নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
ফেনীতে অগ্নিদগ্ধ সেই মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত মারা গেছে,
.
যতবার নুসরাতকে দেখেছি থমকে গেছি, ছবিতে হঠাৎ দেখলে মনে হয় সাদা পোষাক পরিধান করে শুয়ে আছে একটি মেয়ে!
.
অদ্ভুত ব্যান্ডেজের পোশাক! মুখ ছাড়া পুরো শরীর পুড়ে যাওয়া একটি মেয়ে বিচার চাচ্ছে! বর্ণনা করে যাচ্ছে, কিভাবে তার শরীরে আগুণ ধরিয়ে দেওয়া হলো!
.
মনে মনে দোআ করছি ধর্ষক যাতে ক্ষমতার আশে পাশের যেনো কেউ না হয় তাহলে হয়তো বিচারের প্রত্যাশা অধরায় থেকে যাবে,
.
একটি মেয়ে এই কয়দিনে কতটা যন্ত্রণা সহ্য করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না!
.
হ্যালো ধর্ষক, তোমার লিঙ্গ কয়েকটি মুহুর্ত একটি মেয়ের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করানোর লিপ্সার বিনিময়ে তোমরা আর কতো মেয়ের জীবন নিয়ে খেলবে,
.
আর কতো! আর কতো মেয়ে! ধর্ষণের পর এসিড দিয়ে ঝলসে দাও! গলা কেটে হত্যা করো! গলায় ফাঁস দিয়ে! পাথরের আঘাতে মাথা থেতলে দিয়ে! গলা মটকে দিয়ে! কখনো উপর্যুপরি দল বেধে অত্যাচার করে!
.
তোমার দুই মিনিট থেকে বড় জোর আধাঘন্টার সুখের এতো বড় বড় মাশুল দিতে হয় একটি মেয়েকে যে কখনো আল্লাহর কাছে ভুলেও কন্যা সন্তান চাইবো না!
.
প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে ধর্ষণ! ধর্ষণ! হত্যা! মানববন্ধন! ইস্যু! নতুন মেয়ে! নতুন রূপে ধর্ষণ! আবারো......!
.
বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি কতটা নির্মম এই বিশেষ প্রজাতির পুরুষরা! ওদের অনেককে দেখলে সাধু মনে হয়! তাদের সবাই কারো বাবা, চাচা, ভাই, আত্মীয়, স্বজন!
.
অনেকে ধর্ষণকে জায়েজ করবে, মেয়ে আধুনিকা, পর্দা, বোরকা কিংবা চাল চলনের ঠিক ছিলো না!
.
এগুলো নিয়ে লিখে লাভ নেই, সেই লেখা কখনো আগামীতে যে ধর্ষক হবে তার কানে পৌঁছাবে না, তবুও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়!
.
চোখের সামনে নুসরাত কিংবা সন্দ্বীপের সেই নাদিয়াদের ছবিগুলো ভেসে উঠে!!!
.
এই সমাজ লজ্জায় ধর্ষিতার লাশও নিতে চাইনা! কোন রকমে কবরে পুতে ফেলতে পারলে বেঁচে যায় বাবা মা আত্মীয় স্বজনদের মান সম্মান ইজ্জত!
.
মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার পর সমাজের ভয়ে বাবা তাকে মেরে গায়েব করে ফেলেছে এমন সংবাদও পড়েছি জীবন,
.
ধর্ষণ পাপ হলে যেনো ধর্ষিতা মহাপাপী,
.
ঐ দিকে ধর্ষক বিচার পাবে হয়তো সমাজে বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াবে! হাওয়া বাতাস খাবে! সাথে অন্য মেয়ের ইজ্জত লুটবে!
.
রাতারাতি সে আরো প্রভাবশালী বনে যাবে, এলাকায় তার নতুন গ্যাং হবে তারপর থেকে কলার উঁচিয়ে চলবে!
.
হারকিউলিসদের উৎপত্তি হবে, মেরে তার পায়ে চিরকুট ঝুলিয়ে দিবে 'আমি ধর্ষক, তাই এমন পরিণতি' অতপর মানবাধিকারকর্মীরা জেগে উঠবে, 'সবার বিচার পাওয়ার অধিকার আছে!'
.
হ্যালো নুসরাত, এই দেশে এমন মৃত্যু তোমার প্রথম না, এটা একটা চলমান পক্রিয়া, কাল পত্রিকার পাতা খুললেও কোন এক নারী পাতায় ভেসে উঠবে!
.
তোমার ভাগ্য, তুমি ভাইরাল হয়েছো ওদের হয়তো দুর্ভাগ্য ওর কখনো ভাইরাল হবে না! মামলা হবে না! হলেও নিষ্পত্তি! যা হওয়ার হয়ে গেছে এই লন........!
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৯
আরোগ্য বলেছেন: ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
অকালে ঝরে পড়লো আরেকটা ফুল।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৪৫
নতুন বলেছেন: পুলিশ এখনো গায়ে আগুন দেবার ৪/৫ জনকে খুজে পেলো না?
প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিলো বেনজিরকে একটা ফোন করে বিষয়টা দেখতে বলা....
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: এইভাবে কেউ ভাইরাল হতে চায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭
আরোগ্য বলেছেন: ইন্না