নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,
পর্ব--৪
******-
রাত প্রায় আট টার সময় রোজী বাসায় ফিরলো তখন পূর্বাকাশে মেঘের তর্জন গর্জন। মেঘের আওয়াজের সাথে তার মনোজগতে শুরু হলো ভয়ঙ্কর তাবৎ অশান্তির গর্জন আর হৃদয়ে ভর করলো কালো মেঘের মতো অচেনা-অজানা কালো ভয়।
একজন মা'কে এমন পরিবেশে আর তার এমন পরিণতি দেখে,বাসায় ফিরে এসে তার হাঁফ ছেড়ে বাঁচা নয় বরং কলিজা ছেঁড়া আর্তনাদ শুরু হলো।
রোজী নিশ্চুপ হয়ে সোফায় বসে একমনে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছে। তার স্বামী নিজের জন্যে এবং রোজীর জন্যে পরিপক্ব হাতে কাপড় ইস্ত্রী করে চলছে।
রোজীর মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছে না,শুধু ভাবনার অতলে হারিয়ে যায় তার অবুঝ মন। আনমনে বসে শুধু আজকের আজব দিনটার কথা ভাবছে!
স্ত্রীর এমন মনমরা অবস্থা দেখে সোহেল বলতে লাগলো-
কি হলো! তুমি ঠিক আছো তো!
--কেউ কোন অনুষ্ঠানে গেলে মন ভালো করে আসে আর 'তুমি তার উল্টো'!
--- কি হলো আমাকে খুলে বলো?
---আমি যেতে পারি নাই বলে মন খারাপ?
--অন্যমনস্ক হয়ে রোজি কি যেন ভাবছে দেখে, সোহেল খুক খুক করে কাশি দিয়ে রোজির দৃস্টি আকর্ষন করে আবার বলল-
-- আমিতো আরো ভাবছিলাম তোমাকে একটা সুখবর দেবো এখন দেখি, ---
"তোমার চাঁদ মুখ মলিন করে বসে আছো "
-রোজী কিছুটা স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করলো কিন্ত স্বামীর চোখে চোখ পড়তেই সে অবুঝ শিশুর মতো কাঁদতে লাগলো---
তার স্বামী বুঝতে পারলো অবশ্যই কোন সমস্যা হয়েছে,তাই রোজীর মনের এই বেহাল অবস্থা।
যেকোন কারণে রোজী খুব বেশী কষ্ট পেলে অঝোরে কাঁদতে থাকে যতক্ষণ না আপনা আপনি কান্না বন্ধ হয়। স্বাভাবিক অবস্থা যা সাধারণত একটানা পঁচিশ মিনিট লাগে তার বাঁধ ভাঙা কান্না শেষ হতে।
তাই সোহেল রব তার স্ত্রী'কে বুকে জড়িয়ে ধরে অভয় দিয়ে বললো যাও রুমে গিয়ে শুয়ে বিশ্রাম নাও,
--আশাকরি সব ঠিক হয়ে যাবে!!
