![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ফেসবুক পোস্টে সম্প্রতি ব্রেকিং নিউজ— মিয়ানমার নাকি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে ফেরত নিতে প্রস্তুত! আরও ৭০ হাজার যাচাই-বাছাইয়ে আছে। যেন সাত বছর পর হঠাৎ বুদ্ধির উদয় হয়েছে, আর ভাবছে, "আহা, মানুষগুলোকে তো ফেরত নেওয়া দরকার ছিল!" কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে— কোন মিয়ানমার? সেই মিয়ানমার যেটা নিজেই এখন দেশের অর্ধেক অংশে নিজের ছায়াও দেখতে পায় না? নাকি সেই ‘ফেসবুক মিয়ানমার’ যেটার ঘোষণা শুনে ফাইল পড়ে ঢাকা থেকে উল্টোদিকে শীতলক্ষ্যার জলে ঢেউ ওঠে?
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এখন এমন এক সরকার, যারা নিজেই নিজেদের রাজ্য থেকে বিতাড়িত। রাখাইনের ৯০ শতাংশ এলাকাই এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি তাকালেই দেখা যায়, কোথায় তাদের দখল, কোথায় তাদের ক্ষমতা। অথচ বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক আশাবাদ— এই জান্তার কাছেই ফেরত পাঠানো হবে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ! যে জান্তা ২০১৭ সালের চুক্তিও রাখতে পারেনি, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দূরে থাক, পরের মাসেই প্রতিশ্রুতি ভাঙা শুরু করেছিল— তাদের আজকের কথায় ভরসা রাখা মানে, কসাইয়ের আশ্বাসে ছাগল ঈদের দিন স্বস্তিতে থাকা।
সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হচ্ছে— রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ঘোষণাটা বাস্তবে দাঁড়ায় কোথায় ? যে জমি থেকে তারা বিতাড়িত, সেই জমিই তো জান্তার দখলে নেই। মংডু, বুথিডং, রাথিডং— সবই এখন আরাকান আর্মির হাতে। সেখানেই তো রোহিঙ্গাদের ঘর ছিল। এখন যদি জান্তা বলে, “আসো ভাই, ফেরত চলো”, জিজ্ঞেস করতে হয়— “কই যামু?” এই জবাবটা যদি “তুমি এসো, বাকিটা আমরা দেখব”— তাহলে এটা আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নয়, এটা জাতিসংঘের নতুন থ্রিলার সিরিজের স্ক্রিপ্ট!
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস পর্যন্ত এখন বলে যাচ্ছেন— রাখাইনে ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’ বানান, নয়তো নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করুন। কিন্তু সেজন্য দরকার আরাকান আর্মির সঙ্গে আলাপ। যাদের হাতে এখন ভৌগোলিক নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবতাকে তাদের পাশ কাটিয়ে কূটনীতি করতে চাওয়া মানে হচ্ছে— ‘অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজে বেড়ানো, যেটা নেই-ও না।’ বাংলাদেশ সরকারের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, নিজের হাতে থাকা কার্ডগুলো চিনে তাস খেলা শুরু করা। অথচ আমরা এখনো ‘জান্তা’ নামক মরা ঘোড়ার ওপর বাজি ধরছি— যেখানে ঘোড়া মরলেও গাড়ি ছুটবে এমন ভাবনায় বিশ্বাস রাখতে চাচ্ছি।
আরাকান আর্মি হয়তো রোহিঙ্গাদের নিয়ে পূর্ণ সদিচ্ছা দেখায়নি, কিন্তু জান্তার মতো প্রতিশ্রুতি ভাঙার সিরিয়াল অপরাধীও হয়নি। বাস্তবতা বলছে, যদি সত্যিই প্রত্যাবাসন হয়, তাহলে এর পথ যাবে রাখাইন দিয়ে— আর রাখাইন মানে এখন আরাকান আর্মি। তাই যদি বাংলাদেশ এই ইস্যুতে সামান্যতম কৌশলও দেখাতে চায়, তাহলে কথাবার্তা, মধ্যস্থতা, এমনকি দরকষাকষির টেবিলও বদলাতে হবে। কিন্তু সে তো দূর অস্ত ! আমাদের কূটনীতি এখনো পুরনো খসড়ার নিচে নাক গুঁজে বসে আছে।
বাংলাদেশের কূটনীতি এখন একধরনের "আশার পাইলটিং"— মিয়ানমারের জান্তা হয়তো ফেরত নেবে, হয়তো ব্যবস্থা করবে, হয়তো রাখাইন ‘কনট্রোল’ করবে। অথচ ওরা এখন ‘বেওয়ারিশ বুলেট’ আর ‘পলাতক প্রতিশ্রুতি’র ধারে বাস করছে। এই বাস্তবতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মিয়ানমারের জান্তার মাধ্যমে চাওয়া মানে, ‘অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে মরার নামান্তর’। যদি না বাংলাদেশ নিজেদের কার্ড খেলে, গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে— কিছু কাগজে, কিছু ফেসবুক পোস্টে, আর কিছু আশাবাদের ভাষণে। বাস্তব জীবনেই তো কেউ ফেরে না কথার ফাঁদে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সহ ব্লগারদের সম্মান করুন, সম্মান পাবেন। সবার যার যার পছন্দ আছে। এই সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারবে না যদি চীনের সদিচ্ছা না থাকে।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৬
নিমো বলেছেন: @কুতুব, ব্লগে লিখলেই ব্লগার হয় না। ব্লগারকে সন্মান করি, আবালকে নয়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কড়া সমালোচনা সুন্দরভাবেও করা যায়।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: বার লক্ষ রোহিঙ্গা থেকে দুই লক্ষের মতো রোহিঙ্গাক্ তাদের নাগরিক বলে শীকার করেছে।বাকিরা সব বাংলাদেশর নাগরিক।তাদের নেবার প্রশ্নই আসে না।এটা মেনে নেয়া কোন সমাধান হলো।
তাছাড়া মিয়ানমার কোথায় ফেরত নিবে।রোহিঙ্গারা যেখানে থাকতো সেটা এখন আরাকান আর্মির দখলে।আরাকান আর্মির সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো।আরাকান আর্মির সাথে মিলে ভারত তার কালাদান প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে।বাংলাদেশকে বাইপাশ করে সেভেন সিষ্টারের সাথে যোগাযোগের জন্য।
অন্য দিকে আরাকান আর্মির সহযোগিতায় চট্টগ্রাম দখলের পায়তারা করছে ভারত।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মনে ভারতে না জন্মানোর হতাশা সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায় মনে হচ্ছে !
