নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন জেনারেল ব্লগারের নিজের সম্পর্কে বলার কিছু থাকে না ।

আবদুর রব শরীফ

যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!

আবদুর রব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতি

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

স্মৃতি শক্তি নিয়ে আমার অনেক গল্প আছে,
.
চবি কেন্দ্রীয় মাঠে বসে আছি এক সন্দ্বীপের ভদ্র লোকের সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাদে সে জিজ্ঞেস করে ভাই আমিও বাউরিয়া থাকি আপনার নানা বাড়িও বাউরিয়া! নানার নাম কি?
.
নানার নাম ভুলে গেছি! মনে আসতেছে না! কোন রকম কথা কাটিয়ে বাসায় আসার পর যেই মাত্র টয়লেটে ঢুকলাম ঠিক তখনি নানার নাম 'হামিদুর রহমান' মনে পড়লো!
.
এক পরীক্ষার মধ্যে আমি সাত দিন বন্ধ পাওয়ার পর ভাবছিলাম 'যাহা লিখিবো মুখস্ত লিখিবো আর কোন কিছু বানিয়ে লিখিবো না' মর্মে কসরত চালিয়ে যাচ্ছিলাম!
.
মাঝখানে আমার বন্ধু পরীক্ষার মাঝখানে এতো বন্ধ দেখে কক্সবাজার বেড়াতে গেছে এসে আমার থেকে শিট্ নিলো কয়েক ঘন্টা ওয়োয়োওওও করার পর তার পড়া নিতে বললো, দেখলাম তার সব মুখস্ত হয়ে গেছে! আর আমি এখনো মুখস্ত করতে পারিনি ভেবে মন খারাপ লাগছিলো!
.
তবুও আমি অনেক সাধনা করে একবার একটা ইংরেজি প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করেছিলাম!
.
একটা পর্যায়ে আবিষ্কার করলাম মুখস্ত করে লেখার চেয়ে বানিয়ে লিখলে আমার দুই মার্কস বেশী আসে,
.
ইংরেজী আর গণিত এই দুই বিষয় না থাকলে আমি সেই মান্দাতার আমলেই এ+ লাভ করে অত্র এলাকার মেধাবী মুখ হয়ে থাকতে পারতাম!
.
তার উপ্রে একদিন স্যার বললো পরীক্ষায় ভালো করতে হলে 'শুধু মুখস্ত করলে হবে না ঠোঁটস্ত'ও করতে হবে!'
.
আমি তো শেষ যখন দেখলাম ক্লাশে আমার বান্ধবী তুলি সম্পাদ্য মুখস্ত করে চিত্র ছাড়া গদগদ করে বলে যাচ্ছিলো!
.
কেমনে পারে ম্যান!
.
যখন দেখলাম আমার চেয়ে ভুলোমনা মানুষ জগতে ছিলো এবং সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীও তখন বুঝলাম আমি হয়তো গাধা হবো নয়তো দাদা!
.
টিকেট চেকার আইনস্টাইনকে একবার জিজ্ঞেস করছিলো 'টিকেট দেখান' শুনে বেচার টিকেট খুঁজতে শুরু করলো! কোথায় রেখেছে খুঁজে পাচ্ছে না! তা দেখে টিটি বললো আপনাকে চেনাজানা ভদ্রলোক মনে হচ্ছে সুতরাং টিকেট না দেখালেও চলবে তখন আইনস্টাইন বললো, 'টিকেট আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে তা না হলে কেমনে জানবো আমি কোথায় যাচ্ছি!'
.
টেলিফোন নাম্বার নিয়ে একবার আইনস্টাইন বলেছিলেন, 'যে সংখ্যা টেলিফোন গাইডে লেখা থাকে তা আমি কষ্ট করে মুখস্ত করতে যাবো কেনো!'
.
চাকরিতে ঢুকে নতুন ঝামেলায় পড়লাম এখানে সবার বসের নাম্বার পরিবার পরিজন থেকে শুরু করে প্রিয় খাবার সবকিছু মুখস্ত থাকে! আমি বসের নামের স্পেলিং পর্যন্ত ভুল করি বার বার!
.
অফিসে আমার পিছনে বসে আতিক ভাই তার কাজ হয়ে গেছে আমাকে পিবিএক্স নান্বার সাপ্লাই করা! প্রতিদিন আমি তার থেকে নতুন করে জেনে নিই ভাই আকবার ভাইয়ের নাম্বার টা কত জেনো!
.
মুখস্তবিদ্যার যুগে একজনরে দেখছিলাম 'সবিনয় নিবেদন এই যে অনুগ্রহপূর্বক আমার প্রেম পত্রটি গ্রহণ করিলে আপনার নিকট চির কৃতজ্ঞ এবং বাধিত থাকিবো' ইতি মজনু মর্মে চিঠি দিয়েছিলো!
.
মুখস্তবিদ্যা যে কতো কাজের তা আমি ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র হওয়ার সত্ত্বেও 'মাই এইম ইন লাইফ ইজ টু বি এ ডাক্তার' লিখে ভালো নম্বরও পেয়েছিলাম!
.
মুখস্তবিদ্যায় পারদর্শী ছিলো আমার এক বান্ধবী সে পরীক্ষার হলে 'উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর সাত নং প্রশ্নে দ্রষ্টব্য' এমন টাইপ উত্তরও হুবহু লিখে আসতো!
.
আমার আরেক স্যার বলতেন, বাইয়ের দাড়ি কমা থেকে শুরু করে সাদা বাদে কালা সব মুখস্ত করে ফেলতে হবে!
.
স্মৃতিশক্তি এতো দুর্বল যে কালা সব মুখস্ত করার পর পড়া দেওয়ার সময় মনে হলে সব সাদা হয়ে গেছে! ধবধবে সাদা!
.
দিনশেষ বুঝলাম আমরা জন্মগতভাবে সৃজনশীল!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল পোষ্ট, শেষ লাইনে বাজিমাত

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বেশ।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

বনসাই বলেছেন: বরাবরের মতো বেশ ভালো লাগলো।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.