নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আমার নানার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিলো হজ করা, স্বপ্ন পূরণের জন্য নানাকে চাকরি শেষে পেনশন অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছে!
.
আমার দাদার এমন কোন স্বপ্ন ছিলো কি না আমি জানিনা তবে পা ফুলে যাওয়ার পর ভালো ক্লিনিকে অপারেশন ছিলো দাদার জীবনে সবচেয়ে বড় ঘটনা!
.
আমার মায়ের স্বপ্ন প্রত্যেক মাসের শেষে ঘরে পুরো মাসের বাজার আসলেই হলো,
.
এতেই খুশি! টেনশনমুক্ত
.
আমার দাদীর স্বপ্ন সন্দ্বীপে দাদার রেখে যাওয়া টিন কাঠের ঘরটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা!
.
আমার ভাইয়ের স্বপ্নও মে বি সুখে শান্তিতে বাবাকে সাপোর্ট দিয়ে সংসার চালানো,
.
আমার ঢাবিতে পড়াশুনা করা মামার স্বপ্ন বিসিএস কিংবা কোন ব্যাংকে ভালো জব
.
আমার বড় মামার স্বপ্ন লোন পরিশোধ করা, আর কোন স্বপ্ন আছে কি না আমি জানিনা!
.
মোটামুটি আমার প্রায় আত্মীয়ের স্বপ্ন আমার মুখস্ত,
.
এগুলো সব মধ্যবিত্তের স্বপ্ন, খুব ছোট স্বপ্ন, এগুলো পূরণ হলেই আলহামদুলিল্লাহ!
.
খালেদা জিয়া জেলে পচে মরলে আমাদের কিছু আসে যায় না কিংবা শেখ হাসিনা আরো কয়েকবার ক্ষমতায় আসলেও,
.
আমি মনে হয় একমাত্র স্বপ্ন দেখি মধ্যবিত্ত গন্ডির বাহিরে এসে একজন ন্যাশনাল আইকন কিংবা অন্যতম একজন মালদার হওয়ার!
.
আমি যখন কি বোর্ডে কুটকুট লিখি তখন তা আমার পরিবারের স্বপ্নের বাহিরে, তারচেয়ে ঢেড় বাজার করে এসে ঘর দৌড় গুছিয়ে রাখলে তারা আমার প্রতি দ্বিগুণ খুশি,
.
আমার বড় ফুফুর স্বপ্ন তার বেবী তাইয়্যিবাকে কিভাবে অসুখ বিসুখের ফাঁক গলিয়ে বড় করবে,
.
ছোট ফুফুর স্বপ্নও এমনি!
.
ওরা কেউ আমার স্বপ্ন বুঝতে পারেনা! পৃথিবীকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে তা কখনো আমাদের মতো যাদের পরিবার তারা উপলব্দি করতে পারবে না,
.
এখানে তেল আনলে নুন শেষ হবে অবস্থা!
.
অবকাশে অনেকে থাইল্যান্ড বীচের নীল সমুদ্রে শুয়ে থাকে তা আমাদের কল্পনার বাহিরের জগত,
.
কিংবা কয়েক মাইল দূরে রেডিসন্ ব্লুতে এক কাপ চায়ের সাথে একটা বার্গারের দামে এক বস্তা চাল পাওয়া যাবে সেই খবর!
.
রাস্তার সব প্রাইভেট গাড়ির মধ্যে মধ্যবিত্তরা তফাৎ খুঁজে পাইনা,
.
কখনো মাপা হয় না কতটুকু স্কয়ার ফিটে এক ফ্লাট গড়ে উঠে!
.
মাস শেষে বেতনের হিসেব মিলাতে মিলাতে কখন যে আমাদের ষাট বছর ফুরিয়ে যায় কে বা তার খবর রাখে,
.
গাদাগাদির জীবন, এক রাশ টানা পোড়েনের,
.
হাত খরচ কিংবা নগদ ষ্টোরের বাকী বিল!
.
কিছু মিথ্যে সুখে আছি কিংবা থাকার অভিনয় আর কল্পিত মানসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা আত্মঅহংকার
.
মাঝরাতে সন্তান কিংবা মেয়ের প্যাগনেন্টের চিৎকারে অন্ধকার হাতড়ানোর সময় কেবল আমাদের স্বপ্নের গন্ডি বড় হয়, ইশ্ আজ যদি একটা গাড়ি থাকতো!
.
তবুও আমরা সব কাজকে সম্মান দিতে শিখছি না! রিস্ক নেওয়ার ভয়! সমাজ কি বলবে ভেবে, অনর্থক টাকা অপচয়!
.
শুধুমাত্র একটি ইনকামের উপ্রে নির্ভরশীলতা, কিছু ভুল সূত্র, টাকাকে ঘৃণা করা,
.
আর্থিক মুক্তি না মিললে কখনো মানসিক মুক্তি মিলবে না! কিছু করে দেখাতে হবে, ভিন্ন কিছু,
.
দিনশেষে, অন্যের অধীনে সারা জীবন চাকরি করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে নিজে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চিন্তা করা ছাড়া এই বিত্ত কখনো ভাঙ্গবে!
.
আজ যদি আপনার চাকরি চলে যায় এই পৃথিবীতে আপনি কয়দিন টিকে থাকতে পারবেন তার উপ্রে নির্ভর করবে আপনি কে! কতটুকু হেডামওয়ালা!
.
যেদিন চাকরি না করলেও আপনার দিন আরামে চলে যাবে সেদিন অন্য কাজকে ছোট করে দেখিয়েন তার আগে নয়!
২| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন,শেষের লাইনটি অন্তর ছুয়ে গেছে।