাদ আপনারা মতামতের জন্য।।

একজন প্রবাসী হিসাবে আপনারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন তাতে হয়তো সবাই জানতে ও বুঝতে পারবে।।

ভালো লাগলো খুউব।।।

ভালো থাকুন।।।

১১| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রবাসীদের রক্ত -ঘাম দিয়ে অর্জিত দেশে পাঠানো রেমিটেন্সের টাকায় দেশের জি,ডি,পি প্রবৃদ্ধি হার যদিও ১২ শতাংশ বেড়েছে,এসব প্রবাসীরাই যখন দেশে আসে ছুটিতে,তখন তাদেরকে কাস্টমসে হয়রানী হতে হয়,পুলিশদের থেকে কামলা বলে গালি শুনতে হয়। নানা রকম ভাবে এরা অপমাণিত হয়। আমাদের দেশের সরকার এদের জন্য কি করেছে?? তাদের জন্য কোন ভি আই পি ব্যবস্হা আছে?? নেই,ভি আই পি ব্যবস্হা শুধু সরকারী আমলা কামলাদের জন্য যারা দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। সরকার এসব প্রবাসীদের জন্য কিছুই করেনি বিগত ২০ বছরে।

২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০৬

বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়ে আসলাম।
বাস্তব অভিজ্ঞতা হলো বড় শিক্ষা।
আর তার থেকে যে লেখা হয় তা খাঁটি ও স্বচ্ছ। আপনার লেখাতে তাই পেলাম।
আরো বেশি করে লিখুন।।। হ্যাপি ব্লগিং।।

নেই নেই নেই তবুও জীবন চলছে, তবুও স্বপ্ন দেখা হয়না বন্ধ।।।


ভালে থাকুন।।

১২| ২০ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: +++++++++

২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:০৬

বলেছেন: এত্তগুলা কিউউউট কিউউউট প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা।।।।

ভালে থাকুন সবসময়।।।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দেশের মানুষদেরকে দেশেই কাজ দিতে হবে।
বিদেশে কামলা দিতে পাঠানো কোন গর্বের কথা নয়।

প্রফেশনাল হলে আলাদা বিষয়।

২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:১৩

বলেছেন: এত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই -- আর বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণার কথাই মূল মেসেজ।।।
বিদেশে কামলা পাঠানো গর্বের বিষয় নয় এটা যেমন সত্য আর আমাদের জনসংখ্যার চাপ কমাতে এরচেয়ে ভালো কোন পথ নেই
এটাও সত্য।
কেন আমাদের দেশজ উৎপাদনে সক্ষম মানুষকে কাজে লাগানো যায় না তার কারণ হিসাবে অনেকগুলি বলা যায় --- আশাকরি আপনি অনেক ভালোই জানেন।।।

আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ।।।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: "রেমিট্যান্স যোদ্ধা"-দের নিয়ে চমৎকার তথ্যবহুল একটি পোস্ট ব্লগে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ লতিফ ভাই। প্রচুর খাটাখাটনি করে লিখেছেন সেটা পড়েই বুঝলাম। ইকোনমিক থিওরী হিসেবে বর্দ্ধিত জনসংখ্যা বিদেশে যেতেই পারে। একসময় চীন থেকেও প্রচুর ম্যানপাওয়ার বিদেশে পাঠানো হতো।

কিন্তু আসল সমস্যা এখানে মনসস্তাত্তিক। ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করে এরা ইতালীতে যেয়ে রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র বিক্রী করে। সেবার রোমে আমি এদের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে দেখলাম সবাই শিক্ষিত। দেশে বাপের হোটেল খাওয়া দাওয়া করত আর এখন এখানে এসে এই কাজ করে। তো এত টাকা দিয়ে দেশে ছোট কোন ব্যবসা শুরু করেনি কেন জানতে চাইলাম। বলল দেশে লজ্জা লাগে। এখানে এসে যেন ডায়ামন্ডের ব্যবসা পেয়ে গেছে। মনে হচ্ছিল পাছায় কষে একটা লাথি দেই। এই সব নির্বোধগুলিই নৌকায় উঠে পানিতে ডুবে মরে। এরা সর্টকাট রাস্তা খুজে বড়লোক হবার। সরকার বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা চালিয়েছে কোন দালালদের কাছে টাকা না দিতে, আর এরা যেয়ে হুন্ডিদের কাছে টাকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে আসে। এরা মরবে না তো মরবে কারা বলুন?

