নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
রং ফর্সাকারী ক্রিমে সাধারণত যে উপাদানটি মূখ্য ভূমিকা পালন করে তা হলো পারদ কিংবা মার্কারি,
.
সাধারণত ক্রিমে পারদের গ্রহণযোগ্য মাত্রা ১ পিপিএম!
.
অথচ পন্ডস, ওলি, তিব্বত, বোটানিক, ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম কিংবা লাভলী, গার্নিয়ার, এরোমা, মর্ডান নতুবা হালের প্রায় সব কসমেটিকসে পারদের পরিমাণ প্রায় ৩০০০ থেকে শুরু করে ৫০০০ পিপিএমের মধ্যে থাকে!!!
.
রাস্তার পাশে যেসব ক্রিম বিক্রী হয় সেগুলোতে কি পরিমাণ পারদ ব্যবহার করে আল্লাহ মালুম!
.
রং ফর্সা করার যদি এতো ইচ্ছে থাকে তাহলে পারদ ঘষলেই তো হয়
.
ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করলেও এই পারদ আমাদের শরীরে থেকে যায়, কিডনি আক্রান্ত হয়, রক্তে মিশে যায়, শরীরে কোলেস্টরল বেড়ে যেতে থাকে, ব্রেইন নার্ভের ক্ষতি থেকে শুরু করে শরীর কিংবা ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে থাকে,
.
রং ফর্সাকারী ক্রিমে ব্যবহার হয় প্রায় লাখ খানেক ক্যামিকেল তাদের দশ ভাগের এক ভাগ শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে!
.
প্রায় কসমেটিকসে আরো থাকে বিষাক্ত সীসা, ক্রোমিয়াম... বর্তমান বিশ্ব স্বাস্থ্য যা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন,
.
খাওয়ার মাধ্যমেও এসব উপাদানগুলো আমাদের শরীরে ঢুকে আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তার উপ্রে আপনি না জেনে সেগুলো ত্বকে ঘষে ঘষে শরীরে ঢুকাচ্ছেন!
.
একটাই কারণ আপনি আপনার ত্বক নিয়ে সন্তুষ্ট না! চুল থেকে শুরু করে হাইট, কোন কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না,
.
প্রতিদিন শত শত বিষ খাবার কিংবা প্রসাধনীর মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঢুকছে, ক্যান্সার থেকে শুরু করে টিউমার, এলার্জি, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া....একটু সতর্কতার অভাব!
.
তার মধ্যে ভেজাল খাবার এবং নকল প্রসাধনী উৎপাদনকারীদের দৌরাত্ব তো আছেই, এসিড কিংবা ফর্মালিন, ইথালিন!
.
শরীরের বিষ গ্রহণের মাত্রারও একটা লিমিট থাকে, এসব বিষ থেকে বাঁচার উপায় নেই কিন্তু লিমিটে রাখার সাধ্য কিংবা সক্ষমতা সবারি আছে, একটু সচেতনতা!
.
পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিকর উপাদানগুলো এমনকি বাতাসের মধ্য দিয়েও আমাদের শরীরে ঢুকছে প্রতিনিয়ত,
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক রফিক স্যার প্রায় একটা গল্প বলতেন
.
পায়খানার টাংকিতে পড়ে গেলে নিজেকে বাঁচানোর কোন উপায় নেই শুধু মাত্র পানির উপ্রে নাকটা উঠিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়া ছাড়া,
.
এভাবেও বেঁচে থাকা যায়
.
যতটুকু সম্ভব নিরাপদে বেঁচে থাকতে হবে! মানসিকতা পাল্টাতে হবে! নিজের উপ্রে আস্থা রাখা জরুরী!
.
নিজেকে সুস্থ সবল সুন্দর রাখার বিকল্প অনেক উপায় আছে, খুঁজে বের করতে হবে!
.
বাঁচতে হলে জানতে হবে,
.
কি খাবেন, কি খাবেন না, কি ব্যবহার করবেন, কি কি করবেন না, কিভাবে চলবেন, কিভাবে চলবেন না, কি কি করবেন, কি কি করবেন না, এগুলো জানা হলো প্রকৃত শিক্ষা!
.
জীবনে এ প্লাস বি হোল স্কয়ারের সূত্র জানার চেয়ে কিভাবে সুস্থ সবল শরীর মন নিয়ে বেঁচে থাকা যায় তা জানা আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ,
.
একদিন বাঁচলেও বাঁচার মতো বাঁচা চাই, ধুকে ধুকে মরে মরে কখনো নয়!
২| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: রং ফর্সাকারী ক্রিমে কাজ করে সামান্যই , এতে বরং ত্বকের আরো ক্ষতি হয় , এসব দিকে এতটা না ঝুকে , যদি কারো ফর্সা হবার খুব ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে বরং ভালো , নিয়মিত ভিটামিন -ই , ভিটামিন -কে , ভিটামিন -সি এবং কোলাজেন সমবৃদ্ধ খাবার খেলে প্রচুর পানি পান এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে , এসব ক্রিম ব্যাবহারে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতি বেশি
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সন্দ্বীপের কালো কালো মেয়েরা এমনি সুন্দরী; তারা যেন এসব কেমিক্যাল মুখে না মাখে, সেটার ব্যবস্হা করেন।
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আসলে কোনো ক্রিম'ই কাউকে ফর্সা বানাতে পারে না। জন্মের সময় সে রঙ নিয়ে আসবে। সেটাই থাকবে। যত্ন নিলে জন্মের সময়ের রংটা ধরে রাখা যায়।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ ভোর ৫:১৯
তাসনুভা রায়া বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ
+++
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯
নাসির ইয়ামান বলেছেন: জীবন্ত লেখা লেখেছেন!
এইযে আপনি এতো সুন্দর করে ভাবেন,কয়জনে এভাবে স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকে?
সবাই শুধু কল্পনার ফানুস ওড়াই আর আধাসিদ্ধ চিন্তা ফিকির করে শেষে নিজ জীবনের পরিণতির হিসাব কষতে পারে না!