নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
বড় দূর্ঘটনার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘুমাতে পারেন না, জনগন টিভির সামনে থেকে চোখ ফেরাতে পারে না,
.
এমপি মন্ত্রী আমলা কামলা সবার হৃদয় কেঁপে উঠে! কারো কিচ্ছু করার থাকে না! হোয়াই ম্যান হোয়াই!
.
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কিংবা উদ্ধারকারীরা জীবন নিয়ে লড়ে তাদের হাতে এতো সুউচ্চ দালানে পৌঁছার মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকে না!
.
তাহলে এসব বিল্ডিংয়ের অনুমোদন দেওয়ার সময় কিভাবে সমন্বয় করা হয়!
.
মূলতো দরকার ছিলো সবার চোখের সামনে যে তরতর করে বিল্ডিংটা গড়ে উঠছে তখন কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেলে উদ্ধার অভিযান কিভাবে হবে তা ভেবে প্রশাসনের ঘুম হারাম হওয়া!
.
উদ্ধার অভিযান সরাসরি প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধান করছেন, এই তো সময় আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে সুষ্ঠ নগরায়নের,
.
অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখন চোখের জল মোচনের সময়, সামনের চিন্তা করা দরকার! এতটুকু একটা শহরে কতটুকু মানুষের জায়গা হবে তার লিস্ট করে বাকীদের ঘাড় ধরে গ্রামে পাঠিয়ে দিন্
.
ঢাকা শহরে থাকার ট্যান্ডেন্সি পাবলিক গাড়ির দরজাতে দাঁড়িয়ে থাকার মতো হয়েছে, ধাক্কা ধাক্কি চলছে, পিছনে অগাধ জায়গা তবুও কেউ যেতে রাজী না,
.
এই যে বিল্ডিংগুলোতে আগুন লাগে, লাগছে, সেখানে ফ্রিজ টিভি আসবাবপত্র থেকে শুরু করে লাখ টাকার সোফা, বেড্, মার্বেল পাথরের কারুকার্য থাকে শুধু শালার আগুন নিয়ন্ত্রের কোন সরঞ্জাম থাকে না!
.
ফায়ার ডোর থাকে না, আগুন লাগলে নিরাপদে বের হওয়ার রাস্তা নেই, অথচ নিরাপত্তার জন্য দারোয়ানও থাকে!
.
আমরা সবাই ধরে নিই আমাদের শহরে আগুন লাগলেও আমাদের বিল্ডিংয়ে কখনো না, বেপারটা মানুষ মরণশীল কেনো জানি মনে হয়ে আমি মাগার এতো দ্রুত মরবো না,
.
মিছিল সহকারে দাঁড়িয়ে সেলফি না তুলে বরং ঘরে কিংবা অফিসে ফিরে গিয়ে দেখেন কোথায় কোথায় আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন,
.
যদি না পারেন বিশাল একটা লম্বা রশি কিনে পাশে রাখুন, কাঁচের জানালা হলে একটা পাথর রাখুন যাতে ঝুইল্লা হলেও নেমে যেতে পারেন!
.
মাঝে মাঝে রশি বেয়ে নামার ট্রাই করবেন!
.
কান্নাকাটি রাখেন ভাই! এসব আগেও অনেক করেছি! করেছেন! ভবিষ্যতেও করবেন!
.
আগামীতে কি করবেন সে চিন্তা করেন! মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার নির্ঘুম রাত চাইনা আর, শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা তো আগে করে রাখতে হবে,
.
যেখানে আমাদের নেত্রী ঘুমাতে পারেনা সেখানে আমাদের কি অবস্থা চিন্তা করে দেখুন!
.
এই দেশে এক শেখ হাসিনার মুষ্টিবদ্ধ তর্জনী উপ্রে উঠলে হাজার দূর্নীতিবাজ পালাতে কুলও পাবে না!
.
এভাবে একবার আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু তর্জনি উঁচা করছিলো তারপর দেশের স্বাধীনতা কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি!
.
বিশ্বাস করি আপনাকে নির্ঘুম রেখে দূর্নীতিবাজরা নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে!
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
অনুভব সাহা বলেছেন:
বিল্ডিংগুলোতে আগুন লাগে, লাগছে, সেখানে ফ্রিজ টিভি আসবাবপত্র থেকে শুরু করে লাখ টাকার সোফা, বেড্, মার্বেল পাথরের কারুকার্য থাকে শুধু শালার আগুন নিয়ন্ত্রের কোন সরঞ্জাম থাকে না!
সচেতনতার বড়ই অভাব
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বাস্তব গল্প।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ফেসবুকে আগেই পড়েছি এটা। একদিনে এতগুলো পোস্ট প্রথম পাতায়..??
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: একের পর এক পোষ্ট দিয়েই চলেছেন!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: খুব সুন্দর মানবিক পোস্ট। যথেষ্ট সচেতনতার সাথে বিষয় উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ। সত্যিই বিষয়গুলো ভেবে দেখা উচিৎ।