নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
টিআইবির মতে, ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন আর তাতে অপচয় হয় ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস,
.
রিপোর্ট সরাসরি প্রত্যাখান করে ওয়াসার দাবী তাদের পানি একশ শতাংশ সুপেয়!
.
জুরাইনের এলকাবাসী মিজান ভাইয়ের নেতৃত্বে অস্ত্র, লাঠিসোঠা না বরং ওয়াসার পানি দিয়ে তৈরী সুপেয় শরবত নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়াসার এমডি'র কাছে,
.
পিছন থেকে ডজন খানেক সাংবাদিক লাইভে ছিলো তবুও তিনি ওয়াসার পানি দিয়ে তৈরী শরবত খাওয়ার সাহস পাননি!!!
.
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা উল্টো মিজান ভাইকে হুমকি দেওয়া হলো,
.
এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, 'ওয়াসার পানি ৯৯ ভাগ পানের অযোগ্য!'
.
মন্ত্রী সাহেব আবার অন্যদিকে ওয়াসার পানিতে মিরাকলের খোঁজ পেয়েছেন যে শ্রমিকরা সুপেয় পানি ক্রয়ের সামর্থ্য না থাকার কারণে ওয়াসার পানি খেয়ে দিব্যি সুখে আছেন,
.
ওয়াসাও মুগ্ধভরে শ্রমিকদের জগ ভর্তি পানি পান করা দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন!
.
চট্টগ্রামেও একই দশা! হালিশহর এলাকায় অনেককে দেখেছি পরিবারের জন্য মিনারেল ওয়াটার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন!
.
তবে ঢাকার পরিস্থিতি বেশী নাজুক কারণ ঢাকায় ২৬০ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ২ কোটি মানুষের বসবাস তা যদি পুরো বাংলাদেশের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি না হয়ে ৮০০ কোটি হবে,
.
পৃথিবীর বুকে ঢাকা অন্যতম শীর্ষ দূষিত শহর যেখানে পা রাখার জায়গাও নেই!
.
কঠিনভাবে বলতে গেলে রাস্তায় যে পরিমাণ খোঁড়াখুঁড়ি হয় তাতে ওয়াসার ২৩ হাজার কিলোমিটার পাইপ লাইন অক্ষত রাখা প্রায় অসম্ভব!
.
সম্প্রতি'তো আমরা দেখেছি এহেন অবস্থার শহরে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকার পর্যন্ত রাস্তা নেই!
.
একটু চেক করলে আপনিও দেখবেন আপনার বাসার পাইপ লাইন/টাংকি কতটা জং ধরা কিংবা অপরিষ্কার তা কিন্তু সরকার এসে পরিষ্কার করে দিয়ে যাবে না!
.
যদিও এমডি পরে স্বীকার করে নিয়েছেন ভোক্তা পর্যায়ে যেতে যেতে পানি আর সুপেয় থাকে না,
.
আসলে সরকার অপারগ! এতো এতো সমস্যার শহরে সব দায় স্বীকার করে নিলে চাকরি কিংবা গদি কোনটি টিকবে না!
.
সমস্যার সমাধানকল্পে মিজান ভাইদের চেষ্টা হয়তো এই শহরে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে! স্যালুট মিজান ভাই! তোমরা দুর্বার!
.
বৃষ্টি আসতেছে, নতুন ইস্যু আসবে জলবদ্ধতা! আসেন আগে থেকে সোচ্চার হয়! ড্রেন কিন্তু আপনার আমার ফেলা চিপস আর কনডমের প্যাকটগুলো দিয়ে পূর্ণ হয়ে গেছে! সে দায় কিন্তু জনগনের...!
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদেশে দুই নম্বরি কিছুই নেই সব সেরা থেকে সেরা জিনিস ব্যাবহার করি আমরা।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছু মানুষ বেশী লাফায়।
ওয়াসার পানি ঢাকা বাসিরা না ফুটিয়েও পান করছে। আমি আপনিও খাচ্ছি।
কি অবাক হচ্ছেন?
মিনারেল ওয়াটার নামে বোতলের পানি আসে কোথা থেকে? বা জারের পানি? সরবতের বরফ।
মিনারেল ওয়াটার ও জারের পানি সবটাই ওয়াসার পানি। এই পানি মোটেই সিদ্ধ করা পানি নয়।
শুধু বড় একটি ট্যাঙ্কে পানি একদিন রেখে থিতানো হয়। এরপর বোতলে ভরা হয়, কোন ফিল্টারও করা হয় না। দ্রুত থিতানো প্রয়োজন পরলে ট্যাঙ্কে ফিটকারি ব্যাবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিটকারি লাগে না। কারন পানির কারখানাগুলো ওয়াসার মডস জোনের কাছাকাছি হয় ও ভাল পাইপ দিয়ে সংযোগ নেয়া।
দোকানের সরবত লাচ্ছি সবই ওয়াসার পানি, বরফও ১০০% ওয়াসার পানি। লাচ্ছি বা লেবুর সরবতের বরফ সবটাই ওয়াসার পানি। বরফ কলে সরাসরি ওয়াসার পানি, সেখানে থিতানোও হয় না। মাছের বরফ আর সরবতের বরফ কোন তফাত নেই। একই ডাইসে বানানো বরফ।
কিন্তু সবাই খাচ্ছে, আমিও ঢাকা গেলে নিউমার্কেটে লাচ্ছি খাই। টিএসসিতে লেবুর সরবত। সবাই খাচ্ছে। ওয়াসার না ফোটানো পানি।
তবে ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। এটা সত্য। যাদের গ্যাস সংযোগ আছে তারা করেন।
নামমাত্র মুল্যে আনলিমিটেড গ্যাস সুবিধা আছে বলেই করেন।
সারা দিন-রাত পানির হাড়ি চুলায়। হাড়ির তলা ফুটা না হওয়া পর্যন্ত! ৩৩২ কোটি টাকার গ্যাস অপচয় তো হবেই।
৩৩২ কোটি টাকা গ্রাহক আলাদা করে দিচ্ছে না। মিটার বিহীন সংযোগ হওয়াতে এটা রাষ্ট্রের ক্ষতি।
.
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: পিওর পানি ঢাকা পাওয়া অালউদ্দিনের চেরাগ পাওয়ার মতন। যেই লাউ সেই কদু।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।