নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
কারার ঐ লৌহ-কপাট গানটিতে 'যত সব বন্দী শালায়- আগুন-জ্বালা' লাইনটি নিয়ে সত্যিকারের বন্দীরা নাকি খুব-ই ক্ষেপে ছিলো, তখন তাদের বুঝানো হলো 'বন্দী শালায় আগুন জ্বালা' মুক্তির রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তবুও তারা ক্ষেপা ছিলো কারণ 'শালা' বলাতে নাকি ইগোতে লেগেছে,
.
তেমন-ই বাসায় গিয়ে যারা বউকে কোয়ারেন্টিনের উপকারীতা বুঝাতে গিয়েছেন তাদেরও নাকি শুনতে হয়েছে, আমরা তো সারা বছর-ই কোয়ারেন্টিনে থাকি, সে খবর কি তোমরা রাখো? গিন্নীর ইগো তো আরো মারাত্মক,
.
সময় যখন, 'ওগো, আজ তোরা যাস নে গো, তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে' ৷
.
কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলোতে কবিগুরু বেঁচে থাকলে হয়তো আরো লিখতেন, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘরের ভিতর শুয়ে থেকে হেলিয়া......! কিন্ত আমাদের সেই ভাগ্য হয়েছে,
.
জীবনে এই প্রথম আবিষ্কার করলাম, ঘরে লোহার শিক দিয়ে ডিজাইন করা জানালাগুলো যেনো একটা জ্যামিতির রোল মডেল যেখানে রেখা,কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, আয়তক্ষেত্র সবি আছে ৷
.
সকালে চা পান একটি সত্যিকারের মুখের ব্যায়াম কারণ প্রমাণ সাইজের এক কাপ চা শেষ করতে তেতাল্লিশ বার চুমুক দেওয়া লাগে,
.
সেদিন একজন জিজ্ঞেস করলো, সরকার যদি সাধারণ ছুটি আরো বাড়ানোর ঘোষণা দেয় তাহলে কি করবেন? আমি তো ভাবছি, মাশারির ছিদ্র গুণার কাজটি শেষ করবো ৷
.
ইদানিং খেয়াল করলাম পাশের রুম থেকে খুব সহজে খেয়াল করলে, তেলে ছেড়ে দেওয়ার পর ছ্যাঁত করে উঠা অওয়াজ শুনে গুণে বলে দেওয়া যায় গৃহিনী কয়টা পুলি পিঠা বানিয়েছে!
.
এদিকে খবর পেলাম স্টে হোম, স্টে সেইফ্ প্রোফাইলে দিয়ে রাখা বন্ধুটি পুলিশের বেতের বারি খেয়ে পাছা লাল করে বাসায় ফিরেছে,
.
আমি কিছুটা অবাক হলাম!
.
হোম কোয়ারেন্টাইন, আইস্যুলেশন নিয়ে সে বরাবরি খুব ই সচেতন ছিলো,
.
ঘরে বসে থাকার একশ একটি উপায় মর্মে সেদিন দেখলাম লাইভে এসে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছে ৷
.
স্বেচ্ছায় হোম কোরেন্টিন থাকার সময় সে সুইচ অফ হওয়ার পর ফ্যানের পাখা ৩৬ বার ঘুরে বন্ধ হয় মর্মে বিভিন্ন গবেষণা করে পোস্ট দেওয়ার পর আমি চেক্ করে দেখলাম বেপারটি ঠিক এমনি!
.
তবে রেগুলেটর মাঝারিতে থাকলে সুইচ অফ হওয়ার পর ৩৬ বার আর ফুল স্পিড থাকলে সেটা ৪৮ বার ঘুরে বন্ধ হয়,
.
আরো একখানা বেপার, নতুন দেয়াশলাইয়ের কাঠি চেক্ করে আমি সেখানে ৪৯ টি কাঠি পেলাম না বরং ৩৯টি ছিলো, এমন সূক্ষ দূর্নীতি ইতোপূর্বে আমাদের কারো চোখে পরেনি!
.
আরেকটা বিষয় নতুন আবিষ্কার করলাম, বাম ডান উপুত চিৎ হয়ে শুয়ে থাকার পর টায়ার্ড হয়ে গেলে এক পা উপর করে জানালার শিকের দুই ফাঁকে দিলে আরামে আরো একটু ঘুমানো যায়!
.
কিন্তু সেই বন্ধুর নিতম্বে পুলিশের বেতের আঘাতের চিহ্ন আমার আমানবিক ই মনে হলো,
.
হয়তো এমন কোন কাজ ছিলো যা সত্যি ই জরুরি,
.
তারপর তাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলাম,
.
সে বিবাহিত না যে হঠাৎ করে কিছু একটার সংকট পরে যাবে!
.
শেষ পর্যন্ত কাউকে না বলার শর্তে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ বলতে রাজী হলো ৷
.
এমন সময় যমুনা টিভিতে দেখলাম, সাংবাদিক জিজ্ঞেস করছে, কেনো বের হয়েছেন? উৎসুক জনতা বলছে, দেশের পরিস্থিতি দেখতে...!
.
এমন পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক কিছু ভাল্লাগে, খুশিতে, উৎসুক কিংবা ঠেলায় করে যা কোন যুক্তি দিয়ে খন্ডন করা মুশকিল,
.
চবি শোভাকলোণী থেকে সকালে আমার এক ছোট ভাই বের হয়েছে, স্বচক্ষে পুলিশের ব্যাটিং দেখার জন্য...!
.
ঐ যে বন্ধুটি সে বললো, 'হোম কোয়ারেন্টাইনে দুদিন বিড়ি খায়নি, বিড়ির সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে পুলিশের বারি খেয়ে ঘরে ফিরেছি!'
.
এতো করে বলে, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তবুও কারো কারো জন্য সেটা মনে হয় 'নিত্য প্রয়োজনীয়' দ্রব্য না বরং 'নিত্য আবশ্যকীয়'
.
আমরা অনেক কিউট জাতি, নিউজে দেখলাম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কেউ কেউ এই সুযোগে পুলিশকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাহিরেও মাছ, পাঁচপোড়ন কিনে এনে দেওয়ার অনুরোধ করছেন যা সময়ের সাহসী সৈনিকদের ইগোতে একটু হলেও লেগেছে, ভগ্যিস মার খেয়ে আসা বন্ধুটি বেপারটা জানতো না....!
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৮
বিবেকহীন জ্ঞানি বলেছেন: বড্ড বেশি হাসলাম
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: