নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে মানব! আর নয়তো দেরী; জেগে তুলে বিবেকের তরী করো হিংসার বলিদান। জন্মান্ধ হয়ে থেকো নাকো তুমি;মানুষ বলে হও বলিয়ান ।

তুমি জীবন খুঁজো সুখের নীড়ে, আমি জীবন খুঁজি দুঃখের ভীরে।,,, রহমান লতিফ,,,,

› বিস্তারিত পোস্টঃ

সফলতার অপর নাম একাগ্রতা

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৫



আমি আপাদমস্তক একজন ভাগ্যে বিশ্বাসী মানুষ তারপর সবকিছুর একটি নিয়মনীতির সথে আমাদের খাপ খেয়ে চলতে হয়, আধুনিক সমাজ জীবনে সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রত্যহিক জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। দুঃখজনক হলে ও মানুষের পরস্পরের মধ্যে চিন্তা-চেতনার ঐক্য, বন্ধু ও আত্মীয়তার বন্ধন ও আত্মনিষ্ঠার অকাল আধুনিক সমাজে প্রকঠ ভাবে পরিলক্ষিত হয়। ইদানীং আমাদের তরুন সমাজ ২৪/৭ মুঠোফোনের মধ্যে ডুবে থাকে। নানা পরিসংখ্যান বলে, কিশোর আর তরুণদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজন এই যন্ত্র-বন্ধুটিকে ছাড়া রাতে ঘুমাতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান সময়ে আমরা তথ্যগত ও প্রযুক্তিগতভাবে সবচেয়ে অগ্রসর প্রজন্মের প্রতিনিধি, একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় আগের সময়ের পৃথিবীর মানুষের চেয়ে আমরা কত বেশি সুযোগ-সুবিধা লাভ করছি। যেখানে একটি চিঠি বা একটি ফোন কলের জন্য আমাদের অগ্রজরা কত কাঠখড় পুড়াতে হত, সে তুলনায় ইন্টারনেট,ফোন ও ই মেইলের ব্যবহার্যতা অনেক কিছু এখন বদলে গেলেও, বদলে গেছে ভাষার ব্যবহার, ও অথর্বতা অধিকিন্তু কিছু কিছু জিনিস এখনো আগের মতোই আছে যা সমসময় আপন নিয়মেই বহমান। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মানসিক দক্ষতা, গাণিতিক যুক্তি, সমস্যা সমাধানের কৌশল, যোগাযোগ দক্ষতা, টিমওয়ার্ক নিয়ে বাস্তব জ্ঞানার্জন করেছন; তা কিন্তু অসাধারণ। ক্লাসিকাল স্কুলে এগুলো ছিল তাত্ত্বিক বা থিওরিটিক্যাল যা সফলতার সূত্র। আধুনিক সমাজে কাউকে সফল হতে হলে এসব বাস্তব দক্ষতা প্রয়োজন। কিন্তু আমার চেয়েও এসব তত্ত্বকথা আপনারা বেশি ভালো করে জানেন, বোঝেন। কারণ আগে এসব তাত্ত্বিক গুণ সফলতার পথ নির্মাণ করতো। আর এখন মানুষ এসব বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে। ই -কমার্সের এই যুগে আমরা আগে থেকেই সব জানতে পারি এমনকি পরীক্ষার আগেই রেজাল্ট কিন্তু তারপরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব কাজের জ্ঞান ও দক্ষতা মানুষকে অভিজ্ঞ করে তোলে। নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তুলতে একাগ্রতার বিকল্প নেই।
এমনই একটি উদাহরণ দিচ্ছি,
একজন বেকার ব্যক্তি মাইক্রোসফট এ 'অফিস বয়ের কাজের জন্য আবেদন করলো ।
এইচআর ম্যানেজার তাকে সাক্ষাত্কারের সময় দিলেন তারপর তাকে একটি পরীক্ষা দিলো: অফিসের মেঝে পরিষ্কার। বেকার লোকটি খুব ভালভাবে পরীক্ষায় পাস করেলো।
এইচআর ম্যানেজার আবেদনকারীকে জানায়,"আপনাকে নিয়োগ করা হয়েছে, আমাকে আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিন, আপনাকে কর্মস্থলের জন্য আবেদনপত্র পাঠাবো, সেইসাথে আপনার কাজের জন্য রিপোর্ট করার তারিখ জানাবো।
লোকটি উত্তর দিল, "আমার কোন কম্পিউটার নেই, বা কোনও ই-মেইল নেই!"
এইচআর ম্যানেজার বলেন "আমি দুঃখিত,"যদি আপনার কোনও ইমেল না থাকে, তাহলে আপনার কোন অস্তিত্ব নেই। এবং আমরা যার অস্তিত্ব নেই তকে আমরা নিয়োগ করতে পারি না। "
বেকার লোকটি খুবই হতাশ ছিল। সে কি করবে জানে না। কারণ তার কাছে মাত্র ১0 ডলার ছিল। একবার যদি তা খরচ হয়,তবে খাবার কিনতে আর কোন টাকা পাবে না। সে সুপারমার্কেটের গিয়ে ১০ ডলার দিয়ে টমেটোর একটি বক্স কিনে ঘরে ঘরে গিয়ে সেই টমেটো দুই ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি করে এবং তার অর্থ দ্বিগুণ হলো। সে এভাবে তিনবার পুনরাবৃত্তি করে, এবং $ ৬0 ডলার সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ফিরে। সে বুঝতে পেরেছিলো যে এভাবে কোনভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।
এইভাবে সে প্রত্যেক দিন কাজ আগে শুরু করে এবং দেরিতে ফিরে আসে, এমনি করে তার অর্থ প্রতিবছর দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায়।
শীঘ্রই, সে একটি কার কেনে, তারপর একটি ট্রাক। খুব অল্প সময়ের মধ্যে, তার নিজস্ব চালিত গাড়িগুলি বহন করে এবং পাঁচ বছর পর, ইউ,এস,এর সবচেয়ে বড় খাদ্য খুচরো ব্যবসায়ির একজন হয়ে ওঠে।

