নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
মৃণাল দা একটা কথা বলেছে, যে বুঝে সে খোঁজে আর যে খোঁজে সে কিছুনা কিছু পায়!
.
কেডিএসে মার্কেটিংয়ে চাকরি করার সুবাদে এই বিষয়ে কয়েকদিন আগে আমার এক এডিএম আমাকে বলেছিলো যখন তিনি ঢাকা থেকে লং ড্রাইভিং করে ইপিজেড এসেছিলো তখন আমি তাকে বলেছিলাম 'সামান্য কয়েকটা মিটিংয়ের জন্য এতো দূর' তখন তিনি বললেন 'ঘুরতে হয়, ঘুরলেই কিছুনা কিছু পাওয়া যায়!'
.
রবীন্দ্রনাথ বেপারটি আরো সুন্দর করে বলেছিলেন, 'মেলায় যাবো রে আমি যাবোইই, তোমার দেখা নাইবা পেলাম অন্য কারো দেখা তো পাবোই!'
.
পেতে হলে ঘুরতে হয়! খুঁজতে হয়!
.
দীর্ঘদিন ধরে জেলে পাড়ায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁজ করা গল্প থেকে সৃষ্টি হয়েছিলো 'পদ্মা নদীর মাঝি' উপন্যাস!
.
জনৈক ছাত্র শিক্ষকের কাছে গিয়ে বলতেছে 'আমি তো সফল হতে চাই' কিভাবে চাইবো তখন স্যার তাকে পুকুরে নিয়ে গিয়ে মাথাটা পানির নিচে হাত দিয়ে চেপে রেখে ঠিক নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার আগের মুহূর্তে উঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো 'তুমি তখন জীবনের বিনিময়ে কি চেয়েছিলে' সে বলেছিলো 'অক্সিজেন' তারপর গুরু বললো শুধুমাত্র এভাবে যদি তুমি সফলতার খোঁজ করতে পারো তাহলে তুমি সফল হবে!
.
সমস্যা হলো আমরা ভুল জায়গায় খোঁজ করি
.
কিছু দিন আগে আলী বাবা'র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা বলেছিলেন, 'আমি সফল মানুষদের গল্প পড়িনা কারণ সবাই সফল হওয়ার পরের গল্প লিখতে ভালবাসে তারচেয়ে বরং ব্যর্থ মানুষদের জীবন পড়তে ভালবাসি সেগুলো বইয়ে লেখা থাকেনা!'
.
বিখ্যাত লেখকদের যখন জিজ্ঞেস করা হয় 'ভালো গল্প লেখার জন্য কি করতে হয়' তারা সবাই প্রায় একই কথা বলে 'সাধারণ মানুষদের জীবনে গিয়ে খোঁজ করতে হয়!'
.
ইত্যাদি জিন্সের মার্চেন্টের কাছে গেলাম মিটিং করতে ভাই বললো আসেন গল্প করি!
.
ছোট বেলায় তিনি একবার চার তলা থেকে পড়ে গিয়ে দুই তলায় রশি ধরে ঝুলে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন!
.
আরেকবার দুই ছাদের বেড়ার মাঝখান দিয়ে দৌড়াতে গিয়ে রোদে জ্বলে যাওয়া বেড়া ভেঙ্গে নিচে পড়ে গিয়েও একটুর জন্য বেঁচে গেছেন!
.
এমন অনেক ঘটনা তার জীবনে,
.
আমার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে দুই মাস পর পর তাকে আমি কোন না কোন কারণে বেঁচে গিয়ে মেডিকেলে আবিষ্কার করি!
.
কিছুদিন আগে এক লোক বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে ঝুলে আছে সবাই তাকিয়ে আছে মার্চেন্ট ভাই গিয়ে বাঁশ গিয়ে আঘাত করে করে তাকে মাটিতে ফেলে তারপর কান্ধে করে নিয়ে মেডিকেলে ছুটছিলো! সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে নাটকের শ্যুটিং দেখছিলো!
.
আরেকদিন তার ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে চিনতাইকারী চক্র চিনতাইকারী সাব্যস্ত করে মারতেছিলো আশে পাশের সবাই তাকিয়ে দেখতেছিলো কয়েকজন পরিচিতরাও সে গিয়ে হালকা কিল ঘুষি খেয়েও ভাই আমার বলে ঝাপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেছে!
.
আমাদের সবার জীবনের মায়া বেশী! ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি! ভাইকে বললাম আপনার জীবনের মায়া কম নাকি! এভাবে রিস্ক নেওয়ার মানে কি!
.
ভাই বললো 'আগেই তো অনেকবার মরে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিলাম এখন বোনাস লাইফ চলছে!'
.
এসব গল্প বইয়ে লেখা থাকে না খোঁজ করতে হয় এবং দেখা মিললে কেবলি অবাক হতে হয়! জ্যান্ত গল্প! জীবনের গল্প!
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের হাসি মুখ দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে । এর জন্য দু-একটা ছোটখাটো মিথ্যা বললে দোষ হয় না ।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
নতুন বলেছেন: সবার জীবন নিয়েই ৩ ঘন্টার ছবি বানানোর মতন ঘটনা আছে।
সবার জীবনেই ভালো মন্দ অনেক ঘটনাই আছে...
সবাই নিজের জীবন নিয়ে একটু চিন্তা করলেই মনে হবে ... life is beautiful ...
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একবার একটা কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে তার এলাকার গুন্ডা মাস্তানরা যেখানে পাবে সেখানেই মারবে বলে হুমকি দিয়েছে।ছেলেটা খুব ভয় পেয়ে গেল।সে তার বন্ধুবান্ধবদের বিষয়টা জানালো।বন্ধুবান্ধবরা কঠিনভাবে ক্ষেপে গেল। রক্ত টগবগ হতে শুরু করল তাঁদের।অতঃপর ছেলেটা একটু সাহস পেল।
এর কিছুক্ষন পর ঐ গুন্ডা মাস্তানরা এসে ছেলেটাকে কিল ঘুষি দেয়া শুরু করল।এদিক দিয়ে তার বন্ধুবান্ধব গুলা অদৃশ্য হয়ে গেল।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমি জানি আপনি কমেন্ট পড়েন
Chrome Browser দিয়া সামুতে ঢুকে মোবাইল ভার্সন এলে সবার নিচে Full version এ ক্লিক করে
ডেস্কটপ Version এলে লগইন করে কমেন্ট এর উত্তর দিন।
নাহলে Chrome এ ডেস্কটপ মোড অন করেন।
আমি মোবাইল দিয়াই এখন ব্লগিং করছি।
আমার পোস্ট এর কমেন্ট এর উত্তর ও দিচ্ছি
না পারলে কমেন্ট করুন।