যতদিন পর্যন্ত এদের নিজের মনোবৃত্তি ঠিক করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত এরা এভাবেই বেকুবের মতো পানিতে ডুবে মরবে।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪

বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই,

আপনাদের অনেক ভারী ভারী মন্তব্যের জবাব দিতে রীতিমতো ভাবা চোকা হয়ে গেলাম। আসলে তথ্য উপাত্তের অনেক ঘাটতি,

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু পেলাম না। যতটুকু পরিশ্রম হলে এ পোস্ট লিখতপ সে সময়ে হয়তো দুটি গল্প লেখা যেতো-- হা হা।।

একজন পদাতিক চৌধুরী ও নীল আকাশের কাছে অনেক অনেক ঋণ।। এ ঋণ ভালোবাসার।।।। এ ঋণের বোঝা বেড়ে যাক সতত।।।

শুভ কামনা নিরন্তর।।। ভালো থাকুন।।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কার্ল মার্ক্সের ডাস ক্যাপিটেলের ১০ পাতা পড়ে, বুঝতে আপনার ১০ বছর লাগবে; সামান্য সংখ্যা, ডাটা বুঝেন না; প্রয়োজনীয় বিষয়ে ভুল লিখে, ভুল ধারণা দিচ্ছেন পাঠকদের।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

বলেছেন: জনাব,
দয়াকরে আপনার একাডেমিক শিক্ষা ও গবেষণার সমন্ধে একটু লিখুন।
বলা যায় না যদি ক্লাসিক্যাল স্কুলের মাক্সকে আপনি যদি ছাড়িয়ে যান ।


আপনি নিঃসন্দেহে - জি- হেইচ -এ ক্লাবের গর্ব স্যার।।।।

১৬| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯

বলেছেন: কিছু সংখ্যাক মানুষের জন্য আলবত সত্যি।

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।।


ভালোবাসা রইলো।।। ধন্যবাদ নিবেন।।

১৭| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: @ রাজীব নুর :

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশ কাটাতারে ঘেরা পৃথিবীর বৃহৎ ঘণবসতির দেশ।
এত বেশী ঘণ যে পৃথিবীর সকল বাসিন্দাকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়ে দিলেও সে দেশটি আরেকটি বাংলাদেশ সমান ঘণ হবে না।
এরপর আছে নদীভাঙ্গনে ভুমিহীন হয়ে যাওয়া। এত মানুষ যাবে কোথায়?
সংগতকারনেই অন্যান্ন দেশের চেয়ে বাংলাদেশ থেকে বেশীসংখক লোক মরিয়া হয়ে দেশের বাইরে যেতে চাইবে।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

বলেছেন: জীন দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।।।।



ভালো থাকুন।।

১৮| ২০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা; গোছানো এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সহ।
উৎসর্গ ও যথার্থ হয়েছে।

শুভ কামনা।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

বলেছেন: ধন্যবাদ নিরন্তর প্রিয় কবিরাণী।।


পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।।

ভালো থাকুন।।।

১৯| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
অনেক কিছু জানা হলো আপনার এই তথ্যবহুল পোষ্টের মাধ্যমে।
কাউসার ভাই আর আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

বলেছেন: হে ঋদ্ধ জ্ঞান তাপসী,,

আপনার শুভেচ্ছা বুক পেতে নিলাম।।।

সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
ভাভালোবাসা নিরন্তর।।। ধন্যবাদ।।।

২০| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২১

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: আমিও প্রবাসী তবে রেমিটেনস যোদ্ধা হতে পারে নি।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগই ভিসা জালিয়াতি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে ।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

বলেছেন: আঙুল ফুলে কলাগাছ নাকি বটগাছ যাই হোক ওদের ভবিষ্যতে নষ্ট।।।


আপনি আপনার জন্য যোগ্য যোদ্ধা।।।।


সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।


ভালো থাকুন সবসময়।।।

২১| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রিয় লেখক ল,আমি আমার প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগে আজ পোস্ট করেছি,আশা করছি আপনার নজরে আসবে পোস্টটি। পোস্টে দেখা করার অাশায় থাকিলাম।