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক বানান ভুল আছে।শ বর্গ,ন বর্গ জ বর্গ আর ক্এবং খ জীবনেও আয়ত্ব করতে পারলাম না।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহা বড়ো বিষয় নহে !
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদ্দুর বুঝি এগুলো সবই কথার কথা।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভূরাজনীতির প্রেক্ষাপট বড়ো জটিল !
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমি ভারত থেকে অনেক উন্নত দেশের নাগরিক এখন।অতয়েব ভারতে না জন্মানোর আফসোস নাই আমার।তবে আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে যতটা জানি ভারত সম্পর্কে কিছু কম জানি না।ভারতের সকল রাজ্যেই আমি গিয়েছি।তেমনি গিয়েছি বাংলাদেশর প্রতি জেলায়।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খুবই ভালো কথা !
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মোটেই বাস্তবসম্মত নয়। আরাকান মিয়ানমার জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নাই।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খলিল সাহেব যে ভাবে ফাপা প্রচার করেছে পাবলিক ভেবেছে বুঝি সত্যিই আগামী ইদের আগে রোহিঙ্গারা চলে যাবে।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: পিনাকি সাহেব যে মির্জা আব্বাসের হাড়ির খবর বের করে ফেললেন- সেসব নিয়ে কিছু বলেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: লাভ নেই। মির্জা আব্বাস ১৬ বছর ক্ষমতায় নেই। মুরিদান ছাড়া এসব নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
খুবই বাস্তবভিত্তিক ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে মিয়ানমারের জান্তার প্রতিশ্রুতি যে কতটা ফাঁপা ও অবাস্তব, তা লেখায় নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মিয়ানমার নিজের ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণই যেখানে হারিয়ে ফেলেছে, সেখানে তারা কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে—এই প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে যৌক্তিক।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক কৌশলকেও নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। ‘জান্তা’ নামের পুরোনো দরজায় বারবার কড়া নাড়ার চেয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে আরাকান আর্মি বা বাস্তব নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে আলোচনার পথেই হয়তো সম্ভাবনার কিছু আলো দেখা যেতে পারে।
এখন দরকার সাহসী ও কৌশলী কূটনীতি, ফেসবুক পোস্টে ভরসা নয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:১৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সামরিক জান্তা এদেরকে নিয়ে আরাকান আর্মির বিপক্ষে দাঁড় করাতে চায় কি?
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অন্যতম প্রধান কারণ ! আরেকটা হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে করিডোর না দেয় রাখাইন প্রদেশ কে !
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
নতুন বলেছেন: আমার মনে হয় না রোহিঙ্গাদের কোনদিন ফিরিয়ে নেবে।
এদের কিভাবে আমাদের দেশেই ম্যানেজ করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
এরা একবার সমস্যা বাংলাদেশের কাধে দিয়ে দিয়েছে, এখন কোন চাপে সেটা ফিরিয়ে নেবে?
যদি নেয় সেটা বিরাট ব্যাপার। সেই চেস্টা করতে দোষ নাই। তবে দিন যত গড়াবে রোহিঙ্গারা তত বড় সমস্যা আকারে প্রকাশ পাবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখেন না কামাল সাহেব উপরে কি বলছে ! এই আশংকা দিন দিন বাড়বে। অথচ ভাদাদের হাতে নাকি দেশ সুরক্ষিত ছিলো।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
নকল কাক বলেছেন: আমার লেখা ছোটগল্প "এ্যমবুশ" এর ২য় পর্ব "এ্যমবুশ ২" পড়ার জন্য আমন্ত্রণ রইল।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সময় করে পড়ে দেখবো।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬
রানার ব্লগ বলেছেন: ইউনুস সাহেবের একটা সাজানো গ্রাম আছে । যেখানে সবাই সুখী মানুষ । বাহিরের দেশ থেকে ডেলিগেট বা ডোনাররা আসলে তাদের সেই সাজানো গ্রামে নেয়া হয় । গ্রামবাসী নেচে গেয়ে বাংলার চিরচেনা আপ্যায়নে তাদের বরন করে । ডোনার মহা খুশি । বর্তমানে ইউনুস সাহেব একই কাজ বাংলাদেশ নিয়ে করছে । সাজিয়ে গুছিয়ে কেঁদেকেটে মিথ্যার দেশ সাজাচ্ছে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩০
বাকপ্রবাস বলেছেন: কে নিয়ে যাবে ? কোথায় নিয়ে যাবে? কে যাবে? সব মিলে ঘোড়াড্ডিম হবে
১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরা আমাদের দেশেই থাকবে !
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৩
নিমো বলেছেন: আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছিপ নিয়ে বসেছে, মাঝে মাঝে ফাতনা ডুবে যাচ্ছে, এতেই ব্লগের কিছু আবাল তিমি মাছ শিকার হওয়া দেখতে পেয়েছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোন বিনিয়োগ, কূটনীতি, চুক্তি কিছুই সম্ভব হবে না।