নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরের বাড়ির পিঠা খাইতে বড়ই মিঠা ।

কিরকুট

আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।

কিরকুট › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ!

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

যুদ্ধ দুই প্রকার -১. অস্ত্র নির্ভর যুদ্ধ ২.স্নায়ু যুদ্ধ। অস্ত্র নির্ভর যুদ্ধে অস্ত্রের বেচা-কেনা ও ব্যবহার বৃদ্ধি পায় কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধে শুধু অস্ত্র বেচাকেনা ও উৎপাদন বাড়ে না তার সাথে সাথে পন্য সামগ্রি উৎপাদন কমে যায়, দেখা যায় খাদ্য সংকট শুরু হয় দুর্ভিক্ষ। রাশা- ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে তা একই সাথে অস্ত্র যুদ্ধ এবং স্নায়ুযুদ্ধ। দুদেশ এবং দুদেশের এলাই সদস্যরা যুদ্ধের অস্ত্র ব্যবহার কে শিথিলে আনতে পারলেও স্নায়ুযুদ্ধের ভয়াবহ কূটকৌশল থেকে রাশা- ইউক্রেন সহ অন্যান্য দেশের মানুষ কে বাঁচাতে পারছে না।

দেশে দেশে শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক দুর্ভিক্ষ স্বরূপ অবস্থা। বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান মতে এ বছর জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশ এবং কেন্দ্রীয় এশিয়ার ইকোনমিক গ্রোথ সর্বোচ্চ . ৩% হতে পারে৷ পাকিস্তানে অর্থনৈতিক গ্রোথ তো নেই তার উপর মূল্যস্ফীতি বাড়তির দিকে।

বাংলাদেশ ও এই যুদ্ধ কেন্দ্রীয় দুর্ভিক্ষের শিকার। স্নায়ুযুদ্ধের কারনে যেহেতু পন্য সামগ্রি উৎপাদন কে সরাসরি প্রভাবিত করে, রাশা-ইউক্রেনের এই স্নায়ুযুদ্ধও দেশে দেশে পন্য সামগ্রি উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশ শিল্পখাতের যে পরিমান কাঁচামাল রাশা বা ইউক্রেন থেকে আনাতো সেটা এখন আর আনাতে পারছে না বরং চাহিদার তুলনায় কম পরিমান কাঁচামাল দ্বিগুণ দামে আনাতে হচ্ছে। শুধু কাঁচামাল কেন সেকেন্ডারি কাঁচামাল, যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ যা রাশা- ইউক্রেন থেকে আনা হতো তার সবাই এখন অন্য দেশ থেকে দ্বিগুন তিনগুন দামে আনতে হচ্ছে এতে পন্য সামগ্রি উৎপাদন খরচ যেমন বেড়েছে তার সাথে সাথে বাজারে এসব পন্য সামগ্রির দাম বাড়ছে।

বাংলাদেশের বাজারে যে কোন দ্রব্য, পন্য সামগ্রির দাম আগের থেকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন যাপনের জন্য দ্রব্যসামগ্রী আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে এসেছে। এরজন্য অভ্যন্তরীণ বিক্রেতা ও উৎপাদনকারী যতটা দায়ী তার থেকে আরো বেশি দায়ি রাশা- ইউক্রেনের এই যুদ্ধ।

অনেকে বলছে মুরগী,দেশি সাবান, মাছের দাম বাড়ছে কেন, এগুলো তো দেশেরই পন্য? উত্তরটা হলো এগুলো দেশি হলেও এগুলো চলে বিদেশি কাঁচামালে। মুরগির খাবার ভুট্টার ৪০-৫০% আসে ইউক্রেন থেকে, সাবানের কাঁচামালের ২৫-৩০% আসে বিদেশ থেকে যার বেশিরভাগই আসে রাশা- ইউক্রেন হতে, মাছের খাবার, ফসলের বীজের কাচামালের যে অংশটুকু আগে ইউক্রেন থেকে আনা হতো তা এখন বেশি দূরের দেশের থেকে বেশি দামে দেশে আনাতে হচ্ছে।

স্নায়ুযুদ্ধের প্রথম ও প্রধান ইমপ্যাক্ট হলো বিভিন্ন দেশের জনসাধারণ হয়রানির শিকার হবে। দেশে দেশে পন্য দ্রব্যের উৎপাদন হার কমে যাবে অস্ত্র উৎপাদন বেড়ে যাবে। মানুষের মৌলিক ও সম্পূরক অধিকার বিনষ্ট হবে এবং রাষ্ট্র অস্ত্র কেনা ও উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুকবে।

