নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুইসেল বাজাইয়া মাত্রই রাত দশটার মতিহার এক্সপ্রেস ট্রেনটা পাহাড়পুর ছাড়িল। প্রথম শ্রেণীর আলোক সজ্জিত বিলাস বহুল কামরায় একমাত্র যাত্রী হইয়া ডাঃ সুবোল চন্দ্র বোস উঠিয়াছেন। আজন্ম আঁধার ডরাইয়া চলা সুবোল, আঁধারে হারাইয়া যাইবার নিমিত্তে নিজের অজান্তেই কামরার সমস্ত আলো নিভাইয়া ফেলিতে উদ্যত হইল। ল্যাম্পপোস্টের মৃদু বেরসিক আলো জানালার ফাঁক গলিয়া আসিয়া তাহাতে একটু আধটু বাধ সাধিতে চাহিল। নির্জন আঁধারে হারাইয়া যাইতে অগ্যতা স্রষ্টা প্রদত্ত চক্ষু দ্বয়কেই মুদিয়া রাখিলো। অন্ধকারে হারাইয়া যাইতে এখন তাহাকে আর ঠেকায় কে?
আপদমস্তক বাস্তববাদী সুবোল চক্ষু মুদিয়া বড়ই ভাবুক হইয়া উঠিল। আঁধার রাত্রির নির্জনতার মাঝে স্মৃতির ঝাঁপি খুলিয়া, কোন এক সুপরিচিত রমণীর মুখ মনের আয়নায় ফুটাইয়া তুলিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। এন্টি রোমানন্টিক ডাঃ বাবুর প্রেম এবং বিবাহ কোনটাই যেহেতু করাহইয়া উঠে নাই তাই একটু ঝুঁকি লইয়া বলিয়া ফেলা যায় যে তিনি নিশ্চয়ই সবিতা দেবীকে স্মরণে আনিবার চেষ্টা চালাইতেছেন।
সবিতা দেবী সুবোলের ছোট মা। মা মরা সুবোলের মাতৃস্নেহ পূরণ করিবার নিমিত্তে এনাকেই বিয়ে করেছিলেন হরিহর বাবু।সুবলের সেই সাধ কস্মিন কালেই পূরণের চেষ্টাটুকুন যে তিনি করেন নাই উহা শিবপুরের সকলেই কমবেশি জ্ঞাত। মা কহিয়া ডাকিবার পরে সুবলের মস্তকে কেবল হাতটুকুন বুলাইয়া আদর করিয়াছেন এহেন ঘটনাও কেউ কোন দিন দেখে নাই। বরঞ্চ নিজের অমল, কমলের চাইতে সর্বদাই সুবোলকে আড় চোখে দেখিয়াছেন।
আশ্বিনের পুজোর সেই জামা কেনার ঘটনাখানি বলিলেই সুবোলের প্রতি তাহার মাতৃস্নেহের একটা ধারনা পাওয়া যাইতে পারে। সেই বৎসর আশ্বিনের কথাই বলিতেছি যেই বৎসর বানের জলে সকল ধানই ডুবিয়া গিয়াছিল। হরিহর বাবু সেই বৎসর পুজোর সময় অমল কমলকে একটা করিয়া জামা কিনিয়া দিলেও সুবোলকে কেনই যেন দিয়াছিলেন দুইখানা। এহেন পার্থক্য সবিতা দেবী এতটুকুনও মানিয়া লইতে পারেন নাই। তাই চালে টান পরিবার বাহানা দেখাইয়া পুরো দুই মাস সুবোলকে রাত ভর অভুক্ত রাখিয়াছিলেন।
হরিহর বাবু প্রয়াত হইয়াছেন আট বৎসর হইয়াছে। সুবোল গ্রাম ছাড়িয়াছে তাহারও দুই বৎসর পূর্বে । এই সময়টুকুর মধ্যে সবিতা দেবী কেবল একটি বারের জন্য সুবোলের খবর লইয়াছিলেন তাহা তিনি হলফ করিয়া বলিতে পারিবেন না। তবে হ্যা গত বৎসর সুবোলকে ফোন একবার করিয়াছিলেন । তাকে মোলায়েম সুরে বাবা বলিয়া সম্বোধনও করিয়াছিলেন। সম্ভবত তাহার মুখে সুবোলকে বাবা বলিয়া সম্বোধন ওটাই ছিল প্রথম হয়ত শেষ বারের মতো। খুব বেশি কুশলাদি না করিয়া অতি প্রয়োজনে বিশ হাজার টাকা চাহিয়া ফোন খানা রাখিয়া দিয়াছিলেন তিনি। মাতৃস্নেহহীন সুবল বিনা বাক্যেই তাহার দাবি মিটাইয়া ছিল।
