নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না, আসলে বেপারটা হবে নুনু ঘঁষে দাঁড়াবেন না, শুনতে খারাপ লাগলেও অনেক ভদ্র পুরুষকে এমন ভাবে দাঁড়াতে দেখেছি!
.
সেদিন এক ভদ্রলোককে দেখলাম সে রোদ্র তাপে পাবলিক বাসে ফ্যানের নিচে না দাঁড়িয়ে একটা মেয়ের পাশে ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
.
সুযোগ পেলে মেয়েদের স্পর্শকাতর স্থানে আনমনে হাত চলে যাওয়া অনেক কন্টাকদারের কাছে কেবলি একটি বিনোদন মাত্র!
.
আসলে যে গা ঘেঁষে দাঁড়াবে সে বোরকাওয়ালী দেখলেও তার পাশে গিয়ে দাঁড়াবে,
.
ইপিজেডের মোড়ে সেদিন দেখলাম দুপুরে বাসায় খেতে যাওয়া কয়েকজন বোরকা পড়া মেয়েকে চার বখাটে মিলে টিজিং করছে 'চলো একসাথে ভাত খাবো' বলে বলে!
.
কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করলাম, বিভিন্ন কোটেশন লিখে টি শার্ট পড়া মেয়েগুলো আসলে সচেতনতা না, বরং এটেনশন্ পাওয়া কিংবা নিজেদের দুদু পাছা ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন আয়োজনে নেমেছে,
.
টি শার্টের পিছনে একটা লেখা দেখলাম 'পাছা দেখে লাব নাই, আমার জামাইর সম্পদ' লেখাটা পড়তে গিয়ে আমাকে তার পাছার দিকে বহুবার তাকাতে হলো!
.
টি শার্টে সামনেও লিখে রেখেছে 'দুদু দেখে লাব নেই, হাত দেওয়া নিষেধ' তার দুদুর দিকে না তাকিয়ে লেখাটি পড়ার কোন বিকল্প নেই,
.
পুরো বেপারটা অনলাইনে দুই দিনের জন্য ভাইরাল হওয়ার প্রয়াস বৈকী আর কিছু মনে হলো না!
.
আরো খেয়াল করলাম টি শার্ট প্যান্টের সাইজ এমন ভাবে বানানো হয়েছে যাতে তা আরো বেশী চোখে পড়ে,
.
বেপারটা সানাই পাছা বাঁকা বুক নুয়ে দুই হাত টেবিলে পোজ দিয়ে রেখেছে আপনি তাকাবেন না,
.
জামাইয়ের সম্পদ হলে তা জামাইয়ের সামনে উন্মোচন করেন কিংবা যার সম্পদ তার অনুমতি নিয়েছেন কি না জানি না!
.
তবে ঘটনা কিন্তু সত্য, এমন অহরহ হচ্ছে, পাবলিক বাস কিংবা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কোথাও মেয়েরা নিরাপদ না,
.
মেয়েরা সবচেয়ে অনিরাপদ কল্পনায়, কল্পনায় সবচেয়ে বেশী ধর্ষিত হয় সেক্সি মেয়েগুলো যারা সমাজে নিজেদের হট্ হিসেবে উপস্থাপন করে
.
আমাগের ছোট বেলায় বেলায় ভিউ কার্ড ছিলো, এগুলো দেখে তখন উত্তেজনা লাভ করতো যুবক সমাজ তখন কোন বোরকাওয়ালীর ভিউ কার্ড দেখিনি,
.
কিংবা মোটামুটি ভদ্রভাবে এদিক ওদিক চিন্তা করে চলা মেয়েদের ভিউ কার্ড বের হলে নিশ্চিত ব্যবসা লাটে উঠতো!
.
আমি বলছি না বোরকা কিংবা পর্দা করতে শুধু বলছি রাস্তায় তো আপনার স্বামী থাকে না যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন পোশাক পড়ে হাঁটবেন,
.
আপনার মানিব্যাগ, মোবাইল থেকে শুরু করে অলংকার আপনি সেইভে রাখেন কিন্তু নিজেকে কেন না!
.
আপনি কি রাস্তায় বের হলে আপনার স্বর্ণালংকারের সেট পড়ে বের হন্, কেন না? নিজেই জানেন রাস্তা নিরাপদ না,
.
চারদিকে বখাটে মানুষের ভীড়, এভাবে সচেতনতা কখনো সৃষ্টি হবে বলে মনে হয় না!
.
সহজ সমাধান হলো, পাবলিক বাসে সিঁট ক্যাপাসিটির বাহিরে কোন লোক নেওয়া যাবে না! মেয়েদের জন্য আলাদা সিঁট থাকবে! রাস্তায় মাঝখানে নয় বরং গাড়ি দাঁড় করিয়ে আস্তে ধীরে যাত্রী নামাতে হবে,
.