এবার সে তার পরিবারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা শুরু করে এবং একটি জীবন বীমা করার সিদ্ধান্ত নেন। সে একটি বীমা কোম্পানীকে ফোন করলো, একটি সুরক্ষা পরিকল্পনা নির্বাচন করার জন্য। কথোপকথনের শেষে, বীমা কোম্পানীর ম্যানেজার তাকে ইমেলের জন্য জিজ্ঞাসা করলো।
লোকটি উত্তর দিল: 'আমার কোন ইমেইল নেই।'
,বীমা কোম্পানীর লোকটি নিরব রইলো । "আপনার কোনও ই-মেইল নেই এবং এখনো একটি সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, আপনার যদি একটি ইমেল থাকতো তবে আপনি আজ কি হতেন কল্পনা করতে পারেন ?
"সে কিছুক্ষণের জন্য চিন্তা করে উত্তর দিলো,"মাইক্রোসফ্টের একটি অফিস বয়!
এ উদাহরণ থেকে বুঝা যায়, আপনি যদি আপনার কাজ হারিয়ে ফেলেছেন বা শুধু একটি সাক্ষাৎকারে ব্যর্থ হন তাহলে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই..
ভাল দিনগুলি এবং আপনার জন্য কিছু ভাল কিছু অবশ্যই সংরক্ষিত আছে। আমাদের সবার উচিৎ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে মনোযোগী হওয়া । কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই সফলতা নিয়ে আসবে যদি সাথে ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা ও কঠোর পরিশ্রম।
বিখ্যাত ম্যাগাজিন Forbs এর লিস্টে এশিয়ার সেরা উদ্দোগতার তালিকায় টেন মিনিট স্কুল ও বোতল বিদ্যুৎ দিয়ে আমাদের তরুনেরা যখন স্থান করে নেয় তখন আশাবাদী হই।
আমরাও পারি।
আশাবাদী হোন,
এই হোক আগামীর পত্যাশা।

এম. রহমান লতিফ
Researcher
On Development Economic
London,UK

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: কিন্তু কারোর কাছে যখন সেই ১০ ডলার ও না থাকে কিছু শুরু করার জন্য!!!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

বলেছেন: যারা আমাকে সাহায্য করতে না করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি ➯ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



চমৎকার লেখনি B-); খুব সাবলীল আর বাস্তবতা নির্ভর লেখা। আপনার ২৪/৭ দেখে লন্ডনের অফ লাইসেন্স শপের কথা মনে পড়ে গেল B-)B-);;

তরুণদের জন্য কিছু টিপস..........