-সোহেল, স্ত্রীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আবারো টুকটাক গৃহস্থালি কাজে মন দিলো যা সাধারণত বন্ধের সময়টায় সে করে থাকে, যেমন ইস্ত্রী করা,মেয়ের খেলনা গোছানো,ঘরের মেঝে,বেলকনিসহ বিভিন্ন দিক পরিস্কার করা যাতে তার স্ত্রীর একটু সাহায্য হয় এবং এতে করে কায়িক পরিশ্রমের ফলে শরীরও কিছুটা হালকা বোধ করে।
-প্রায় ঘন্টা খানিক পর,সোহেল রবরুমে এসে দেখলো তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্ত তার চোখে এখনো ঘুম নেই। সে ভাবতে লাগলো তার স্ত্রী আসলেই একটা নিস্পাপ মেয়ে যে কিনা অতি সহজেই কাউকে বিশ্বাস করে,আবার একটু কষ্ট পেলে খুব সহজেই ভেঙে পড়ে।
আর বিয়ের পর তার মধ্যে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করলো যেমনটা তার নিজের মধ্যেও এসেছে। এইতো মা-বাবার একমাত্র সন্তান হিসাবে সে কখনো রান্না করা তো দুরের কথা নিজের প্লেট ধৌত করে নি, নিজের জামা কাপড় মা আর বুয়া ধুয়ে দিতে আর ইস্ত্রী করার জন্যে সেই স্কুল জীবন ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে কত টাকা গচ্চা দিয়েছে তার হিসাব করলে নিজের খারাপ লাগে।অথচ এদেশে নিজের কাজ সবাই নিজে করে নেই কোন বুয়া,নেই কোন সংকোচ,নেই কোন সংশয়। সে নিজে বাজার করে, ঘর পরিস্কার করে,নয়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করে। কাজে একদিন দেরী হলে পরেরদিন ডিসিপ্লিন মিটিং আর দেশে কত স্কুল আর কত ক্লাস ফাঁকি দিলো তার এসব ভাবলে নিজের কাছে খারাপ লাগা ছাড়া আর কিছু নেই।
আসলে পরিবেশ-ই বোধ হয় সম্পূর্ণরূপে মানুষকে তৈরি করে টিকে থাকার মতো মানানসই আর উপযোগী করে তোলে। মানুষ যে পরিবেশে বড় হয়, সে পরিবেশ থেকেই শিক্ষা গ্রহন করে। পরিবেশ-ই বড় শিক্ষক।এসব ভাবতে ভাবতে সেও চলে গেলো ঘুমের জগতে।
-এদিক বিছানায় শুয়ে পড়ে রোজী গভীর ঘুমে চলে গেলো যেমন করে বহুদিনের ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহ একটু আরাম পেলে হারিয়ে যায় ঠিক তেমনি।গভীর ঘুমের মধ্যে রোজী বাবাকে স্বপ্নে দেখলো, বাবা মারা যাওয়ার পর কখন সে বেশি কষ্ট পেলে বাবাকে স্বপ্নে দেখে আজও সেটাই হলো,
-------'বাবা তার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেছেন!!
''মাগো''তোর কি মনে আছে সেই একটি দিনই আমি তোর প্রতি খুব রাগ করেছিলাম?
মনে আছে সেই স্মৃতিকথা যেদিন জীবনের প্রথম ও শেষবারের মতো তুই আমার কথার উপর কথা বলেছিলে?
যখন তুই তোর কলেজ ফাইনাল ইয়ারে ছিলে, সেদিন রাতে আমি তোকে বলেছিলাম আমার জন্যে রুটি বানিয়ে আনতে। কারণ তখন ডায়বেটিসের জন্যে দু'বেলা রুটি খেতাম।
কি আশচর্য! সেদিন তুই বলেছিলে আব্বু আমি মা কে বলছি আপনাকে রুটি তৈরি করে দিতে কারণ কাল আমার ফাইনাল প্রজেক্ট জমা দিতে হবে।
-আর ঠিক তখনিই আমি রেগে গিয়ে বলেছিলাম ---
"তুমি আমার ছোট মেয়ে"
-- বড় মেয়েকে বিয়ে ---দেওয়ার পর এখন তোমার উপর মা-বাবাকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব বেশী। আর সাথে সাথে তোমার একমাত্র ছোট ভাইকে ও তোমার শাসন,সোহাগ দিয়ে আমাদের মতো তোমারও সমান দায়িত্ব।
----আমার রাগ দেখে তোমার সে কি কান্না তার পরও আমি তোমাকে দিয়েই রুটি তৈরি করে তারপর খেয়েছিলাম।
--আজও হয়তো তুমি অনুধাবন করতে পারছো! কেন সেদিন তোমাকে এত কড়া শাসন করেছিলাম?
