নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,
দ্যা হিপোক্রেসি- ঠেলা-ধাক্কার সংসার
(বয়োবৃদ্ধ ও বয়োকনিষ্ঠদের পোস্টটি না পড়ার অনুরোধ)
(১)
রাহিমা বেগম, নামটিতে খাঁটি মুসলিম গন্ধ, সাথে মমতায় জড়ানো সুমিষ্ট সুঘ্রাণ। কিন্তু তার চলনে, বলনে, হাল ফ্যাশনের রংয়ে ঢংয়ে যেন মিস ইউনিভার্সকে নিশ্চিত হার মানাবে। বয়স তের হবার সাথে তেপান্তরের অবোধ্য লীলা। কত ঢেউয়ে ঢেউয়ে তুলা সফেদ ফেনা, প্রমোদ সুখে ঠোঁটের ম্যাক ব্রান্ডের কড়া লিপস্টিক শুষে নিলো প্রায় তিরিশ-পয়ত্রিশ যুবা। লেখাপড়ার পাঠ কোনরকম এ লেভেল পযর্ন্ত গড়ালো। লেখাপড়ায় কতটুকু না মনযোগ তার চেয়ে সহস্র গুণ গবেষণা ছেলেদের নিয়ে। কোন ছেলের কথা বলার ধরনটা কেমন। কোনটির হাঁটার স্টাইল, কাপড় পড়ার স্টাইল এসব যাচাই বাচাই করে স্কুল জীবন শেষ করলো। একসাথে তিনটা ছেলেকে ম্যানেজ করতে সক্ষম যে কৌশল দরকার তা সহজেই সে আয়ত্বে নিয়ে নিলো। ছোট বোন রুপিয়া বেগম ও বান্ধবী মল্লিকা সহ তার সববয়সী সবাই রীতিমতো ঈর্ষা করতে লাগলো। সবাই রহিমা বেগমকে প্রেমের আইডল হিসাবে দেখতে লাগলো। রহিমা কখনো কাউকে ফোনে সময় দেয়, কাউকে গাড়ির ভেতরে আর কারো বাসায় গিয়ে ধোঁয়া তুলে সিগারেট, চা- নাস্তার সাথে হালকা এলকোহল পানীয় খেয়ে 'কোয়ালিটি টাইম' অতিবাহিত করে। সকালে ঘর থেকে বের হয়ে কখনো মাঝ রাতে বাড়ি ফেরে। কখনো আবার বন্ধুর সাথে রাত যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। প্রথম প্রথম বাবা রমজান আলী শাসনের চোখ রাঙানো ও কড়া কথার আওয়াজ তুলতেন। কিন্তু একদিন সোস্যাল সার্ভিসের লোকজন এসে তাকে কড়া ধমক দিয়ে গেছে মেয়ের কমপ্লেইন পেয়ে। সেই থেকে রমজান আলী ভিজে বিড়াল হয়ে ঘাপটি মেরে আছেন। কখন যে শিকারে পরিণত করবেন সে চিন্তায় মাথা ঠুকতে লাগলেন। কখন যে সুবর্ন সুযোগ আসবে তার অপেক্ষায় আছেন।
(২)
বয়স বাড়ার সাথে সাথে রহিমা বেগম প্রেমের পাক্কা খেলোয়াড় হয়ে ওঠে। সে এবার আজে বাজে ছেলেদের ছাঁটাই করে। তার হিট লিস্টে এবার তিনটি ছেলে। এদের একজন হলে ইংলিশ স্যাম, নাইজেরিয়ান হেডলার, আর বাঙালী শাকিল। আর বাকী সব মাইনাস। এদের তিনজনের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনকে সে বিয়ে করবে কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে কাকে রেখে কাকে বিয়ে করবে। তিনজনই ভিন্ন ভিন্ন দিকে পারফেক্ট। কেউ কোন না কোনভাবে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাকে পরিপূর্ণতা দেয়। সে আশা করে এমন যদি হতো তিনজনই তাকে স্ত্রী হিসাবে সংসার করবে কিন্তু বাস্তবতা তো এমনটা হয় না। তাই বেছে নিতে হবে সবচেয়ে ভালো লোকটাকে যে তাকে আদর সমাদর করবে। তাকে কেউ এক মুহূর্তের জন্য অবহেলা করবে সেটা সে মেনে নিতে পারে না। সেদিক দিয়ে স্যামকে সেরা বলে মনে হয়। আজ পযর্ন্ত সে তাকে অবহেলা তো দূরে থাকে যতক্ষণ পাশে থাকে এক হাত দিয়ে তার হাতে ধরে থাকে অন্য