এই সবিতা দেবীকে সুবোল কল্পনার আয়নায় আনিয়া কি করিতে চায়? নিশ্চয়ই তাহাকে প্রশ্নবানে জর্জড়িত করিবে অথবা করিবে র্ভৎসনা। না সুবোল উহা কিছুই করিবে না। কেবল মা বলিয়া ডাকিবে। মা বলিয়া ডাকিবে যখন তখন বাড়ি যাইয়াইতো ডাকিতে পারে।উহাইতো ভাবিতেছেন নাকি? না তাহা আর সুবোল পারিবে না । কারন আজ রাত্রেই সবিতা দেবী প্রয়াত হইয়াছেন। তাহার অন্তস্টিক্রিয়া সম্পন্ন করিবার নিমিত্তেই সুবোল এখন ট্রেনে। তাই তাহার সহিত কথা কহিতে চাহিলে কেবল কল্পনার আয়নাই সুবোলের একমাত্র পথ। সুবোল তাহাই করিল। কল্পনায় সবিতা দেবীকে জোড়াজুড়ি করিয়া আনিয়া ডুকরে কাঁদিযা উঠিয়া কহিল,“ মা তোমায় আমার খুব মা কইতে ইচ্ছা করতেছে। তুমি একবার বাবা কইয়া আমার মাথায় হাত বুলাইয়া দেও; মা....।”
অবিরাম খটখট করিয়া চলা ট্রেনের শব্দে সুবোলের আর্তনাদ বিলীন হইয়া গেল। চক্ষু খুলিয়া, পানি মুছিয়া, দুরের বাটিতে জ্বলা মৃদু আলোর দিকে তাকাইয়া সুবোল কি ভাবিল তাহা কেবল ও আর ওর স্রষ্টাই বলিতে পারিবে।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪
ANIKAT KAMAL বলেছেন: বেশ ভালো
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অনিকত কামাল আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম!
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা!
ভালোথাকুন!
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৮
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর গল্প লিখেছেন। জিনিয়াসরা সব যায়গাতেই জিনিয়াস।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন
বেশ কয়েকদিন পর ব্লগে এসে আপনাদের মন্তব্য পেয়ে ভালোলাগছে!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জিনিয়াস!!!
সেতো শায়মাপু, জুনাপুরা!
আমিতো ওনাদের কাছে ধুলোবালি ছাই ভাইয়্যু!
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অতিশয় ভাল লিখিয়াছেন। শারদীয় আমেজে কিয়ৎক্ষণ বুঁদ হইয়া রহিলাম। সাধু ভাষায় লিখিত গল্পটা সাধুবাদ পাওয়ার উপযুক্ত হইয়াছে নিঃসন্দেহে। একাধিক জায়গায় গুরুচণ্ডালী দোষ ও বানান ভুল পরিলক্ষিত হইলেও আস্বাদ গ্রহণ করিতে উহা প্রতিবন্ধকতার হেতু হইতে পারে নাই।
প্রথম গল্পেই উৎরাইয়া যাইতে পারিয়াছেন। আশা করি নিয়মিত লিখিবেন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম
গুরুচণ্ডালী দোষ এর ভয় আমারও ছিল। যেখানে গুরুচণ্ডালী দোষ আছে বলে আপনার মনে হচ্ছে সেটুকু জানিয়ে দিলে উপকৃত হতাম!
