নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেঁচে থাকলে বড় হবো....

চারাগাছ

চারাগাছ একদিন ডালপালা ছড়াবে.....

চারাগাছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তো আপনি বিজ্ঞান পড়ে কি আবিষ্কার করলেন?

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৩২

চন্দ্রযান চাঁদে পৌঁছেছে। ভারতের দারুণ একটা সাফল্য। বিজ্ঞানের আরো একটা জয়।
এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি পোষ্ট দেখলাম। রাজীব নুরের একটা পোষ্টে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী একটা কমেন্ট করেছেন। কমেন্ট বেশ মন দিয়ে পড়লাম।

"কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের বিজ্ঞানীরাও কম যায় না।তারা গরুর মাংসে ও হাড্ডিতে আল্লাহর নাম আবিসকার করে।আমাদের এক চিন্তক আল্লাহর জন্ম কাহিনী বের করে ফেলেছেন।এটা সহজ কাজ না।"

বিজ্ঞান পড়ুয়া বিজ্ঞানীর যথেষ্ট বয়স হয়েছে আশাকরি। তিনি ব্লগে সময় দিতে পছন্দ করেন। তবে উনার অবসর সময় খুব একটা ভালো কাটে না বোধহয়। শেষ বয়সে মাথার মধ্যে সারাক্ষণ আল্লা খোদা ঘুরপাক খায়। বিজ্ঞান পড়ুয়া ডক্টর কামাল১৮ গরুর মাংসে আল্লাহ নাম খোঁজা বিজ্ঞানীদের তুলনায় কোন অংশে কম যান না । গত কয়েক বছরের ব্লগিংয়ে সেটাই বুঝলাম। উনি এই পোষ্টে সেই পোষ্টে এই কমেন্টে সেই কমেন্টে কারণে অকারণে আল্লাহ খোদা খুঁজে বেড়ান।

তিনি নিখাদ বিজ্ঞান পড়ুয়া। উনার কাছে আমার প্রশ্ন থাকবে-
আপনি বিজ্ঞান পড়ে কি আবিস্কার করেছেন?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁকে আজ পর্যন্ত একটা পোষ্ট দিতে দেখলাম না।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:২৬

হাসান১৯ বলেছেন: তবে বাংলার সংস্কৃতিমনা , বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনা রা মঙ্গলশোভাযাত্রা নামক উৎসব এ প্যাঁচা, বাঘ, হাতি, ময়ূর, ঘোড়া............ইত্যাদি থেকে কিভাবে মঙ্গল পাওয়া যায় সেই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন ।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:২০

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিজ্ঞান বুঝতে গেলে কোরান হাদিস অবশ্যই পাঠ করতে হবে। আজকাল মহাকাশ নিয়ে কাফেররা কি ফালাফালিই না করতেছে, চান্দে কি একটা পাঠাইয়া কি তাদের উল্লাস। অথচ আমাদের দিলের নবী সেই চোদ্দশ বছর আগেই, মহাকাশে গিয়ে সব দেইখা ফেলছে, রকেটের পোন্দে আগুন জ্বালাইয়া তারা ভাবতাছে কি না একটা করছে। আরে ভাই সাত আসমান পাড়ি দিতে এই সব রকেট ফকেট লাগে? শুধু লাগে ইমানী জোশ। সুভানাল্লাহ বলবেন না?

সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১। ঈমান [বিশ্বাস]
পরিচ্ছেদঃ ৭৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর মি’রাজ এবং সালাত ফরয হওয়া।
হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৩০০, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৬২
৩০০-(২৫৯/১৬২) শাইবান ইবনু ফার্‌রূখ (রহঃ) ….. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার জন্য বুরাক পাঠানো হল[1]। বুরাক গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট একটি সাদা রঙের জন্তু। যতদূর দৃষ্টি যায় এক পদক্ষেপে সে ততদূর চলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি এতে আরোহণ করলাম এবং বাইতুল মাকদাস পর্যন্ত এসে পৌছলাম। তারপর অন্যান্য আম্বিবায়ে কিরাম তাদের বাহনগুলো যে খুঁটির সাথে বাঁধতেন, আমি সে খুঁটির সাথে আমার বাহনটিও বাঁধলাম। তারপর মসজিদে প্রবেশ করলাম ও দু’ রাকাআত সালাত আদায় করে বের হলাম। জিবরীল (আঃ) একটি শরাবের পাত্র এবং একটি দুধের পাত্র নিয়ে আমার কাছে এলেন। আমি দুধ গ্রহণ করলাম। জিবরীল (আঃ) আমাকে বললেন, আপনি ফিতরাহকেই গ্রহণ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে গেলেন এবং আসমান পর্যন্ত পৌছে দ্বার খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। জিজ্ঞেস কলা হলো, আপনার সাথে কে? বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হল। সেখানে আমি আদম (আঃ) এর দেখা পাই তিনি আমাকে মুবারাকবাদ জানালেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে উর্ধ্বলোক নিয়ে চললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, তাকে কি আনতে পাঠানো হয়েছিল? বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে আমি ঈসা ইবনু মারইয়াম ও ইয়াহইয়া ইবনু যাকারিয়া (আঃ) দুই খালাত ভাইয়ের দেখা পেলাম। তারা আমাকে মারহাবা বললেন, আমার জন্য কল্যাণের দু’আ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বলোকে চললেন এবং তৃতীয় আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে ইউসুফ (আঃ) এর দেখা পেলাম। সমুদয় সৌন্দর্যের অর্ধেক দেয়া হয়েছিল তাকে। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে ইদরীস (আঃ) এর দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন। আল্লাহ তা’আল তার সম্পর্কে ইরশাদ করেছেনঃ “এবং আমি তাকে উন্নীত করেছি উচ্চ মর্যাদায়” (সূরাহ আল হাদীদ ৫৭ঃ ১৯)।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কে?”[2] তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। অতঃপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে হারূন (আঃ) এর দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে মূসা (আঃ) এর দেখা পেলাম। তিনি আমাকে মারহাবা বললেন এবং আমার কল্যাণের জন্য দু’আ করলেন।
তারপর জিবরীল (আঃ) সপ্তম আসমানের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, কে? তিনি বললেন, জিবরীল। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ। জিজ্ঞেস করা হলো, আপনাকে কি তাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল? তিনি বললেন, হ্যাঁ! পাঠানো হয়েছিল। তারপর আমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হল। সেখানে ইবরাহীম (আঃ)-এর দেখা পেলাম। তিনি বাইতুল মামুরে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছেন[3]। বাইতুল মামুরে প্রত্যেহ সত্তর হাজার ফেরেশতা তাওয়াফের উদ্দেশে প্রবেশ করেন যারা আর সেখানে পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ পান না। তারপর জিবরীল (আঃ) আমাকে সিদরাতুল মুনতাহায়[4] নিয়ে গেলেন। সে বৃক্ষের পাতাগুলো হাতির কানের ন্যায় আর ফলগুলো বড় বড় মটকার মত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে বৃক্ষটিকে যখন আল্লাহর নির্দেশে যা আবূত করে তখন তা পরিবর্তিত হয়ে যায়। সে সৌন্দর্যের বর্ণনা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর আল্লাহ তা’আলা আমার উপর যে ওয়াহী করার তা ওয়াহী করলেন। আমার উপর দিনরাত মোট পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করলেন, এরপর আমি মূসা (আঃ) এর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি আমাকে বললেন, আপনার প্রতিপালক আপনার উপর কি ফরয করেছেন। আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত। তিনি বললেন, আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং একে আরো সহজ করার আবেদন করুন। কেননা আপনার উম্মত এ নির্দেশ পালনে সক্ষম হবে না। আমি বনী ইসরাঈলকে পরীক্ষা করেছি এবং তাদের বিষয়ে আমি অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তখন আমি আবার প্রতিপালকের কাছে ফিরে গেলাম এবং বললাম, হে আমার রব! আমার উম্মতের জন্য এ হুকুম সহজ করে দিন। পাঁচ ওয়াক্ত কমিয়ে দেয়া হল। তারপর মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এসে বললাম, আমার থেকে পাঁচ ওয়াক্ত কমানো হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত এও পারবে না। আপনি ফিরে যান এবং আরো সহজ করার আবেদন করুন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এভাবে আমি একবার মূসা (আঃ) ও একবার আল্লাহর মাঝে আসা-যাওয়া করতে থাকলাম। শেষে আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! যাও দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নির্ধারণ করা হল। প্রতি ওয়াক্ত সালাতে দশ ওয়াক্ত সালাতের সমান সাওয়াব রয়েছে। এভাবে (পাঁচ ওয়াক্ত হল) পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান। যে ব্যক্তি কোন নেক কাজের নিয়্যাত করল এবং তা কাজে রূপায়িত করতে পারল না, আমি তার জন্য একটি সাওয়াব লিখব; আর তা কাজে রূপায়িত করলে তার জন্য লিখব দশটি সাওয়াব। পক্ষান্তরে যে কোন মন্দ কাজের নিয়্যাত করল অথচ তা কাজে পরিণত করল না তার জন্য কোন গুনাহ লিখা হয় না। আর তা কাজে পরিণত করলে তার উপর লিখা হয় একটি মাত্র গুনাহ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তারপর আমি মূসা (আঃ) এর নিকট নেমে এলাম এবং তাকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি তখন বললেন, প্রতিপালকের কাছে ফিরে যান এবং আরো সহজ করার প্রার্থনা করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ বিষয়টি নিয়ে বারবার আমি আমার প্রতিপালকের নিকট আসা-যাওয়া করেছি, এখন আবার যেতে লজ্জা হচ্ছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩১৯)
1. কায়ী ইয়ায (রহঃ) বলেন যে, মি’রাজ স্বশরীরে হয়েছিল না স্বপ্নযোগে হয়েছিল এটা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, স্বপ্নযোগে হয়েছিল। এটা অত্যন্ত দুর্বল কথা। অধিকাংশ পূর্ব ও পরের উলামা, ফুকাহা ও মুহাদ্বিসীনের অভিমত হল প্রিয়নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জাগ্রত অবস্থায় স্বশরীরে মি’রাজ সংঘটিত হয়েছিল। হাদীসসমূহে প্রকাশ্যভাবে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এর বিপরীত হাদীসের অন্য ব্যাখ্যার কোন কারণ বা সুযোগ নেই যে, অন্য তা’বীল করা যাবে। (সংক্ষিপ্ত নাবাবী)
খাদীজাহ (রাযিঃ)-এর মৃত্যু মিরাজের পূর্বেই হয়েছিল। তাঁর মৃত্যু নুবুওয়াতের দশম বর্ষের রমযান মাসে হয়েছিল বলে জানা যায়। কাজেই মিরাজের ঘটনা এর পরেই ঘটেছে, আগে নয়। (আর রাহীকুল মাখতুম, অনুবাদ- খাদীজাহ আক্তার রেজায়ী ১৬৬ খৃঃ)
2. ইমান নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস থেকে কয়েকটি কথা জানা যায়। (১) বাড়ীর মধ্যে হতে কোন আগন্তুককে যদি বলা হয় কে? তার উত্তরে বলবে নাঃ “আমি”; বরং নাম বলতে হবে। (২) আকাশের দরজা আছে। (৩) দরজার নিকটে পাহারাদার আছে। (৪) মেহমানের সম্মানে মারহাবা বলে অভিবাদন জানানো যাবে। এটাই নাবীদের আদর্শ।
3. “বাইতুল মামুর” নামে বাইতুল্লাহর সামনে আকাশের উপরে একটি ঘর আছে। বাইতুল মামুর এজন্য বলা হয় যে, সব সময় এ ঘরটি সমৃদ্ধ থাকে অর্থাৎ প্রত্যেকদিন নতুনভাবে সত্তর হাজার ফেরেশতা ইবাদাতের জন্য আসে। যে একবার আসে সে কোনদিন পুনরায় আসার সুযোগ পাবে না। এ থেকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর ফেরেশতা কত আছে। বাইতুল মামূর সপ্তম আকাশে আছে। ইবরাহীম (আঃ) বাইতুল মামুর এর দিকে পিঠ ফিরে বসে ছিলেন। এ হাদীস হতে এটাও প্রমাণ হয় যে, বাইতুল্লাহর দিকে পিঠ করে বসা যাবে।
4. “সিদরাতুল মুনতাহা” সপ্তম আকাশের উপরের একটি বরই গাছ এবং ফেরেশতাদের বিচরণের শেষ সীমা। অথবা গমনের শেষ সীমা। অর্থাৎ সিদরাতুল মুনতাহার উপর কি আছে আল্লাহ ছাড়া কারও জ্ঞান নেই। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যে সিদরাতুল মুনতাহা এজন্য বলা হয় যে, ফেরেশতাদের জ্ঞান বিচরণ ওখান পর্যন্ত শেষ হয়েছিল। তার আগে তারা যেতে পারেনি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত। আর যারা উপরে আছে তারা এখানে এসে থেমে যায়। নিচে আসতে পারে না এবং যারা নিচে আছে তারা এখানে এসে থেমে যায়। উপরে যেতে পারে না। এটা আল্লাহর নির্দেশ।
এ হাদীস হতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ আরশের উপর সমাসীন আছেন এবং প্রিয় নাবীর সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। যার কোন অপব্যাখ্যার সুযোগ নেই। এ কথোপকথনের মধ্যে পঞ্চাশ ওয়াক্ত হতে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করে নিয়েছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে জিনিস অনেক আগেই বিজ্ঞানীরা করে ফেলেছেন সেটা বারবার করে কোন লাভ নাই। তবে ভারত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়ে অনেক অগ্রসর। তার সুফলও তারা পাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বড় সমস্যা বর্ণবাদ, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অশান্তি, যুদ্ধ, নৈতিকতার অবক্ষয়, গণহত্যা সহ আরও অনেক কিছু। ধনী দেশগুলি অর্থ এবং বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেলেও তারা এগুলি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না অথবা তাদের কারণে এগুলি ঘটছে। কারণ বিজ্ঞানকে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা অশান্তির কাজে ব্যবহার করছি। তবে বিজ্ঞানের কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। অস্ত্র, রকেট এগুলির চেয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের আরও সময় এবং শ্রম দেয়া উচিত।

