নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি মানুষের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি, তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে। অনেকের ধারণা, এটি ছিলো বুঝি কোনো সাধারণ কুকুর, চারপেয়ে নিরীহ প্রাণী। আসলে তা নয়। সুনীল যে-কুকুরটাকে দেখতে চেয়েছিলেন, তার নাম পিনাকী ভট্টাচার্য। বাংলাদেশে অনেকের ভেতরেই একটি করে পিনাকী ভট্টাচার্য বাস করে।
পিনাকী ভট্টাচার্য কী করেন? তিনি আপনাদের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা সুনীলের কুকুরটিকে খাবার দান করেন।
পিনাকী ভট্টাচার্য কোনো ‘সিঙ্গেল হিউম্যান এনটিটি’ নয়। এটি একটি ‘কালেক্টিভ হিউম্যান এনটিটি’। মধুর চাককে যদি আমরা ‘বি হাইভ’ বলি, তাহল পিনাকী ভট্টাচার্যকে বলতে হবে ‘হাইভ অভ স্টুপিড পিপল’ বা বেকুবের চাক। মধুর চাকের সাথে বেকুবের চাকের পার্থক্য হলো— বেকুবের চাকে রাণী নিজেই মধু উৎপাদন করেন। মধুর নাম ভিডিও। রাণীর নাম পিনাকী।
বেকুবের চাক কোন ধরনের সমাজে গড়ে ওঠে? সাধারণত হাইলি পোলারাইজড সোসাইটিগুলোই বেকুবের চাকের আদর্শ ব্রিডিং গ্রাউন্ড। রাজনীতিক ক্ষোভ, অর্থনীতিক বৈষম্য, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, কগনাটিভ বায়াস, পুওর হিউম্যান-রাইটস রেকর্ড, ইনস্টিঙ্কটিভ আচরণ, দুর্নীতি, অবিচার, প্রভৃতি নানা কারণে সমাজের বাসিন্দারা যখন বিভিন্ন দলে বিভক্ত থাকে, তখন সেখানে গড়ে উঠে এক বা একাধিক বেকুবের চাক।
মানুষের একটি আদিম প্রবৃত্তি হলো, সে তার নিজের মতামত ও বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি বা ভ্যালিডেশন খুঁজতে পছন্দ করে। যাকে সে দেখতে পারে না, তার বদনাম তার কাছে খুব প্রিয়। গোপাল তার অপছন্দের মানুষ, তাই গোপাল-বিরোধী যেকোনো সংবাদ তার ভালো লাগে। কেউ যদি ভবিষ্যদ্বাণী করে, গোপাল আগামীকাল বিপদে পড়বে, তাহলে তার খুশির সীমা থাকে না। এগুলো সবই কগনাটিভ বায়াসের ফল। প্রিমিটিভ স্যাভেজ সোসাইটিগুলোর দিকে তাকালে মানুষের এমন আচরণের কিছু ইভোলিউশোনারি কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু আধুনিক সমাজে এসব আচরণ মানুষের সার্ভাইভালের জন্য সহায়ক তো নয়ই, বরং ক্ষতিকর। পিনাকীরা আপনাদের এ আচরণগুলোকেই ক্যাপিটালাইজ করছেন, এবং বৃদ্ধি করছেন পপুলারিটি। পপুলিস্ট বা জনতুষ্টিবাদী সমাজে পপুলারিটির চেয়ে কার্যকর অস্ত্র আর নেই। পপুলারিটিকে অসৎ মতলবে ওয়েপোনাইজ করা গর্হিত কাজ।
বাংলাদেশের সাধারণ মুসলিমরা বুদ্ধিমান হলেও ফেসবুক মুসলিমরা বেকুব। বেকুব না হলে তারা বুঝতো, নেকড়ে যখন ভেড়ার চর্ম পরিধান করে, তখন সে তা মাংস খাওয়ার লোভ থেকেই করে। নেকড়ে সেজেছে ভেড়ার পালের বন্ধু, এটি শুভ সংকেত নয়। অশুভ সংকেত। পিনাকীরা জানে, এ দেশে ‘ইসলাম’ একটি লাভজনক রসগোল্লা। ইসলামপ্রীতি ও হিন্দুভীতির অভিনয় ভালোভাবে চালাতে পারলে, তারকাখ্যাতি এখানে ‘ওভারনাইট ফেনোমেনা’। তাদের হাবভাব দেখলে মনে হয়, মুসলমানদের জন্য তাদের দরদ নবী মুহাম্মদের চাইতেও বেশি। পুত্রশোকে কেউ মায়ের চেয়ে অধিক কাতর হলে, তাকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে।