"তোমার নিশ্চয়ই মনে আছে"
- সেদিন তোমাকে বলেছিলাম, জীবনে তিনটি জিনিস আজ থেকে মেনে চলবে এটা আমার আদেশ,
(১)জীবিত অবস্থায় সবসময় তোমার পিতামাতাকে দেখাশোনা করা,তাদের খেয়াল রাখা,তাদেরকে সদা সর্বদা খুশি রাখা
পিতামাতাই তোমার "বর্তমান"আর "প্রধান কর্তব্য" এতে কখন কোন পরিস্থিতিতে সামান্যতম গাফিলতি করো না।!
(২)তোমার আজকের এই লেখাপড়া হলো তোমার একান্ত "ব্যক্তিগত অর্জন"
যা তোমাকে আগামী দিনের জন্য মানুষ হয়ে সমাজে ভালোভাবে বসবাস করার জন্য উপাদেয় মাত্র। এই অর্জনের জন্য তোমাকে কষ্ট,যন্ত্রণা,ধ্যাণ,ধৈর্য প্রয়োজন তা সামর্থ্যনুযায়ী করো।
(৩)তোমার সন্তান হলো তোমার ভবিষ্যত। তুমি তাদেরকে যেমন দেখতে চাও তেমনইভাবে গড়ে তোল।আর সবসময় তাদের ও তোমার বর্তমানের উপর জোর দিও,বর্তমান ভালো তো ভবিষ্যত মসৃণ।
-----আমি আশাকরি আজ বুঝতো তোমার কোন দ্বিধাবোধ নেই,-------
------কেন আমি সেদিন তোমাকে এমন শাসন করেছিলাম?
------আশাকরি তুমি আমাকে কোন দোষারোপ করবে না?
------আমার জন্যে দোয়া করবে কারণ পিতামাতা তাদের মৃত্যুর পর আর কিছু নয় শুধু সন্তানের কাছে দোয়া চায়।
না'বাবা!! আমি কিছু মনে করিনি বাবা!!আমি তোমাকে ভালোবাসি বাবা!! "তুমি আমার আদর্শ বাবা----বাবা--"লাভ ইউ বাবা"-----
--- রোজীর মোবাইলে সেট করা নামাজের এলার্ম বেজে উঠলো "আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম"----
-----আর সাথে সাথে তার স্বপ্নের ঘোর কেটে গেলো।
------সে তার স্বামী'কে নামাজের জন্যে জাগাতে বললো।
------স্বামী স্ত্রী দুজন একসাথে ফজরের নামাজ শেষ করার পর,
---সোহেল খুব উদগ্রীব হয়ে জানতে চাইলো কি এমন ব্যাপারে কাল পার্টিতে ঘটেছিল যে সে সারারাত এমন নির্জীব হয়ে শুয়ে পড়েছিলো।
রোজী তার স্বামীকে সবকিছু খুলে বললো কেমন করে একটা বাঙালি পরিবার আধুনিকতার নামে
উল্টাপাল্টা যা কিছু দেখেছে। সেই থেকে তার মনের সবকিছু যেন উল্টা দিকে ঘুরছে। সে কান্না বুকের মাঝে চেপে ধরে কোনভাবে সেই নরক থেকে বিদায় নিয়েছে।
---সোহেল বললো- সত্যি। বিশ্বাস করা যায় না দিনেে দিনে আমরা কিভাবে এতটা অমানুষ হয়ে চলছি!
- কী আজে বাজে ঘটনা অমাদের সমাজে ঘটছে? নিজের মা-বাবাকে অপমান,অবহেলা এই আধুনিক মানুষের!আমার একদমই বিশ্বাস হচ্ছে না। এসব শোনার পর আমারো মন খারাপ হয়ে গেলো।
---রোজী বললো,আমি তোমার জন্যে 'চা'নিয়ে আসছি---
-- ঠিক আছে, তুৃমি 'চা'নিয়ে আসো আমি দেশে একটা ফোন দেই--
----রোজ খুব আগ্রহ নিয়ে বললো তুৃমি তো রাতে কি একটা সুখবর বলতে চেয়েছিলে!
