নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চিত্র যদি এটা হয়!!!

০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজকে একটা ভালো উদ্যোগ দেখলাম যা সত্যি প্রশংসনীয় ৷ যারা ক্যাম্পাসের বাহিরে থাকে তাদের তথ্য নিচ্ছে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কিংবা সুরক্ষার কথা চিন্তা করে,
.
আমি ক্যাম্পাস থেকে প্রায় সাত আট কিলোমিটার দূরে কেডিএস গ্রুপে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি সেই সুবাদে ক্যাম্পাসের ভিতরে এবং বাহিরে দুটো চিত্র দেখার সুযোগ হচ্ছে কিংবা হয়েছে ৷
.
যদিও সপ্তাহে দুই দিন অফিস করি তার সাথে বড় কথা প্রায় দুইমাস আমি বাসায় বসে কাজ করেছি এবং দৈনিক সমকালে প্রকাশিত আমার রম্য 'কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলো' থেকে অনেকে উপলব্দি করতে পারবেন আমরা ক্যাম্পাসের বাহির চাকরি করলেও কতটা সচেতন ছিলাম ৷
.
কিন্তু দিনশেষে আমি ক্যাম্পাস নামক প্রদীপের নীচে অন্ধকার দেখেছি ৷ আজকেও আমি শহর থেকে আসলাম ৷ রাস্তায় এমন কোন রিক্সা চালক দেখিনি যার মুখে মাস্ক নেই ৷
.
আজ আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম, সকালে যে সিএনজিতে উঠেছি, উঠার সময় সিএনজি চালক হেক্সাসল হাতে দিলো, মাঝখানে সিএনজি থামিয়ে আবার এমনকি নামার সময় আবার হেক্সাসল দিলো আর বললো, জীবন আগে ৷ টাকা পয়সা পরে ৷ অর্জিনালটা আপনাদের জন্য পকেটে নিয়ে ঘুরি ৷ দুই নম্বর একটা আছে তাতে হাত নষ্ট হয় ৷
.
অদ্ভুত কিছু সচতনতা সৃষ্টি হয়েছে শহরের মানুষদের মধ্যে, যে মাস্ক কিনতে পারে না সে ধুতে ধুতে রং উঠিয়ে ফেলেছে তবুও সেই মাস্ক মুখে রেখেছে ৷
.
মাস্ক ছাড়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যেখানে এক প্রকার দুর্লভ সেখানে আমার প্রিয় ক্যাম্পাস ঢুকার সাথে সাথে দৃশ্যপট পাল্টে গেলো ৷
.
দশ জনের মধ্যে পাঁচ জনের মুখে মাস্ক নেই, তার মধ্যে আবার দুইজন থুতনির নিচে মাস্ক গুঁজে রেখেছে,
.
ইচ্ছে মতো কাশি, কথাবর্তা বলে, হাসাহাসি শেষ হলে, যাওয়ার সময় মাস্কটা নাকে মুখে টেনে দিয়ে তারপর আবার হাঁটা শুরু করতে দেখলাম ৷
.
আবারো বলছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষিত একটি এলকায় যেনো প্রদীপের নিচে অন্ধকার বিষয়টি ফুটে উঠেছে খুব ভালোভাবেই ৷
.
চবি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আসার পর খোদার কসম আমার মনে হলো করোনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে লজ্জায় ৷
.
কমপক্ষে কয়েকশ মানুষ যে যার মতো আড্ডা দিচ্ছে গোল গোল করে বসে ৷ পাশে দেখলাম দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ফুটবল খেলা চলছে ৷ আবাল বৃদ্ধ বণিতা যেনো কেউ ঘরে নেই ৷
.
সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে আড্ডা দিচ্ছে সেটা বড় কথা না সেখানে সবার মুখের দিকে চোখ বুলিয়ে নিয়ে খেয়াল করলাম, অধিকাংশের মাস্ক শব্দটির সাথে পরিচয় নেই ৷ তারা ভাল্লাগে খুশিতে ঠেলায় হেলায় এসেছে বাতাস খেতে ৷
.
আর কত মানুষ মরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অপ্রয়োজনীয় ঘুরাঘুরি বন্ধ হবে! বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের মানুষগুলোর ধারণা যেনো তারা করোনার চেয়ে শক্তিশালী,
.
ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে একবার দেখে আসুন মানুষ পেটের টানে চাকরি করতে বের হচ্ছে ঠিকি নিজেকে যতটুকু সম্ভব তারা বাঁচিয়ে চলছে ৷ আপাদমস্তক পিপিই পরে মাথাটা উঁচা করে বাসের দরজায় ঝুলে থাকলেও সেখানে শেষ চেষ্টা আছে বেঁচে থাকার, অপ্রাণ লড়ে যাচ্ছে, আর আপনাদের সরকার এতো সুযোগ সুবিধা দিয়েও ঘরে রাখতে পারছে না! এই লজ্জা কার?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


উহা তো মাদ্রাসা ছিলো, করোনার ফলে কি ইউনিভার্সিটি হয়ে গেছে? চিটাগং ইউনিভার্সিটি ছিল শিবিরের রাজধানী, এখন কি অবস্হা?

২| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের মানূষ ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছে।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: নৌকার মাঝিদের তো এসব দেখা উচিত।না কি ফুটবল খেলায় ব্যস্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.