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে আমার কাছে এমন মনে হলো আপনার উপর সায়মা আপু আর জুনাপুদের ছায়া পড়েছে ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভাগ্য ভাল কেবল ছায়া পড়ার কথা বলেছেন!!
বকাঝকা ইত্যাদি .....!
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪১
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বিয়ে চলিত
বিবাহ সাধু
আরেক জায়গায় ক্রিয়ার চলিত রূপ ব্যবহৃত হইয়াছে ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম
পুনরায় ফিডব্যাকের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!
ভালোথাকুন!
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
শরৎ চন্দ্রের সব বই আমার পড়া হয়নি, তাই কিছু বলতে চাচ্ছি না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এটা আমার প্রথম প্রচেষ্টা !
সো লেখাটাকে একটু নরম চোখে দেখতে হবে চাঁদগাজী ভাই!
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শরৎচন্দ্রের কোন গল্প পড়লাম বলে মনে হলো, এমন ষ্টাইলের লেখা এখন খুব একটা চোখে পড়েনা। এখন বেশীর ভাগ গল্পই হয় হুমায়ুন আহমেদ ষ্টাইল.......প্রথম গল্পেই আমি বলবো শতভাগ সফল।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম, কামাল ভাই!
ভালোথাকুন!
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভালই লিখিয়াছেন তবে এখনকার সময় এমন ভাষায় পড়িতে কেমন কেমন লাগিল যেন
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মোস্তফা সোহেল,
পাঠ + মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ভালোথাকুন!
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সকালবেলা এক কাপ চা! আহা মধু মধু!
ভাই চায়ের পাশে সাদা দেখতে জিনিসগুলো কি?
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সাধু ভাষার সাথে সাথে এ যুগের কিছু অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার ( যেমন- মুদিয়া, বাটি ইত্যাদি ) পড়ে তিরিশ ও চল্লিশের দশকের সাহিত্যকর্মের কথা মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ ভাই বিলিয়ার রহমান।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: হেনাভােই আপনার উপস্থিতিতে অনুপ্রেরণা পেলাম!
ভালথাকুন!
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাদা জিনিসগুলো কি আমি তো জানিনা, পনিরের মাতো লাগছে দেখতে
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: শেষবার যখন পনির খেয়েছিলাম খুব লবণাক্ত ছিল!
আপনারটাও হয়ত লবণাক্ত হবে!
তবুও খেয়ে ফেলি ! নাকি?
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭
সুমন কর বলেছেন: ভালো ছিল কিন্তু সাধু ভাষায় পড়তে এখন ভালো লাগে না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুমন ভাই আপনার উপস্থিতিতে অনুপ্রেরণা পেলাম!
ভালথাকুন!
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুস্বাগতম কবি,
অনেকদিন পরে আমার পোস্টে!
১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: গল্প বেশ ভালো লাগলো,, শেষের দিকটা একটু মায়াময় পুর্ন হয়েছে!!!
শুভ কামনা...
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ধ্রুবক আলো
আপনার উপস্থিতিতে ভালো লাগল!
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভালো লাগলো ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রিয় শাহরিয়ার কবীর,
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম!
ভালোথাকুন!
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
নীলপরি বলেছেন: বাহ , খুব সুন্দর হয়েছে ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নীলপরি
পাঠ, মন্তব্য, লাইকের জন্য কৃতজ্ঞতা!
ভালোথাকুন!
১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
জীবন সাগর বলেছেন: দুনিয়াতে আসলে মায়ের বিকল্প হয় না। মা' শব্দটি অতি ছুট্ট হলেও এর ব্যাপকতা শুধু মানুষ কুল না সকল প্রাণী কুলই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে। প্রাণী কুলের মধ্যে মানুষ তো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও অনুভব করে মায়ের অভাব।
যে মা হারায় সেই বুঝে, মা হারানো কতটা কষ্টের।
আপনার গল্পে ভালোবাসা রেখে গেলাম
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জীবন সাগর
আপনার উপস্থিতি এবং সুন্দর একটা মন্তব্য দুটোই ভালোলেগেছে!
সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
ভালোথাকুন!
১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
প্রামানিক বলেছেন: সাধু ভাষায় লেখা গল্প খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রামানিক ভাই
আপনার ভালোলেগেছে শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম!
ভালোথাকুন!
২০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,
প্রথম লিখিত গল্পখানি রেলগাড়ীর ন্যায় সকল বিষাদের সিটি বাজাইয়া হুশহুশ করিয়া চলিয়া গেল যেন ।
অবিরাম খটখট করিয়া চলা ট্রেনের শব্দের মতো সেই বিষাদময় আর্তনাদ মনের কানে লাগিয়া রহিল।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস
আমার পোস্টে আনার উপস্থিতি বরাবরই আমায় অনুপ্রাণিত করিয়া থাকে!
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভকামনা!
২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছোট গল্প খানা বেশ ভাল লাগিল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে শুনে আনন্দিত হলাম লিটন ভাই!
২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
নতুন নকিব বলেছেন:
সাধু ভাষায় লেখা গল্প পড়িয়া অসাধু, মানে চলিত ভাষায় কৃত মন্তব্য কোন ক্রমেই গ্রহনযোগ্য হইবে না - এই রকম কোন কথা না থাকার পরেও যাহারা কষ্ট স্বীকার করিয়া সাধু ভাষায় মনের কথা খুলিয়া বলিয়া আনন্দিত করিতে চেষ্টা করিলেন তাহাদের সকলের জন্য বিলিয়ার ভাইসমেত অন্তরের অন্তস্থল হইতে আশির্বাদ রহিল!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নতুন নকিব আপনাকে সুস্বাগতম!
আপনার উপস্থিতি এবং সুন্দর মন্তব্যখানা আমাকে অতিশয় মুগ্ধ করিয়াছে!
আপনার প্রতিও রইল অন্তরের অন্তস্থল হইতে আশির্বাদ!
২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
শুভেচ্ছা রইলো
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সামিউল ইসলাম বাবুাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা!
২৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৭
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: সাধু ভাষায় লিখা আসলেই কঠিন। আপনার প্রথম লেখা গল্পটি অনেক ভাল লেগেছে। আশা করি সামনে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প লিখবেন। ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: অতঃপর হৃদয় পাঠ মন্তব্য এবং অনুপ্রেরণা দায়ক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা!
ভালোথাকুন!
২৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫০
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। তবে আপনার কবিতাগুলো গল্পের থেকে বেশি হৃদয়স্পর্শী। আশা রাখছি সামনে আরো ভাল গল্প লিখবেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: খাইরুন নাহার বিনতে খলিল
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি পাঠের পরে মন্তব্যের ঘরে এসে জানতে পারলাম এটা আপনার লিখা প্রথম গল্প । তাই লিখাটি আবার একটু মনযোগ দিয়ে পড়লাম । গল্পটির গঠণ শৈলী চমৎকার হয়েছে । গল্পের শুরু , এর বিকাশ ও পরিনতি সুন্দর ও মনোমুগ্ধ কর হয়েছে । ভাল লাগার আবেশ রয়েছে গল্পটির ছত্রে ছত্রে । একটি নতুন গল্পে শব্ধ ও ভাষার প্রয়োগ সম্পর্কে বলতে গেলে নীজের একটি বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে । সে অনেকদিন আগের কথা কলেজ মেগাজিনে দেয়ার জন্য একটি গল্প লিখে সেটা একটু দেখে দেয়ার জন্য বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক চাচার কাছে নিয়ে যাই । ড্রয়িং রুমের সোফায় হেলান দিয়ে বসে তিনি বললেন এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে আয় , চা খেতে খেতে গল্প পাঠে আমেজ আসে ভাল, নতুন গল্প হলেতো সেটা আরো বেশী প্রযোয্য । বিষয়টা আমাকে আছর করেছিল ভাল মত । এর পর হতে কোন গল্প পাঠে চা আমার চাই ই চাই । আর হা নতুন প্রথম গল্পটি পাঠে চাচার তিনটি মাত্র কথা , গণ্প ভাল হয়েছে । এই গল্পটি পাঠ ও মন্তব্য লিখতে লিখতে এক কাপ চা শেষে চাচার মত তিনটি কথাই বলা যায় 'গণ্প ভাল হয়েছে' ।
শুভেচ্ছা রইল
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এম এ আলী ভাই আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী প্রায় মন্তব্যেরই উত্তর খুজে পাইনা!