পিনাকী ভট্টাচার্য নিজেকে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী’ রাজনীতিক কর্মী হিশেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে একটি বই থেকে কিছু অনুচ্ছেদ কোট করছি:
“মব-জাস্টিস ও মব-জাজমেন্ট— দুটিকেই আমি প্রচণ্ড ভয় পাই। মবের হাতে, অর্থাৎ গণমানুষের হাতে সবকিছু বিচারের ভার তুলে দেয়াটা বিপজ্জনক। কারণ গণমানুষের হার্ড-ইনস্টিঙ্কট রয়েছে। ঝোঁকের বশে পাল বেঁধে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা তাদের আছে। যারা বিহ্যাভিয়োরাল ইকোনোমিক্স বা মব-সাইকোলোজি পড়েছেন, তারা ‘ইনফরমেশন ক্যাসকেড’ নামে একটি বিষয়ের সাথে পরিচিত থাকবেন। ইনফরমেশন ক্যাসকেডে কী ঘটে? ধরা যাক কোনো এলাকায় আপনি বেড়াতে গিয়েছেন। সেখানে আপনার ক্ষুধা পেয়েছে, এবং খাবার খাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁর সন্ধান করছেন। হঠাৎ দুটি রেস্তোরাঁর দেখা পেলেন। একটির নাম ‘A’, আরেকটির নাম ‘B’। দুটি রেস্তোরাঁই খালি। সেগুলোতে কোনো কাস্টমার নেই। আপনি বুঝতে পারছেন না কোন রেস্তোরাঁটির খাবারের মান ভালো। এ অবস্থায় র্যান্ডোমলি, অর্থাৎ দৈব চৈয়নের ভিত্তিতে রেস্তোরাঁ ‘A’-তে ঢুকে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর আরও একটি লোক সেখানে খাবারের সন্ধানে এলো। সে দেখলো যে— রেস্তোরাঁ ‘B’ খালি পড়ে আছে, কিন্তু রেস্তোরাঁ ‘A’-তে একজন লোক বসে খাবার খাচ্ছে। সে ভাববে, রেস্তোরাঁ ‘B’-এর চেয়ে ‘A’-এর খাবারের মান নিশ্চয়ই ভালো। এ জন্য ‘A’-তে কাস্টমার আছে, ‘B’-তে নেই। লোকটি করবে কী, আপনার দেখাদেখি ‘A’-তে ঢুকে পড়বে। এভাবে আরও যারা আসবে, তাদেরও একটি বড় অংশ ‘A’-কে বেছে নেবে। এই যে একজনের দেখাদেখি আরেকজনের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা, এটি গণমানুষের মধ্যে খুব দেখা যায়। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই অন্যের সিদ্ধান্তকে অনুকরণ করে থাকে। নিজের বুদ্ধি-বিবেককে তারা সহজে খাটাতে চায় না। আগামীকাল যদি টেলিভিশনে কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তি বলে ফেলেন— অমুক লেখক চোর, তার সব লেখা নকল, তাহলে গণমানুষদের একটি অংশ চোখ বুজে এ মিছিলে যোগ দিয়ে দেবে। তারা জানতে চাইবে না— ‘জনপ্রিয় স্যার, অমুক লেখকের কোন কোন লেখার কোন কোন বাক্য নকল? তিনি কোন মনীষীর কোন বইয়ের কোন পৃষ্ঠা থেকে নকল করেছেন? নকল কাকে বলে? আমাদেরকে দেখান, আমরা নিজে পড়ে, নিজে তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’ ফেসবুকে আমরা যে-ভাইরাল কন্টেন্টগুলো দেখি, সেগুলোও ইনফরমেশন ক্যাসকেডের ফসল। কেউ একজন কোনো জিনিস নিয়ে মাতামাতি করলো, আর অমনি তার অনুসরণকারীরাও এটি নিয়ে তুলকালাম শুরু করে দিলো। সবাই দলবেঁধে প্রথম জনের মতামতের পুনরাবৃত্তি করতে থাকে।
