নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার ভাইভা নিয়েছিলেন একজন ইংরেজ সাহেব ৷ তার কাছে তাকে বাংলা পরীক্ষাও দিতে হয়েছিলো ৷
.
ইংরেজ সাহেব প্রশ্ন করলেন, " Well, বাবু you তো ভালো বাংলা জানো , Can you Please tell me the diiference between আপদ and বিপদ!'
.
বঙ্কিম তখন উত্তর দিয়েছিলেন এমন, ধরেন দশ নং বিপদ সংকেত! লঞ্চ ডুবে যাচ্ছে! মরি মরি অবস্থা! এটাকে বলে বিপদ ৷ আর একজন ইংরেজ আমার থেকে বাংলা পরীক্ষা নিচ্ছে এটাকে বলে আপদ!
.
প্রতিনিয়ত এমন আপদে আছি আমরা ৷ ক্রিকেটের 'ক' ও বুঝে না সে গেছে টিভি শো'তে ম্যাচের বিরতি সময় খেলোয়ারদের পারফর্মমেন্স বিচার করতে ৷
.
সারা জীবন কাজের বুয়ার হাতের রান্না খেয়ে অভ্যস্ত মেম্ সেদিন গেলো রান্না বিষয়ক জ্ঞান দান করার জন্য ৷
.
একদিন শাহরুখ খানকে দেখি ইসলাম বিষয় বিতর্কের অতিথি হিসেবে আরেকদিন শাহরিয়ার কবিরকে দেখলাম হেফাজতের এক নেতার সাথে কোরআনের বয়ান দিচ্ছেন ৷
.
টকশো গুলো ঝাল মিষ্টির টক্ হওয়ার পিছনে এসব কর্মকান্ডগুলো মূখ্য ভূমিকা রাখছে ৷
.
ওদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করে একটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন কেউ কেউ ৷
.
ইতিহাস থেকে পড়ে ব্যাংকে চাকরি করছে অনেকে ৷ সম্ভব হলে এই দেশে ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তারি করতো আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারিং করতো ৷ বড্ড বিচিত্র সব আয়োজন ৷
.
আজকের দিনে, সরকারি কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের সেবা না করে রাজনীতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত তা হলো আপদ, তার কারণে ইংরেজি পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়া পুতুল সরকার যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে তাকে বলে বিপদ ৷
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
আমি সাজিদ বলেছেন: ভয়ে ভয়ে এই লেখা লাইক দিলুম।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
আলোর_পথিক বলেছেন: আপনার এই লেখার বিষয়বস্তুই প্রমাণ করে যে, আপনি নিজেই আপনার বিরোধীতা করছেন। লেখাটা খুবই সরলীকরণ, লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচনে আপনাকে আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিৎ ছিল।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে জন্মগ্রহন করে আসলে বিপদ আপদের মধ্যেই আছি সারাক্ষন।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: মন্দ বলেন নাই।
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৭
ইফতি সৌরভ বলেছেন: সিদ্ধান্ত সুপারিশ করে কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটি আর বাস্তবায়ন করে বাস্তবায়ন শাখা। সাংবিধানিক পদসমূহ তদারকি/দিক-নির্দেশনায় থাকে। আমলাতন্ত্রে মিলেমিশে সব উন্নয়ন হয়।
পক্ষে বলছি না তবে এই দেশে মন্ত্রীরা কিন্তু একা একা সব কিছু করেন না। এরজন্য মন্ত্রণালয় আছে, বিশাল লেজ আছে। ইতিহাসের ছাত্র যদি কোন কারিগরী মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ অধিকর্তা হতে পারেন তবে উনি কেন পারবেন না? সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার বসান বা ফেরেশতা সুফি-সাধক বসান; দুদক, অডিট সহ আরো শৃঙ্খলা রক্ষা দপ্তর নখ‐দন্তহীন "ভাঘ" হয়ে থাকলে সমস্যা থেকেই যাবে। জনগণের দোষও কিন্তু কম না!
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: বেশ বলেছেন...তবে ডাক্তার কে যখন স্বাস্থ মন্ত্রি করা হলো তখনো ত একই অবস্থা ছিলো।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপদ ও বিপদের চমৎকার অর্থ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আজকের দিনে, সরকারি কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের সেবা না করে রাজনীতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত তা হলো আপদ, তার কারণে ইংরেজি পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়া পুতুল সরকার যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে তাকে বলে বিপদ ৷ সহমত।
---ডাক্তারকেও তো স্বাস্থ্য মন্ত্রী করেছিল ! কি করেছেন তিনি স্বাস্থ্য খাতের!!