নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মুলি বাঁশে প্রায় পঞ্চাশ বছর পর ফুল ধরে,
.
জাপানী বাঁশে প্রায় একশ বছর পরও ফুল ধরতে দেখা যায়,
.
বাঁশের ফুল দুর্লভ হলেও বাঁশ কিন্তু প্রতিনিয়ত সুলভ মূল্যে লোকে আমাদের পুচ্ছদেশে দিয়ে দেয়,
.
আমি আসলে আজকে চাইনিজ বাঁশ নিয়ে কথা বলতে এসেছি,
.
এই বাঁশ জন্মাতে হলে তার পিছনে আপনাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর পরিশ্রম করতে হবে!
.
এই প্রজাতির বাঁশ পাঁচ বছর ধরে নিজেকে মাটির নীচে তৈরী করতে থাকে! অদ্ভুত ধৈর্য তার!
.
আশেপাশের বাঁশগুলো দিন দিন বেড়ে উঠে কিন্তু এই প্রজাতির বাঁশের অঙ্কুরোদগমের কোন চিহ্ন দেখা যায় না!
.
কল্পনা করুন আপনি পাঁচ বছর ধরে আপনার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে তৈরী করছেন কিন্তু কোন ধরণের আলোর দেখা মিলছে না!
.
বাঁশের প্রজাতিটিরও একই দশা
.
পাঁচ বছর পর সে বাঁশের আলোর দেখা মিলে তারপর সে উপলব্ধি করে সে যখন বাড়তে শিখেছে ততদিনে আশেপাশের সব গাছ পাঁচ দশ বিশ ফিট্ করে বেড়ে গেছে.....!
.
আমি আপনি হলে কি করতাম? ও তো সফল আমার বরং সময় শেষ!
.
আমি যখন হাঁটতে শিখছি ওরা তো তখন দৌড়তে শিখে গেছে শুধু তা না তাদের কেউ কেউ ট্রফি হাতে উল্লাস করছে! আমার বরং সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে যাওয়া উচিত নতুবা হে খোদা! রশি ফেলো, বাইয়া উইঠ্ঠা যাই!
.
এই জীবন আমি আর রাখমু না!
.
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাইকে দেখতাম সব সময় নিজেকে ডেভেলপড্ করতো কিন্তু তার ইয়ার ড্রপ ছিলো! তাকে দেখে ভাবতাম! তার জীবন তো শেষ! এতো পড়াশুনার কি আছে কিংবা এতো জ্ঞান আর্জনের....!
.
আজ সে আমার চবির আইডল... তার লেখা পড়ে আমি সবচেয়ে বেশী মোটিভেট্ হয়েছি!
.
বলছিলাম চাইনিজ বোম্বোর কথা যে কিনা পাঁচ বছর মাটির নীচে নিজেকে তৈরী করে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে মাত্র পাঁচ সপ্তাহে নব্বই ফিট্ লম্বা হয়ে আশেপাশের সব গাছকে ছাড়িয়ে বীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকে,
.
এতোদিন সে শুধু নিজেকে তৈরী করেছে,
.
এতো কম সময়ে পৃথিবীর আর কোন গাছ এতো দ্রুত বাড়তে পারে না! কতজন খবর রাখে তার জন্মের ইতিহাস.....!
.
আপনি এতো হতাশ হচ্ছেন কেনো! আপনাকে তো চাইনিজ বেম্বো হতে হবে....!
.
বুঝেন যারা আপনাকে এতদিন বাংলা বাঁশ দিতো তাদের পিছনে আপনার নব্বই ফিটের চাইনিজ বাঁশ দিলে তাদের কি অবস্থা হবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১
রাজীব নুর বলেছেন: বাঁশময়।