অসাধারন সব মন্তব্য নিয়ে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: তাই চালে টান পরিবার বাহানা দেখাইয়া পুরো দুই মাস সুবোলকে রাত ভর অভুক্ত রাখিয়াছিলেন। - নারীগণ প্রকৃতিগত এবং স্বভাবজাত মায়াবতী হইয়া থাকেন। কিন্তু যখন হিংস্র হইয়া উঠেন, তখন তাহাদের কেউ কেউ সকল সীমারেখা অতিক্রম করিতে জানেন।
মাতৃস্নেহহীন সুবল বিনা বাক্যেই তাহার দাবি মিটাইয়া ছিল। - এই রকমই হইয়া থাকে! ইহাই বোধকরি প্রকৃতির নিয়ম।
কল্পনায় সবিতা দেবীকে জোড়াজুড়ি করিয়া আনিয়া ডুকরে কাঁদিযা উঠিয়া কহিল,“ মা তোমায় আমার খুব মা কইতে ইচ্ছা করতেছে। তুমি একবার বাবা কইয়া আমার মাথায় হাত বুলাইয়া দেও; মা....।” - খুবই মর্মস্পর্শী!
ইহা স্বয়ং আপনার লেখা জানিয়া যারপরনাই বিস্মিত হইলাম এবং নিজেকেই জিজ্ঞাসা করিলাম, এই লেখক আরো বহুপূর্বেই গল্প লেখায় হাত দেন নাই কেন?
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ইহা স্বয়ং আপনার লেখা জানিয়া যারপরনাই বিস্মিত হইলাম এবং নিজেকেই জিজ্ঞাসা করিলাম, এই লেখক আরো বহুপূর্বেই গল্প লেখায় হাত দেন নাই কেন?
শ্রদ্ধেয় খায়রুল ভাই আপনার কথায় অনুপ্রাণিত বোধ করিতেছি তবে একই সময় কিছু মাত্রায় লজ্জিত হইয়াছি!
২৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম এর মন্তব্যটির সহিত (৪ নং) একমত না হইয়া পারিলাম না।
চাঁদগাজী সাহেব যদি শরৎ চন্দ্রের সকল পুস্তক পাঠ সমাপ্ত করিয়া আপনার লেখায় মন্তব্য করিবেন বলিয়া মনস্থির করেন (৭ নং), তবে আমাদিগকে অনন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকিতে হইবেক বটে!
নতুন নকিব এর মন্তব্যের সহিত (২২ নং) একমত পোষণ করিয়া গেলাম এবং একই কারণে সাধু ভাষায় আমার মন্তব্যখানি লিপিবদ্ধ করিলাম। বিলক্ষণ জানি, ইহা আজিকার প্রজন্মের পাঠকদের কানে ঐ খটখট করিয়া চলা ট্রেনটির মতই আর্তনাদ তুলিয়া যাইবেক!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাইয়া এই মন্তব্যখানার উত্তরের ভার সহব্লগার চাঁদগাজীর উপর রাখিলাম!
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
রাইসা আন্তা বলেছেন: ভালো লিখছেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: রাইসা আন্তা আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভকামনা!
