নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া- ব্যাধি

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৫


পরকীয়া- ব্যাধি
**************
কতশত রোগ-ব্যাধি ভুবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সর্বত্র-
অগণিত নিরাময়ের পথ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত,
কতোজনের সেরে ওঠে পেয়ে সেবা-শুশ্রূষা-পথ্য
কতোজন ঝরে যায়,কিছু ব্যাধি নয় নিরাময়যোগ্য।

সব ব্যাধিতে সংক্রমিত হয় শুধু একটি দেহের
হোক তা জলাতঙ্ক কিংবা ক্যন্সারের বীজের।

পরকীয়া যে এমন ব্যাধি সুনামি ছড়ায়
দুটি দেহের দহনে সমাজ সংসার পুড়ায়।

সুজন কাঁদে একাএকা খুব নীরবে সঙ্গোপন
অনলে দাহ্য হৃদে সহ্যের মাত্রা হয় অতিক্রম,
নিভানোর কোন উপায় জানে না সন্তরণ
দুঃখ হ্রদ উথলে ঘটে হৃদয়ের শবদেহ।

বিশ্বাসের অপমৃত্যু ঘটিয়ে মেতে গোপন অভিলাষে
নিকৃষ্ট সাধ মেটাতে এতটুকু বাঁধ না মানে,
নিমিষেই বদলে যায় ভেঙে চুক্তি ও একনিষ্ঠতা
বিশ্বাসে চুনকালি মেখে একনিমেষেই হায়েনা।

আধুনিকতার নামে অসাধুতার ছলে
যেই এমন অপকর্ম করে,সে থাকে নাকো সুখে,
তাসের ঘরের মতো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় বেখেয়ালি
মরিচীকার পিছে ছুটে অবশেষে সব গুড়ে-বালি।


রহমান লতিফ
29.07.2018

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! সুন্দর লাগলো লতিফ ভাই , পরকীয়া ব্যাধি। তবে পরকীয়াকে সুনীল গাঙ্গুলী যুবক - যুবতীতে অন্য রূপে দেখিয়েছেন। এনিওয়ে...

শুভকামনা জানবেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

বলেছেন: অনুপ্রেরণা পেলাম প্রিয়

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরকীয়া ব্যাপারটা তো যুগ যুগ ধরে ছিলো। এমনকি নবী মোহাম্মদের সাথে তার চাচাতো বোনের পরকীয়া ছিলো। তার স্বামী কোনো কারনে হতে বাড়ি না ফিরলে তারা দুজন একসাথে রাত কাটাতেন। পৌরাণিক অনেক ঘটনাতেও পরকীয়ার ব্যাপার দেখতে পাওয়া যায়। নবী মোহাম্মদ এমন করে তো মারিয়া কিবতিকে গর্ভবতী করে ফেলেছিলো

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

বলেছেন: আমি এই সম্পর্কে জানি না --------
আমাকে রেফারেন্স দাও

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

রসায়ন বলেছেন: এতদিন জানতাম পরশ্রীকাতরতা আর এখন দেখি পর-স্ত্রী-কাতরতা

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

বলেছেন: সত্য'

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমাদের দেশে ইদানিং পরকীয়া সমস্যা ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে; সুতরাং এগুলো দ্রুত প্রতিকারও করতে হবে। একমাত্র কেবল ব্যক্তি নিজেই পারেন এই সমস্যার সমাধান করতে। আবেগ দিয়ে নয় বরং বিবেক দিয়ে প্রতিটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে; মন থেকে পরকীয়াকে ঘৃণা করতে হবে। সমাজ এবং পরিবার কেউ এতে লিপ্ত হলে তাকে সংশোধিত হওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তবেই হয়তো এই পরকীয়া নামক অভিশাপ কে সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব হবে।

রহমান লতিফ ভাই, এমন ব্যধি নিয়ে লেখা কবিতাটি ভাল হয়েছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

বলেছেন: অত্যন্ত হৃদয় বিদারক

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উম্মে হানির সাথে একই ঘরে কোরান পড়ার কাহিনী পাবেন খাসায়েসুল কুবরা, খণ্ড ১, পৃঃ ১২৫ ও ১৩১ রেয়াত ইবনে মাজাহ আর বায়হাকী। এছীড়া আব্বাস পত্নী উম্মুল ফযলের কোলের একটা কাহিনীও আছে। এছাড়া শবে মেরাজের রাতে সে কার বাড়ি নামাজ পড়ছিলো সেটা উম্মে হানি বর্নিত হাদিসেই পাবেন।

মারিয়া কিবতির ব্যাপারটা মনে হয় জানেন তাই আর রেফারেন্স দিলাম না

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৮

বলেছেন: হযরত মারিয়া কিবতিয়া আলাইহাস সালামকে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট প্রেরণ করেছিলেন মিশরের সম্রাট মুকাউকিস। আমরা জানি যে, নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তৎকালীন সময়ের সম্রাটদের নিকট ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র ও দূত প্রেরণ করেছিলেন। মিশরের সম্রাট মুকাউকিসের নিকট প্রেরিত পত্রের জবাবে মুকাউকিস লিখেছিলেন-