হাত দিয়ে পিছনে জড়িয়ে থাকে। স্যামের কাছে অদ্ভুত মায়া আছে। যদিও হেডলার তার সেরা মানুষদের একজন। ভালোবাসায় পাগল করে দেয় কিন্তু সে বেখেয়ালি আচরণ করে যা দিয়ে সংসার করা যাবে না। আর শাকিল তো হাফ পাগলা কখন কি বলে তার ঠিক নাই। এই বলবে তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না আবার কয়েকদিনের জন্য ঔষধ হয়ে যায়। তাই সবদিক বিবেচনা করে সে স্যাম'কে বিয়ে করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার পরিবার তো কোন অবস্থাতেই ইংলিশ ছেলেকে মেনে নিবে না। যদিও বড় ভাই, ছোট বোন কোন সমস্যা না তারা সহজেই মেনে নিবে। আসল সমস্যা হলো মা- বাবা তারা কোন অবস্থায় মেনে নেবে না। সকল চিন্তা ভাবনার অবসান ঘটিয়ে সে কথা বললো স্যামের সাথে,
স্যাম, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাকে বিয়ে করবো?
- তুমি কি সত্যি বলছো? আর ইউ সিরিয়াস!
- কতদিন থেকে তোমাকে অনুরোধ করে আসছি কোন পাত্তাই দাও না আজ হঠাৎ এত সিরিয়াস?
- পরিবারের সাথে ঝগড়া হয়েছে নাকি?
- নাহ! সে রকম কিছু না, অনেক চিন্তা করে দেখলাম তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।
- জব ডান, তাহলে চলো আজই আমাদের বাড়িতে চলে যাই।
- কেথায়!
- লন্ডন থেকে দেড়শো মাইল দুরে সালফোর্ড (Salford)।
- তুমি রেডি হয়ে চলে আসো, আজ বিকালেই আমরা রওয়ানা দিবো।
বিকালবেলা মাকে বন্ধুর বাসায় যাচ্ছে ফিরে আসতে দু'দিন লাগবে, এমন কথা বলে সাথে একটা ব্যাগ টেনে টেনে রহিমা নতুন গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে।
(৩)
যে পিতামাতা আদরে, আহ্লাদে বড় করলো তাদেরকে তুচ্ছ ভেবে রহিমা বেগম যাত্রী হলো আবেগের ট্রেনের। যার গন্তব্য শহর তার কাছে এখনো বড় অচেনা। ট্রেনে বসে স্যামের কাঁধে বহু দিনের তৃপ্তির ঘুম দিয়ে সোজা চলে যায় সেলফোর্ড।
স্যামের বাড়িতে চারটি বেডরুম যেখানে শুধু বৃদ্ধ মা বাবা থাকেন। স্যামের বড় ভাই বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে। রহিমা বেগমকে দেখে স্যামের মা বাবা তেমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন না। শুধু হ্যালো বলে তাদের রুমে চলে গেলেন।
একা একা রুমে থেকে প্রায় বিরক্তিবোধ করলো, কেউ তার সাথে কথা বলে না। স্যাম তাকে সাথে নিয়ে বাইরে যায় না। সে রাতে যখন বাড়ি ফিরে কখনো পুরো মাতাল আর কখনো অর্ধেক মাতাল। রহিমা বেগম নিজেকে অন্য দ্বীপের মানুষ হিসাবে আবিস্কার করলো।
একসপ্তাহে সে বুঝতে পারে আসলে কালচার এমন একটি খাম যাতে মোড়ানো থাকে টুকরো টুকরো গল্প। সবার প্রিয় গল্প যেমন এক হয়না তেমনি মানুষের কালচার ও এক হয় না। স্যামের মদ্যপ অবস্থা পড়ে থাকা,বহু নারীর প্রতি আসক্তি রহিম বেগমের জন্য মোটেই সংসার করার জন্য সুখকর জায়গা নয়।