সেলেব্রিটি মন্টু যদি বলে— রবীন্দ্রনাথ ইসলাম-বিদ্বেষী লেখক, তাহলে তার বুদ্ধিবিমুখ অনুসারী পালও বলতে শুরু করবে— ‘রবীন্দ্রনাথ ইসলাম-বিদ্বেষী লেখক; তাঁকে জুতো মারতে হবে।’ কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কোন কোন লেখার কোন কোন বাক্য ইসলাম-বিদ্বেষী, ইসলাম বিদ্বেষ কাকে বলে, কোনো লেখা ইসলাম-বিদ্বেষী কি না এটি কীভাবে নির্ধারিত হয়, একজন লেখকের ইসলাম-বিদ্বেষী বা ইসলাম-বিরোধী হওয়ার অধিকার আছে কি না, নাস্তিক-বিদ্বেষ জায়েজ হলে ইসলাম-বিদ্বেষ কেন জায়েজ নয়, এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গণমানুষ করবে না। তারা চাইবে কেবল অন্যের টানা উপসংহার নকল করতে। কোনো বিষয়ে অন্যের দেখাদেখি সিদ্ধান্ত নেয়ার এই যে সংস্কৃতি, এটিকে গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করি। অমুকে অমুককে ভোট দিচ্ছে, তাই আমিও অমুককে ভোট দেবো, অমুকে অমুককে ঘৃণা করছে, তাই আমিও অমুককে ঘৃণা করবো, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যে-জাতি নিমজ্জিত থাকে, গণতন্ত্র তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক কাঠামো সৃষ্টির জন্য তাদের কোনো বুদ্ধনির্ভর প্রস্তুতি নেই।
হ্যাঁ, মানুষ যখন জঙ্গলে ছিলো, তখন হার্ড-ইনস্টিঙ্কট বেশ উপকারী ছিলো। এটি আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে অনেক বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করতো। সমাজে সবার পক্ষে সব বিষয়ে ইনফর্মড ডিসিশন নেওয়া সম্ভব নয়। কোনো ফল বিষাক্ত কি না, কোনো প্রাণী বিপজ্জনক কি না, এ বিষয়গুলো একজন অনভিজ্ঞ শিশুর পক্ষে জানা কঠিন। বাবা-মা’র দেখাদেখিই তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একজন বয়স্ক মানুষ বাঘ দেখে দৌড় দিলে, একজন শিশুরও উচিত বাঘ দেখে দৌড় দেয়া। হার্ড-ইনস্টিঙ্কটের এটি একটি বড় ইভোলিউশোনারি কারণ। আমাদের মন বা বুদ্ধি এভাবেই বিবর্তিত হয়েছে। যে-মানুষ বাঘ দেখে পালিয়ে যায় না, তার পক্ষে প্রকৃতিতে টিকে থাকা কঠিন। তবে আদিম মানুষদের হার্ড-ইনস্টিঙ্কট আধুনিক মানুষদের মতো হুজুগে ও ভিত্তিহীন ছিলো না। বাই ইনডাকশন, অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে তারা বুঝতে পারতো, কোন কোন বিষয়ে অন্যের সিদ্ধান্ত নকল করতে হবে। বিপদের সাথে লড়াই করে করে তারা বুঝতো, এই এই ব্যাপারে বিজ্ঞজনের মতামত অগ্রাহ্য করা বিপজ্জনক। আধুনিক সমাজে এমনটি ঘটছে না, কারণ এ সমাজ জঙ্গলের সমাজ থেকে একেবারেই আলাদা। মানুষের হার্ড-ইনস্টিঙ্কট এখন বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, ও সোশ্যাল মিডিয়াতে।
