নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সবাই আমাকে টেলি সামাদ ডাকতো, তৎকালীন যারা শত চেষ্টা করে মোটা হতে পারেননি তাদের ডাক নাম এটা,
.
দিলদার আর টেলি সামাদ থাকবে না এমন কোন ফিল্ম আমরা কল্পনা ই করতে পারতাম না!
.
সাধারণত ঘরের কাজের মেয়ের সাথে ওদের প্রেম থাকতো কিন্তু প্রায় ছবিতে কাজের মেয়েও পাত্তা দিতো না,
.
শত চেষ্টা করেও যখন প্রেমে ব্যর্থ হতাম ওদের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতাম!
.
এই দুইজন নায়ক নায়িকার শোকে কাঁদতো, তাদের সুখে হাসতো, নায়িকাকে ধরে নিয়ে গেলে তারা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে নায়ককে খবর দিতো,
.
শেষ যখন নায়ক গর্জে উঠতো তখন তারা ও নায়কের সাথে তাল মিলিয়ে ডিসুম ডিসুম দিতো!
.
সিনেমা শেষ, মির্জা পরিবার আর আব্বাস পরিবারের মিল হয়ে গেছে কিন্তু ছোট গল্পটি যেনো শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! তারা পর্দায় এসে শেষ কমেডি না করলে ছায়াছবি অপূর্ণ থেকে যেতো,
.
দিলদারের জনপ্রিয়তা এতো বেশী ছিলো যে তাকে নায়ক করে নির্মিত ছবি আবদুল্লাহ দেখার জন্য তখন রীতিমতো ধুমধাম অবস্থা!
.
সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ দিলদার যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে তারো আগে সে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছিলো, পুরস্কারের বছর ই তিনি মারা গিয়েছিলেন,
.
আমরা এমন এক প্রজন্ম যারা এমন অনেক লিজেন্ডদের ভালবেসেছি অন্তরের অন্তস্থল থেকে!
.
টেলি সামাদের কথা কি আর বলবো চল্লিশ বছরে ছয়শো চলচ্চিত্রে সে অভিনয় করেছে এমনকি প্রায় ৫০ গানে কন্ঠ দিয়েছে,
.
তোমরা মীরাক্কেল বলো কিংবা হাসো, আমাদের প্রজন্মে এই কয়েকজন ই পুরো দেশবাসীকে হাসিয়ে মজা দিতো!
.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র টেলি সামাদ কি কারুকলা করেছিলো আমাদের প্রজন্মকে আমি জানি না তবে তার মৃত্যু সংবাদ হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে!!!
.
সত্যি বলতে কি ভুলেই গেছিলাম টেলি সামাদ নামে কেউ একজন লিজেন্ড আমাদের হৃদয়ে লুকিয়ে ছিলো,
.
কি ছিলো তখন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পাঙ্গনে, না ছিলো আধুনিক যন্ত্রপাতি, মেকাপ, বেকাপ, মূলধন, অঙ্গন! তেমন কিচ্ছু ছিলো না, ছিলো কেবলি প্রেম! তাইতো তিনি বলেছিলেন, 'প্রেমহীনতা ই চলচ্চিত্র ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ!'
.
সত্তর আশি নব্বই দশকের লিজেন্ডদের থাকার মধ্যে ছিলো কেবলি কাজের প্রতি প্রেম ভালবাসা সেক্রিপাইস তাই তারা বেঁচে থাকবে চিরকাল!
.
যতদিন এসব পাগলাটে মানুষগুলো প্রেমেমত্ত হয়ে আমাদের শিল্পাঙ্গন থেকে শুরু করে সাহিত্যাঙ্গন কিংবা ক্রিয়াঙ্গন নতুবা জীবনাঙ্গনে আসবে না ততদিন নতুন করে লিজেন্ড সৃষ্টি হবে না!
.
এখনকার লিজেন্ডগুলো কাজের শুরু থেকে নিজেদের লিজেন্ড ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত তারা কি আর মৃত্যুর পরের লিজেন্ড হয়ে থাকতে পারবে!
.
যাদের শোকে জাতি স্তব্দ হয়, নক্ষত্র খসে পড়ে, বুকে শূন্যতা তৈরী হয়, তাদের সাধনা ছিলো যুগ যুগের.....!
.
ওরা একদিনে ভাইরাল হয়ে পরের দিন শেষ হয়ে যায়নি বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে,
.
কিছু গান আছে কালজয়ী, ওক্কা ওক্কা ও ও এর মতো একদিনে এসে পরের দিন শেষ হয়ে যায় না বরং কফি হাউজের দিনগুলো শেষেও ল্লা ল্লা ল্লা লা লা লা ধ্বনিতে স্মরণ হতে থাকবে চিরকাল!
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এখন কেমন আছেন টেলি সামাদ ?
এই প্রজন্ম মনে হয় চেনেই না বাংলা সিনেমার এই মহা শিল্পীকে । এই প্রজন্ম অবশ্য দেখেইনা মনে হয় বাংলা সিনেমা চিনবেই বা কেমন করে । সিনেমাতেই শুধু কেন ? ঈদের দিনের রাতে বিটিভিতে আমজাদ হোসেনের নাটকটাতে বছর পর বছর একই ভঙ্গিতে তার অসাধারণ অভিনয় সবারই মনে থাকার কথা ।তাকে নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ নেবেন ।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চলে গেলেন মনা পাগলার নায়ক।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
আফসানা মারিয়া বলেছেন: লিজেন্ড দুই একজনই জন্মায়।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
অন্তরা রহমান বলেছেন: আমাদের সময়ের কিংবদন্তীরা একে একে দেয়ালের ছবি হয়ে যাচ্ছেন।
৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯
সোহানী বলেছেন: খুব ভালোলাগলো এক সময়ের জনপ্রিয় টেলিসামাদকে স্মরণ করার জন্য।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৮
মি. বিকেল বলেছেন: Click This Link
অনেক সুন্দর লিখেছেন।আমি আপনার লেখাটি পড়েছি এবং একটি ভিডিও বানিয়েছি।জানিনা আপনার লেখার সাথে ন্যায় করতে পেরেছি কি না! তাই একবার ঢু মেরে দেখে আসার অনুরোধ রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৩
ইসমত বলেছেন: শুকনাদেহীদের আমাদের এখানে বলা হতো, রবিউল।
ভাল লিখেছেন, টেলি সামাদরাই আমাদের সম্পদ।