----আমি ঘুমিয়ে পড়াতে জানতে পারিনি!
"এখন বলো"প্লিজ---
সোহেল রব মুচকি হেসে বলে,
--------তোমার তাহলে এখনো মনে আছে!--------
এটা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়,যে যতই ঘোরে থাকুক আর যতই পাগল হোক বা মানসিকভাবে দূর্বল হোক সুখবর জানার জন্যে সব হৃদয়ে একটা ব্যাকুলতা কাজ করে ---------
(চলবে)
#কি সে সুখবর জানতে চোখ রাখুন আগামী রবিবার।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৬
ল বলেছেন: ভাই আমার,
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭
নজসু বলেছেন:
আজকে আমি প্রথম হলাম।
দেখা হবে কথা হবে আমার প্রিয় লতিফ ভাই।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫০
ল বলেছেন: আ লা ভিউ ভাই আমার সুপার হিরো ---
অবার সেই পথে দু'জনার বলো
দেখা হবে তো? ---
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭
হাবিব বলেছেন: প্রথম না হতে পেরে শোক প্রকাশ করছি
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
ল বলেছেন:
ভালোবাসা বুঝি এমনটা হয় --- কাছে টানে দুটি হৃদয়।।
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪
নজসু বলেছেন:
মানুষের চোখে পৃথিবীটা হয়তো বড়।
ভালোবাসার চোখে পৃথিবীটা খুব ছোট।
হৃদয়ে সবসময় বসবাস হলে, দেখা তো হবেই।
দেখা হতেই হবে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯
ল বলেছেন:
আশায় আশায় তবু এই আমি থাকি!! "
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬
নজসু বলেছেন:
প্রিয় স্যার,
বলছিলাম কি, আমি আবার প্রথম লাইকদাতাও।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৬
ল বলেছেন: ♥♥♥
Champions Troph. ♥♥♥♥ for U.
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯
হাবিব বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই আমি কিন্তু পরথম প্রিয়তে নিয়েছি..
যাক এক যায়গায় তাও প্রথম হয়েছি
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৩
ল বলেছেন:
এটা আমাদের বুদ্ধিমান প্রিয় স্যারের জন্যে। ♥♥♥
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০২
হাবিব বলেছেন: প্রথম বাক্যের টাইপো ঠিক করে দিন
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
ল বলেছেন: কোনটা স্যার?
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৫
নজসু বলেছেন:
এটা তো আমার মাথায় আসেনি।
আমি আমার প্রিয় স্যারকে যতোই পরাজিত করার চিন্তা করিনা কেন,
সত্যিকারের জয়ীকে কখনও পরাজিত করা যায়না।
এবার আসুন সবাই মিষ্টিমুখ করি।
প্রিয় লতিফ ভাই আপনিও নেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১১
ল বলেছেন: হাবিব স্যার যে জিনিয়াস সেটা সবাই জেনে গেছে --
হারানো কঠিন কাজ তবে মনে হয় আমাদের জাতীয় খেলা হা-ডু-ডু-তে জয়ী হওয়ার চান্স কম।
একদিন কাবাডি খেলার দাওয়াত হাবিব স্যার!!! লুল
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৭
নজসু বলেছেন:
নিন্দার নরকের সকল পাঠক মিষ্টিমুখ করবেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৪
ল বলেছেন: এত মিষ্টি খেলে তো ডায়বেটিস হয়ে যাবে।
আমার পদাতিক ভাইয়ের জন্যে রসমালাইয়ের ব্যবস্থা করতাছি।
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৪
হাবিব বলেছেন: মেঘের তর্জন গর্জনের আগের শব্দ...
@সুজন ভাই, মাত্র সাতটা মিস্টিতো আমার একারই লাগবে.
আর আপনি সবাইকে দাওয়াত দিলেন????