প্রতিবাদীদের দিকে তাকান। সেখানে কী হচ্ছে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ পালবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করছে। অন্ধ ভাল্লুকের মতো আচরণ করছে। প্রতিবাদী মানুষদের আমি সম্মান করি। তাদের কাছে সভ্যতার ঋণ রয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদকে পেশা হিশেবে নিলে বিপদ। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে পেশাদার প্রতিবাদজীবী রয়েছেন। নানা বিষয়ে বুঝে না বুঝে তারা প্রতিবাদ করেন। যেন প্রতিবাদ করার জন্যই তারা জন্মেছেন। প্রতিবাদের বিষয় নির্বাচনেও তারা অসৎ। কর্মের চেয়ে কর্তা তাদের কাছে অধিক মুখ্য। সবাই প্রতিবাদ করছে, তাই আমাকেও করতে হবে— এমন প্রবণতা সমাজের জন্য আত্মঘাতী। আমি চাই মানুষ নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে প্রতিবাদ করুক। অন্যের দেখাদেখি বা অন্যকে অনুসরণ করে যে-প্রতিবাদ হয়, তা সবসময় ভালো ফল বয়ে আনে না। বোধ-বিবেচনা হারিয়ে সারাক্ষণ অন্যের কণ্ঠের চিৎকার নকল করাকে প্রতিবাদ বলে না। বরং এটি ‘হার্ড বিহ্যাভিয়ার’ বা ‘পাল বেঁধে চলার সংস্কৃতি’-কে উৎসাহিত করে। ফ্যাসিবাদের মূল কারণ কিন্তু মানুষের এই ‘হার্ড বিহ্যাভিয়ার’। ভুলে গেলে চলবে না, ফ্যাসিজম ধারণাটির উদ্ভব ঘটেছিলো ‘লাঠির বান্ডিল’ থেকে। অনেকগুলো লাঠি মিলে একটি মুগুর তৈরি হয়। এ মুগুর যখন ভিন্নমতের মানুষদের মাথায় বাড়ি মারতে থাকে, তখন এটিকে ফ্যাসিবাদ বলে। শব্দটি এসেছিলো ইতালীয় ভাষার 'fascio' থেকে, যার অর্থ বান্ডিল। সমাজে বাস করা প্রতিটি মানুষই লাঠি। এরা যদি কোনো রাজনীতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাসের পক্ষে একত্রিত হয়, এবং ভিন্নমতের মানুষদের উপর চড়াও হয়, তখন বুঝতে হবে সমাজে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। পশুরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ জন্য কোনো কাজ করার আগে ভেবে দেখা উচিত— আপনি ফ্যাসিবাদের লাঠি রূপে ব্যবহৃত হচ্ছেন কি না।
ফ্যাসিবাদবিরোধী মানুষও ফ্যাসিবাদী হতে পারেন। ফেসবুকে আমাকে প্রায়ই নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষায় দেখেছি, এ দেশে যারা ফ্যাসিবাদ শব্দটি বেশি উচ্চারণ করেন, বা এর বিরুদ্ধে নিয়মিত শ্লোগান দেন, তারা নিজেরাও ফ্যাসিবাদী। এমন অনেককে পেয়েছি, যারা ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করছেন— কিন্তু নিজেরা ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলন নন। অপছন্দের লেখা লেখেন, এমন লেখকদেরকে তারা শত্রু জ্ঞান করেন। প্রতিপক্ষের প্রতি মনে তীব্র বিদ্বেষ লালন করেন। পছন্দের বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠান, হুজুর, নেতা, ও সেলেব্রিটির পক্ষে তারা যে-ভঙ্গিতে পাল বেঁধে কথা বলেন, এবং অপছন্দের লোকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে কুৎসা রটান, তাতে তারা মানুষ নাকি ভেড়া— এটি বোঝা কঠিন। আপনি খেয়াল করবেন, ইংরেজিতে ‘sheeple’ নামে একটি শব্দ আছে, যেটি তৈরি হয়েছে ‘sheep’ ও ‘people’-কে একত্রিত করে। পিপল বা জনগণ তখনই শিপল হয়ে ওঠে, যখন তার ভেতর শিপ বা ভেড়ার গুণাবলী সংক্রমিত হয়। ভেড়া পাল বেঁধে চলতে পছন্দ করে। কারণ তার বুদ্ধি কম। গায়ের জোরও বেশি নয়। একা থাকলে সে নিরাপদ বোধ করে না। কিন্তু মানুষ বুদ্ধিমান। তার গায়ে জোর আছে, ব্যাংকে টাকা আছে। ফলে মানুষ যদি ভেড়ার মতো ইনস্টিংকটিভ আচরণ করে, তাহলে সমাজে রাজনীতিক ও অর্থনীতিক ঝুঁকি তৈরি হবে। দেখা যাবে, নেকড়েরাই ভেড়া সেজে শিকার নিয়ে ঢুকে পড়েছে অরণ্যে।”