মানুষের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হবে যে সব মেয়ে কারো বোন, মা, খালা কিংবা বউ,
.
আজ এই জায়গায় আমার মা, বোন, বউ, খালা হলে আমি কি করতাম? নুনু ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতাম!!! এই বোধ জাগ্রত করতে হবে!
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০
ল বলেছেন: সহমত
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'গা ঘেষে দাঁড়াবেন না।' শুধু এটা ওরিজিন্যাল, বাকিগুলো ফটোশপ।
মেয়েরা নিজেদের সেইভ করে চলবে, মানলাম, তাইলে ছেলেরাও সভ্যের মতো চলবে না কেন? টাকা পয়সা অলঙ্কার তো শুধু মেয়েরাই সেইভ করে চলে না, ছেলেরাও। এজন্য সেইভ করে চলার বাহানায় দোষটা মেয়েদের ঘাড়ে চাপানো যাবে না। আমাদের ঘরের মেয়েরাও বাইরে নিরাপদ না। মেয়েদেরকে নিরাপদে চলার পথ সুগম করে দেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
নতুন বলেছেন: যারা এই টি-সাটের লেখায় কস্ট পেয়েছে তারা মনে হয় গা ঘেসে দাড়ানো পছন্দ করেন... নতুবা এটার বিরুদ্ধে এতো কমেন্টের কারন বুঝলাম না।
আর বাইরের দেশের কিন্তু ছেলেরা বাসে,ট্রেনে মেয়েদের গায়ে হাত দেবার বাহানা খোজেনা...তারা কেন এমন করে সেটা ভেবে দেখে না আমাদের দেশের ছেলেরা?
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
কিশোর মাইনু বলেছেন: ড্রেস পড়ার সময় ড্রেসের লেখাটা দেখে পড়া ভাল।
আমার এক মেয়ে ফ্রেন্ড একবার একটি ট্রিশার্ট পড়ে কলেজে এসেছিল যেখানে লেখা ছিল "I am party Pornstar"। যখন জিজ্ঞ্যেস করলাম ও নিজেই অবাক, জামা সুন্দর লেগেছে, কিনেছে, কি লেখা সেটি দেখেইনি। এরকম আরো অনেকেই আছে। সচেতনতা দরকার এখানে, আর সেল্ফরেসপেক্ট।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: বিবেক বোধ কাজ করে না বোধ হয় কারো ! সামাজিক আচার আচরণ ,রীতি নীতি সব হারিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল স্রোতে ! বিধাতা ও বড়ই গৌণ নশ্বর মনুষ্যত্বে! লজ্জা লজ্জা ! ধরণী দ্বিধা হও !
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাঘ মানুষ হনন করে,
সিংহ মানুষ হত্যা করে খায়
আমাদের সবার এটা জানা আছে
বলেই আমরা এই পশুদের এড়িয়ে চলি.।
অসাবধানতাবশত এদের সামনে পড়লে
প্রাণ সংহার হতেই পারে।
এদের সামনে "আমাকে মারবেন না" জাতীয়
সা্ইনবোর্ড লটকালে পরিত্রাণ পাবেন?
সুতরাং পশুদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
নাহিদ০৯ বলেছেন: জামাইর সম্পদ জামাইর সামনেই প্রদর্শন করা উচিৎ। শুধু মাত্র কাপড় বা বোরখা পরেই যে প্রদর্শন বন্ধ করা যাবে তা কিন্তু না।
এমন একটা সময় আসবে যখন কাপড় পরেও উলঙ্গ থাকবে। এমন একটা ভবিষ্যৎ বানী ১৪০০ বছর আগে করা। এখন সেরকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মনে হয়।
বোরখা পরে থাকা, আর প্রদর্শন বন্ধ করা এক জিনিস নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: এই শহরে বাসের মহিলা, প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে সিট ছেড়ে দেন অনেকেই। তবে সংখ্যাটা দিনদিন কমে আসছে। নারী সিট দখল করে বসে থাকা কাপুরুষের সংখ্যা বাড়ছেই। তাই এমন প্রতিবাদে নেমেছেন তারা। তবে এ দেশে নারীদের টিশার্ট পড়া একটু ভিন্নচোখে দেখা হয় বলেই হয়তো ব্যাপারটি নিয়ে নোংরামিতে মেতেছে নেটিজেনদের কেউ কেউ।
প্রশ্নঃ তিল ধারণের ঠাইহীন বাসে কোনটা ইচ্ছে করে আর কোনটা অনাকাঙ্ক্ষিত যে বিচার করবে কে?