নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ফেসবুক যখন ব্যবহার করেন সেটা মস্তিষ্কের মধ্যে মাদক নিলে যেমন ডোপেমিন নিঃসৃত হয়ে ভালো লাগা সৃষ্টি হয় তেমন ভালো লাগার হরমোন নির্গত করে!
.
ফেসবুক কেন খারাপ কিংবা যুবক সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেটা নিয়ে পৃথিবী এখন সোচ্চার,
.
মাদকের মূল সমস্যা হলো তা যখন নিবেন সেটা আপনাকে আনন্দে রাখবে তারপর আপনি আনন্দে থাকতে থাকতে প্রেসার নিতে ভুলে যাবেন কিংবা অল্প চাপে হতাশ অনুভব করবেন!
.
মাদক আর ফেসবুকের মধ্যে একটা মিল হচ্ছে দুটো যতক্ষণ ব্যবহার করবেন ততক্ষণ আপনি আনন্দে থাকবেন, কিছুক্ষণ ব্যবহার বন্ধ করলে, আপনি আবার আনন্দ থাকার জন্য মস্তিষ্ক লগ ইন কিংবা পুশ্ করাবে,
.
ফেসবুকের সবচেয়ে বড় ঝামেলা হলো মানুষ এখানে জীবনের প্রাপ্তি, আনন্দের সংবাদ, ভালো মুহূর্ত, সুন্দর ছবি থেকে শুরু করে ভালো খাবার হৈ হৈল্লর ইত্যাদি মুহূর্তের পোস্ট, ছবি কিংবা ভিডিও আপলোড করে থাকে
.
তবে সত্যি বলতে কারো জীবন এমন রঙ্গিন নয়! প্রত্যেকে প্রয়োজনে পাদ্ দেয়! সেখান থেকে দূর্গন্ধও ছড়ায়,
.
সবার জীবনে দুঃখ আছে, ব্যক্তিগত ব্যথা থাকে, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তিতে ভরপুর!
.
এখন আপনার পোস্ট করা রঙ্গিন মুহূর্ত দেখে অন্যজন চিন্তা করছে শ্লার ওর তো সুন্দরী গফ, বউ, বাড়ি, গাড়ি, জব, টাকা, সিক্স প্যাক্ আছে, আমার তো নেই! অবচেতন মনে শুরু হয়ে যাচ্ছে ডিপ্রেশন!
.
নিউজ ফিড স্ক্রল করতে করতে মানুষ নিজে কেনো অসুখী তার হাজারটা কারণ পেয়ে যেতে থাকে,
.
ঐ মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা কমতে আছে
.
সর্বশেষ যোগ হয় ওর পোস্টে তো লাইক আছে আমার পোস্ট কেউ দেখেও দেখলো না!
.
ভার্চুয়ালের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানে মানুষ তাদের ফেইক মূর্তিটা দেখাতে আগ্রহী
.
জন্মদিনে হাজার উইশের ভীড়ে কিংবা ঈদ মোবারক গ্রিটিংসের প্রায় নব্বই ভাগ কপি পেস্ট!
.
ঝামেলাটা শুরু হয় যখনি রঙ্গিন দুনিয়ার সাথে নিজের সাদা কালো বাস্তব দুনিয়া দুটোকে মিলাতে গিয়ে,
.
একটা জিনিস মনে রাখবেন জীবন সিনেমার মতো না, এখানে প্রেম পড়লে কেউ কয়েকটা জায়গায় গিয়ে প্রেমিকার কোমর ধরে নাচে না!
.
ঘুষি মারার সময় ডিসুম ডিসুম শব্দ হয় না
.
আপনি যখন কাঁদেন পিছন থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড বেজে উঠে না, যখন হাসেন তখনও এক্সট্রা কোন প্রতিধ্বনি হয় না!
.
ঘরের বউ এখানে সিরিয়ালের বউয়ের মতো সদা অলংকার পড়ে সেজে গুঁজে ঘাড় তিনবার ফেরানো সম্ভব না,
.
জীবন জীবনের মতো, এখানে এতো রংচং ভোংভাং নেই!
.
সারা দিন রাত মোটিবেশন নতুবা বিপ্লবের কথা বলে কাল সকালে আমিও মাথা নিচু করে বসের সামনে 'জ্বি স্যার' 'ওকে স্যার' 'অবশ্যই স্যার' বলতে থাকবো,
.
চারদিকে কত অন্যায় অবিচার অসামঞ্জস্য অনাশ্রয় দেখেও চুপ করে কেটে পড়বো! এটাই জীবন! এরমধ্য দিয়ে সমাজ পাল্টানোর চেষ্টা করে যেতে হয়, এমনকি নিজেকেও...!
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: সব সত্য কথাই বলেছেন। বাস্তব কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
ফারহানা শারমিন বলেছেন: ফেসবুকের কারণে ভাল কিছু ও হচ্ছে, অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারলে ফেসবুকে দিয়ে দিচ্ছে, সাথে সাথেই একটা না একটা গতি হচ্ছে। কোথাও কারো অন্যায় চোখে পড়লে কেউ সাথে সাথে সেটা ফেসবুকে দিয়ে দিচ্ছে। মানুষের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ও ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। আমি একবার আমার ভার্সিটি থে্কে ফ্রেন্ডদের সাথে খেতে গিয়েছিলাম, এক লোক আচমকা কোত্থেকে এসে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিয়ে চলে যাচ্ছিল। লোকটাকে চিৎকার দিয়ে ধমক দিতেই, হারামজাদা উল্টা এসে আমাকে ধমকাতে লাগল। উপস্থিত সবাই এমনকি আমার ফ্র্যান্ডরাও আমাকে বকা দিতে লাগল। সবার ওই এক কথা, সে যা করছে করছে কিন্তু তুই যে ব্যাটাকে গালি দিতে গেলি ব্যাটা যদি তুকে সবার সামনে থাপ্পর দিত তোর ইজ্জত কই যাইত? সেদিন সবার এমন মনমানসিকতা দেখে অনেক মন খারাপ হয়েছিল। রাস্তাঘাটে আমাদের মেয়েদের সাথে এমন হাজারটা ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখন ফেইসবুকে অনেক সাহসী মানুষ এইসব ঘটনা প্রতিবাদ সহ ভিডিও ও করে ফেসবুকে দিচ্ছে। এতে আস্তে আস্তে সবার দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টাচ্ছে।
আারও অনেক ভাল দিক আছে লিখতে গেলে লেখা শেষ হবে না।
আাসলে ভাল, খারাপ ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। কারও কারও ফেইসবুকিং দেখলে মনে হয় ফেইসবুকিং করার জন্যেও কোচিং এর দরকার। বা, লাইসেন্সের দরকার।
মন্তব্য অনেক লম্বা হয়ে গেল। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। লেখাটা ভাল লেগেছে। শুভ কামনা রইল।