(পৃষ্ঠা: ২৮৯, বই: 'ভোর হলো দোর খোলো খুকুমণি ওঠো রে’, অধ্যায়: পালবদ্ধ পশু)
পিনাকীরা ফেসবুকে ‘ক্যাসকেড ইফেক্ট’ সৃষ্টি করছেন। তারা জানেন, কী কথা কীভাবে বললে ক্যাসকেড ইফেক্টের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করবে ফ্যাসিবাদ। ভিন্নমতের মানুষদের ক্যারেক্টার এসাসিনেশনে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন। কন্সপাইরেসি থিওরিস্ট হিশেবে দখল করছেন শীর্ষ মুকুট। রাজনীতিক ভাষ্যকার রূপে তাদের কোনো ক্রেডিবিলিটি নেই, এটি তারা বোঝেন। লজিশিয়ান হিশেবেও তারা মূর্খ। চেরি-পিকিং ও সোফিস্ট্রিতে অর্জন করেছেন বেকুবদের সমীহ। একজন নারী এক্টিভিস্টকে পিনাকী ভট্টাচার্য যে-ভাষা ও ভঙ্গিতে আক্রমণ করেছেন, তা কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে উচ্চারণ করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো পত্রিকাই এরকম স্ল্যান্ডারাস বাক্য ছাপতে রাজি হবে না। নারী তো বটেই, যেকোনো পুরুষের জন্যও এ ধরনের আক্রমণ ট্রমাটাইজিং। পরিবারহীন, ভালোবাসাহীন, হতাশ, মিসোজিনিস্ট, ভ্যাগাবন্ড, লোনলি, ও অত্যন্ত অসৎ কোনো মানুষের পক্ষেই কেবল এভাবে ভিন্নমতের কাউকে আক্রমণ করা সম্ভব। কোনো মানবাধিকারকর্মী এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। মানবাধিকার কারও কারও জন্য ‘ক্যাচ-অল কার্পেট’। পিনাকীদের জন্য এটি সুরক্ষা-ঢাল। এ ঢাল দিয়ে তারা নিজেদের পাশবিক গুণাবলী আড়াল করতে চায়। সুযোগের অভাবে পিনাকীরা ভার্বাল ভায়োলেন্সে সীমাবদ্ধ থাকছে। কিন্তু সুযোগ পেলেই এরা ভিন্নমতের উপর লিগাল ও লিথাল ভায়োলেন্স চালাবে।
নিটশা বলতেন— হুয়েভার ফাইটস মনস্টার্স শুড সি টু ইট দ্যাট ইন দা প্রসেস হি ডাজ নট বিকাম আ মনস্টার। পিনাকী ভট্টাচার্য এর আদর্শ উদাহরণ। হি ইজ দা গ্রেটার ইভিল দ্যান দ্য ইভিল হি প্রিটেন্ডস টু ফাইট। এ ধরনের সুনীলের কুকুর ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। ফাসিজম চাষের জন্য পিনাকী ভট্টাচার্যের চেয়ে উৎকৃষ্ট ইউরিয়া সার আর হয় না। কোনো রাজনীতিক দলের উচিত নয় এ ধরনের সুনীলের কুকুরের সাথে এলায়ান্স রাখা। এরা গণশত্রু, ভিন্ডিক্টিভ সেইন্ট, ইন ডিসগাইজ অভ আ ফ্রেন্ডলি জেশ্চার।
উপরের আলোচনায় ‘পিনাকী’ শব্দটি দ্বারা কেবল একজন বিশেষ ব্যক্তিকে নির্দেশ করা হয় নি, বরং এ ঘরানার অনেক ব্যক্তির ‘কালেক্টিভ আইডেন্টিটি’-র দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো সুনীলের কুকুর ফেসবুকে আরও অনেকেই আছেন।
সুনীলের কুকুর থেকে সাবধান।
.