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
ল বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, ঠিক করে নিছি, এরজন্য আপনি মহান স্যার।
মিষ্টি কম খান আপনি এমনিতেই মিষ্টি লোক।
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিকটি ভালো হচ্ছে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
ল বলেছেন: ধন্যবাদ আমার শ্রদ্ধেয় রাজীব ভাই,
এটা যদি মোটামুটি হয় তবে দুটি ভাষায় প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
আবারো ধন্যবাদ।
শুভ হোক আপনার প্রতিটি দিন।
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লেখা !
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
ল বলেছেন: মারহাবা!!
ব্লগ শ্রেষ্ঠ কবিরাণীর আগমনে উৎফুল্ল হলাম।
পাঠ ও মন্তব্যে প্রীত হলাম।
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: তিনটি জিনিস আমার মন ছুয়ে গেল।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
ল বলেছেন: এম রহৃান ভাই,
তিনটি জিনিস যদি জীবন কে বদলে দেয়, বদলে যাই।
কবির চোখ গল্পের মূলে।
মনের মতো মন্তব্য।
ভালো থাকবেন।
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই ,
আপাতত আমরা থুরি রোজি নিন্দার নরক থেকে বার হলেন। এক টুকরো নরক দেখেই তিনি বুঝতে পারলেন তিনি পিতা মাতার কাছ থেকে কি শিক্ষা পেয়েছেন । মনে মনে বাবা মাকে এমন মধুর মূল্যবোধ তৈরির জন্য অশেষ ধন্যবাদ দিলেন। আর সে কারণেই বোধহয় ইহজগতেই স্বর্গ ও নরকের পার্থক্যটা অনুধাবন করে ওনার মনোজগতে এতটাই বিষণ্নতায় ভরে গেল যে বাড়ি ফিরে নিজেকে আর স্বাভাবিক রাখতে পারলেন না। সেদিন ভোর বেলা তিনি তার মৃত পিতার স্বপ্ন দেখলেন এক্কেবারে শেষ বেলায় আজানের ধ্বনি উচ্চারণের মুহূর্তে ; চিরাচরিত মুসলিম ঐতিহ্যে যেসময়ের স্বপ্নটাকে সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় , তার সার্থক মিলন ঘটালেন।
পোস্টে লাইক ।
আমার পরবর্তী পর্বে ; রব সাহেবের চমকের অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় লতিফভাইকে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
ল বলেছেন: আপনি যে একজন আদর্শ শিক্ষক মন্তব্যে তাই পরিপূর্ণতা পেলো।
সব বিষয়ে আপনার সাবলীল চিন্তা যে কাউকে আপন করে নিবে।
সময় করে পাঠে করে নির্যাস ছড়ানো মন্তব্যের জন্যে মনটা ভালো হয়ে ওঠে।
শুভ কামনা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
নীলপরি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
ল বলেছেন: নীলপরী --; সোহানী!!!
