নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
দুশ্চিন্তামুক্ত কোন মানুষ পৃথিবীতে নেই কারণ দুশ্চিন্তা একটি নেয়ামত!
.
দুশ্চিন্তা থেকে যে ভয় তা কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করে, দুশ্চিন্তা আরেকটু বৃদ্ধি পেলে কর্মদক্ষতার আরো বৃদ্ধি হয় তারপরও কিন্তু দুশ্চিন্তা করতে থাকলে উল্টো কর্মদক্ষতা হ্রাস পেতে থাকে,
.
দেখা দেয় বিভিন্ন মানসিক সমস্যা!!!
.
সুতরাং দুশ্চিন্তা মুক্ত নয় বরং দুশ্চিন্তার নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল শিখতে হবে,
.
তবে দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম একটি হাতিয়ার হলো পড়া কিংবা লেখা,
.
আপনার পছন্দের কোন বিষয় নিয়ে পড়ার সময় খেয়াল করবেন আপনি ভালো লাগার কোন জগতে হারিয়ে গেছেন,
.
চিন্তার লাগাম টানতে হলে নিজের মন মতো লিখতে হবে,
.
পছন্দের খেলা কিংবা শরীরিক ব্যায়াম করতে হবে
.
জাঙ্ক ফুড কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়ায়, বাদ দিয়ে ভালো কম মশলাযুক্ত খাবারের পাশাপাশি বেশী পানি খেতে হবে,
.
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তৃপ্তির অনুভূতি বাড়াতে হবে, শুকরিয়া করতে হবে,
.
যে কথাগুলো বললাম তা দুশ্চিন্তা নিয়ে বর্তমানে অনেক গবেষণা হচ্ছে তার সারমর্ম তুলে ধরলাম
.
কয়েকদিন আগে একটা বক্তব্য শুনেছিলাম সেখানে একটা কথা অনেক মনে ধরেছে 'আমরা যেসব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করে মরি মরি, তার আশি শতাংশ ঘটনা আমাদের জীবনের সাথে কখনো ঘটে না' হুদাই টেনশন করতে করতে শেষ!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রিয় বন্ধু টিটুর আব্বুর সাথে কয়েক মাস আগে দেখা হয়েছিলো, কথার এক প্রসঙ্গে বুঝলাম, আংকেল জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে,
.
কিছুদিন পর মারা গেলেন! ভাবলাম, যদি জানতেন তিনি মারা যাবেন তাহলে সামান্য বিষয় নিয়ে অসামান্য জীবন দুশ্চিন্তা করে ব্যয় করতেন না!
.
আমি কিংবা আমরা কত বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করি! করছি!
.
একটু ভাবেন তো, কাল যদি আল্লাহ না করুক চির বিদায় নিই, কি হবে আর এতো আয়োজন নিয়ে! এতো টেনশন করে!
.
আশেপাশে কত মানুষ, কতজন গত হয়েছে, মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও তারা সবাই দুশ্চিন্তা করে গেছে,
.
আমার প্রিয় অরুণ আংকেল তার ছেলেদের কি হবে ভেবে ভেবে চলে গেছেন কিন্তু অনেক বছর পর খেয়াল করলাম বাবা ছাড়াও তারা সুন্দরভাবে মানুষ হচ্ছে!
.
ছেলে মেয়েদের নিয়ে সবচেয়ে বেশী টেনশনে থাকেন মায়েরা, ভাবেন তাদের অনুপস্থিতিতে সন্তানদের কি হবে,
.
সত্যি চিন্তা করা ভালো তবে এতো বেশী দুশ্চিন্তা কখনো নয়, তারা মানুষ হবে! ইনশাল্লাহ! নিজেরা চলতে শিখে যাবে!
.
আপনি শুধু খেয়াল রাখুন তারা মানুষ্যের যে বৃত্ত তার বাহিয়ে যাতে কখনো না যায়, গেলেও যাতে সঠিক পথের সন্ধান পেলে ফিরে আসে....!
২| ২৬ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আমার টেনশেন হলে শুধু ঘুম আসে। টেনশেন হলে একটা ঘুম দেই,তারপর জাগ্রত হয়ে ভেবে দেখি,কি করা দরকার এখন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: জীবনটাকে এমন ভাবে গড়তে হবে যেন দুশ্চিন্তা না আসে।