২১ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।।।

এখানে এসে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।।


আপনার মঙ্গল কামনা করছি।।।

২২| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি তো ভুলগুলো ধরিয়ে দেন না তাহলে বুঝবো কিভাবে। ওকে, উদাহরন হিসাবে কয়েকটা বলি,

১। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে চিত্র অনুযায়ী কৃষিজ পণ্য ধান,পাঠ (পাট),গম, আলু, গম (গম দু'বার বলেছেন), কিংবা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্য নকশিকাঁথার বা শীতলপাটি, এগুলো হয়তো আমদানি ও রফতানিতে ভুমিকা রাখার কথা।
ধান (আমাদের চাহিদা মেটানোর পর রপ্তানী করার মতো অবস্থা হয় না), গম বাংলাদেশে একটা অপ্রচলিত কৃষিপন্য। এট আমরা এখনও আমদানী করি। আর আলুর অবস্থা ধানের মতো।
২। বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, ইরাক, ইরান আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড, স্পেন, তিউনেসিয়া, চিলি, পেরুসহ শতাধিক দেশে বর্তমানে জনশক্তি রফতানি চলছে । এর মধ্যে ২০-২২টিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনশক্তি যাচ্ছে। তবে অধিকাংশ দেশেই রফতানির ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি কিংবা বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপ বললে আলাদা করে স্পেন বলার দরকার নাই। তেমনি দক্ষিণ আমেরিকা বললে আলাদা করে চিলি, পেরু বলার দরকার নাই। আর যদি দেশের নামের উপর জোর দিতে হয়, তাহলে মহাদেশের নাম বলার দরকার নাই।
৩। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। সবগুলোর একক একই রকমের হওয়া দরকার।

এছাড়া আরো কিছু সমস্যা দেখুন,
প্রত্রিকায়-পত্রিকায়, সহজেই অনুমেয়-অনুমান করা যায়, পত্যক্ষ-প্রত্যক্ষ, বৃহ-বৃহৎ বাজার, হরাস-হ্রাস, রেমিটেন্স (কোথাও কোথাও রেমিট্যান্স), কোরিয়ায় (এ'নামে কোন দেশ নাই; উত্তর কিংবা দক্ষিন হবে) ইত্যাদি।

ভুল দেখিয়ে দিলে অনেকে স্বাভাবিকভাবে নেয় না। আপনি কাছের মানুষ, তাই একটু কষ্ট হলেও কিছুটা জানালাম। ভালো না লাগলে নিঃসঙ্কোচে বলবেন আশাকরি। :)

২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মফিজ ভায়া,


ছোট্ট অথচ বিশাল বড় কিছু ভুল থেকে যায় অগোচরে এরজন্য ব্লগে থেকে শিখা যায়।
দীর্ঘদিন বাংলা চর্চা না থাজাতে আমাকে বেশ কষ্ট করতে হচ্ছে। না শিখলাম বাংলা না ইংরেজি এই অবস্থায় আছি।

সময় নিয়ে ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।। সাথে থাকুন।।।
ভালোবাসা রইলো।।

২৩| ২১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৬:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টটি অনেক সময়োপযোগী | তবে আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস করেছেন | প্রবাসে বাংলাদেশে শিক্ষিত বা উচ্চশিক্ষিতের অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে কাজ করার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধারা ইংরেজি ভাষায় কমিউনিকেশনে অসম্ভব দুর্বল | আমাদের সমান বা কম উচ্চশিক্ষিত হয়েও অনেক ভারতীয় প্রবাসে অফিস আদালতে কাজ করছেন তাদের চাঁপার জোরে | আমার প্রতিবেশী অনেকেই ফিলিপিনো এবং এদের অধিকাংশই কানাডাতে এসেছে তাদের নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী স্ত্রীর ওয়ার্কপারমিটের মাধ্যমে | স্বভাবতই ফিলিপিনো নার্সরা ইংরেজি কমিউনিকেশনে বাংলাদেশী নার্সদের চাইতে অনেক দক্ষ | আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট বা পলিটেকনিক ডিপ্লোমাধারীরা যথেষ্ট দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও বিদেশে গিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেন না তাদের ভাষাগত সমস্যার কারণে |

