নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
হঠাৎ একদিন ছাত্রী বললো 'স্যার সাতটায় আসলে পড়বো না, আপনি বরং নয়টায় আসুন' পরে আবিষ্কার করলাম সেটা তার সিরিয়াল টাইম,
.
গল্পগুলো জি বাংলা/স্টার জলসার, শুনেছি অনেক দিন পর জি নেটওয়ার্ক বন্ধ হতে চলেছে!
.
লক্ষ্য করলাম ছাত্রীর মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখতাম, সে 'স্যাআআর্ আর্ আর্' ধ্বনিতে আমাকে ডাকতো,
.
চুল ডান থেকে বামে ঝাক্কি দিয়ে বুঝেনি বলতো!
.
পবলেম তো হলো যখন হেব্বী সিরিয়াল ভক্ত এক মেয়ে তার বাবার সামনে আমাকে 'ভাইয়াআআ আআআহ্ আহ্' বলে ডাকতে শুরু করলো,
.
ঠোঁট একপাশে কোঁচকিয়ে ভেচকি মারলে আমি বুঝতে পারতাম সে মেয়ের উপ্রে জি বাংলা ভর করেছে
.
মেয়ের মায়ের কাছে আসি, যখন যেখানে যেভাবে তাকে দেখেছি সে জি বাংলা কিংবা স্টার জলসা দেখ্ছে!! কঠিন অবস্থা!
.
এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছিলাম তারা স্লামুআলায়কুম বলে সে যে টিভি রুমে গেছে তিনদিন পর যাওয়ার সময় তাদের মনে পড়েছে, ঘরে একজন মেহমান আছে!
.
মা কাইত হয়ে, মেয়ে উইত হয়ে আর নাতনী চিৎ হয়ে সিরিয়াল দেখছে তো দেখছে সে কথা নাইবা বললাম,
.
সিরিয়ালের একটা পর্ব মিস্ হয়েছে সে দুক্কে রাতে ভাত খায়নি এমনও উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে!
.
পাখি ড্রেস নিয়ে কত কেলেঙ্কারি হয়ে গেলো! কতজন আত্মহত্যা করলো কিংবা কত সংসার ভাঙ্গন ধরলো,
.
ঘরে ঘরে বউ শাশুড়ি যুদ্ধ লেগে গেছে, মারাত্মক গুঁটিবাজি! সিরিয়াল স্টাইলে বেচারা স্বামীকে নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে সে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে!
.
সিরিয়ালগুলো দেখে কিছু মেয়েরা এতো অনুকরণপ্রিয় হয়েছে যে সে স্বাভাবিকভাবে হাসতে চলতে খাইতে বসতে উঠতে ফিরতে তাকাতে পারে না,
.
একটা পর্যায়ে ঘরে ঘরে কঠিন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঘরে উঠলো, মা মেয়ে নাতনী সংঘ, পুরুষ সমাজ তাদের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছে না!
.
রিমোটের পূর্ণ অধিকারের নিয়ে বাড়তে থাকলো আরো আসক্তি! ক্রমান্বয়ে তা মানসিক ব্যাধি,
.
বাচ্চাকে ফিডিং করছে অথচ মা টিভির দিকে তাকিয়ে আছে!
.
জীবন মানে হয়ে গেলো জি বাংলা!
.
২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় তিন টিভি চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলো হাইকোর্ট,
.
সামাজিক আন্দোলন শুরু হলো, জেগে উঠলো সচেতন সমাজ
.
আমাদের ঘরে বিশ নম্বর চ্যানেল জি বাংলা আসলে 'বিষ' নম্বর চ্যানেল অন্তত এতো কোন সন্দেহ নেই! চ্যানেলগুলো বন্ধ হচ্ছে, এটা ভালো খবর, অন্তত বিষমুক্ত হবে বাংলাদেশ!
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্ত সব চ্যানেল বন্ধ হওয়াই উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৪
করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগলো। আপনার জন্য এই খবরটা: Click This Link