নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমার জ্বর হয়েছিলো, হালকা গলা ব্যথা, আমি জানি এগুলো আমার স্বভাবগত ৷ কোনদিন দুইবার গোসল করলে কিংবা তার বেশী, খারাপ কিছু ভাববেন না, এই ধরেন অফিসে যাওয়ার আগে ও পরে এবং মাঝরাতে বেশী গরম লাগলে আরো একবার, পরের দিন করোনার প্রায় সিম্পটম আমার দেখা যাবেই ৷
.
করোনায় আমি মরে গেলেও আমার আপসোস নেই ৷ মানসিকভাবে সেট করা আছে কিন্তু সেদিন দুপুরে ঘুমাচ্ছিলাম কেনো জানি মনে হলো আম্মু জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ৷ দৌড়ে গিয়ে দেখলাম জ্বর টর আছে কি না ৷ প্রিয়জনদের চলে যাওয়া মেনে নেওয়া আমার জন্য সত্যি কষ্টকর হবে নিজের থেকেও ৷
.
আরেকদিন মধ্যরাতে কেনো জানি মনে হলো বাবার নিঃশ্বাসের শব্দ ৷ আমি আমার রুমের ফ্যান বন্ধ করে দিলাম ৷ অজানা ভয় ৷ শ্বাসকষ্টে ভুগছে কি না ৷ আমার বাসাটি আধাপাকা হওয়ায় আমি বিষয়গুলো সহজে লক্ষ্য করতে পারি ৷ তারপর মধ্যরাতে উঠে ইচ্ছে হলো বাবাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে জিজ্ঞেস করবো, কোন শরীর টরীল খারাপ লাগছে কি না ৷ খুব অস্থির লাগছিলো আমার ৷ গরমে ঘামছিলাম ৷
.
এতো রাতে জাগানো ঠিক হবে না ৷ এবার ঘরের দেয়ালে কান পেতে আমি চেষ্টা করছিলাম বাবার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনার ৷ দশ পনের মিনিট পর মনে হলো, ভয়ের কিছু নেই ৷ খুব শান্তি লাগলো আরামে ঘুমাতে গেলাম ৷
.
আমি এখনো মনে করি, করোনায় আমি মরে গেলে আমার আপসোস্ নেই ৷ প্রিয়জনগুলো ভালো থাকুক ৷ সকালের হাসিমুখ আমি কখনো মিস্ করতে চাই না!
.
বাহির থেকে জব করে বাসায় আসি, সবাইকে এক প্রকার দমকের সুরে বলে দিয়েছি, কেউ আমি বাসায় আসলে গোসল করে সব কাপড় চোপড় ধৌত করার আগ পর্যন্ত আমার কাছে আসলে খবর আছে ৷ এগুলো নিয়ে বাসায় অনেক হাসাহাসি ৷
.
আমার চশমা পর্যন্ত আমি সার্ফএক্সেলের পানি দিয়ে ধৌত করি সাথে মোবাইল গুলো হ্যাক্সল দিয়ে ৷ এগুলো আমি আমার চেয়ে প্রিয়জনদের কথা ভেবে করি ৷
.
জন্মেছি যখন মৃত্যু অবধারিত ৷ প্রতিটা দিন বেঁচে থাকা মানে এক একটি বোনাস ৷ বুঝতে পারি তোমাদের বাবা হারানোর কষ্ট ৷ বাবারা তো চলেই যাবে তবে কেনো বিনা চিকিৎসায় ৷ একটা আইসিইউ পাবে না! সন্তান হয়ে গাধার মতো খেটেও যদি বাবার জন্য একটা আইসিইউ ম্যানেজ করতে না পারি এই ব্যর্থ জীবন দিয়ে করবো টা কি!
.
সুখন সুখন সেদিন বললেন দেশে মাত্র ১৭ লক্ষ মানুষ ট্যাক্স দেয়, এতো কম টাকা দেখে গত দশ বছরে ছয় লাখ কোটি টাকা কেমনে পাচার হয়? বিয়ে করিনি বলে কনডমের ট্যাক্স দেওয়া থেকে বঞ্চিত আছে কিন্তু অর্থনীতির সবচেয়ে গাধা ছাত্রটি হয়েও আমি বলতে পারি কৃষকরা যে আবুল বিড়ি খায় তার প্রায় অর্ধেক ট্যাক্স সে দেশের উন্নয়নের জন্য দিয়ে সেই পণ্যটি কিনেন ৷
.
ট্যাক্স আরোপিত নেই এমন জিনিস খুঁজে কয়টা পাবেন? সেদিকে যাবো না ৷ শুধু স্বাস্থ্যখাতে যে হাজার কোটি টাকা দূর্নীতে ওটাও বলবো না, করোনাকালীন অক্সিজেন সিন্ডিকেটটা আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে সেই লজ্জা আমরা কোথায় রাখবো?
.
প্রায় সময় অনেকে বলে ভাই একটা উপকার করেন ৷ কোনদিন কিছু চাইনি ৷ আইসিইউ কিভাবে পাবো? প্লাজমার কোন ঠিকানা আছে? আমি WAB এ পোস্ট করতে বলি ৷ নিরুপায় আমরা ৷
.
আমার বন্ধুর বাবা আইসিইউ পায়নি সেটা লেখা যদি সরকার বিরোধি হয় তবে আমরা নব্য রাজাকার ৷ রাজকারে ফাঁসি দাবী করলেও আমি বলবো, আমি রাজাকার ৷
.