সপ্তাহ শেষ রহিমা কোন কুল না পেয়ে মা - বাবার কাছে ফিরে আসে। রাগে গোস্বায় রমজান আলী মেয়েকে বলেন, হয় বাড়িতে তুই থাকবে নয়তো আমি। অনেক সহ্য করেছি আর নয়। অনেক বাকবিতন্ডার পর রহিমা বেগম কথা দিলো সে এখন থেকে মা-বাবা যা বলবে সে অনুযায়ী কাজ করবে। আর কোন ছেলের সাথে মেলামেশা করবে না। রহিমার মা অনেক কাকুতি মিনতি করে স্বামীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শেষবারের মতো ম্যানেজ করলেন।
(চলবে)
০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
ল বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
দেখা যাক আপনারা অনুমানের সাথে মিলে কি না??? আমি শিওর আপনার অনুমানের সাথে মিলবে না।
২| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
ল বলেছেন: প্রিয় কবি সুহানি,
আপনি ধৈর্য ধরে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
নারীর মন- সে তো ভগবানের কাছেও অবোধ্য। সংসারটা ঠেলা ধাক্কারই। সামলে চলতে হয়।
রহিমা বেগমের উপর কি রহমত নাজিল হয় দেখি...........
০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৪
ল বলেছেন: নারীর এই শতরুপা মন নিয়ে একটা কবিতা লেখেন প্রিয় কবি,
ঠেলা ধাক্কা ততক্ষণই স্বাভাবিক যতক্ষণ না পর্যন্ত তা ভণ্ডামির মাত্রা অতিক্রম না করে।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
আগামী পর্ব পড়ার অনুরোধ রইলো।
৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন দশাই হবার কথা এদের .... দেখা যাক বেটি কোন বেটার লগে লাইন লাগায় এখন হাহাহাহাহ
০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
ল বলেছেন: আরে ছবি আপা!!!
মায়াবী কন্যার এমন রাশভারি মন্তব্য রহিমা চরিত্রের সার্থকতা খুঁজে পেলাম।
পড়ার জন্য শুকরিয়া।
ভালো থাকুন।
আগামী পর্ব পড়ার আকুল আবেদন রইলো।
৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ পড়বো ।
০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
ল বলেছেন: ভালো লাগলো খুউব --- আবারো আসার জন্য ।
ভালো লাগলো খুউব --- সাথে থাকার জন্য।
৬| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফ ভাই,
আপাতত হাজিরা দিয়ে গেলাম। ব্যস্ততা প্রচন্ড বেড়ে গেছে। সময় নিয়ে কোন এক সময় আবার আসছি।
শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
ল বলেছেন: ঠিক আছে দাদা ভাই,
সময় করে আসবেন জেনে ভালো লাগলো।
ভালোয় কাটুক আপনার দিনগুলো।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: লতিফ ভাই ঘটনা কি?
মনে হলো অনেক আফসোস নিয়ে লিখেছেন?
০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
ল বলেছেন: হা হা -- ঘটনা জানতে ইচ্ছে হলে চলে আসুন --
চলুন রহিমাদের বাসায় আজ ইফতার করি --
৮| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায় রে জীবন !
এরা যে জীবন কে কোন চশমায় দেখে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
ল বলেছেন: সুপ্রিয় কবি!!
হায়রে মানুষ!!!
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নারীর মন বোঝা দায়
চলুক........
০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
ল বলেছেন:
১০| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
এটা গল্প নাকি সত্যি ঘটনা? অবশ্য এমন ঘটনা বিদেশে বাংলাদেশী সমাজে অহরহই ঘটে। ঘটনা কোনদিকে যাবে অনুমান করতে পারছি না। তবে মেয়ে বড় হলে বাবা মা জোর করে দেশে এনে কেন বিয়ে দিয়ে দেয় তার কিছুটা বুঝতে পারছি।
রাহিমার ছেলেদের নিয়ে আচরন দেখে আমারপ্রিয় কিছু লাইন মনে পড়ে গেল:
কোন রাতে কার কন্ঠলগ্না আমি তাও জানিনা!
আমাকে পাবার উন্মত্ততায় জমে অচেনা পুরুষের লম্বা কিউ!
কে হতে চাও আজ রাতে আমার স্বপ্নের রাজকুমার?
পকেটে আছে কি সেই রকমের পাত্তি?
এক পুরুষে হয় না আমার, হাত বদলালেই তৃপ্তি!
সাপ্লাই চেইন ডিমান্ড কার্ভে উচ্চে আমার আকাঙখা
রেভলন বা ম্যাকের উগ্র মেকআপে অভ্যস্ত আমি,
ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের অন্তর্বাস ছাড়া চলেনা,
দামী ব্র্যান্ডেড লিপিস্টিকে লাল করে রাখি ঠোট
শ্যানেলের পারফিউমে করি উন্মাতাল রাতভর ডিজে পার্টি!
চালিয়ে যান সাথেই আছি।
ধন্যবাদ।
০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
ল বলেছেন: কালজয়ী কবিতা!!
আপনি তো পরী কাহিনি, নাবিলা কাহিনীর পর আন্দাজ করা কবে শিখলেন।
আল্লাহ মালুম,, কি প্রতিভা!!!
১১| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:০১
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: এতো চলবে হলে কিভাবে হবে???অপেক্ষা একটি কঠিন প্রহর। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায়য় রইলাম লেখক।
০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ল বলেছেন: প্রিয় চারআনার চিরকুটওয়ালা,
সময় করে লেখাটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
পর্ব লেখা আছে বানান ও আনুষাঙ্গিক বিষয় দেখার জন্য একাংশ পোস্ট দেওয়া।
আশাকরি আগামী পর্বে আপনাকে সাথে পাবো।
ভালো থাকুন
১২| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আজে বাজে হবে
মাথা ঠুকতে লাগলেন হবে।
কারো কারো জীবন এমনই। লোভ ও উচ্চাকাঙ্খা বিপদের কারণ।
০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
ল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভাই,।
বানান ঠিক করে নিলাম৷
হয়তো এমন করে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে।
আপনার মঙ্গল কামনা করছি।
১৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্প হলেও বাস্তবতা বিবর্জিত নয়।
চলুক ।
০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ল বলেছেন: গল্পই জীবন, নাকি জীবনের গল্প সেটা হয়তো বুঝি না তবে ুটা জানি কারো কারো জীবন গল্পের মতো।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় রম্য লেখক৷
ভালো থাকুন।
১৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লিখেছেন।বিদেশে পুরোপুরি বাংলাদেশী কালচারে সন্তান মানুষ করা সম্ভব নয়। কিন্ত সন্তানকে পাশ্চাত্যের উদ্দাম জীবনে গা ভাসিয়ে দেয়াটা রোধ করার দায়িত্ব অনেকাংশেই মা বাবার। যেসব মা বাবাই সন্তানকে মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে পারে না, তাদের ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
ল বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার,
মূল্যবোধের শিক্ষাই সুসন্তান গড়ে তুলতে সহায়তা করে। বিদেশে ছেলেমেয়েরা অনুশাসন না মানার কিছু আইনী বাধ্যবাধকতা আছে, যেমন সোস্যাল সার্ভিস অনেক সময় কোন ছোট জিনিস নিয়ে বড় ইস্যু করে বসে।
সময় করে পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন।
১৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, দু'জনের কালচার দু'রকম হলে সমস্যা হবেই। তবে বিরল হলেও কেউ কেউ অন্যের কালচারের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। গল্প ভালো হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
ল বলেছেন: বিরল হলেও কেউ কেউ অন্যের কালচারের সাথে মানিয়ে নিতে পারে- সেটা সত্যি বলেছেন তবে তাদের চাহিদা কতটুকু পুরণ হয় তা জানা নেই, হয়তো পুরোটা, নয়তো সামান্য নাহলে একেবারে হারিয়ে ফেলে।
আপনার সমৃদ্ধ মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
১৬| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১০
তারেক ফাহিম বলেছেন: রহিমা বেগম
নামটিতে বাঙালির ছাপ পাওয়া যায়।
০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৯
ল বলেছেন: চির সবুজ, চির নবীন
আশাকরি ভালো আছেন!
