![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
যখন কেউ রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে, "আমরা নির্বাচনে অংশ নিবো , তবে নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা ছাড়া নয়," তখন বুঝতে হবে—ব্যাপারটা ঠিক ভোট নয়, বিষয়টা আম্পায়ার। আম্পায়ার যদি আগেই খেলার স্কোর জানিয়ে দেয়, আর ব্যাটসম্যান প্রতিপক্ষের হয়েও ফিল্ডিং করে, তবেই খেলা ‘গ্রহণযোগ্য’। এই হলো আমাদের রাজনৈতিক মঞ্চের ছায়া বিরোধীদের শুদ্ধ সংস্কারবাদ।
নাহিদ সাহেব, একজন প্রতিভাবান বক্তা। এমন বক্তা, যিনি নিজের দলের এলজিআরডি উপদেষ্টা দ্বারা পুরো মন্ত্রণালয় পরিচালনা করিয়ে মুখে বলেন—“আমরা অবরুদ্ধ। প্রশাসন বিএনপির হয়ে গেছে।” ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায়, যেন এক লোক নিজের বাসার সবকিছু নিজের লোক দিয়ে ভরে ফেলার পর বলে, “আমার এখানে বাইরের কেউ থাকতে পারছে না!”
এনসিপির বাস্তবতা হলো—ক্ষমতায় নেই, কিন্তু ক্ষমতার চেয়ে বেশি প্রভাবশালী। ঠিক যেন সরকারকে কোলে বসিয়ে নিজেদের দল চালানো। মন্ত্রণালয়ে ফাইল ছাড়াতে হলে দলীয় লোককে সালাম দিয়ে ঢুকতে হয়, জেলা প্রশাসককে নোট পাঠাতে হয় ফেসবুক ইনবক্সে, আর পুলিশের বদলি হয় “ভাইয়ের নাম কইছেন তো?” এই প্রশ্নের উত্তরে।
তবু তারা নির্বাচন চান না, কারণ—“প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। সত্যিই, সবশেষে রাজার গলাতেও যদি মণিহার না থাকে, তবে রাজ্যতন্ত্র অপূর্ণ থেকে যায় ! এদিকে চাঁদাবাজির হালচাল এমন যে, এনসিপির স্থানীয় নেতারা আজকাল ঠিকাদার নয়—একেকজন ছোটখাটো কাস্টমস অফিসার। যার কাজ শুধু হিসাব নেওয়া—কে কত ভাগ দেবে, কোন স্কিমে কার পছন্দের লোক ঢুকবে, আর কার লাইসেন্স বাতিল হবে। রাজনীতির নতুন সংজ্ঞা এখন “টেন্ডারের ভাগের উপর সংগঠন গড়ে তোলো”।
নাহিদ ভাইয়ের দলের একজন নেতা দল ক্ষমতায় না থাকলেও অফিসে বসে ইউএনওর সাথে মিটিংয়ে বলছে, “ সামনে আমি নির্বাচনে দাঁড়াবো , বুঝে শুনে কাজ করবেন। । ইউএনও কিছু বললে উত্তর আসে, “দেখেন, আমরা কিন্তু সংস্কার করতে এসেছি।” এই সংস্কার এমন, যা শুরু হয় পকেট থেকে আর শেষ হয় তদবীর-বাণিজ্যের হিসাব কষে। তারপরও দাবি— নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই। হ্যাঁ, চাই। তবে সেটা এমন প্রশাসন, যা শুধু আমাদের ফোন ধরে, অন্য কাউকে তোয়াক্কা করে না।
একই সঙ্গে বিএনপিকেও দোষারোপ চলে। অথচ মাঠে বাস্তবতা হলো, বিএনপি এখনো জনতার শক্তিতে টিকে থাকা রাজনৈতিক দল। প্রশাসন ভয় পায়, সরকার অস্থির হয়, জনতা তাদের চেনে। তারা হঠাৎ জন্ম নেয়নি, ফাইলপত্রের ছায়ায় গজিয়ে ওঠেনি, বরং আন্দোলন-সংগ্রামে করে টিকে থাকা ইতিহাসধারী দল। তবু এনসিপির বক্তব্য এমন, যেন বিএনপি তাদের কফির কাপে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে।
সত্যি বলতে, আজকের কিছু বিরোধী দল আসলে বিরোধী না—তারা ‘প্রতিনিধিত্বকারী সরকারপন্থী বিরোধী পক্ষ’ । মুখে গর্জে উঠে, ভিতরে ফিসফিস করে বলে—“ভাই, ১০০ সিট দিলে আগামীকাল নির্বাচন হলেও আপত্তি নাই। "
রাজনীতি এখন বাণিজ্যিক স্বনির্ভরতা অর্জনের ল্যাব। এই ল্যাবের থিসিস হচ্ছে—কীভাবে জনগণের কাছে জনদরদী সাজা যায়, আর পেছনে প্রশাসনের সাথে “প্রজেক্ট শেয়ারিং” চালিয়ে যাওয়া যায়। নাহিদ সাহেব এই থিসিসের শ্রেষ্ঠ গবেষক। তার বক্তব্যে থাকে গণতন্ত্র, বিচার, সংস্কার—আর বাস্তবে থাকে ট্রিক্স খাটিয়ে ভোট ছাড়াই ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করে যাওয়া।
তাই পরিশেষে বলতেই হয়— নাহিদ ভাই, আপনি নিরপেক্ষতা চান না। আপনি চান একটি “রিমোট কন্ট্রোল প্রশাসন”—যার ব্যাটারি বদলাবেন আপনারা, কিন্তু রিমোটের বডিতে লেখা থাকবে ‘গণতন্ত্র’ !
