নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাম্প্রদায়িকতা শিখতে বাংলাদেশে আসছেন মোদী

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

১৯৬৪ সাল, পূর্ব পাকিস্তানে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসায় আশ্রয় নেওয়া সংখ্যা লঘুদের নিয়ে চলছে আনন্দ ফূর্তি খাওয়া দাওয়া আর মিলন মেলা,
.
শেখ মুজিব নিজে জিপ নিয়ে গিয়ে হিন্দু পরিবারদের উদ্ধার করে নিজ বাসার মেহমান করে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির নজির স্থাপন করেছিলেন তার ই জন্মশতবার্ষিকীতে একজন চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদীকে প্রধান অতিথি করে আনবে শুনার পর থেকে বিস্ময়ে হা করে আছি!
.
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল আদর্শ যেখানে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ সেখানে আমি জানিনা কোন যুক্তিতে এমন সিন্ধান্ত,
.
২০০২ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময় দাঙ্গার কারণে রাজ্যের ভেতর ও বাইরে থেকে মোদীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দাবী স্বয়ং ভারতেই উঠেছিলো!
.
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী স্বয়ং দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে আজকের ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে গুজরাটের সমস্ত্য নাগরিকদের সমান চোখে দেখার অনুরোধ এবং তার পদত্যাগের দাবীও করেছিলেন,
.
আবারো প্রশ্ন রেখে গেলাম, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়ে আপনি কিভাবে শেখ মুজিবের মূলগত আদর্শের একজন বিপরীত মানুষকে তার ই জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধান চেয়ারে বাসাবেন!
.
২০১১ সালে এই মোদী আবার মুসলিমদের চোখে ভালো সাজার জন্য গুজরাটের শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতার প্রতীকি স্বরূপ টানা একের পর এক উপবাস অনশন শুরু করেছিলেন,
.
তাতে খুশি হয়ে এক মুসলিম ধর্মীয় প্রচারক সৈয়দ ইমাম শাহী সায়েদ তাকে টুপি উপহার দিতে গেলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন!
.
সাময়িক খোলস পাল্টালেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা বীজ তা বিংশ শতাব্দির আগে থেকে রয়ে গেছে,
.
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুযোগ বুঝে আবার খোলস থেকে বের হলেন! দাঙ্গায় জ্বলছে ভারত! বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার!
.
এরি মাঝে তরতর করে এগিয়ে আসছে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ,
.
আর অন্যদিকে ক্ষমতায় টিকে থাকা কিংবা হারানোর ভয়ে, সাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উজ্জীবিত নেতার পক্ষে ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন কালো কোট পরা কিছু ভদ্রলোক!
.
ইতিহাস কথা বলে, একদিন কথা বলবে,
.
মোদীর জায়গায় বঙ্গবন্ধু থাকলে, তিনি দিল্লীর মুসলিম পরিবারদের বাসায় নিয়ে গিয়ে ঘরোয়া পিকনিকের আয়োজন করে দেখিয়ে দিতেন কিভাবে দাঙ্গা মোকাবেল করতে হয়
.
এখন তো আলু চাষ থেকে শুরু করে পুকুর খনন প্রায় সব কাজ শিখতে সরকারি কর্মকর্তারা বাহিরে যাচ্ছেন এমন খবর ছাপা হয়,
.
এমন কি হতে পারে না, বঙ্গবন্ধু থেকে অসম্প্রদায়িকতা শেখার জন্য তার জন্মশতবার্ষিকীতে মোদীকে ভারত থেকে সরকারি খরচে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

জাহিদ হাসান বলেছেন: শিরোনামে উল্টো কথা লিখে ফেলছেন।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

একাল-সেকাল বলেছেন:
STOP MODI VISIT

STOP MODI VISIT

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতে মুসলমানদের স্বার্থ কোন দল দেখে- বিজেপি, কংগ্রেস, সোস্যালিষ্টরা? আসলে সমস্যা ধর্ম নয়, সমস্যা হলো রাজনৈতিক কুমন্ত্রনা। এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। আমরা বড়জোর আল্লাহর কাছে এই অবস্থার উত্তরণের জন্য দোআ করতে পারি।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

একাল-সেকাল বলেছেন:
এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় ট্রাম্প বলেন, দেখা দেখি কাদের সাহেব ও বলেন।

'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্থানের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ভারত চুপ থাকে নাই।
রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সমসা বলে বাংলাদেশ চুপ থাকে নাই।
প্রতিবেশীর আগুন প্রতিবেশীর ঘড় পুড়ায়। যেমন রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভুক্তভোগী।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

অভি চৌধুরী বলেছেন: ভারতের বেশির ভাগ জনগণের মধ্যে বিবেক আছে, মানবিকতা আছে, তারা মন্দ রাজনীতির শিকার।

আগামি নির্বাচনে ভারতের জনগণ নিজেদের রাগ ক্ষোভ ঢেলে দেবে ইভিএম মেশিনে। মোদি ধুলোয় উড়িয়ে যাবে।এই বিশ্বায়নে ধর্ম অতি ভদ্র ভাবে যার যার নির্দিষ্ট জায়গায় যথাযথ সন্মান নিয়ে আছেন, এখন ধর্ম চেয়ারে বসেনা। রাস্তায় চলেনা, ধর্ম এখন যাযাবর না যে কেউ এটার অপব্যবহার করবে। ধর্ম এখন শুধু ধার্মিকদের জন্য, বাকি সব টিকবেনা। কিছুতেই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.