কামাল১৮ সাহেব অকারণেই অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিকভাবে ধর্মকে টেনে আনেন। ব্লগ কর্তৃপক্ষ থেকেও তাকে এই ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। অনেক নাস্তিক মনে করে বিজ্ঞানই স্রষ্টা। বিজ্ঞান এখনও শিশু অবস্থায় আছে এটা অনেক নাস্তিক বুঝতে পাড়ছে না। তবে এক সময় বিজ্ঞানের সাহায্যে অনেক কিছু হয়তো করা যাবে যেটাকে আমরা অলৌকিক ভেবে থাকি। আমরা তার থেকে এখনও অনেক দূরে আছি।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

আমি নই বলেছেন: মাঝে মাঝে আমার মনেও এই প্রশ্ন জাগে কিন্তু জানি ঐগুলো সব ইসলাম বিদ্বেশি। ওদের কাজই হচ্ছে উস্কে দেয়া। রাজিব নুর একটা পল্টিবাজ, সুযোগ সন্ধানী।

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞান না পড়েই আমি বিজ্ঞান মনস্ক হয়েছি।তথ্য যুক্তি প্রমান সহ কোন কিছু মেনে নেই।অন্ধভাবে কোন কিছু মেনে নিই না।

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে শুধু একটা কথা বলি-
কামাল১৮ সাহেব একজন বুদ্ধিমান ও আধুনিক মানুষ। তার মধ্যে কোনো কুসংস্কার নেই। তার চিন্তা ভাবনা উন্নত। আমাদের দেশে তার মতো যত লক তৈরি হবে, দেশ তত এগিয়ে যাবে।

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: কামাল সাহেব তো প্রায় প্রতিদিন তার আবিষ্কারের তথ্য জানাচ্ছে । চারাগাছ কে আমার প্রশ্ন আপনি কি আবিষ্কার করেছেন জাতি জানতে চায় ।

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় এটা ব্যক্তিগত আক্রমণ মূলক পোস্ট হয়ে গেছে। আপনি উনাকে উক্ত পোস্টে মেনশন করে প্রশ্নটি করতে পারতেন। অন্যের পোস্টের ক্যাচল টেনে আনার তো কোন প্রয়োজন দেখি না।

তাছাড়া বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করলেই সবাই বিজ্ঞানী হয় না আর উনি বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়াও করেননি। বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করা আর বিজ্ঞান মনস্ক হওয়া দুটি ভিন্ন বিষয়।

আচ্ছা- কামাল সাহেব গরুর মাংসে আল্লাহর নামের যে দাবীটি করেছেন দেখি তো তার দাবীটি সত্য কিনা?



হ্যাঁ উনি যে দাবীটি করেছেন তা ১০০% সত্য। 'গরুর মাংসে লেখা ‘আল্লাহ’র নাম" এই লেখাটি দিয়ে গুগলে সার্স করুন, হাজার হাজার প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

আসলে ধর্মভিত্তিক এই সমাজে আপনারা যে বিষয়গুলো এড়িয়ে যান, চেপে যান উনি সেই বিষয়গুলোই তুলে ধরেন।

এই যে দেখেন, মাছের মধ্যেও আল্লাহর নাম খুজে পাওয়া গেছে সোমালিয়াতে।



শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে গরুর মধ্যেও আল্লাহর নাম খুঁছে পাওয়া গেছে। =p~

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

হাসান১৯ বলেছেন: বিষয়টা এরকম হইয়া দাড়াইছে যে , এক লিবারেল দাবি করছে সে ইনসেস্ট (মা - ছেলে, ভাই - বোন, বাবা - মেয়ে) এর সাথে সাথে যুক্ত , সে এই সম্পর্ককে সঠিক মনে করে এবং আমরা সব লিবারেল কেই সেই ভাবে বিবেচনা করতেছি।।।তেমনিভাবে গুটিকয়েক মানুষ গরুর গোশতে আল্লাহ এর নাম নিয়া লাফলাফি করছে সেইটার সব অধিকাংশ মুসলিম এর বদ্ধমূল ধারণা বানাইয়া ফেলতেছি ।।।আজব একটা ব্যাপার।।।

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

ধুলো মেঘ বলেছেন: কামাল ১৮ কে নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই। উনি আগের জীবনে একজন বিজ্ঞানী হয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু বুড়ো বয়েসে বলৎকারের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তাই কখন কি বলেন বা না বলেন - সেই বিষয়ে তার সঠিক কোন জ্ঞান নেই। উনার কথা খুব একটা সিরিয়াসলি না নেওয়াই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.