৩০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩
জুন বলেছেন: আপনার লেখা প্রথম গল্পটি পড়েছি গতকালই বিলিয়ার রহমান । মশাই তো দেকচি বংকিম রবিন্দ্রনাথ আর শরৎ চাটুজ্জেকে গুলে খেয়েচেন
তবে নীচের লাইনগুলো পড়ে আমার বিভুতিভুষনের পথের পাঁচালীর কথাই বেশী মনে পড়লো । অপু দুর্গা তাদের মা সর্বজয়া আর বাবা হরিহর যেন মিশে আছে আপনার গল্পে।
হরিহর বাবু প্রয়াত হইয়াছেন আট বৎসর হইয়াছে। সুবোল গ্রাম ছাড়িয়াছে তাহারও দুই বৎসর পূর্বে । এই সময়টুকুর মধ্যে সবিতা দেবী কেবল একটি বারের জন্য সুবোলের খবর লইয়াছিলেন তাহা তিনি হলফ করিয়া বলিতে পারিবেন না।
+
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জুনাপু তোমার উপস্থিতিতে অনুপ্রাণিত হলাম!
প্লাসে অনেক ভালোলাগা!
ছোট ভাইয়ের পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
ভালথেক!
৩১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সাধু ভাষা দেখিয়া কিঞ্চিৎ চক্ষুচড়ক হইলেও পরবর্তীতে লেখকের মুন্সিয়ানায় বিমুগ্ধ হইতেই হইল। বহুকাল আগে রবীবাবুর বৌ ঠাকুরানীর হাট আরম্ভ করিয়া বুঝিয়াছিলাম সনাতন ভাষালিপি কাহাকে বলে! বিষাদ সিন্ধুর তিনটেক পর্বের সাধু ভাষায় যেইরূপ মুগ্ধগতি লাভ তাহা আর কিছু কই! সাধুর সাহিত্যরসে লেখকের যেরূপ খেলা তাহা লেখকের নহে, পাঠকের রুচিভেদে ক্রমশ পরিবর্তিত!
ভাষার প্রয়োগ দেখিয়া অত্যন্ত উৎফুল্ল ও আনন্দিত হইয়াছি। এযাবৎকালে ঈদৃশ লেখা চক্ষুগোচর নাহি হয়!
শুভেচ্ছা!
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভ্রমরের ডানা,
গল্প পাঠপূর্বক আপনারা মন্তব্যখানা আমায় অতিশয় সুখানুভুতি দিয়াছে !
তবে অস্বীকার করিব না যে আপনার প্রশংসা আমাকে অনুপ্রাণিত করিবার সাথে সাথে (নিজের সীমাবদ্ধতার কথা ভাবিয়া ) কিছুটা হলেও লজ্জিত করিয়াছে!
সামুতে আমার জন্মলগ্ন হইতে পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা!
৩২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪০
কালীদাস বলেছেন: সাধু ভাষায় তো পড়ার অভ্যাস নাই মেলা বছর (স্কুল পাশ করার পর থেকেই)। লেখার টোনে শরৎ মিয়ার ঘেরান পাইছি, ভুলও হইতে পারে। পয়লা এটেম্পট হিসাবে ভালই হইছে
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: কালীদাস ভাইয়া আপনার উপস্থিতিতে খুব খুশি হয়েছি!
পাঠ মন্তব্য এবং লাইকের জন্য কৃতজ্ঞতা!
আপনার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ফলোতে নিলাম!
ভালোথাকুন!
৩৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মা'কে লেখা সুন্দর গল্প। মা থাকতে আমরা অনেকেই মায়ের অভাব পুরোপুরিভাবে বুঝি না। কিন্তু যে মা হারায় সেই জানে মা হারানোর কি জ্বালা। খুব ভালো লাগলো ভাই। গল্পে কৃতজ্ঞতা রইল।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!
ভালোথাকুন ভাই!
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার গল্প লেখার প্রথম প্রচেষ্টা এটি।
টাইপোসহ অন্যান্য অসংগতি চোখে পড়লে জানিয়ে কৃতার্থ করবেন।