সরকার যদি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও সম্মানজনক কাজে বিদেশে পাঠাতে চায় তবে অবশ্যই ইংরেজি শিক্ষায় অনেক বিনিয়োগ করতে হবে | প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট সম্মানজনক বেতন দিয়ে প্রফেশনাল ইংরেজি প্রশিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষার্থীদের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে | এই সকল ইংরেজি কমিউনিকেশনে পারদর্শী কর্মীবাহিনীর প্রবাসে শ্রম বাজারে দক্ষ কাজে নিয়োগ পেতে খুব একটা অসূবিধা হওয়ার কথা নয় |

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৪১

বলেছেন: আপনার কথাগুলোর সাথে আশাকরি সবাই একমত হবে।
ভাষাগত দক্ষতা ছাড়া কোন অবস্থায় জনশক্তি রপ্তানি বাণিজ্য
কিংবা টেকনোলজিক্যাল উন্নয়ন কোন কিছুই সম্ভব নয়।
তবে আশার কথা হচ্ছে ইদানীং আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারছে,
সীমিত আকারে হলেও ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটছে।
সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি ভাষা শিক্ষাদানে আরো মনযোগী হয় তবে ইংরেজি শিক্ষার দৈন্যতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
ইউরোপের অনেক দেশের নার্স ও টেকনিশিয়ান বৃটেনে কাজ করলে যাদুঘর ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা লিমিটেড বলা যায়। আবার আমাদের চেয়ে ইন্ডিয়ানদের টেকনোলজি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। আসলে সবি দাবার চালে চলে এজন্য দরকার কুটনৈতিক তৎপরতা।
সময় করে পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।।।

২৪| ২১ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,




"জনশক্তি রপ্তানী" নামের নরকটি থেকে উদ্ধারের দায়টি কার ????????????????
আমার আগের করা মন্তব্যটির এই লাইনটির অর্থ সম্ভবত আপনি ভুল অর্থে বুঝেছেন। জনশক্তি রপ্তানী শব্দটি ইনভার্টেড কমা'র ভেতরে দেয়া আছে। এটা আলাদা অর্থ বহন করে। "জনশক্তি" কে যদি শক্তিতেই রূপান্তর করে "রপ্তানী" করা হতো তবে সেটাকে "নরক" বলার সুযোগ ছিলোনা। সেটা "স্বর্গ" হয়ে উঠতো। আপনিও তো বলেছেন -
বিদেশে পাঠাতে দালালদের অভয়ারণ্যে যদি আইনের কড়া নজরদারি থাকতো তবে ভুঁইফোঁড় সংগঠন, ট্রাভেল এজেন্ট এগুলো বন্ধ হলে অবৈধ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হতো। এভাবেই অদক্ষ জনশক্তির অপরিকল্পিত রপ্তানীর কারনেই সেটা নরকের মতো পীড়া দিচ্ছে আমাদের।
আপনার কথাতেই বলি - আমাদের জনসংখ্যাকে পরিকল্পিত উপায়ে দক্ষ প্রশিক্ষণ ও পেশাজীবি হিসেবে তৈরি করে যদি রপ্তানী করা যেতো তবে আপনার পোস্টটি লেখার প্রয়োজনই হয়তো হতোনা।

আপনি প্রতিমন্তব্যে বলেছেন - "জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ একই ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সরকারের হিমশিম খেতে হতো যদি জনসংখ্যা রপ্তানির সুযোগ না থাকতো।" আমিও তো সেই প্রেক্ষাপটেই মন্তব্যে লিখেছি -
বিপুল জনসংখ্যা এবং কাজের সংস্থান না থাকার কারনে অসাধু আদম ব্যাপারীরা আমাদের সহজ-সরল-অজ্ঞ মানুষগুলির গলায় ফাঁসির রশি লাগিয়ে সুযোগটা নিচ্ছে পুরোপুরি। সরকারও উদাসীন।

এসব কথাই তো আমার মন্তব্যে করা আপনার প্রতিমন্তব্যের সুর। তাই এমন করে জনশক্তি রপ্তানীকে "নরক" এর সাথে তুলনা করেছি। আশা করি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

বলেছেন: আহ প্রিয় ব্লগার,


আপনার প্রশ্ন,
প্রশ্নের উত্তর
আপনার প্রস্তাবনা সবি এক লাইনে দেয়া -- এবার সহজে বুঝতে পারছি।।।
জনশক্তি" কে যদি শক্তিতেই রূপান্তর করে "রপ্তানী" করা হতো তবে সেটাকে "নরক" বলার সুযোগ ছিলোনা।