কিছু কঠোর নিয়ম ফলো করতে হবে -
(১) বয় ১৮ হওয়ার আগ পর্যন্ত ফেইসবুক, হোয়াটসআপ, ইমো, ভাইভার ইত্যাদির ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে X(
(২) স্মার্ট ফোন বয়স ১৮ হওয়ার আগে ব্যবহার করা যাবে না X(
(৩) ১৮ বছরের আগে রাতে মোবাইল নিয়ে ঘুমাতে যেতে দেওয়া যাবে না X(
(৪) ইন্টারনেট ব্রাউজারগুলোতে ১৮+ বিষয়গুলো লক থাকবে; ইউজার বয়স প্রমাণ করে তা আনলক করবে X(
(৫) বাবা মা সন্তানদের সময় দিতে হবে; বন্ধুর মতো খোলামেলা কথা বলতে হবে B-) !!
(৬) গ্রাম ও শহর উভয় জায়গায় ধর্ম, বর্ণ নির্ভিশেষে যাতে সবাই একসাথে মিশতে পারে সে জন্য প্রতিটি এলাকায় "কমিউনিটি হল" বানাতে হব B-)
(৭) তরুণ তরুণীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভ্রমনের পর্যাপ্ত সুযোগ করে দিতে হবে B-)
(৮) বেকারত্ব কমিয়ে আনতে হবে; তরুণদের কাজ দিতে হবে B-)

B-) সর্বাপরি, তরুণ তরুণীদের ভাল মন্দ বাছ বিচার করে চলতে হবে B-)

শেষের গল্পটি ২৪/৭ তরুণদের বেশি বেশি পড়া উচি!!!

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে এমন টিপস উপহার দেয়ার জন্য ।

৯) পারিবারিক বন্ধন বাড়াতে হবে
১০) রিলিজিয়াস স্টাডি ও ধর্মের প্রভাব তরুণ তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে ।

আপনি-ই- সেরা,

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন । মনদিয়ে পড়রাম, শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছিলাম যে ,লেখা টা ভাল হতে পারে । হুম আপনার মত আমিও খুব আশাবাদী । হবে ...একদিন আমরাও বিশ্ব জয় কর বো ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

বলেছেন: অভিনন্দন সহ শুভেচ্ছা।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০১

এখওয়ানআখী বলেছেন: চমৎকার লেখা। আমার চিন্তাজগতে একটা পরিবর্তন এলো। ধন্যবাদ

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

বলেছেন: মনোবিজ্ঞানীরা বলেন- মানুষ কষ্ট পায় না, কষ্ট তৈরি করে। কে কেমন কষ্ট তৈরি করবে সেটা তার বেড়ে ওঠা পরিবেশ, শিক্ষা, বিশ্বাসের ভিত্তির ওপর নির্ভর করে। মানুষের শরীর ত্রিমাত্রিক অর্থাৎ বস্তুগত বা শক্ত জিনিস। মানুষ শরীরে আঘাত পায়, ব্যথা পায়, কষ্ট পায়, জ্বালা যন্ত্রণা হয়, কিন্তু মানুষের মন বস্তুগত বা জড় পদার্থ নয়। এটি জ্যোতি, আলো বা ফ্রিকোয়েন্সি একে স্পর্শ করার, আঘাত করার ক্ষমতা কারো নেই। মানুষ শরীরে আঘাত পেতে পারে কিন্তু মনে কখনই আঘাত পায় না। মনে আঘাত বা কষ্ট তৈরি করে।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো কথার কথা

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

বলেছেন: একটি নেতিবাচক মন কখনও আপনাকে ইতিবাচক জীবন দিতে পারে না.

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শত চেষ্টা সত্ত্বেও সফলতা সব সময় সবার ভাগ্যে আসেনা। তবে আল্লাহ কাউকে একেবারে হতাশ করেন না। কেউ নিজে সফল না হলেও তার উত্তরসূরীদের মাঝে সফলতা আসে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সঠিক বলেছেন।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবিকে আজ অন্য রূপে, ভালো লাগলো। চমৎকার লেখনি ও অনুপ্রেরণামূলক পোষ্ট।

শুভকামনা রইল।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

বলেছেন: যে চিন্তা আমার মনকে অস্থির করে তা পজিটিভ থিংকিং নয়। বরং যে চিন্তা আমার মনকে শান্তি দেয় বা শান্ত করে নতুন কিছু করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেয় তাই পজিটিভ থিংকিং। যে চিন্তা হিংসা, বিদ্বেষ, স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা তৈরি করে তা কখনই পজিটিভ থিংকিং নয়। বরং তা শরীর মনকে নেতিবাচক ভাইব্রেশনে আক্রান্ত করে, মন ও শরীরকে বিকৃত করে।

পরোপকারিতা, শ্রদ্ধা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সেবা, অন্যের কল্যাণ কামনা, ভালোবাসা সৃষ্টিকারী ভাবনাই হলো পজিটিভ থিংকিং যার ফলাফল সুখ, শান্তি এবং সন্তুষ্টি

ধন্যবাদ আপনাকে

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ই-মেল আছে।

শান্তি।
আমার পক্ষে সম্ভব না টোমেটো বিক্রি করা।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

বলেছেন: বস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.