নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধের কোরআন শিক্ষা

০৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

আমি যখন শোভাকলোণীর মক্তবে প্রথম কোরআন শিক্ষা করতে গিয়েছিলাম তখন সেখানে আরো চল্লিশ পরিবারের সন্তানরাও কোরআন শেখার নিয়তে আসতো,
.
প্রথমে নূরানী কায়দা বই থেকে অক্ষর জ্ঞান শেখার পর যখন আমপারা নিলাম তখন পরিবার ভাবলো ছেলে অনেকখানি ইসলাম শিখে গেছে!
.
আমপারা হলো কোরআন শরীফের ছোট সূরা শিক্ষা ওটা শেষ করার পরও আমি পুরো বইয়ে কি শিখিয়েছে একদম সত্যি বলতে একটা লাইনও বুঝিনি,
.
হুজুর বলতো নেকী হবে, প্রতিদিন শতগুণ করে রিডিং পড়তে পড়তে আমরা লক্ষ লক্ষ সওয়াব হাসিল করতে থাকলাম, তখনো জানতাম না সূরাগুলোতে কি আদেশ নিষেধ করছে!
.
তারপর কোরআন হাতে নিলাম, খুশিতে বাবা মিলাদ পড়ালো, আমরাও একে একে ত্রিশ পারা পড়া শিখেছিলাম! পুরো কোরআন শেষ করে জানতাম না কি বলেছে কি লিখেছে,
.
প্রতি ওয়াক্ত নামাযে হুজুররা কোরআন তেলওয়াত করে, আবাল বৃদ্ধ বণিতারা মুগ্ধ হয়ে শুনছেন, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি তারা প্রায় শতভাগ ই জানে না হুজুর কি বলছে!
.
আরো সত্যি বলতে অনেক হুজুর নিজেও জানেনা তারা কি পড়ছে! সেখানে কি বলছে!
.
পানি এগিয়ে দিলে মন্ত্রের মতো ফু দিয়ে চিকিৎসাও করতেছে,
.
আমিও কোরআন শিক্ষা লাভ করেছি! আমাদের অনেকে রোজ পড়েও, বুড়ো হয়ে যাওয়ার পরও বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে না তারা যা পড়েছে তা বুঝেছে কি না!
.
সওয়াবের স্তুপ পরে গেছে, জানলাম না কি নির্দেশনা, আদেশ, উপদেশ!
.
আমাদের কাছে কোরআন শরীফের ভাষা আর চাইনিজের মধ্যে পার্থক্য হলো একটা পড়তে পারি কিন্তু বুঝিনা, আরেকটা পড়তে কিংবা বুঝতে কোনটা পারিনা,
.
অনেকদিন পড়তে না পড়তে কোরআন শরীফ ভুলে গেছি প্রায়, একদিন উল্টিয়ে বাংলা পড়া শুরু করার পর মনে হলো বুঝলেও সওয়াব হচ্ছেনা, তাই বন্ধ করে রেখে দিলাম!
.
ছোট বেলা থেকে যে মাথার মধ্যে নেকী ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে তা আর কোনভাবে বের ই হচ্ছেনা,
.
এটি বই খতমের পর খতম দিয়েও তার একটি লাইনের অর্থ না জানলেও কোন হুজুরও জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কেনো করলো না!
.
এভাবে ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত তার বাবা তার বাবা তার বাবা,
.
সূরা বাকারার অর্থ যে দি কাউ(The cow) সেটাও আমাদের কখনো জানা হবে না!
.
সেখানে যে মূসা আঃ মাত্র কিছুদিন অনুপস্থিতির কারণে তার সম্প্রদায় পুনরায় বাছুরের উপসনা শুরু করেছিলো সেই গল্প ই বা কয়জন উপলব্দি করেছি!
.
সেদিন মূসা আঃ ছিলোনা, আজ আমাদের কাছে কোরআন শিক্ষা করার পরও যে বছরের পর বছর কোরআনের জ্ঞান কথা বার্তা আদেশ উপদেশ নিষেধ মাথায় নেই কেবলি ঠোঁটে আগায় তাতে কি আমরা সবি ভুলে কেবলি সওয়াবের উপাসনা শুরু করিনি?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৯

কৌতুহলী বয় বলেছেন: আসলেই আপনি সত্য বলেছেন। আমরা কোরআন শুধু পড়েই গেলাম একবারও জানার চেষ্টা করিনা আল্লাহ কোরআনে আমাদের কি নির্দেশ দিয়েছেন।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: কোরআন আমাদের দেশে বাংলা অর্থসহ পড়া উচিত।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: কোরান থেকে দুরে থাকুন,আর মা বাবার কাছে কৈফি য়ত চান কেন শেখাল

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

محمد فسيح الاسلام বলেছেন:

উপলব্ধিটা সুন্দর। সবাই-ই সওয়াবের ভাগীদার হতে চায়।

কিন্তু, মহান স্রষ্টার 'মন' জয় করতে চায় কতজন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.