চবারো এসে ধন্য করলেন।

২৫| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সময় নিয়ে পড়লাম, বেশ ভাল লাগলো।
উতসর্গ ভাল লেগেছে, কাওসার ভাই আমারও প্রিয় মানুষ।

২২ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৮

বলেছেন: প্রিয় রম্য লেখকের মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।।


সময় নিয়ে পড়েছেন জেনে আরো লেখার উৎসাহ পেলাম।।।

ভালো থাকুন।।।

২৬| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৮

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভালো লাগল তথ্যবহুল লেখাটি পড়ে! ++++++

২২ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪১

বলেছেন: আহ!!
সুপ্রিয় আর্কিটেক্ট আশা আপু,,


আপনাদের মতো গুণীজনের এই ছোট্ট মন্তব্য অনেক অনেক দামী যার সমতুল্য পাওয়া ভাষায় বলা যায় না।

সময় করে পড়ে মূল্যবান মতামতের জন্য কৃতজ্ঞতা।।
ভালোয় কাটুক আপনার দিনগুলো।।।
আশাকরি মাজেসাঝে আমার লেখায় আপনার উপস্থিতি পাবো।

শুভ কামনা নিরন্তর।।

২৭| ২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: মূল বিষয়টা গোপন নয়। অনেক বড় একটি সমস্যা, মানে বড় একটি ব্যাপার। অর্থাৎ দেশের উন্নয়নেে কাজে লাগে অথচ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না।

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২৮

বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।।

আমরা সবসময়ই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যদা দেই না এটা আর নতুন কিছু নয়।
তবে আশাকরি দেশে শিক্ষার হার বাড়ার সাথে সাথে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে
এবং আমাদের সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানাবিধ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে।


ভালোবাসা অবিরাম।।। শুভ কামনা নিরন্তর।।

২৮| ২২ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রফতানি করা যাইতে পারে ! কারণ ইহারা বিদেশে না গেলে দেশ কি ইহা উপলব্ধি করিতে পারে না !! তাছাড়া অশিক্ষিত ও অদক্ষ যতটুকু ইনকাম করিবে, শিক্ষিত, দক্ষরা বেশি পারিবে ! লাভ বেশি হইবে !!

তবে জোর দিতে হইবে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উপরেই ! সুষ্ঠু শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা হইলে বিদেশে কর্মী পাঠানোর প্রয়োজন নাই , বরং আমাদেরই আমদানি করিতে হইবে ! এবার ধান কাটার মৌসুমে কামলাদের মজুরি বিদেশের অনেক কামলার মজুরির প্রায় সমান হইয়া গিয়াছে !

এখন যাহারা বিদেশে যাইতেছে তাহাদের কতভাগ বাধ্য হইয়া যাইতেছে আর কতভাগ বিদেশের নেশায় , শর্টকাট বড়লোক হইবার নেশায় যাইতেছে তাহা বলা মুশকিল !! দেশে ভালো অবস্থা থাকিলেও বিদেশের নেশায় কামলাগিরি করিতে যাইতে আকছার দেখিতেছি ! ইহা একপ্রকার রোগ হইয়া দাঁড়াইয়াছে !

রেমিটেঞ্চ আমাদের আয়ের বড় উৎস সত্যি ! কিন্তু ইহার জন্য দেশকে, সমাজকে, পরিবারকে, ব্যক্তিকে কতটুকু মূল্য দিতে হইতেছে তাহা লইয়া ভাবার প্রয়োজন আছে !

আর রেমিটেঞ্চের ব্যবসার আড়ালে যে আদম/দাস ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা সকলের পেট ঢোল হইতেছে এইসব মাকড়শাগুলোর ভূমিকা, অপকর্ম লইয়াও বিশদ ভাবিতে হইবে !