বাংলাদেশ কোনদিক দিয়েই স্বয়ংসম্পূর্ণ না সবকিছুর জন্য বাংলাদেশ কে অন্য দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। তাইতো আজ বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে যুদ্ধ চললেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের জনগন কিন্তু এই যুদ্ধের ইমপ্যাক্ট থেকে মুক্ত নয়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ। তাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন যারা প্রবাসী তারা লাভবান হচ্ছে কারণ ডলার বেশী দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। রফতানি করছে যারা তারাও লাভবান হচ্ছে। তবে অর্ডার কমে যাচ্ছে। এই ধরণের বড় যুদ্ধে গরীব দেশগুলির সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উন্নত দেশে বেশী সমস্যা হয় না।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: যুদ্ধের কারনে সারা বিশ্বব্যপীই জিনিষ্পত্রের দাম বেড়েছে ঠিকই তবে বাংলাদেশের মত লাগামছাড়া নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি রাশিয়া বা ইউক্রেন নির্ভর নয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মত বৃহৎ দেশে অর্থনীতি কিন্ত স্টেবল। সেখানে ডলারের দাম আকস্মিক বেড়ে যায়নি। তাহলে আমাদের এখানে কেন? আমাদের দেশে দেখছি যে ,ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভের ওপড় চাপ বাড়ায় সরকার টাকার মান কমিয়ে দিয়েছে । এতে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে কয়েকগুন যে কারনে জিনিষ্পত্রের দামও বেড়ে গেছে লাগামছাড়া ভাবে। অন্যদিকে হুন্ডি কিন্ত আগের চাইতেও বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ নাকি- মাছ, চাল, জামা কাপড় ইত্যাদিতে স্বয়ং সম্পূর্ন?

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: অসৎ এবং অতিমুনাফলোভী ব্যাবসায়ীরাও কম দায়ী না।সেই সাথে আছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা ও ডলারের বিরুদ্ধ কিছু দেশের অঘোষিত যুদ্ধ।সব মিলিয়ে বিশ্বের জন্য একটা খারাপ অবস্থা।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যুদ্ধ হোক বা ঈদ হোক দাম বাড়াতে হবে এইটা আমাদের ব্যবসায়িক সংস্কৃতি।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল বিষয় তুলে এনেছেন।
এমন কিছু জিনিসের দাম তিন চারগুন হয়ে গেছে যা নিত্য প্রয়োজনীয় নয় কিন্তু যাদের প্রয়োজন তারা হিমসিম খাচ্ছে। এদিকে কেউ নজরই দিচ্ছে না।
এবার পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ফেরির ভাড়া একলাফে দু'শ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে, যার যেমন মনে চাচ্ছে শূধু আমদানীর সীমাবদ্ধতা আর রুশ উক্রাইবের যুদ্ধের দোহাই দিয়ে বাঁধাহীনভাবে দাম বাড়াচ্ছে।
যুদ্ধের ইস্যুতো আছেই- কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এদেশে অসৎ ব্যাবসায়ীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ ফায়দা লুটছে।
যদিও আমার আলোচনা আপনার লেখার সাথে সামঞ্জস্য নয় তবুও এ ব্যাপারগুলোও নজ্রে আনা উচিৎ।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরকুট,



সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ। তাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাবিয়ান বলেছেন: যুদ্ধের কারনে সারা বিশ্বব্যপীই জিনিষ্পত্রের দাম বেড়েছে ঠিকই তবে বাংলাদেশের মত লাগামছাড়া নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি রাশিয়া বা ইউক্রেন নির্ভর নয়।
শেরজা তপন বলেছেন : এবার পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ফেরির ভাড়া একলাফে দু'শ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে, যার যেমন মনে চাচ্ছে শূধু আমদানীর সীমাবদ্ধতা আর রুশ উক্রাইবের যুদ্ধের দোহাই দিয়ে বাঁধাহীনভাবে দাম বাড়াচ্ছে।

আসল কথাটি বলেছেন মরুভূমির জলদস্যু। বলেছেন: - যুদ্ধ হোক বা ঈদ হোক দাম বাড়াতে হবে এইটা আমাদের ব্যবসায়িক সংস্কৃতি।
এর সাথে যোগ করে আমি বলি:- আমাদের হলো তিন তিনটি হাত। "অজুহাত"টি হলো সবচেয়ে শক্তিশালী। উছিলা পেলেই আমাদের এই অজুহাত খাসলতটি বেশ চাগার দিয়ে ওঠে। স্বাধীন দেশের মানুষের হাত বলে কথা! ;)

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম।
এসে দেখি কারো মন্তব্যের উত্তর দেননি।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

কিরকুট বলেছেন: না কারো মন্তব্যের উত্তর দেই নাই। কারন ওনারা যা যা বলছেন তার সাথে দ্বিমত করার কোন সুজোগ নাই। সকল কে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.