নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমার লেদু দাদা মৃত্যু আগ্ পর্যন্ত কেউ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কিছু বললে তাকে দৌড়ানি দিতো কিন্তু যখন প্যারালাইজড ছিলেন তখন দৌড়ানি দিতে না পারলেও তার সাথে কথা বলতেন না আর, জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধুর দল করে কিছু পাননি বরং পাওয়ার আশাও করেন নি ৷
.
আমার দাদী বর্তমান রাজনীতি বলতে কেবলি শেখ হাসিনা আর খালেদাকে চিনেন, টিভিতে হাসিনাকে দেখলে আনন্দে দিশেহারা হয়ে যান ৷
.
আমার দাদা এমপি ওবায়দুল হক সাহেব ছিলেন সন্দ্বীপের স্বাধীনতার পর প্রথম এমপি, মাত্র কয়েক বছর হলো আমার পরিবারের কর্ণধাররা নিজেদের বাড়িতে সম্পূর্ণ নিজের খরচে একটা কারিগরি স্কুল যেটা আহসান জামিল টেকনিক্যাল সেন্টার নামে পরিচিত কয়েক বছর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেটা উদ্বোধন করেছিলেন ৷
.
আমার বাড়িতে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় সম্প্রতি তা ও নিজস্ব অর্থায়নে,
.
এখনো আমার পরিবারের একটি ঘর বাদে সবগুলো ঘর জরাজীর্ণ টিনের, কোন উন্নয়নের ছোঁয়া ছিলো না ৷ এমনকি একটা ভালো রাস্তাও ছিলো না ৷
.
তবুও আমাদের বাড়িতে কেউ কখনো বিএনপির প্রচারণা করতে আসেনি ৷ আসেনা কারণ আমাদের পরিবারের ২৬ টা ভোটার থাকলে কখনো একটাও নৌকার বাহিরে পরবে এটা সম্ভবও না ৷ কল্পনাতীত ৷
.
ওখানে রক্তের ক্ষুদ্র কণিকার লৌহিত প্রবাহের ভিতরে নৌকা চলে ৷
.
নৌকা আমার পরিবারের একটি ভালোবাসা কিংবা আবেগের প্রতীক ৷ একমাত্র আমি আমার পরিবার থেকে কখনো শিবির, কখনো কমিউনিস্ট পার্টি, জাসাস, জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে হালের মোমবাতি, করিনি এমন দল মনে পড়ছে না ৷
.
যখনি যে দল ডাকে আমি ওদের হয়ে যায় ৷ ভালো না লাগলে আবার ফিরে আসি ৷ আওয়ামী লীগ বলতে আমি কেবল বঙ্গবন্ধু কিংবা বায়ান্ন থেকে একাত্তরের বিশ্বাসী ৷ ভিতরের স্পন্দন ৷ তবুও আমি দেখেছি মানুষ কিভাবে এখনো সেই আওয়ামি লীগকে খুঁজতে মরিয়া ৷
.
একবিংশ শতাব্দির শুরুতে আমার এখনো মনে আছে মানুষ দূর্নীতিতে অতিষ্ট আর চ্যাম্পিয়ন হতে হতে, আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করতো কখন আওয়ামী ক্ষমতায় আসবে আর সুদিন ফিরবে ৷
.
আমি তখন মাত্র বুঝতে শিখেছি ৷ পত্রিকার প্রথম পাতা খুললেই হাওয়া ভবন ৷ খাম্বা মামুনের গল্প ৷ খুঁটি বসাইছে বিদ্যুতের লাইন দেয় নি ৷ আরো কত শত...!
.
এখনো বিশ্বাস করতে পারিনা একদিন স্বাধীনতার পক্ষের দল ক্ষমতায় আসবে আর যুগের পর যুগ থাকবে তবুও পুরো দেশ হরিলুট আর দূর্নীতির আখড়া হয়ে যাবে ৷ জনগন স্তব্দ আজ ৷ ভোটের অধিকার পর্যন্ত প্রয়োগের সুযোগ নেই ৷ রক্তের যা থাক্ না কেনো আমি দলকানা হতে পারিনা ৷ দলটি আমি কখনো করতেও পারিনা কারণ সেই সাহস আমারও নেই ৷
.
তবুও সবসময় আমার সকল আশীর্বাদ কেবলি এই দলটির প্রতি ছিলো আছে থাকবে ৷
.
মানুষ এখন রাজনীতি নিয়ে কোন আশার কথা বলেনা ৷ আশার প্রদীপ যে দলে ছিলো তা তারাই ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিয়েছে ৷ হৃদয়ে অাজো অনেকের রক্তক্ষরণ হয় ৷ একবার এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলতে বলতে বাসে পরিচয় ৷ সে খুব আক্ষেপ করে বলেছিলো, রাখেন ভাই আপনার মুক্তিযুদ্ধের গল্প ৷
.
আসলে আওয়ামী লীগের ইতিহাস যে জানতে চাইবে সে ই প্রেমে পরবে ৷ একবার নয়, দুইবার নয়, বারবার ৷ লেখাটি লিখতে আমার মোটেই ভালো লাগছে না ৷ সত্যও বেশী বলা যাবে না ৷
.
ভিপি নুর নতুন দল গঠন করতে চাচ্ছে ৷ একদিন সে ও ছাত্রলীগের পতাকা তলে ছিলো ৷ দলটির প্রতিও তার আবেগ কাজ করে কেনো জানি মনে হয় সেও লুকায় ৷
.
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার পর এবং আগের গল্পও জানি, তবুও নেতা একজন ই ৷ দুই জনকে কখনো মানতে পারিনা ৷ মেজর জিয়ার বেতারে স্বাধীনতার ঘোষণা জনগন দুই পয়সার দাম কখনো দিতো না যদি সেদিন বঙ্গবন্ধু আড়ালে না থাকতেন ৷
.
কতটা হাস্যকর আর নির্লজ্জ হলে একটি দল তাকে স্বাধীনতার সরাসরি ঘোষক দাবী করে এটা কখনো মাথায় ঢুকে না আমার ৷
.
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কংবা ডঃ ইউনুসের 'নাগরিক শক্তি' কোন দল ই কখনো জনগনের আস্থার জায়গায় আসতে পারেনি যতটুকু পেরেছে দুই দল ৷ হুট করে এসে দল করে বিরোধি দল হয়ে যাবো আমরা এটাও মেনে নিতে পারিনা ৷ ইতিহাস লাগে ৷ কমপক্ষে অর্ধশত বছরের ইতিহাস ৷
.
তবুও আশাবাদী যদি আওয়ামী লীগ একদিন অন্যায় অত্যাচার, নিপীরন, গুম, দূর্নীতি, তেলবাজ নেতাদের থেকে বের এসে নতুন কোন স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারবে, লেখাটি সরাসরি শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে লেখা ৷
১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: ধরেও এখন দুই দল, মায়ের দল, বাবার দল
২| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনার মত আমরাও আশাবাদী ,
- সম্ভাবনার এই দেশে আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করবেন জননেএী শেখহাসিনা।
দেশ ও জনগনকে মুক্তি দিবেন সকল প্রকার ভয়ভীতির হাত থেকে।
১১ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এই আশা ই ভরসা ৷
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে, সমাজের মানূষ সবাই বিভিন্ন দলভুক্ত। নিরপেক্ষ কেউ নেই।
আপনার দাদা এমপি ছিলেন জেনে ভালো লাগলো।