নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
১৯৬৪ সাল, পূর্ব পাকিস্তানে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসায় আশ্রয় নেওয়া সংখ্যা লঘুদের নিয়ে চলছিলো আনন্দ ফূর্তি খাওয়া দাওয়া আর মিলন মেলা ৷ এমন নেতা একজন ই ৷
.
শেখ মুজিব নিজে জিপ নিয়ে গিয়ে হিন্দু পরিবারদের উদ্ধার করে নিজ বাসার মেহমান করে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির নজির স্থাপন করেছিলেন তার ই জন্মশতবার্ষিকীতে একজন চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদীকে প্রধান অতিথি করে নিয়ে আসার কথা ছিলো ৷ ভাগ্যিস করোনা বাঁচিয়েছে আমাদের ৷
.
সুতরাং তার মৃত্যুবার্ষিকীতে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই ৷ শুধু বলবো, কোথাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নামক কিছুর দেখা মিললে জীবন ধন্য হতো ৷ এখন কেবলি যা বের হয় তা দীর্ঘশ্বাস ৷
.
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল আদর্শ যেখানে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ সেখানে আমি জানিনা কোন যুক্তিতে এমন সিন্ধান্তগুলো নেয় তার হাতে গড়া দল ৷
.
২০০২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দাবী স্বয়ং ভারতেই উঠেছিলো!
.
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী স্বয়ং দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে আজকের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গুজরাটের সমস্ত্য নাগরিকদের সমান চোখে দেখার অনুরোধ এবং তার পদত্যাগের দাবীও করেছিলেন,
.
আবারো প্রশ্ন রেখে গেলাম, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে আপনি কিভাবে শেখ মুজিবের মূলগত আদর্শের একজন বিপরীত মানুষকে তার ই জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধান চেয়ারে বাসাতে চেয়েছিলেন ৷
.
২০১১ সালে এই মোদী আবার মুসলিমদের চোখে ভালো সাজার জন্য গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার প্রতীকি স্বরূপ টানা একের পর এক উপবাস অনশন শুরু করেছিলেন,
.
তাতে খুশি হয়ে এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ তাকে টুপি উপহার দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন ৷
.
সাময়িক খোলস পাল্টালেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা বীজ তা বিংশ শতাব্দির আগে থেকে রয়ে গেছে,
.
তেমনি এখনো মুখে মধু অন্তরে বিষ নিয়ে অনেকেই মুজিব কোট পরে ঘুরছে প্রতিনিয়ত ৷
.
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুযোগ বুঝে আবার যেভাবে খোলস থেকে বের হয়েছিলেন মোদী সরকার ! একের পর এক দাঙ্গায় জ্বলছে ভারত! আরো বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার!
.
এরি মাঝে তরতর করে এগিয়ে এসেছিলো বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
.
আর ক্ষমতায় টিকে থাকা কিংবা হারানোর ভয়ে, সাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উজ্জীবিত এমন নেতার পক্ষে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন কালো কোট পরা কিছু ভদ্রলোক ৷ তারা আবারো বলবে, শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে ৷
.
ইতিহাস কথা বলে, একদিন কথা বলবে,
.
মোদীর জায়গায় বঙ্গবন্ধু থাকলে, তিনি দিল্লীর মুসলিম পরিবারদের বাসায় নিয়ে গিয়ে ঘরোয়া পিকনিকের আয়োজন করে দেখিয়ে দিতেন কিভাবে দাঙ্গা মোকাবেল করতে হয়
.
এখন তো আলু চাষ থেকে শুরু করে পুকুর খনন প্রায় সব কাজ শিখতে সরকারি কর্মকর্তারা বাহিরে যাচ্ছেন এমন খবর ছাপা হয়,
.
এমন কি হতে পারতো না, বঙ্গবন্ধুর দল থেকে অসম্প্রদায়িকতা শেখার জন্য তার জন্মশতবার্ষিকীতে মোদীকে ভারত থেকে সরকারি খরচে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো ৷ অনেক কিছু হয়নি ৷ তবুও প্রতিবছর আসের গুরুর মৃত্যু দিবস ৷ কাঁদে বাংলাদেশ কাঁদে ৷ আমরা চেয়ে থাকি ৷ থাকবো ৷
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীদের তো সারা বছরই কাঁদতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেঁদেছি অনেক পয়তাল্লিশ বছর ধরে
আর আমি কাঁদবোনা। শোককে আমি
শক্তিতে পরিনত করে ঘুরে দাড়াতে চা্ই।
সাহস দাও আর আমাকে কাঁদতে বলোনা।