নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বিজ্ঞানকে।। তাই বিজ্ঞান নিয়ে সকল পোষ্ট করার চেষ্টা করি।।

দীপংকর চক্রবর্ত্তী

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবে হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে।।।

দীপংকর চক্রবর্ত্তী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের টেষ্ট স্টেটাস প্রাপ্তির ১৫ বছর(২৬ জুন)এবং এর পিছনের ইতিহাস !! :-B

৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯


গত ২৬শে জুন ছিল বাংলাদেশের টেষ্ট স্টেটাস প্রাপ্তির ১৫ বছর পূর্তি। ওয়ানডে মর্যাদা লাভের পর নয় মাসের মাথায় বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা লাভের জন্য আইসিসির কাছে আবেদন করে, তখনো এ দেশে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট চালু হয়নি। আইসিসির বেঁধে দেওয়া শর্তের কারণে ২০০০ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে পা রাখে বাংলাদেশ। এত কম অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন জগতে পা রাখাটা বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল, তা সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটা এখনো মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়নি এ দল। যাই হোক........... আমরা একটু পিছনে ফিরে যাই...

এই উপমহাদেশে অনেক আগে থেকেই "ক্রিকেট" নামক খেলার চর্চা হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভীত ধিরে ধিরে শক্ত হতে থাকে। ১৯৭২ সালে ইউসুফ আলীকে সভাপতি ও মোজাফফর হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড গঠিত হয়। রবিন মারলার নামক ব্রিটিশ এক সাংবাদিকের একান্ত চেষ্টার ফলে ১৯৭২ সালে প্রথম এমসিসি দল বাংলাদেশ এ খেলতে আসে। আর এখান থেকেই যাত্রা শুরু হয় আমাদের ক্রিকেটের নতুন ইতিহাসের।

বাংলাদেশ ১৯৭৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্যে পরিণত হয়। রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত অংশ নিতে থাকে আইসিসি ট্রফিতে । ১৯৮৬ সালের ৩১শে মার্চ গাজী আশরাফ হোসেন লিপু'র নেতৃত্বে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করে এবং প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখে।

সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরগরম হয়ে ওঠে টেস্ট দলগুলোর পদচারণায় ১৯৮৮ সালে । ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশও অংশ নেয় তৃতীয় এশিয়া কাপ ক্রিকেট এ । আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করে। এটাই ছিল বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ভয়াবহ বন্যা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আয়োজক হিসেবে সফলতার পরিচয় দেয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর বাংলাদেশ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম জয়ের দেখা পায় ১৯৯৮ সালে।

১৯৯৭ সালে আকরাম খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আইসিসি ট্রফিতে অংশ নিয়ে তীব্র প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ণ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কেনিয়াকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে বিজয় লাভ করে। দীর্ঘ ২২ খেলায় হারের পর মোঃ রফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে কেনিয়ার বিপক্ষে ভারতে অনুষ্ঠিত খেলায় বাংলাদেশ এই জয়লাভ করে।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জেতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার নিয়মিত সদস্য পদ লাভ করে। প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেই বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাদেশ। দলের অসাধারণ ফিল্ডিং এবং খালেদ মাহমুদের ব্যক্তিগত বোলিং (৩/৩১) নৈপুণ্যে বাংলাদেশ ১৯৯৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানকে ৬২ রানে পরাজিত করে। স্কটল্যান্ড এবং পাকিস্তানকে হারানোর পরও বাংলাদেশ বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে যেতে ব্যর্থ হয়।

১৯৭৭ সাল থেকে '৯৭ পযর্ন্ত বাংলাদেশের সকল সাফল্যই পরবর্তিতে টেষ্ট স্টেটাস লাভে সহায়তা করে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি নজরবকাড়তে সক্ষম হয় '৯৯ এর সেই বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অসাধারণ পারফরমেন্স বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেস্ট দলের সদস্য হতে সহায়তা করে। এরই সূত্র ধরে ২০০০ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ক্রিকেট এর এলিট শ্রেণী অর্থাৎ টেস্ট দলসমূহের দশম সদস্য হিসেবে নিজের স্থান করে নেয় এবং টেষ্ট স্টেটাস লাভ করে। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার মাত্র ন' মাসের মধ্যে এ টেষ্ট স্টেটাস প্রাপ্তি সত্যিই বিরল।



তারপর ২০০০ সালের ১০ নভেম্বরের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল। ঢাকায় প্রথম ঐতিহাসিক অভিষেক টেস্ট আয়োজন করা হল ভারতের বিপক্ষে। টাইগারদের কান্ডারর নাইমুর রহমান দুর্জয়ের। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ৪০০ রান । ১৪৫ রান করে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ইতিহাসের অংশ হয়ে যান দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরী করে । বাংলাদেশ এর পক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরী করেন হাবিবুল বাশার সুমন । দুর্জয় ৬টি ও মোহাম্মাদ রফিক নিয়েছিলেন ৩টি উইকেট । কিন্তু বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানেই অলআউট হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯ উইকেটে হেরে যায় ।
এরপরের পাঁচ বছরের যাত্রা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই সুখকর ছিল না। একের পর এক টেস্টে পরাজয়, তবুও টাইগারদের ওপর আশা ছাড়েনি বাংলাদেশের মানুষ। অবশেষে পাঁচ বছরের মাথায় ২০০৫ সালে আসে বহুল প্রতীক্ষিত টেস্ট জয়। অসাধারণ টিম নৈপুণ্য দেখিয়েছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সেই টেস্টে। প্রথম ইনিংসে কোনও শতক ছাড়াই বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৮৮। মোহাম্মদ রফিক ও এনামুল হক জুনিয়রের স্পিনজালে আটকা পড়ে জিম্বাবুয়েকে ২২৬ রানের পরাজয় মানতে হয়।

আর কিছু বলছি না!! তবে একটাই আশা রইল ওয়ানডেটে যেভাবে নিজেদের জয়ের রথ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, টেষ্টেও একই ভাবে নিজেদের প্রমাণ করবে টিম টাইগার।।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন:
বাংলাদেশের প্রথম টেষ্ট দল

২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: সেইসব দিনগুলি

৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: ভাবতেই অবাক লাগে '৯৯ এর সেই নবাগত দল এখন বিশ্ব ক্রিকেটে রাজ করছে!!

:D :D :D

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

সুমন কর বলেছেন: মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১০

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!!

অভিনন্দন জানবেন :)

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.