নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
দেড় মাস পর বের হয়ে পুরো শহর ঘুরে এলাম যা দেখলাম তা হলো লক ডাউনের নামে কেবলি নাটক,
.
রাস্তায় গণপরিবহন নেই কিন্তু মাথাপিছু তিনটা করে ছোট পরিবহনে সয়লাব!
.
যার অফিস যেতে আগে দেড় ঘন্টা লাগতো তার পকেটে টাকা থাকলে আধা ঘন্টায় পৌঁছে যাচ্ছে,
.
প্রথমে যে প্যাডেল মারা রিক্সায় উঠলাম সে গার্মেন্টস শ্রমিক, গার্মেন্টস থেকে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠালে সে অবসর সময়ে পার্ট টাইম রিক্সা চালিয়ে দিব্যি সময় কাটাচ্ছেন!
.
এক সময় ভাবতাম সবাই বেকার হলেও স্যালুনের কারিগর কখনো ভাতে মরবে না, আজ নতুন অভিজ্ঞতা হলো! রিক্সা চালাতে জানলে সে কখনো ভাতে মরবে না, কষ্ট করে হলেও বেঁচে যাবে,
.
এক শ্রেণীর মানুষ দেখলাম রিক্সা পুলারদের শহরে নেমেছেন, জার্নি টু বাই রিক্সা ভ্রমণে! মাত্র তিনশ টাকায় শহরের এই মাথা থেকে ঐ মাথা হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন!
.
তবে রাস্তার দু'ধারে পকেটে টাকা না থাকায় মাইলের পর মাইল হেঁটে যাচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা, হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ...!
.
আরো মজার বেপার হচ্ছে তাদেরকে ফ্যাক্টিরিতে ঢুকানোর সময় ওয়াশ করা হচ্ছে! ট্যাম্পারেচার মাপা হচ্ছে! কপালে টেম্পু মেশিন ঠেকিয়ে গুলি করে চলছে নিরাপত্তা কর্মী, সেটা কাজ করছে না!
.
করোনাকে ঘিরে যেনো এক নাট্যশালার আয়োজন ৷ এরপরেও যে দেশে করোনায় হাজার মানুষ ঘন্টায় মারা যাচ্ছে না সেটা ই বিস্ময়,
.
একটা বেপার খেয়াল করলাম! সবার মুখে মাস্ক! সে রিক্সাচালক কিংবা গার্মেন্টস কর্মী থেকে ভিআইপি যে ই হোক না কেনো!
.
ট্রাফিক পুলিশকে দেখলাম গরমে করোনা স্যুইট মাথা থেকে নামিয়ে কোমরে লুঙ্গীর মতো গিট্টু দিয়ে রেখেছ ৷
.
নিম্মবিত্ত মানুষদের মাস্কগুলো যেনো হাজার বছর ধরে বংশ পরম্পরায় পাওনা, ধুতে ধুতে ইলাস্টিক সুতায় রূপ নিয়েছে,
.
লোকাল সিএনসিজি তে চার জনের জায়গায় ছয়জন, হুরুহুরি করে ধাক্কাধাক্কি লাগিয়ে মসজিদে ঢুকে আবার এক হাত পরিমাণ জায়গাও খালি রেখে দূরত্ব বজায় রেখেছে!
.
বায়জিদ ক্যান্টেনম্যান্টের সামনে দেখলাম কয়েকটা সেনা বাহিনী ভালোই নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে লক ডাউন করেছে ৷ এই দৃশ্যটি কেবল চমৎকার লাগলো ৷
.
হঠাৎ করে রাস্তায় যেনো সিএনজির ঢল নেমেছ, দূর থেকে দেখলে মনে হয় সবুজে চেয়ে গেছে দেশ,
.
এক গ্রাম সিএনজিকে বললাম আমি তো প্রায় দুই মাস বের হয়নি তুমি তো ছিলে রাস্তায়, কেমন দেখলে কোয়ারেন্টাইন/ সে বললো, মাঝে মাঝে পুলিশ ডিস্টার্ব করলেও ভালোই কামিয়েছি রাস্তায় ছিলাম আছি থাকবো!
.
তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করলাম, জ্বর, সর্দি, কাশি, স্বাদ-গন্ধহীন এমন কোন অনুভূতি হয়েছে কি না? সে ফোকলা হাসি দিয়ে বললো, আমাগো করোনা ধরলে শরীলের ঘাম দিয়ে বের হয়ে যাইবো!
.
তার যখন করোনা হয়নি সারাদিন রাস্তায় থেকে, আমিও মোটিবেশন পেলাম! মাস্কটা খুলে নরম কাপড় দিয়ে নাক চুলকালাম! হেব্বী মজা লাগতেছিলো! আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না ৷
.
তবে যা বুঝলাম, করোনা আমাদের ধরলে কেউ বাঁচতে পারবে না! কেউ না! পৃথিবীর বুকে আমরাই মাথামোডা জাতি, দ্বিতীয়টি নেই! পুরো দেশটা যেনো যেমন খুশি তেমন সাজোর এক রঙ্গমঞ্চ ৷
১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: বড্ড অরাজকতা
২| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সন্দ্বীপের খবর টবর তো কোনদিনও দিলেন না!
১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫০
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: সন্দ্বীপে একদিনে সাত জনের করোনা, ভালো না খবর ৷
৩| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মধ্যবিত্তদের মাস্ক গুলো বাসায় নিয়েই ধুয়ে দেয়, আবার রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করে। আমিও এই দলে।
১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫১
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: সত্যি বলতে গতকাল একজন বললো সে সার্জারিক্যাল মাস্কও ধুয়ে মুখে দেয় ৷
৪| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আণন্দ সির মধ্যেই জীবন পার করে দেওয়া উচিত।
১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫১
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: এক জীবনে এতো ভুল ৷
৫| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নাটকটা যে আপনিই করলেন সেটা খেয়াল করেন নাই।অকারণে ঘুরে আসলেন সারা শহর।
১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: অকারণে না, আমার জরুরী কাজে অফিস যেতে হলো নাহলে আমি ঘরে ই থেকেছি সেই মার্চ থেকে
৬| ১১ ই মে, ২০২০ রাত ১২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশের লকডাউন হলো সরকার ও জনগণ যেমন খুশী তেমন চলো।
১১ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৩
আবদুর রব শরীফ বলেছেন: একদম যেমন খুশি বেরিয়ে পড়ো
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এনার্খি