নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
একটু আগে মারা যাওয়া হুমায়ুন ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সাথে চবি দুই নং গেইটে দোকান করতেন ৷ তরতাজা মানুষটা সকালে খবর পেলাম মারা গেছে ৷ কেনো মারা গেছে তার খোঁজ এখনো পাইনি ৷
.
গতকাল মারা যাওয়া মাহবুব ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার রুলে চাকরি করতেন, চকরি স্থায়ী হওয়ার আগেই ভাই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন ৷
.
করোনা পরিস্থিতি তাদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কেউ কিছু তেমন করে বলতে পারছেন না ৷ ধরে নিলাম হার্ট এটাক ৷
.
আমার লাইফে আমি এখনো এভাবে একের পর এক মানুষ মারা যেতে দেখিনি ৷ কাইয়্যুম স্যার মারা গেলো তিনি ক্যান্সারের রুগী ছিলেন ৷ প্রতিবেশী মারা গেলো বার্ধক্যে কিন্তু জোয়ান জোয়ান মানুষগুলোর হঠাৎ কি এমন অসুখ চেপে ধরেছে যে মরতে হবে ৷
.
কেউ মরলে সবাই দৌড়ে বাবার কাছে চলে আসে, বাবা সৎকারে প্রসিদ্ধ আগে থেকেই ৷ বাবাকে নিয়েও ভয় উনি প্রেসারের রুগী ৷ একবার প্রেসার বেড়ে প্রায় নাই হয়ে গেছিলেন ৷
.
মায়া হচ্ছে নেয়ামত কাক্কুর জন্য ৷ মানুষটা কেউ মরলে দৌড়ে সবার আগে কবর কুঁড়তে চলে যায় ৷ হুমায়ুন ভাই মারা যাওয়ার খবর উনি সবার ঘরে ঘরে এনাউন্স করে দিয়ে আসছেন ৷
.
নেয়ামত কাকা এক অদ্ভুত জিনিস ৷ তার ভাষ্যে বলতে গেলে 'উপরওয়ালা যদি মৃত্যু কপালে রাখে, তাহলে চলে যাবো কিন্তু কবর খুঁড়তে আমাকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না ৷'
.
খোদার কসম এই মানুষটা এটা বলে চলে যাওয়ার পর আমি ঘরে ঢুকে কোয়ারেন্টিনে চলে গেছি কিন্তু তার চলে যাওয়ার মধ্যে আমি তাকে নতুন করে ভালোবাসতে শিখছি প্রতিনিয়ত ৷
.
আমি যদি করোনায় মরে যায়, পরিস্থিতি আরো থমথমে হবে তখন এই মানুষটা ছাড়া কেউ যাবো বলে মনে হয় না, আমি কল্পনা করছি চালের বস্তার মতো হয়ে তার কাঁধে চড়ে আমি কবরে যাচ্ছি ৷ কেউ নেই ৷ কোথাও কেউ নেই ৷
.
মারা যাওয়া ভাইটির বন্ধুও সৎকারে যাচ্ছে ৷ যাওয়ার আগে 'যে কোন লাশ দাপন, গোসল,কবর খুরা,জানাজা পড়া,ও লাশ বহন করার জন্য অন্তত ১০/১৫ জন মানুষ দরকার, আমরা সবাই ফেইসবুক কমেন্ট করে দায়মুক্তি নিতে চাই। তাহলে উপরোক্ত কাজ গুলো করার দায়ীত্ব কার, অবশ্যই আত্তীয়,প্রতিবেশী পরিবার,ও ব্যাচমেট বন্ধু দের, মাহবুবুল মাসুম মারাগেল, কোথায় গেল উক্ত লোকেরা। খাট নেয়ার লোক পাওয়া যায় না, কর্মচারী হিসাবে নেই কোন গুরুত্ত। ফেইসবুক সমবেদনা হতে বেরিয়ে আসতে হবে। নিলে ঘরে ঘরে লাশ পড়ে থাকবে। মনে থাকে যেন।' লেখাটি পোস্ট করে গেছে ৷
.
মানুষটা আমার বুড়ো বন্ধুর মতো, তাকে আমি হাতে কলমে ফেসবুক শিখিয়েছি আজ তার স্ট্যাটাসটা আমার হৃদয়ে তোলপাড় শুরু করিয়ে দিয়েছে ৷
.
আমার কি যাওয়া দরকার না বসে থাকা দরকার তা ও বুঝতে পারছি না ৷ অদ্ভুত এক কিয়েক্টা পরিস্থিতির মধ্যে আছি ৷
.
সেদিন বন্ধু ইকবালের বাবা মারা যাওয়ায় করোনা একপাশে ঠেলে সারাদিন সৎকারে ছিলাম ৷ যেদিও আমি এগুলো তেমন পারিনা ৷ জাস্ট পাশে থাকা ৷
.
কিন্তু কাল থেকে আজ যখন দেখলাম তরতাজা মানুষগুলো নাই হয়ে যাচ্ছে তখন আর দুঃসাহস দেখালাম না ৷ যে বড় ভাইটি মারা গেছে তার ছোট ভাই আমার বন্ধুর মতো প্রিয় মানুষ ৷ কত সুখ দুক্কের আলাপ করেছি ৷
.
যাত্রা পথে যতবার তার সাথে দেখা হয়েছে ততবার ভাড়া দিয়ে দিতো জোর করে,
.
এতো চেনা জানা মানুষগুলোর এমন বিপদ দেখে মনে হচ্ছে পৃথিবীতে কেয়ামত নেমে আসছে ৷ আবার এদিকে কাল থেকে প্রায় সবকিছু খোলা ৷ কি হবে ৷ কি হতে যাচ্ছে কিচ্ছু মাথায় আসছে না ৷
.
সর্দি কাশির উপসর্গ নিয়ে হাজারো মানুষ হার্ট এটাক করলে এখন আর অবাক হবো না ৷ ভালো থাকবেন সবাই ৷ হতে পারে এটা ই শেষ লেখা ৷
২| ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: মন খারাপ করার মত পোষ্ট।
আসলে তরতাজা মানুষগুলো গত হওয়া সহজে মেনে নেয়া যায় না।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
৩| ৩০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
আমি সাজিদ বলেছেন: ভয় পাবেন না। মনোবল অটুট রাখুন৷ সাবধানে থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: তরতাজা মানূষ ধূমধাম মরে যায়। এটা খুব কষ্টদায়ক। দুই বছর আগে আমার বন্ধু হুট করে মরে গেল। কি সুন্দর স্বাস্থ্য ছিলো। বয়স মাত্র ৩৩ ছিলো।