চাঁদগাজীর চোখ যেহেতু সেরা কবি তাহলে কারো সন্দেহ নেই আপনি সেরা কবি।
পাঠ ও মন্তব্যে কৃতার্থ।
১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭
মুক্তা নীল বলেছেন: রোজীর স্বামী খুবই ভাল মানুষ। আপনার এই চরিত্র আমার পছন্দ হয়েছে। সোহেল রব এর সুখবরের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
ল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নীল,
আপনি সময় করে প্রতিটি পর্বে মন্তব্য করে যান কিন্ত আপনার কোন পোস্ট এখনো দেখলাম না।
রহস্য মানবী কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫
নজসু বলেছেন:
পর্ব পাঠে ফিরে এলাম প্রিয় লতিফ ভাই।
ইচ্ছা কি অনিচ্ছায় হোক, অনিবার্যভাবেই আমরা মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ফেলি।
হেন্নার আচরণ ও তার বাবার কারণে মায়ের অবস্থা তাদের নিজের অজান্তেই রোজীকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।
রোজীর মানসিক অবস্থা এই পর্বে ফুটে উঠেছে।
রোজীর স্বামীকে সত্যিকার অর্থে একজন আদর্শ স্বামী বলা যেতে পারে।
হাদীসে আছে, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই,যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।
ফজরের ওয়াক্তে নামাজের জন্য স্বামীকে ডেকে দেয়া পূর্ণবান স্ত্রীদের শ্রদ্ধা ও সালাম।
এগিয়ে চলুক কাহিনি।
আরেকটা বিষয় চিন্তার আছে। হুমায়ূন স্যারের নন্দিত নরকে আর আপনার নিন্দার নরকের মধ্যে একটা তারতম্য খুঁজবো।
একটি অপরটির বিপরীতমুখী নরক। তারতম্য খুঁজবো একদম শেষ পর্বে। যদি পাই।
ভালো থাকবেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
ল বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার,
আমি তো শখের আনকোড়া লেখক, হুমায়ুন স্যারের প্রথম লেখার মতো সারাজীবন সাধনা করেও যেতে পারবো না।
আমি এই গল্পে একটা মেসেজ দিতে চাই যতটুকু সম্ভব এটাই হবে আমার সার্থকতা।
নামের মিল থাকাতে আমার গল্পটা মনে হয় বেষ্ট সেলার হলেও হতে পারে!!"
♥♥♥♥♥
১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
নীল আকাশ বলেছেন: লতিফ ভাই, শুভ রাত্রী!
লেখাটা বেশ তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন, পড়েই বুঝা যাচ্ছে।
আপনি যেহেতু আরও পর্ব লিখবেন, তাই নীচের লাইন গুলি মাথায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি-
১. কথোপকথন এর সময় প্রতিটা লাইনের শুরুতে একটা মাত্র হাইফেন ব্যবহার করবেন। উদাহরন দিলাম নীচে-
-কি? কি দরকার আমার কাছে?
২. একটানা কারও চারটা লাইন কথোপকথন পর পর চার লাইনে না দিয়ে মাঝখানে ব্রেক দিয়ে অপর জনের এক্সপ্রেশন কিছু একটা দেখান। অথবা, চারটা লাইনই একই লাইনে দিয়ে দিন। দেখতে ভাল লাগবে। ব্রেকের সময়
রোজির এই রকম একটা এক্সপ্রেশন দিলে ভালো লাগতো!
অন্যমনস্ক হয়ে রোজি কি যেন ভাবছে দেখে, সোহেল খুক খুক করে কাশি দিয়ে রোজির দৃস্টি আকর্ষন করে আবার বলল-
৩. কিছু খুব কমন একটা ভূল হয়ে যাচ্ছে। একে বলে গুরুচণ্ডালী দোষ। মাঝে মাঝে সাধু ভাষা চলে আসে কেন? আনুমানিক আট ঘটিকা < প্রায় রাত আট টার সময়ে.... মুখে যা বলেন সেটাই লিখুন। সাধু ভাষা লেখা অনেক কঠিন।
৪. বাবা আর মেয়ের কথোপকথনের লাইন ফরমাট নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় লাইনই ভেঙ্গে গেছে। ফাইনাল পোষ্ট দেবার আগে অবশ্যই প্রিভিউ ভাল করে দেখে নিবেন।
৫. প্লিজ, সোহেল রব না লিখে শুধু সোহেল লিখুন। আপনি বাকি সব নাম এক শব্দে দিয়েছেন। এক লেখায় এক রকম জিনিস একই ফরম্যাট ব্যবহার করুন।
এক গাদা দোষ ধরলাম দেখে মাইন্ড করবেন না। এই লেখাটা আমি যত বার পড়েছি, অন্য কেউ পড়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে! ভূল ধরা কঠিন কাজ। আপনি খুব কাছের মানুষ দেখেই, এত রাতে, এত কষ্ট করে, এত গুলি টাইপ করলাম, যেন আপনার পরের পর্বটা আরও সুন্দর লাগে দেখতে আর পড়তে.....