“আমি আপনার পত্র মুবারক পাঠ করেছি এবং যা কিছু আপনি বলতে চেয়েছেন তা অনুধাবন করেছি। আমার জানা আছে যে, এখনও একজন সম্মানিত নবী উনার আবির্ভাব অবশিষ্ট রয়েছে এবং তিনি আসবেন। কিন্তু আমার ধারণা ছিল যে, তিনি শাম (সিরিয়া) অঞ্চলে তাশরীফ মুবারক আনবেন। আমি আপনার কাসেদ (দূত) উনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছি। মুবারক হাদিয়া স্বরূপ আপনার জন্য দুজন মেয়ে প্রেরণ করছি। উনারা দুইজন সহোদরা এবং নিতান্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের। এছাড়া দুল দুল নামক একটি বাহন ও কিছু কাপড় হাদিয়া মুবারক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।”

পত্রে উল্লিখিত এই দুজনের একজন ছিলেন হযরত মারিয়া কিবতিয়া আলাইহাস সালাম, এবং অন্যজন ছিলেন হযরত সীরিন রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহা। হযরত মারিয়া কিবতিয়া আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবারের, অনেক বর্ণনায় সম্রাট মুকাউকিসের আপন চাচাতো বোন। হযরত মারিয়া কিবতিয়া আলাইহিসা সালাম উনাকে হুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে গ্রহণ করেন এবং হযরত সীরিন রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে বিয়ে দেন হযরত হাসসান বিন সাবিত রদ্বিআল্লাহু তায়ালা আনহুর নিকট।

নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্ত্রী হিসেবে কবুল করার জন্য একজন সম্ভ্রান্ত নারীকে পাঠিয়েছেন একজন শাসক, এখানে নোংরামির কী আছে?

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন কি স্বপ্নেযোগে এসব তথ্য পেয়েছেন। মাদক বিরোধী অভিযান যে সফল হয়নি বোঝা যাচ্ছে।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লর্ড অব দ্যা টিকটিকি, একে তো দেশে নাই বছর ১০। আর ওপরে বইয়ের নাম পৃষ্ঠা সহ দিলাম। যদি চান তো কিনে দিতে পারি। পারলে বলেন যে রেফারেন্স ভুল বা মিথ্যা বলছি।

পুরো ইলাবোরেট বই এর স্নাপশট সহ দিয়ে দিবো। পেয়ারা নবী জামরুলীয় কাহিনী পেয়ে যাবেন

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৭

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: প্রীশু নিয়েন লতিফ ভাই।

সমাজে পরকীয়া খুবই মারাত্মক ব্যাধি। বিশেষ করে বিদেশে থাকা লোকদের স্ত্রীগুলো। তারাই পরকীয়া তে লিপ্ত থাকে।
পুরুষ দের আগে ঠিক হতে হবে। পতিতায় যাওয়া বন্ধ করতে হবে।
তাহলে আমি যতটুকু মনে পরকীয়া কমবে।

পরিশেষে বলব আপানার কবিতায় বাস্তবিক চিত্র ফুটে উঠেছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

বলেছেন: প্রীশু নিয়েন

অনুপ্রেরণা পেলাম প্রিয়

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের পরকিয়া থেকে দূরে রাখুক।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৬

বলেছেন: আমিন

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

খুপা! খুপি! কাব্য!

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৭

বলেছেন: সম্পর্ককে চারাগাছের সঙ্গে তুলনা করা যায়। খুব কম ক্ষেত্রেই তা নিজের মতো বেড়ে ওঠে। পানি আর খাদ্যের অভাবে ধীরে ধীরে তা শুকিয়ে যায়। সম্পর্কও এমনই। ফেলে রাখলে গতি হারিয়ে ফেলে। তার যত্ন নিতে হয়

খুপা! খুপি!

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
ল' ভাই,
আপনার কবিতার প্রতিটি লাইন ধ্রুবতারার মতো সত্যি। অপ্রিয় সত্যি কথা, যা কারই কাম্য না। কাওসার চৌধুরী যে মন্তব্য করেছেন, আমিও এতে সম্পূর্ণ সহমত।
পরকিয়া ছিলো, আছে ও থাকবে । তা না হলে চরিত্রহীন নারী, পুরুষ বাচঁবে না। অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক নারী ও পুরুষ করে, পুরো একটা পরিবার ধ্বংস করে দেয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

বলেছেন: #কান্নার ধারাপাত

চিরদিন তোমার বুকের ভেতরে ছিলাম আকাশী শুদ্ধতায়,
তাহলে কেন আজ পারিবারিক গণতন্ত্র খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত প্রায়!

দ্বিপ্রহর রাতে সাধ্য-সুখের অবাধ্য ফুটন্ত কড়াইয়ে,
প্রতিদিনকার বাতাসে;জ্বলে জ্বলে অঙ্গার কামনার লড়াইয়ে।

মন গহীনে সংযত যত কাম উত্তেজনা রক্তের ফ্রেমে বাঁধা,
চটুল মেঘের স্বরে কান্নার ধারাপাতে হয়ে গেছে ফের সন্ধ্যে।

প্রশান্ত মহা সাগরের মাতাল ঢেউ খেলানো সুনীল,
সারাক্ষণ জড়িয়ে আছে জলফড়িং কার্নিশে।

বদলে যাওয়া কবিতাগুচ্ছ আজ চলে গেছে বনবাসে,
কেন তবে তোমার পদধ্বনি;শিরা-ধমনীর স্পন্দনে?

ডেডিকেটেড টু ইউ@মুক্তা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.