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪০

বলেছেন: আপনার সাধু উক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মেনে নিলাম --
আপনার উত্তর বিশদভাবে দিতে গেলে মুটামুটি একটা পোস্ট হয়ে যাবে।

সারসংক্ষেপ বলছি, আমাদের ক্ষেতে রোজ কামলা কিংবা টাকা দিয়ে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
তাহলে উপায় কি - ছবিতে দেখুন কিছুদিন আগে লন্ডনের একটা খামারে গিয়েছিলাম সেখানে হাস মুরগী, ভেড়া,ডনকি,শাক সব্জি সবিই একসাথে নিবিড় পরিচর্যায় এগিয়ে চলছে।


এই মুরগীর পোলট্রি ফার্ম থেকে একটা সুন্দরী মেয়ে ডিম কুড়িয়ে নিলে যার পরনে স্মার্ট ড্রেসের সাথে লগো ও জব টাইটেল দেয়া।


খামারের সবগুলো মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য চাষাবাদ ও পশুপালন করছে।
আমাদের ধান বোনা ও চাষাবাদে এই রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তরুণ তরুণীরা কাজে এগিয়ে এলে উৎপাদন ও বিপননে সহায়তা হবে এবং সাফল্য অর্জন সম্ভব।

এখান থেকে আগামী কোন সময়
আরো বিশদ আলোচনা করে পোস্ট দিবো--- ---
আপনার ভারী মন্তব্য পেয়ে আহ্লাদিত হলাম।।।


ভালো থাকুন।।





২৯| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: তার মানে দেশ থেকে পালিয়েও শান্তি নেই।

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪১

বলেছেন: হা হা হা -- শান্তি আসে একমাত্র আল্লাহর পক্ষে থেকে।

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
ভালো থাকুন।।

৩০| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

শেহজাদী১৯ বলেছেন: রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আরও দক্ষ হয়ে উঠুন এবং জয় করে আনুক সাফল্য।

২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৪৪

বলেছেন: আপনার আগমনে ভালো লাগলো।

রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আরও দক্ষ হয়ে উঠতে দরকার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা,
সমাজের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে দুর্নীতির বীজ সমূলে বিনষ্ট করলে কেবলি জয়ের দেখা পাওয়া যাবে আসবে সাফল্যের সোনার হরিণ।। ।


ভালে থাকুন।।।

৩১| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৩০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা হা -- শান্তি আসে একমাত্র আল্লাহর পক্ষে থেকে।

আল্লাহ্‌ তো মহান।আমরা তারই সৃষ্টি আর তারই অনুগ্রহ প্রাপ্ত।

২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

বলেছেন: Indeed,

বলো!! তুমি তোমার রবের কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করাবে!!!


আল্লাহ সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন ----আমীন --

৩২| ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট

পৃথিবীর এই অর্থের বিষম বন্টন কোনো দিন শেষ হবে না :(


দেশের সকলের বোধোদয় হোক !

২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:১১

বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।।।

পৃথিবীর আদি থেকে অন্ত সামাজিক বৈষম্য চলছে যা নিরোধ হবে বলে মনে হয় না।
একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, শাসক শ্রেণী নিজেদের স্বার্থে সামাজিক বৈষম্যের বলয় তৈরি করে রাখে, এই দুষ্টচক্র থেকে সহজে বের হবার নয়।


সম করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ নিরন্তর।।।

৩৩| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "প্রতিকূলতা" গুলোকে বেশ সূক্ষ্মভাবে চিহ্নিত করেছেন। আর তারপরে কিছু সুনির্দ্দিষ্ট সুপারিশ রেখেছেন, যা বিবেচনার দাবী রাখে।
লেখাটি এই ব্লগের একজন সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় ব্লগারকে (যিনি একজন প্রাক্তন রেমিটেন্স যোদ্ধাও বটে!) উৎসর্গ করাতে খুশী হ'লাম।
পোস্টে প্লাস + +

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৭

বলেছেন: প্রিয় স্যার,

আপনার মতো এমন অনলবর্ষী সমৃদ্ধ কবি ও লেখক পোস্টটির খুটিনাটি পড়ে আপনার মতামত দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।

৩৪| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু এর প্রথম মন্তব্যটা ভাল লাগলো।
পদাতিক চৌধুরি ও কাওসার চৌধুরী - উভয় চৌধুরীর মন্তব্য দুটোও ভাল লাগলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টেও এই টাকা নিরাপদ নয়; ব্যাংকের ভেতরেই রেমিট্যান্স চোরেরা সুযোগ খোঁজে প্রতিনিয়ত - কাওসার চৌধুরী এর এ মন্তব্যটা আমাদের শিক্ষিত ও মেধাবী, কিন্তু গণবিরোধী আমলাদের নৈতিক দেউলিয়াপনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যারা এই বিপুল রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তারা হাঙর-কুমিরের পেটে গেলে যাক, এ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই খুব একটা - প্রাজ্ঞ ব্লগার আহমেদ জী এস এর এই মন্তব্য একটি নাঙ্গা সত্য (ন্যাকেড ট্রুথ)!

