নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট বেলা থেকে থাকার কারণে অনেকগুলো বিষয় দেখেছি ৷ তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের একক আধিপত্য ছিলো ৷ একই মসজিদে তাবলীগ এবং শিবিরেরও দাওয়াতি কার্যক্রম চলতো ৷
.
স্বাভাবিকভাবে দুই ধারার দাওয়াতি কার্যক্রমের ধরণ আলাদা ৷ তখন যারা শিবির করতো তাদের কেউ কেউ ভাবতো তারাই একমাত্র সঠিক পথে আছে ৷ তাবলীগের একটা বই থাকে মসজিদে, নাম ফাজায়েলে আমল ৷ বেশ্ বড় বই ৷ নামাযের পরে ওখান থেকে পড়ে শুনানো হতো আমাদের ৷
.
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনেকে এটাকে বিদ্রুপ করে ফাজিলে আমল বলতো ৷ তাবলীগ যেদিন বসতো সেদিন তারা পাল্টা পোগ্রামও দিয়ে রাখতে দেখেছি ৷
.
এমনো হয়েছে শিবিরের জনৈক দায়িত্বশীল তার মতে ফাজিলে আমলকে মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে ৷ ফাজিল বলতে দুষ্টকে বুঝানো হতো ৷
.
ভালো খারাপ বিচার করার মালিক আল্লাহ ৷ আমি জাস্ট একটা সত্য তুলে ধরছি ৷ আর কিছু না ৷
.
বিষয়টি তুলে ধরার একটি কারণ হচ্ছে এখনো মসজিদে মসজিদে তাবলীগের দাওয়াত হয় ৷ তারা হেদায়তের পথে আহবান করেন ৷ কিন্তু এক সময় ক্ষমতার তুঙ্গে থাকা ইসলামী দলটির চিহ্নও নেই ৷
.
আরেকটি বিষয় হলো, তখন বিশ্ববিদ্যালয়র যারা কর্মচারী তাদের বেতন ছিলো কম ৷ তবুও তারা বায়তুল মাল হিসেবে মোটামুটি অনুসারী চাকুরিজীবীদের তাফসীরে কোরআন কিনার জন্য টাকার জন্য এক প্রকার চাপ দিতো ৷ ভদ্রলোক তা অন্যদের বুঝাতো ৷ সে কিভাবে এই টাকার ব্যয় বহন করবে!
.
আরো একটা বিষয় ছিলো কেউ শিবির থেকে অন্য পথে গেলে একপ্রকার তাকে শত্রু মনে করা হতো ৷
.
কিন্তু তাবলীগের একটা বেপার আমি দেখেছি ৷ আমি অনেকবার তাবলীগ থেকে পালিয়ে থেকেছি তবুও তারা আমাকে খুঁজে দাওয়াত দিয়েছে ৷ অতীত খুঁজতে যায়নি ৷
.
কিন্তু আমি যখন শিবির ছায়াতল থেকে চলে আসি তখন তারা অনেকে আমাকে শত্রুর মতো এড়িয়ে চলতো ৷ ভাবতো ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে ৷ নানাভাবে দূরে সরে থাকতো ৷
.
আরেকটি কথা আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি ৷ কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পেলেও আসলে কি গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারছি? একপ্রকার সবসময় একনায়কতন্ত্র চলে ৷
.
ধরেন জামায়াত ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করছে ৷ মানুষ যদি ইসলামিক না হয় তাহলে ইসলামিক রাষ্ট্র দিয়ে কি কেবলি ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব? সবার আগে মানুষগুলো ইসলামিক মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে ৷
.
তাবলীগ প্রত্যেক আলাদা আলাদা মানুষ নিয়ে কাজ করে ৷ প্রতিটা মানুষকে তারা দাওয়াত দেয় ৷ রুটে গিয়ে দাওয়াত দেয় ৷ অনেক চোর ডাকাত বদমাইশকে দেখেছি তারা তাবলীগে গিয়ে ভালো মানুষ বনে গেছে ৷ সুতরাং তাদের কাজকে ছোট কিংবা হেয় করে দেখা একদম ঠিক না ৷ কিংবা তথাকথিত রাজনৈতিক দলের ঠিক ছিলো না ৷
.
ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতা জ্ঞান বুদ্ধি আমার নেই ৷ আমি শুধু যা দেখেছি অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তা থেকে বলছি ৷ আল্লাহ সবাইকে তাদের কাজের উত্তম প্রতিদান দান করুক ৷
.
আমি জাস্ট বলতে চাচ্ছি কারো ফাজায়েলে আমল বইকে ফাজিলে আমল নামকরণ করা অহংকার বৈকি আর কিছু নয় ৷ কার মনে কি আছে তা কেবল আল্লাহ ভালো জানে ৷ তিনি সর্বজ্ঞানী ৷ সবচেয়ে ভালো কৌশলী ৷
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৮
কামাল৮০ বলেছেন: ১৪০০ বছরে হলো না।আর কবে হবে।চুড়ান্ত বিশ্লষণে কোন পার্থক্য নাই।কিন্তু আপাতত শিবির রাজনীতির সাথে যুক্ত।কিন্তু তাবলিগ রাজনীতির সাথে যুক্ত না।পরে যুক্ত হবে।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫২
আরইউ বলেছেন:
জা.শি ছায়াতল থেকে চলে আসা কি এত সহজ? জা.শির অনেকেই আ.লীগের সময়ে জা.শি ছেড়েছে বলে কিন্তু তারা শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছে।
তেমনি অনেকে এখন কথায় কথায় নিজেকে জা.শি বিরোধী প্রমান করতে চায়- আউট অফ কনটেক্সট বিভিন্ন জায়গায় “আমি জা.শি বিরোধী, আমি বিশাল াগু ফাইটার” বলে বেড়ায়। অথচ তাদেরই আবার জা.শির ছায়াতলে থাকা, বাঁশেরকেল্লার সেলিব্রেটি লেখকডের সাথে দহরম মহরম!! আরো কত কী যে দেখতে হবে।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩১
বিটপি বলেছেন: আপনার একটা ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি। ফাজায়েলে আমলকে ফাজিলে আমল শিবিরেরা বলেনা, এটা বলে আহলে হাদীস নামে একটা সংগঠন। শিবিরেরে পোলাপান খুবই স্মার্ট। এরা তাবলীগের গায়েও মাখেনা। সিলেট ক্যাম্পাসে দেখছি একটা ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট - সে হচ্ছে শিবিরের সাথী। এরা ধর্মের কথাও বলবে আবার অধর্মের পথেও চলবে - মানে যেটা ভালো লাগে সেটাই করবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি শিবিরের ছায়াতলে চলেন মানে এখনো আছেন শিবিরের ছায়া তলে!