আমাদের ধরে ধরে ক্রসফায়ারে দেন্ ভাই তবুও আমি তার বিনিময়ে আমাদের সকলের বাবার জন্য একটা আইসিইউ দাবী করবো ৷ সেখানে বাবা অক্সিজেন নিতে নিতে মারা যাচ্ছেন সেটা কল্পনা করতে করতে মরে গেলেও আমাদের বিন্দুমাত্র যন্ত্রণা হবে না ৷ হিসেব আর সোজা কথা একটাই, আমার সন্তান যাতে কখনো এসব দেখতে না হয় সেই জন্য আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও প্রতিবাদ করে যাবো ৷
.
মরে গেলেও আমাদের টগবগ করা রক্ত বলতে থাকবে, মাই ফাদার'স কান্ট ব্রেথিং, প্লিজ এরেঞ্জ এ আইসিইউ! প্লিজ! হ্যালে বাংলাদেশ, মাই ফাদার কান্ট ব্রেথিং ৷
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: সন্তান হয়ে বাবাকে একটা অক্সিজেন গিফট করতে না পারলে এই জীবন কার জন্য ৷
২| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলাদেশে জন্মই যেন ভুল । মানুষ রাস্তাখাটে মরছে এবং মরবে
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৫
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: তবুও কবি বলে, আবার আসিব ফিরে আমি এই বাংলায় ৷
৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: খেতে খেতে দেশটাকে যে খোকলা করে দিয়েহে, করোনা এসে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল। তবু কিছু বলা যাবেনা! বলা যে যাবেনা তার জন্য আইনও করা হয়েছে। আর সেই আইন প্রণেতাদের দালালি করে শকুনের মত দালালেরা।
বাবাদের নিরাপদে রাখুন!
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৬
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এখন বুড়ো বাবাদের হাড্ডি চিবাচ্ছে ৷
৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সব সময় উচিত কথা বলেন। বিষয়টা ভালো লাগে ।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: সত্য বলে যাবো যতটুকু সম্ভব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন ৷
৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১২
বিজন রয় বলেছেন: আপনার কাছে অনেক জ্ঞান আছে।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: বাস্তবতার চেয়ে বড় জ্ঞান কিছু হয় না ৷
৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আমার বাবা প্রবাসী, ২৭ দিন আইসিইউতে ছিলেন। প্রত্যেকটা দিন মনে হত আজকেই শেষ দিন। তার জন্য সে দেশের সরকার যা করেছে, বাংলাদেশের সরকার দশবার জন্মালেও মনে হয় না করতে পারবে।
কষ্ট আর রাগটা লাগে যখন দেখি টাকা আর ক্ষমতা থাকলে ঠিকই আইসিইউ সিট জোগাড় হয়ে যায়। উন্নয়নের মহাসড়কের সব অধিকার তাদেরই, পাবলিক তো কামলা মাত্র।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৮
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: আমার এক ছোট বোনের বাবা তিনঘন্টার জন্যও আইসিইউ পায়নি ৷
৭| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দেশে আইসিইউ আছে এক হাজার+/- ।রোগী আছে কতো?উন্নত দেশে কতো লোক মারা গেলো শুধু আইসিইউর অভাবে।অবশ্য আইসিইউ না পেয়ে যারা মারা যাচ্ছে তাদের পরিবারের দুঃখ অনেক।কিন্ত যারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় তাদের জন্য করুনা হয়।উচিত কথা বলা সহজ,উচিত কাজ করা সহজ না।
৮| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার স্প্রিরিট কে শ্রদ্ধা রেখেই বলছি বাংলায় আরো জোরালো ভাবে বলা যেত ....এমন ভুলভাল ইংরেজী তে লিখাতে, লিখার আসল উদ্দেশ্য ই ব্যাহত....টাইটেলে আর সবার শেষে
"মাই ফাদার'স কান্ট ব্রেথিং, প্লিজ এরেঞ্জ এ আইসিইউ"
You are a University Graduate
৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৪
রাফা বলেছেন: পৃথিবির সবচাইতে উন্নত দেশের পক্ষেও সম্ভব নয় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করা।এই জন্যই এটাকে সংজ্ঞা্য়িত করা হয় আপদকালীন সময় বলে।বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা ভাবনা করতে শিখুন। একটা রাষ্ট্রের সক্ষমতার ভিত্তির উপর নির্ভর করে তার সফলতা ও ব্যার্থতা ।
ভাবতে শিখুন রাষ্ট্র আপনার কাছ থেকে কতটুকু পেয়েছে।আপনি যা করেছেন তার চাইতে বেশি প্রত্যাশা থেকেই হতাশার জন্ম।
আমি বাজী রেখে বলতে পারি যারা দেশের জন্য কিছুই করে নাই তাদেরই প্রত্যাশা বেশি। তারা অকৃতজ্ঞও অধিকতর ।আমার মন্তব্যকে ব্যাক্তি আক্রমন মনে করা সমিচিন নয়।
ধন্যবাদ,আ.র.শরীফ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩
মুহা. নাজিম উদ্দীন বলেছেন: মরে গেলেও আমাদের টগবগ করা রক্ত বলতে থাকবে, মাই ফাদার’স কান্ট ব্রেথিং, প্লিজ এরেঞ্জ এ আইসিইউ! প্লিজ! হ্যালো বাংলাদেশ, মাই ফাদার কান্ট ব্রেথিং।
-
সত্যি বলছি, গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেলো।