নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা, ইসলামী ছাত্রশিবির বনাম তাবলীগ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট বেলা থেকে থাকার কারণে অনেকগুলো বিষয় দেখেছি ৷ তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের একক আধিপত্য ছিলো ৷ একই মসজিদে তাবলীগ এবং শিবিরেরও দাওয়াতি কার্যক্রম চলতো ৷
.
স্বাভাবিকভাবে দুই ধারার দাওয়াতি কার্যক্রমের ধরণ আলাদা ৷ তখন যারা শিবির করতো তাদের কেউ কেউ ভাবতো তারাই একমাত্র সঠিক পথে আছে ৷ তাবলীগের একটা বই থাকে মসজিদে, নাম ফাজায়েলে আমল ৷ বেশ্ বড় বই ৷ নামাযের পরে ওখান থেকে পড়ে শুনানো হতো আমাদের ৷
.
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনেকে এটাকে বিদ্রুপ করে ফাজিলে আমল বলতো ৷ তাবলীগ যেদিন বসতো সেদিন তারা পাল্টা পোগ্রামও দিয়ে রাখতে দেখেছি ৷
.
এমনো হয়েছে শিবিরের জনৈক দায়িত্বশীল তার মতে ফাজিলে আমলকে মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছে ৷ ফাজিল বলতে দুষ্টকে বুঝানো হতো ৷
.
ভালো খারাপ বিচার করার মালিক আল্লাহ ৷ আমি জাস্ট একটা সত্য তুলে ধরছি ৷ আর কিছু না ৷
.
বিষয়টি তুলে ধরার একটি কারণ হচ্ছে এখনো মসজিদে মসজিদে তাবলীগের দাওয়াত হয় ৷ তারা হেদায়তের পথে আহবান করেন ৷ কিন্তু এক সময় ক্ষমতার তুঙ্গে থাকা ইসলামী দলটির চিহ্নও নেই ৷
.
আরেকটি বিষয় হলো, তখন বিশ্ববিদ্যালয়র যারা কর্মচারী তাদের বেতন ছিলো কম ৷ তবুও তারা বায়তুল মাল হিসেবে মোটামুটি অনুসারী চাকুরিজীবীদের তাফসীরে কোরআন কিনার জন্য টাকার জন্য এক প্রকার চাপ দিতো ৷ ভদ্রলোক তা অন্যদের বুঝাতো ৷ সে কিভাবে এই টাকার ব্যয় বহন করবে!
.
আরো একটা বিষয় ছিলো কেউ শিবির থেকে অন্য পথে গেলে একপ্রকার তাকে শত্রু মনে করা হতো ৷
.
কিন্তু তাবলীগের একটা বেপার আমি দেখেছি ৷ আমি অনেকবার তাবলীগ থেকে পালিয়ে থেকেছি তবুও তারা আমাকে খুঁজে দাওয়াত দিয়েছে ৷ অতীত খুঁজতে যায়নি ৷
.
কিন্তু আমি যখন শিবির ছায়াতল থেকে চলে আসি তখন তারা অনেকে আমাকে শত্রুর মতো এড়িয়ে চলতো ৷ ভাবতো ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে ৷ নানাভাবে দূরে সরে থাকতো ৷
.
আরেকটি কথা আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি ৷ কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পেলেও আসলে কি গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারছি? একপ্রকার সবসময় একনায়কতন্ত্র চলে ৷
.
ধরেন জামায়াত ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করছে ৷ মানুষ যদি ইসলামিক না হয় তাহলে ইসলামিক রাষ্ট্র দিয়ে কি কেবলি ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব? সবার আগে মানুষগুলো ইসলামিক মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে ৷
.
তাবলীগ প্রত্যেক আলাদা আলাদা মানুষ নিয়ে কাজ করে ৷ প্রতিটা মানুষকে তারা দাওয়াত দেয় ৷ রুটে গিয়ে দাওয়াত দেয় ৷ অনেক চোর ডাকাত বদমাইশকে দেখেছি তারা তাবলীগে গিয়ে ভালো মানুষ বনে গেছে ৷ সুতরাং তাদের কাজকে ছোট কিংবা হেয় করে দেখা একদম ঠিক না ৷ কিংবা তথাকথিত রাজনৈতিক দলের ঠিক ছিলো না ৷
.
ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতা জ্ঞান বুদ্ধি আমার নেই ৷ আমি শুধু যা দেখেছি অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তা থেকে বলছি ৷ আল্লাহ সবাইকে তাদের কাজের উত্তম প্রতিদান দান করুক ৷
.
আমি জাস্ট বলতে চাচ্ছি কারো ফাজায়েলে আমল বইকে ফাজিলে আমল নামকরণ করা অহংকার বৈকি আর কিছু নয় ৷ কার মনে কি আছে তা কেবল আল্লাহ ভালো জানে ৷ তিনি সর্বজ্ঞানী ৷ সবচেয়ে ভালো কৌশলী ৷

