নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
রাত দশটার পর সমস্বরে বাংলাদেশের প্রায় এলাকায় আযানের ধ্বনি শুনে কেমন যেনো মনটা হুহু করে উঠলো,
.
সামান্য চোখে দেখা যায়না এমন একটা করোনা ভাইরাসের কাছে পুরো পৃথিবী কতটা নিরুপায়!
.
তখন একমাত্র সৃষ্টিকর্তার স্মরণ ছাড়া কি বা করার থাকে আমাদের,
.
স্বয়ং ইতালির প্রধানমন্ত্রীর 'পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। এখন একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।' বক্তব্যটি পুরো বিশ্বকে কঠিনভাবে নাড়া দিয়েছে!
.
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে সম্মিলিতভাবে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে স্পেনে ও সমস্বরে ধ্বনিত হল আযান হয়েছিলো,
.
উল্লেখ্য স্পেনে বহু কাল থেকে বাহিরে উচ্চস্বরে আযান দেয়ার অনুমতি ছিলো না কিন্তু সেদিন অনুমতি দিয়েছিলো তারা!
.
তবে ঝড়-তুফানের প্রাদুর্ভাব ঘটলে বিপদ মুক্তির নিয়তের আজানে ‘হাইয়া আলাছ ছলাহ’ (নামাজের জন্য আসো) ও ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ (সফলতার জন্য আসো) বাক্যদ্বয় নিয়ে সংশয় আছে!
.
আরব বিশ্বে করোনা মহামারির এই ক্রান্তিকালে তারা এই দুটি লাইন পাল্টে দিয়ে ঘরে নামায পড়ার আহবান জানাচ্ছেন,
.
নামায ছাড়া আযান দেওয়া যাবে কি না পক্ষে বিপক্ষে নানা মত তর্ক বিতর্ক আছে, সেদিকে যাবো না ৷
.
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে নেদারল্যান্ডসের ব্লু-মস্কে লাউডস্পিকারে আযান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিচালনা কমিটি কিন্তু তা জেনে কিছু ধর্ম বিদ্বেষী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো, পরে পক্ষে দফারফা হয়,
.
গত মাসে মাইক বাজিয়ে আযান দেয়ার প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন শহর কর্তৃপক্ষ!
.
ধর্ম যার যার কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই,
.
গীর্জার ঘণ্টা বাজানোর অনুমতি থাকলে অবশ্যই আযানেরও অনুমতি থাকা হলো সমান অধিকার!
.
কিন্তু বিপদে আপদে মানুষের শেষ ভরসা থাকে কেবলি উপরওয়ালা এবং চেষ্টা কিংবা সচেতনতা,
.
এগুলো বেঁচে থাকার শক্তি যোগায়,
.
৭শ হিজরি সালে সংঘটিত মহামারি ‘আল-মাউতুল আসওয়াদ' নিয়ে বিখ্যাত ভ্রমণ পিপাসু ইবনে বতুতা লিখেছিলেন, 'মুসলমানরা কুরআন এবং খ্রিস্টনরা বাইবেল আর ইয়াহুদিরা তাওরাত হাতে পথে নেমে এসেছিলো!'
.
এখন যুক্তি তর্ক বিতর্ক সমালোচনা আলোচনা সময় না, যে যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে করোনা মোকাবেলা করতে হবে,
.
অসচেতনদের কাছে বার্তা পৌঁছাতে হবে, আযানের মাধ্যমে সেটি খুব ভালোভাবে পৌঁছছে কারণ হৃদয় স্পর্শ করেছে সাথে হুহু করে কেঁদে উঠা মন.....!
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: খারাপ কি ,যদি কোন উছিলায় আল্লাহ মাফ করে।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইতালীর ইডিয়ট প্রাইম মিনিষ্টার দেরীতে বুঝেছে যে, ইতালী টুরিষ্টের দেশ।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২০
অগ্নিবেশ বলেছেন: ডাক্তার ডাক্তার বইল্লা চেল্লান ক্যান?
করোনায় ধরলে মসজিদে পাঠান।
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো মানুষের সীমাহীন আচরণ বিচরণে পৃথিবী টিকে থাকার লড়াই করতে করতে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিলো; তার এই বিশ্রাম খুব দরকারী হয়ে পড়েছিল !
পৃথিবীর সকল প্রাণ ফিরে পাক তার বিশুদ্ধতা, শান্তি, অস্তিত্ব !
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম প্রমাণ হলো মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে দৈনিক পাঁচবার আজানের ধ্বনি।
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন পাঁচবার নির্দিষ্ট সময়ে আজানের মাধ্যমে ইসলামী জীবনাদর্শের মূলনীতি
ঘোষণা করা হয়। এতেই আছে ইসলামের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। উক্ত শব্দগুলোর ঘোষণা কোনো
ধরনের সম্বোধন ছাড়াই দেওয়া হয়। এ ঘোষণা সব মানুষের জন্য।
তাই আজানের ঘোষণা সর্বজনীন।
মহাকবি কায়কোবাদ লিখেছেন,
‘কে ঐ শোনালো মোরে আযানের ধ্বনি,
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিলো কি সুমধুৃর,
আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধ্বমনি।
কি-মধুর আযানের ধ্বনি’।
জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম লিখেছেন :
‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।’
শুধু আজান শোনার জন্যই মসজিদের পাশে বাড়ি কিনেছিলেন প্রয়াত
চলচ্চিত্র পরিচালক দীলিপ বিশ্বাস। এ তথ্য জানিয়েছেন গুণী এ নির্মাতার
ছেলে দেবাশীষ বিশ্বাস। দেবাশীষ নিজেও মনে করেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে
সুমধুর ধ্বনির নাম আজান।’ বুধবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এ কথা
জানিয়েছেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস।
ফেসবুকে দেবাশীষ লিখেছেন, ১৯৯২ সালে মসজিদসংলগ্ন পরীবাগে চড়া
দাম দিয়ে তাঁর বাবা ফ্ল্যাট কিনেছেন, যাতে ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙে।
(কালের কণ্ঠ অনলাইন : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭)
ভারতের সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ বলেন, ‘আজান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুর।
জীবনে বহুবার এই মিষ্টি সুরে কেঁপে উঠেছি। আজানের ধ্বনি শুনলে
বাকি সব আওয়াজ-কেওয়াজ বন্ধ করে দিই, সম্মান করি, ভালোবাসি।
তিনি বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর তাবৎ সুর যার মধ্যে বিদ্যমান,
তার নাম আজান।’ (যুগান্তর : ১৯ এপ্রিল, ২০১৭)