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫১

বলেছেন:
প্রিয় স্যার,


আপনি যাদের মন্তব্যগুলি কোট করেছেন সেগুলোতে লেখক-বিশ্লেষকদের অনেকেই জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি খুব সহজেই বলে দিয়েছে।
আপনার এমন বিশ্লেষণ সবার জন্য বিশেষত্ব বয়ে আনবে এটাই কামনা।।।

ভালো থাকুন।।

৩৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভুয়া মফিজ কষ্ট করে হলেও, ২২ নং মন্তব্যে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লেখককে হেয় প্রতিপন্ন না করে ভুল ধরিয়ে দিলে তা লেখক, পাঠক উভয়ের জন্য সুফল বয়ে আনে।
অবশ্যই ইংরেজি শিক্ষায় অনেক বিনিয়োগ করতে হবে | প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট সম্মানজনক বেতন দিয়ে প্রফেশনাল ইংরেজি প্রশিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষার্থীদের নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে | এই সকল ইংরেজি কমিউনিকেশনে পারদর্শী কর্মীবাহিনীর প্রবাসে শ্রম বাজারে দক্ষ কাজে নিয়োগ পেতে খুব একটা অসূবিধা হওয়ার কথা নয় - একটি অন্যতম মূল সমস্যার প্রতি আলোকপাত করার জন্য স্বামী বিশুদ্ধানন্দকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫৪

বলেছেন: ব্লগ যে পড়ালেখার জন্য উৎকৃষ্ট প্রমাণ এই ভালোলাগা, বিশ্লেষণ, মহানুভবতা,

এই অনুযোগ, অভিযোগ আমাদের ভাবায়, শেখায়, বুঝতে সহায়তা করে।।

হৃদ্যতাপূর্ণ ভালোবাসা রইলো।।।
ধন্যবা।।

৩৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: খামারের সবগুলো মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য চাষাবাদ ও পশুপালন করছে।
আমাদের ধান বোনা ও চাষাবাদে এই রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তরুণ তরুণীরা কাজে এগিয়ে এলে উৎপাদন ও বিপননে সহায়তা হবে এবং সাফল্য অর্জন সম্ভব।

এখান থেকে আগামী কোন সময়
আরো বিশদ আলোচনা করে পোস্ট দিবো--- ---

এরকম পোষ্ট আরো চাই । সবটুকু পড়িনি পড়ে মন্তব্যে আসছি । আপাতত প্রিয়তে রাখলাম।
শুভকামনা

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫

বলেছেন:
হৃদ্যতাপূর্ণ ভালোবাসা রইলো।।।

৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: শেষ করলাম ।
বেশ দীর্ঘ পোষ্ট । আমার কাছে অনেক কঠিন কঠিন মনে হলো ।অন্য কারো লেখা হলে আমি ছেড়ে দৌড় মারতাম।আপনার লেখা বলেই তো পড়লাম। আপনার লেখা আমাকে চম্বুকের মতো আকর্ষণ করে ।যেমন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা আমাকে আকর্যন করে /করতো।
আমি অর্থনীতি[রেমিটেন্স] বুঝি কম । তবে পড়ে আমি অনেক কিছু জানলাম ।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়লাম । আকাশনীল ভাইয়ের মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে ।
এক সময় খুব ইউরোপে যাওয়ার ঝোঁক ছিল । অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার পর ............।
যাক বাবা যাইনি ভালোই হয়েছে না হলে তো আকাশনীল ভাইয়ের কাছে পাছায় কষে একটা লাথি খেতাম । হা হা হা
শুভকামনা প্রিয় ভ্রাতা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৫

বলেছেন: আপনার লেখা আমাকে চম্বুকের মতো আকর্ষণ করে ।যেমন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা আমাকে আকর্যন করে /করতো-----আমি অনন্ত কাল ধরে তোমায় খুজে ফিরবো প্রিয় ভ্রাতা।!



হৃদ্যতাপূর্ণ ভালোবাসা রইলো।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.