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: শেষমেষ সব কিছু আল্লাহর কাছে ছেড়ে দেওয়া কেন? আল্লাহ তো তার বিধান দিয়েই দিয়েছেন।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তাবলীগকারীগণ অত্যন্ত বিনয়ের সাথে, ধৈর্যের সাথে মুসল্লীগণকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিয়ে থাকেন। আমি জীবনে কখনো তাবলীগে যাইনি, তবে তাদের ভদ্র আচরণের কারণে অনেক সময় নামাযের পর মাসজিদে বসে তাদের কথা শুনেছি। তাদেরকে আমার অনেক নিরীহ বলে মনে হয়েছে। তাদের দ্বারা কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এমনটি কখনো শুনিনি।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৪

জগতারন বলেছেন:
প্রীয় শরীফ সাহেবের আজকের প্রবন্ধটি পড়লাম, খুবই মনযোগ দিয়ে পড়লাম। আর উপরে দুই ব্লগার-এর মন্তব্যও পড়লাম। ইসলামী ছাত্র
শিবির ও জামাত-ইসলাম যে কী তা অনেকেই বুঝেন কিন্তু যথাযথ ভাবে কেউই
বলেন না। আমার মতে তাদের জাতি সাপের চেয়েও বিষধর বললে অত্যক্তি
কিছু বলা হয় না। জাতি সাপ না বুঝে কামড় দিয়ে মানুষদের সর্বনাশ করে আর শিবির ও জামাত ইসলাম করে জেনে শুনে।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: শিবির বেশ উগ্র, স্বজনপ্রীতি আছে মানে বলা যায় ওরা নিজেরা নিজেরাই থাকে। সবার সাথে মিশতে গেলে বুঝাই যেত যে উদ্দেশ্য নিয়ে মিশেছে৷ তাবলীগ তুলনামূলক ভদ্র। বিপদে আপদে তাদের কাছ থেকে অন্য ধর্মের মানুষও সমাধান পেয়েছে।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: শিবির বেশ উগ্র, স্বজনপ্রীতি আছে মানে বলা যায় ওরা নিজেরা নিজেরাই থাকে। সবার সাথে মিশতে গেলে বুঝাই যেত যে উদ্দেশ্য নিয়ে মিশেছে৷ তাবলীগ তুলনামূলক ভদ্র। বিপদে আপদে তাদের কাছ থেকে অন্য ধর্মের মানুষও সমাধান পেয়েছে।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন:
এখনে জামায়াত শিবির সমর্থকদের লেখালেখি করা নিষিদ্ধ, আপনি শিবির বিষয় লিখলেন! কি লাভ হলো? নিজের ঢোল নিজে পিঠালেন! যেখানে প্রতি পক্ষের প্রবেশ বন্ধ তাদের নিয়ে লেখা কতটা বুদ্ধিমানের কাজ?

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৮

আমি রাছেল খান বলেছেন: জামায়াতে ইসলাম মানেই ইসলাম নয়। দেশের কোন রাজনৈতিক দল ইসলামি মূল্যবোধ সম্পূর্ণ নয়। ইসলামে খেলাফতের কথা বলা হয়েছে। আসি তাবলীগের কথায়, ইসলামি দাওয়াতি কাজ করলেও তাদের গ্রন্থ ফাজায়েলে আমল কিচ্ছা, কাহিনী, আজগুবি ফতোয়া, বেদাত দিয়ে ভরপুর। যা ভয়ংকর ব্যাপার। ইসলামে চূড়ান্ত ম্যানুয়াল আল কুরআন। বিশদভাবে জানতে সহীহ হাদীস। লক্ষ লক্ষ জাল বানানো হাদিস রয়েছে, যা থেকে সাবধান থাকা জরুরী।

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ শাহিন-৯৯: আপনার মন্তব্যটি আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। আপনার মন্তব্যের ব্যাপারে কি কিছুটা ব্যাখ্যা দিতে পারেন? আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারি নাই।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ধন্যবাদ আবদুর রব শরীফ আপনি শিবির থেকে সরে এসে এখন স্ব-শরীরে আছেন, আলহামদুলিল্লাহ!। এরা মুখোশধারী! ধর্মই এদের বর্ম ছিল, এখন নিমজ্জিত- তবে মরা সাপের লেজেও নাকি বিষ থাকে!!

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

পলাতক মুর্গ বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর নুরু সম্ভবত জামাত শিবির মতাদর্শে বিশ্বাসী। জামাতের নতুন নর্তকি মিজানুর রহমান আজহারির ব্যাপক ফ্যান এই পোলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.