—মহিউদ্দিন মোহাম্মদ
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১৬
কিরকুট বলেছেন: চলিতেছে সার্কাস!
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪১
জ্যাকেল বলেছেন: আপনার লেখার আগামাথা উদ্বার করতে যেই ভিডিওতে পিনাকী অসদাচরণ করিয়াছেন উহার লিংকুক দেন, তা নাইলে আপনেও একটা সুনিলীয় কুকুর হিসাবে পরিগণিত হবেন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১৮
কিরকুট বলেছেন: পিনাকির যেকোন ক্লিপস দেখুন। এর জন্য আলাদা করে কোন ক্লিপস দিতে হবে না। অবশ্য সবার মস্তিষ্কে পিনাকি ধরবে না উহা ধুর্ত শ্রীগাল!!
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৪
নিমো বলেছেন: ঢিলটা সঠিক জায়গায় পড়েছে, গর্ত ছেড়ে কুকুর না বেরোলেও জনৈক শেয়াল মামা হুক্কা হুয়া শুরু করেছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:১৯
কিরকুট বলেছেন: শেয়ালের সংখ্যা দিনে দিনে কমছে। কয়েকদিন পর উহা কেবল চিড়িয়াখানায় দেখা যাবে।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২০
শ্রাবণধারা বলেছেন: পিনাকীর যে দু-চারটা ভিডিও দেখে আমি সময় নষ্ট করেছি, সেগুলো দেখে মনে হয়েছে এই লোকটার পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোটাই কদাকার মিথ্যা আর শয়তানী। এ নরাধমের সাথে তুলনা করা চলে ধর্মের লেবাস ধরে মানুষকে ধোকা দেওয়া পাক্কা শয়তানদের সাথেই।
এর এইসব ভিডিওর প্রচুর ফলোয়ার দেখে প্রথম দিকে অবাক হতাম এই ভেবে যে, এত অসংখ্য মানুষ এত স্পষ্ট মিথ্যাও বুঝতে পারছে না। এখন বুঝি যে বাংলার জংগী তালেবানী অন্ধকারাচ্ছন্নরা সংখ্যায় নেহায়েত কম নয়।
জংগীদের মনের শয়তান কে ভাষায় প্রকাশের মধ্যে একটা বাহাদুরী আছে, সে হিসেবে পিনাকী সফল। বিকৃত চিন্তার অধিকারী মানুষের সামষ্টিক বহিঃপ্রকাশ তার ভিতর দিয়ে নির্গত হচ্ছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২০
কিরকুট বলেছেন: পিনাকি ভেড়ার চামড়ার আড়ালে দুষ্টু নেকড়ে।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
আমি নই বলেছেন: পিনাকি, আরাফাত, নিঝুম এরকম সবাই একই গোয়ালের গরু। আর কোনো না কোনো ভাবে দেশের সবাই সুনিলীয় কুকুর, এটা শুধুমাত্র মতার্দশের খেলা। আপনিও আলাদা নন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২১
কিরকুট বলেছেন: কুকুর কয়েক জাতের হয়। কিছু কুকুর কখনোই প্রভু ভক্ত হয় না। যতোই হাড্ডি দেন কামড় ঠিকি দেবে। পিনাকি সেই কুকুর।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিনাকী এবং এই জাতীয় লোকদের সম্পর্কে সঠিক পর্যালোচনা করেছেন। পিনাকী যে দল বা মতবাদের বন্ধু হবে সেই দল বা মতবাদের আর শত্রুর প্রয়োজন নাই। ওটাকে ডুবানোর জন্য পিনাকী একাই যথেষ্ট।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২১
কিরকুট বলেছেন: পিনাকি ভেড়ার চামড়ার আড়ালে দুষ্টু নেকড়ে।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: মৌলোভী পিনাকী ভট্টাচর্য ঠিক যায়গায় মৌ এর সন্ধান পেয়েছে।সে চালে ভুল করেনি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২২
কিরকুট বলেছেন: হ্যা মধু শেষ হলে মৌচাকে আগুন দিতেও কার্পন্য করবে না।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০০
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পিনাকী বা এধরনের যা্রাই বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করে
তাদের অবশ্যই কোন উদ্দেশ্য থাকে ।বর্তমান সময়ে যাচাই করার দ্বায়িত্ব
পাঠকের ।
................................................................................................