শুভ কামনা রইল!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৮
ল বলেছেন: কতটা ভালোভাসলে তাকে ভালোবাসা বলি!!
কতটা কাঁদলে তাকে দুঃখ বলি!!
কতটা পথ হা্ঁটলে বলো তারে পথিক বলি ----
কতটা আকাশ দিলে বলে এ ঋণ শোধ করি ----
জানি,
কিছু তো সমতুল্য হবে না তাই --
পোড়া এ হৃদয়ে প্রিয়জন তোমায়---
মাটির কলসে ভরে রাখি ---
ইচ্ছে মত পান করবো!!!
আ লা ভিউ নীল আকাশ ভাই --- অনেক শিখলাম।
১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:১৭
আরোগ্য বলেছেন: শ্রদ্ধেয় বড় ভাই,
বিলম্বে পড়ার জন্য দুঃখিত। সকালেই আপনার পোস্ট পেয়েছি এবং বারংবার ব্লগে আসার পরও গল্পটা এতো সময় পড়েনি। তার কারণ হল আপনার গল্প আমি রাতে পড়তে পছন্দ করি। সেই ধারা আজও বজায় রেখেছি। আশা করি আমি কোন ভুল করিনি।
রোজির বাবার উপদেশগুলো আমার খুব ভাল লাগলো। আল্লাহ পাক কোরআনে কয়েকটা জায়গায় বলেছেন, আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করিও না ও পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর।"
অর্থাৎ এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার পরই আমাদের দায়িত্ব মা বাবার খেদমত করা। হাদীসেও মা বাবার মর্যাদার কথা অনেক বার বলা হয়েছে। আমাদের সকলের উচিত সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা জোরদার করা।
রোজি ও তার স্বামীর নামাজ পড়ার দৃশ্যটি চমৎকার হয়েছে।
সোহেল রবের সুখবরের অপেক্ষায় আছি।
বড় ভাই রবিবার যেন সোমবার না হয়।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
ল বলেছেন: পিতার ভালোবাসার
----------------------------
একদা, সামন্য কিছু কারণে এক রাজা আদেশ করলেন পিতা ও পুত্র দুজনকে একশত করে বেত্রাঘাত করা হোক।
বললেন তাদেরকে এই পিলারের সাথে বেঁধে রাখো এবং বাঁশের কঞ্চি দিয়ে প্রহার করো--
- গার্ড বললো, প্রথমে তাহলে বাবা থেকে শুরু করি---
এখানে দাঁড়াও বৃদ্ধ, আমি তোমাকে প্রহার করবো- --১,২,৩,------৯৭,৯৮,৯৯,১০০।
--রাজা বললেন ঠিক আছে তাই যথেষ্ট।
--- এবার ছেলের পালা।
-- এসো ছেলে এই খুঁটির সাথে দাঁড়াও আর তোমার হাত দাও ---
এবার পিতা চিৎকার দিয়ে বললো ---
- না,না,না, আমার ছেলেকে মেরো না!! থামো!! থামো!! দোহাই লাগে থামো!!
- রাজা বললেন, খামোশ তুমি একশো প্রহার শেষ করলে কোন টু-শব্দ করলে না কিন্ত এখন তোমার ছেলেকে আঘাত করার সময় তুমি আহত আর কাঁদছো!!
- বাবা বললো প্রথম একশত বেত্রাঘাত তেমন কষ্টের ছিলো না কিন্তু শেষের প্রতিটি আঘাত যেন আমার হৃদয় উপড়ে ফেলছে।
- দোহাই লাগে আমি এটা সহ্য করতে পারবো না।
এটাই পিতার ভালোবাসা সন্তানের প্রতি।
আসুন আমরা বলি, রাব্বির হাম হুমা কামা রাববা ইয়ানি ছগিরা
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
ল বলেছেন: গল্প আমি নিজেও রাতে পড়তে পছন্দ করি--------------
সুখ সুধা নেয়া হয় রাতে----
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩
নজসু বলেছেন:
হাজির।