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কমেন্টের সবচাইতে বড়ো দূর্বলতা হচ্ছে আমি যে কথা লিখি নাই সেটার উপর জাজমেন্ট দেয়া। সংস্কার সবাই চাই। আমি নিজেও চাই বিএনপি কিছু সংস্কারের সাথে একমত হোক। যাতে ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠে।
যে দলের একজন উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত সে দল কি করে বলে প্রশাসন নিরপেক্ষ না ? ভুতের মুখে রাম নাম শুনলে হাসি পায়।
যারা নির্বাচন চায় সবাই ভারতের দালাল।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: ক্ষমতা কেউ আপোশে ছাড়তে চায় না।এর জন্য দরকার ঝাড়ুমন্ত্র।গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী না হওয়ায় দেশের এই দুরাবস্থা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব কিছুই শিখেছে আম্লিক থেকে। উন্নয়নের রব তুলে নির্বাচনের কি দরকার ? এই কথা বলতো তারা। এখন নতুন দল একই পথে এগুচ্ছে। সংস্কারের দরকার তাই নির্বাচন দরকার নাই। অথচ যে সংস্কারগুলো করতে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্য লাগে না সেগুলো এখনো সম্পন্ন হয় নাই। প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন, সংস্কার কাজ দ্রুত করতে। আগে নিশ্চয়ই স্লো ছিলো ?
বিএনপির উচিত কিছু সংস্কার মেনে নেয়া। না হলে আম্লিকের মতো নেতৃত্ব শূণ্য হয়ে পড়বে।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সেনাপ্রধানের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে ফাঁকা মাঠে নিজেরা নিজেরা একতরফা নির্বাচন করছে,
এরপরেও নির্বাচন দিতে এত দ্বিধা এত ভয়, নির্বাচনের নাম শুনতেই আতঙ্ক!
প্রকৃত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও সব দল সহ নির্বাচনে আসলে যে টোকাইদের কি 'অবস্থা' হবে সেটাই ভাবছি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আম্লিক নির্বাচনে আসলে জনপ্রিয়তার গপ্পো ফাঁস হয়ে যাবে। নিজেদের ইজ্জত বাচানোর জন্য হলেও নির্বাচনে আসা উচিত হবে না।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ এক দিনও ক্ষমতায় থাকে নাই।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তা বটে ! কিন্তু পাতানো নির্বাচন জাতির গণতান্ত্রিক অধিকারের বিরুদ্ধে আঘাত।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ইনুছ সাহেব যে এতো ক্ষমতালোভী আগে জানতাম না।
তিনি আসলেই অনেক লোভী।
তিনি চান বালকদের কাঁধে ভর করে আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন দলের জন্য উনার যত চেষ্টা !
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:২৫
নিমো বলেছেন: হা!-হা! এখনও নিবন্ধনই পায় নি। ডায়পার ছাড়ার সময় হয় নাই, বিদ্যালয়ে যেতে চায়। এখন পর্যন্ত গঠনতন্ত্র নাই, স্লোগান নাই, আদর্শ নাই, ইশতেহার নাই। আছে কিছু মুখস্ত জার্গন সংস্কার, নতুন বাংলাদেশ, দ্বিতীয়,স্বাধীনতা, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র, নতুন সংবিধান, গণপরিষদ আর গৃহযুদ্ধের উসকানি। মুখে মুখে আওয়ামী লীগ বিরোধিতা আর হুমকি-ধমকি। অন্যদিকে স্থানীয়,সরকার পর্যায়ে পতিত স্বৈরাচারের নেতা-কর্মীদের পুনর্বাসন। জাতীয় ছ্যাঁচড়া পার্টি থেকে অবশ্য এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা অন্যায়।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদের ভবিষ্যৎ ভালো না।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: নাহিদ সারজিস হাসনাত এদের পরিচালনা করছে জামাত।
জামাতের সেখানো বুলি ওরা তোতা পাখির মতো বলে যাচ্ছে।
বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছিলো আওয়ামীলীগ। টানা ১৫ বছর তারা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি।
এখন আওয়ামীলীগ গর্তে। গর্ত থেকে তারা বের হবে। তবে নির্বাচ্চনের পর আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে বের হবে।
ইউনুস সাহেব এবং আমেরিকা কোনোদিন চাইবে না জামাত ক্ষমতায় আসুক।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আম্লিকের কোমর ভাঙবে বিএনপি । সামনে সেদিন আসছে।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সংস্কার অবশ্যই হতে হবে না হলে আম্লিগ আবার ফিরে আসবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অবশ্যই সংস্কার হতে হবে।
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে আমার একটি ছবি আছে।
নোবেল পুরস্কার পাবার পর একদিন দেখা হবার পর ১ মিনিট কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তখন ছবি তোলার অনুরোধ করলে উনি হাসিমুখে ছবি তুলেছিলেন। সেটা সম্ভবত ২০০৭ সালের কোন একটা সময় হবে।
এই ছবিটা নিয়ে আমার বন্ধুরা এখনো দুষ্টুমি করে। বলে- ফেসবুকে ছবিটা ছাউড়া দিমু!!
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমারও ছিলো কিন্তু হারিয়ে ফেলেছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: পরিশেষে বলতেই হয় , জনাব সৈয়দ কুতুব আপনি এই দেশে সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাননা। আপনি চান '' একটা রিমোট কন্ট্রোল প্রসাষন'' যার ব্যটারি বদলাবে পার্শ্ববর্তী দেশ কিন্তু রিমোটের বডিতে লেখা থাকবে -গনতন্ত্র !!