কিন্ত তাদের লেখার তথ্যসমূহ একেবারেই ভিত্তিহীন নয় ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
কিরকুট বলেছেন: তিল কে তালা বানালে তথ্যের ভিত্তি থাকে কিন্তু উহা হাইব্রীড তথ্য।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:০৯
তানভির জুমার বলেছেন: গরুর রচনা না লিখে, স্পেসিফিকলী বলা উচিত ছিল পিনাকি কোথায় আপনার ভারা বাতে ছাই দিয়েছে। পিনাকি তথাকথিত বাম-সুশীলদের ভন্ডামী ধরিয়ে দিচ্ছি এই জন্য সে এত জনপ্রিয় হচ্ছে। আমি তার সব ভিডিও সাথে একমত নই তবে তার বেশীরভাগ কথাই সত্য প্রমানিত হয়। অর্থনৈতিক সংকটের কথা সে আরো এক বছর আগে থেকেই বলতেছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
কিরকুট বলেছেন: ছাগ সম পরিমান বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়া আসলে গরুর রচনা আপনার মস্তিষ্কে ধারন করার মতো শক্তি আপনার কোন কালেই ছিলো না। পিনিক নামক ছ্যাচড়া প্রতারক আছে বলেই আপনাদের নিজেদের সুবিধা হয় নিজেকে প্রচার করতে। এই পিনক ছাড়া আপনারা অচল। তাই পিনিকের কোন পাপা আপনাদের পাপ মনে হয় না।
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সময়োপযোগি বিষয়ে চমৎকার বিশ্লেষণ। আমি উহার প্রথমদিকের দু-একটা ভিডিও দেখেই বুঝেছিলাম সত্যের সাথে মিথ্যার মিশেল দিয়ে চমক সৃষ্টি করে স্ট্যান্টবাজি করাই হচ্ছে ওর একমাত্র কাজ। আর সত্যের সাথে মিথ্যাকে যখন চাতুর্য্যের সাথে মিশানো হয় তখন তা হয়ে যায় মিথ্যার চেয়েও ভয়ঙ্কর। ওর ভিডিও গুলো একেবারেই অখাদ্য এবং সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। যাদের এই বিষয়গুলো সনাক্ত করার কৌশল এখনো আয়ত্ত হয়ে নাই তাদের অবশ্য ওর ভিডিও মুখরোচক সুখাদ্য বটে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
কিরকুট বলেছেন: ছাগ শাবকদের অন্তর জ্বালা শুরু হয়ে গেছে। তাহারা তাহাদের গুরুর অপমান মেনে নিতে পারছে না।
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।
আপনারা সাথে আমি একমত। আসলেই ফেসবুক মুসলমানরা বেকুব। এবং আমি বলব সেই সাথে ব্লগের ধার্মিকেরাও বেকুব।
পিনাকী সাহেব রাগে দুঃখে অন্ধ হয়ে গেছেন।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
কিরকুট বলেছেন: পিনিক রাগে দুঃখে অন্ধ না ছাগল হয়ে গেছেন।
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: পিনাকী কি অনেক বড় প্রভাবক?
