নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ছবির পরিচালক মালেক আফসারি দাবী করেছিলেন সাকিব খানের 'পাসওয়ার্ড' কোন তামিল তেলেগু ছবির নকল করেছেন প্রমাণ দিলে দশ লাখ টাকা পুরষ্কার কিন্তু দিনশেষে দর্শকের দাবী কোরিয়ান ছবি 'দ্য টার্গেটে'র নকল ভার্সন মুভিটি!
.
এর আগে সাকিব খানের ছবি রাজত্ব, ডেয়ারিং লাভার, ভালোবাসা এক্সপ্রেস, হিরো দ্য সুপারস্টার, হিটম্যান, কঠিন প্রতিশোধসহ আরো অনেক মুভি তামিল এবং তেলেগু থেকে নকল করে করা হয়েছিলো!
.
তাই পরিচালক দর্শকদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অন্তত এটা আশ্বস্ত করেছিলেন যে 'পাসওয়ার্ড' এট লিস্ট তামিল/তেলেগুর নকল না,
.
সুন্দর বনে বসে কোরিয়ান ছবি নকল করে বাংলা ছবি বানানো হয়তো এই প্রথম,
.
আসলে দেশে মৌলিক ছবি বানানোর মতো গল্প কিংবা ক্যালিবার আছে এমন পরিচালক দুর্লভ!
.
ঝামেলা সেখানে নয়, পূর্বে খবর প্রকাশিত হয়েছিলো দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক দেবের করা ৩৭ টি ছবির মধ্যে ২৩ টি নকল আর জিৎ-এর ৫৩টি ছবির মধ্যে ২৯টি ও নকল!
.
হালের জনপ্রিয় বলিউডে আসি, ওয়ান্টড্, বডিগার্ড, রাওডি, সিংহম, গজনি, দৃশ্যম আমার ভুল না হলে এগুলোও তামিল ছবির নকল কিংবা রিমেক ভার্সন ছিলো,
.
সমস্যা হলো আমরা নকল/রিমেক করি কিন্তু স্বীকার করতে চাইনা, সালমান শাহের মতো জনপ্রিয় নায়ক যে 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবি দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তা ও কিন্তু হিন্দী ছবি থেকে রিমেক করা!
.
যৌগিক ছবিকে মৌলিক ছবি বানিয়েছি ভাব ধরে বসে থাকি,
.
হলিউডের দিকে তাকালে দেখবেন কিয়েক্টাবস্থা মৌলিক ছবি কাকে বলে কত প্রকারও কি কি!
.
এসব কাহিনী কল্পনা তো দূরের কথা ভাবনারও অতীত, কত গভীর চিন্তাভাবনা, নতুনত্ব!
.
হলিউড বাদ দিলাম, ধুমধাম অস্কার ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া ইরানী ছবিগুলোর গল্প কতটা হৃদয়স্পর্শী মৌলিক!
.
আমাদেরও তো তারেক মাসুদ ছিলো, হুমায়ুন আহমেদ ছিলো যারা গল্প চিনতো, গল্প বলতো, গল্প আঁকতো, ফুটিয়ে তুলতো,
.
মূল গল্প গল্পের না, মেধার, মেধাবীদের পদচারণা নেই! সেটা বই মেলা হোক কিংবা সিনেমার বই!
.
একজন সত্যজিৎ রয় নেই! নকল/রিমেকের চিন্তা আমাদের তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে! মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা ব্রিটিশ মেরিকা কিংবা ইন্ডিয়ার কপি, ক্লোন!
.
পোশাক আশাক নকল, ব্যবহার, আধুনিক সংস্কৃতি, চাল, চলন, খাবার, দাবার, ঐতিহ্য
.
আপনি কিভাবে এখানে মৌলিকত্বের খোঁজ পাবেন!
২| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দক্ষিন ভারতের ছবিগুলো আসলেই বস। শুধু নায়কগুলোর গোঁফ দেখলে...
৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ‘পাসওয়ার্ড’ মুভি দেখে এলুম। রিভিউ লিখতে কম্পিউটার অন করে উইন্ডোজে ঢুকতে পারছি না, ‘পাসওয়ার্ড’ ভুলে গেছি।
৪| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: ‘পাসওয়ার্ড’ মুভি নাকি দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা ‘দি টার্গেট’ আর ফরাসি সিনেমা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক এর নকল?? সত্যি কি তাই?
৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫২
অনল চৌধুরী বলেছেন: মালেকের সব ছবিই হিন্দি ছবির হুবহু নকল।এর আগেও কোরিয়ার ডেইজি ডেইজ ছবির নকল করে ২০১২ সালে ফুল এ্যান্ড ফাইনাল বানিয়েছে।
হীনমন্যতা একটা জাতির সবকিছু ধ্বংস করে।
একটা সময় ভারতের বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ ছিলো।হিন্দি ছবির নকল করতে করতে আজ এই অবস্থা।
তামিলনাড়ুর জনসংখ্যা মাত্র ৬.৫ কোটি,অন্ধ্রপ্রদেশের ৭ কোটি।
আত্মমর্যাদাবোধের কারণে তারা রোবট,বাহুবলীর মতো বিশ্বকাপানো ছবি বানাতে পারে।আর ১৭ কোটি লোকের বাংলাদেশের জমজমাট চলচ্চিত্র শিল্প সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে হীনমন্যতা ও লোভের কারণে। ১০ কোটি লোকের পশ্চিমবাংলার চলচ্চিত্রও তাই।
এজন্যই এখন তামিল-তেলেগু নকল করে টিকে আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দক্ষিন ভারতের ছবিগুলো আসলেই বস। শুধু নায়কগুলোর গোঁফ দেখলে...