পড়েছেন জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
১৭| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:০২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সবার প্রিয় গল্প যেমন এক হয়না তেমনি মানুষের কালচার ও এক হয় না।
খাঁটি এবং অবুঝদের জন্য অপ্রিয় সত্য।
এক নাগাড়ে পড়ে গেলাম পুরো ঘটনা।আর এই ঘটনা তাঁদের কাজেই আসবে যারা সব সময় নিজেদের ইচ্ছাকে নিজের জন্মদাতা ও দাত্রী থেকে বেশী প্রধান্য দেয়।দুর্ভোগ তাঁদের যারা বাবা মাকে কষ্ট দেয়।
ভালোবাসা জানবেন প্রিয় ভাই।
০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:২৬
ল বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবসময় অনুপ্রেরণার, ভালোলাগার, ভালোবাসার।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৩
পুলক ঢালী বলেছেন: ভালই লিখেছেন। কালচার হলো খামে ভরা টুকরো টুকরো গল্প দারুন বলেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দেখি ঘর পোড়া গরু এবার সিঁদুরে মেঘ দেখে কি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ? (সিদুরেঁ মেঘের দেখা কি আদৌ পাবে ?)
০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:২৭
ল বলেছেন: ভ্রমণ প্রিয় মানুষের গল্পটির প্লট ভালোলাগায় মুগ্ধ হলাম।
পুরোটা পড়ে জানাবেন কেমন হলো।
ভালো থাকুন।
১৯| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:০৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এরকম কাছাকাছি এক সিলেটি পরিবারের কাহিনী শুনেছিলাম
০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ৭:৩১
ল বলেছেন: হা হা হা,,,, হাসান ভাই,,
আপনার ও জানাশুনা কাহিনি শুনে বাকরূদ্ধ হলাম।
গল্পের কাহিনি যদি আপনার শুনা কাহিনির সাথে মিলে যায় তবে বুঝবো -
সে একি ব্যক্তি যে গল্পটা আমাকে ও আপনাকে শুনিয়েছিলো --
২০| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:১৫
মুক্তা নীল বলেছেন: ল'ভাই
ঠেলা ধাক্কার সংসার শেষ পর্ব আগে পড়ে ফেলায় ওই রহিমা সম্পর্কে শুধু ঘৃণাই লাগছে ।তবে হ্যাঁ ,ভীষণ মজা করে লিখেছেন প্যারা (২)। এটা আপনার দক্ষতাও বটে । এত বেশি দক্ষ যে Mac brand মিস যায়নি হেসেছি অনেক।
রোজার জন্য মায়া হচ্ছে ,ভীষণ মায়া....
আহা!! জানেনইতো যার মা আছে তার পুরো এক পৃথিবী আছে ,আর যার মা থেকেও নেই তার......