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আগে হঠাৎ হঠাৎ পিনাকী ভট্টাচার্যের দু-একটা স্টেটাস সামনে পড়ে যেত, পড়তাম, যতটুকু পড়া যায়। ততদিনে চারদিকে তার নাম ছড়িয়েছে, লোকজন তাকে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা করেন। একদিন ফেইসবুকে একটা লিংক পেলাম, কোনো এক টিভিতে নারী বিষয়ক একটা অনুষ্ঠানে তিনি অন্যতম অংশগ্রহণকারী। একটু পরই বুঝলাম, তিনি একপক্ষে একা, বাকিরা অন্যপক্ষে। তবে, তার নামডাক যেরকম শুনেছিলাম, তার কথা ও যুক্তি সেরকম মনে হলো না, এবং আলোচনায় তাকে ঘন ঘন বোল্ড আউট হতে দেখা গেল, শেষ পর্যন্ত তাকে খুব নাস্তানাবুদ হতে হয়।
সিলেম সুনামগঞ্জ বন্যার উপর তার একটা ভিডিওর লিংক পেয়ে ওপেন করেছিলাম। দীর্ঘ ভিডিও'র ২/৩ মিনিটের মতো দেখেছিলাম, তবে, এখানে তার কথাগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছিল।
তার স্টেটাস অল্পবিস্তর পড়ার পর বার বারই মনে হয়েছিল, তার এমন স্ট্যান্ডের কারণ কী? নিশ্চয়ই কোনো অভিসন্ধি বা দুরভিসন্ধি আছে এর পেছনে। এখনো তাই মনে হচ্ছে।
আপনার পোস্ট পড়েই ফেইসবুকে মহিউদ্দিন মোহাম্মদের পোস্টটি পড়তে যাই। সেখানে পিনাকী ভট্টাচার্যও ছোটো একটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এ পোস্টে লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ সুন্দর ভাবেই তার আলোচ্য বিষয়কে ডেভেলপ করেছেন। মহিউদ্দিন মোহাম্মদের নাম আমি এ পোস্টেই প্রথম পেলাম এবং ফেইসবুক থেকে বোঝা গেল, তিনিও পিনাকী ভট্টাচার্যের মতোই একজন বিখ্যাত অনলাইন আলোচক ও বিশ্লেষক, এবং পিনাকী ভট্টাচার্যের মতো তারও অনেক ফলোয়ার এবং শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন।
এ পোস্টের কথাগুলো যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। তবে, ইনফরমেশন ক্যাসকায়েড-এর মতো আরো কিছু টার্ম হয়ত আছে, যেগুলো খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে- যেমন, (১) আপনি জানেন যে, কোনো একটি বিষয়টি ভুল বা অন্যায়, কিন্তু আপনারা একই মতাদর্শের বলে পাবলিকলি সেটাকে সঠিক বলছেন ও সমর্থন করছেন, যেটা পলিটিক্সে একটা নরমাল ফেনোমেনা। এ টেন্ডেন্সিকে এক কথায় কী বলে, আমি সেরকম কোনো টার্ম খুঁজছি। (২) আমার মতো সাধারণ পাবলিক, যখন যার কথা শোনেন, মনে হয় ওটাই ঠিক। যেমন এ পোস্টের বক্তব্য। এগুলোকে আমার কাছে লজিক্যাল মনে হচ্ছে। আবার এটাকে কাউন্টার করে অন্য কেউ যখন যুক্তি উপস্থাপন করবেন, তখন মনে হবে, ঐ কথাগুলোও ঠিক। মানুষের এ প্রবণতাকে কী নামে অভিহিত করা হয়?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
কিরকুট বলেছেন: আসলে পিনাকী কিছু অল্প শিক্ষীত মান মানুষিকতায় গর্ধভ এদের আকৃষ্ট করতে পেরেছে।
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫
আমি নই বলেছেন: মানেন বা না মানেন পিনাকি তার দাবীর পক্ষে কিছুটা হলেও রেফারেন্স দেয়ার চেস্টা করে (পত্রিকার নিউজ, টিভি নিউজ ইত্যাদি), সাথে অনেকটা মিথ্যাও ঢুকিয়ে দেয়। যেটি ভয়ংকর। তবে এটাও ঠিক শেষ কয়েক বছরে পিনাকির করা রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক অনেক পর্যবেক্ষন কাকতালিয় ভাবেই হোক আর তার বিচক্ষনতাই হোক মিলে গেছে। বিশেষ করে রিজার্ভ নিয়ে করা তার পর্যবেক্ষনতো শতভাগ মিলে গেছে, এই মিলে যাওয়ার কারনে তার মুরিদের সংখ্যা বেড়ে গেছে এবং এখন তার সব কথাই তার ভক্তরা বিনা দ্বিধায় মেনে নিচ্ছে। এটা আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
কিরকুট বলেছেন: জোয়ার ভাটার গল্প বলে লোক হাসানোর নাম হলো পিনাকী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পিনাকীজম চালু হয়েছে দেশে?