১১ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২৪
ল বলেছেন: যাক,,, আপনি এলে শান্তি লাগে।।
রহিমা চরিত্র ওয়েস্টার্ন বাঙালি সমাজে এক বিষফোড়ার মতো।
এরা নিজেকে কি ভাবে তা জানি না।। এদের ভয়ংকর ফাঁদে নিস্পাপ কিছু লোক কষ্ট করে যায়।।।
পর্বটা লিখে আপনার মন্তব্য না পেয়ে ভাবলাম রমজানের বিরতিতে গেলেন নাকি কোন ঝামেলায় আছেন।। শেষ পযর্ন্ত আপনি পড়েছেন তাতেই তৃপ্তি,,।।
দক্ষতা -- হায় হায়,,, কি যে বলেন -- এটা বেশি বেশি হয়ে গেলো,,, আপনার সুন্দর এক্সপেসনে এক্সপেকটেশন বেড়ে গেলো।।
দ্রুত সুস্থ হয়ে সেরে ওঠার দোয়া রইলো।
২১| ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
জুন বলেছেন: দেখি পরের পর্বে রহিমা বেগমের কি অবস্থা হয় ল
পড়তে ভালোই লাগছে। প্রথম পর্বেই প্রমানিত হইলো এক গাছের বাকল আরেক গাছে লাগে না।
+
বয়োবৃদ্ধ যে না মরি বাচি করে এটা প্রমান করার জন্য হলেও এই পোষ্টে মন্তব্য করতেই হবে
১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০৬
ল বলেছেন: হা হা হা
২২| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ১৭ কোটি মানুষের পরিবারের সত্য ঘটনা, তবে কেউ কেউ মুখ ফসকে বলে আর কেউ বলেনা, কেনো বলেনা তার বিবরণ আমার নিজের লেখার চেয়ে ফকির গুরু লালন শাহের গানের আশ্রয় নিচ্ছি: -
জাত গেলো জাত গেলো বলে
এ কি আজব কারখানা !
জাত গেলো জাত গেলো বলে...
সত্য কাজে কেউ নাই রাজি
সবই দেখি তা না না না
জাত গেলো জাত গেলো বলে
আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে
কি জাত হবা যাবার কালে
এ কথা ভেবে বল না
জাত গেলো জাত গেলো বলে
এ কি আজব কারখান !
ব্রাহ্মন চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেতে সবাই শুচি
দেখে শুনে হয় না রুচি
যম তো কাকেও ছাড়বে না ।।
জাত গেলো জাত গেলো বলে
এ কি আজব কারখান !
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়
আ ভ্রম তো গেলো না।।
জাত গেলো জাত গেলো বলে
এ কি আজব কারখান !
গুরু, পাশে ছিলাম পাশে থাকবো এটি আমার প্রতিশ্রুতি
১২ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৮
ল বলেছেন: আমার মন তো বসে না গৃহ কাজে
সজনি গো
অন্তরে বৈরেগীর লাওয়া বাজে ।।
সজনি গো….
কি করিব কোথা যাব
এ দুঃখ কারে জানাবো
মন মেলে তো মানুষ মেলে না ।।
ওরে কারো কথা কেউ শোনে না গো
হায়রে কারো কথা কেউ শোনে না
যার যেভাবে বোঝে
অন্তরে বৈরাগীর লাওয়া বাজে
সজনী গো…..
লাওয়া তিন তারে টানা
মধ্যের তারে আনাগোনা
প্রেম রসে মধুরও ঝংকারে ।।
আমি মধুরে বঞ্চিত হইলাম ভব রসে মজে
অন্তরে বৈরাগীর লাওয়া বাজে
আমার মন তো বসে না গৃহ কাজে
সজনি গো
অন্তরে বৈরেগীর লাওয়া বাজে ।।
————–
সুরকারঃ সুবল দাশ
গীতিকারঃ মনিরুজ্জামান মনির / মাসুদ করি
পাশে থাকায় চিরকৃতজ্ঞ!!! ভালোবাসা অফুরন্ত!!
২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন:
নারী চরিত্র সদা রহস্যময় !!
প্রতি পলে সমঝে চলতে হয়।।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৩
ল বলেছেন: ভালো বলেছন।।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:৩৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা গল্প নাকি সত্যি ঘটনা? অবশ্য এমন ঘটনা এদেশে বাংলাদেশী সমাজে অহরহ ঘটে। ঘটনা কোনদিকে যাবে অনুমান করতে পারছি। তবে পড়তে ভালো লাগছে। চালিয়ে যান।
লেখায় ছোটখাটো সমস্যা আছে। একটু কেয়ারফুলি লিখলে এসব এড়ানো যায়, তাতে লেখাও অনেক সুখপাঠ্য হয়ে ওঠে। এটা অন্যভাবে নিয়েন না আবার!