নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ না হাসে তবে একলা হাসো রে!
আন্দোলনের ভাষা নিয়ে যাদের চুলকানি আছে তাদের মতে ভাষাটা এমন হওয়া উচিত,
.
'ওগো শুনছো, দাবীগুলো তোমার মেনে নেওয়া উচিত!'
.
'মেনে নাও না গো, মেনে নিলে কি এমন হয় লক্ষী?'
.
'শুনো সরকার প্লিজ, নয় দফা এক দাবী মানতে হবে প্লিজ! প্লিজ! প্লিজ!'
.
মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সবিনয় নিবেদন এই যে দাবীগুলো মেনে নিয়ে ছাত্র সমাজকে বাধিত করবেন!
.
পুলিশ ভাইজানদের বলছি আপনারা যদি আমাদের না মারেন তাহলে চির কৃতজ্ঞ থাকিবো ইতি আপনাদের একান্ত অনুগত ছাত্র সমাজ!
.
মহাশয় বেয়াদবি মাফ করলে নয় দফা এক দাবীর আর্জি নিয়ে আপনার কাছে হাজির হওয়ার আবেদন করছি!
.
পুলিশ সরকার আমাদের ভাই, আদর করে মাইর দিলেও কিছু মনে করি নাই!
.
বিচার চাই! বিচার চাই! বিচার চাই! শুনো হে মানবতার মা, আমাদের নিরাপদ সড়ক নাই!
.
আমার ভাই বোন কবরে কেনো, শ্রদ্ধেয় প্রশাসন জবাব চাই!
.
শুনো হে ড্রাইভার ভাই, জীবনের চেয়ে বড় কিছু নাই সুতরাং গাড়ি সিস্টেমে না চালালে ক্ষতি হয়!
.
আমাদের কথাটা শুনো, ট্রাফিক আইন মানো
.
নৌ পরিবহন মন্ত্রী তুমি না থাকলে আন্দোলনটা এতো চাঙ্গা হতো না, তুমি না থাকলে এতো রাঙ্গা হাসিটা কখনো দেখাও হতো না!
.
মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে একটু আন্দোলনের অধিকার তবে কি মানুষ পেতে পারেনা! ও সরকার বন্ধু....!
.
চুপ করে প্রশাসন তবে কেনো কিছু বলছো না! প্লিজ সোনা কিছু বলো...!
.
পুলিশ আমার জানেরি জান! পরানের পরান! লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালকদের ধরে ফিরিয়ে আনেন হারানো সম্মান!
.
মন্ত্রী স্কুলে যাইবো! ছাত্ররা দেশ মেরামত করবো! শিক্ষার কোন শেষ নাই তা আবার প্রমাণও হইবো!
.
শুনো হে ড্রাইভার ভাই, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছো তবে কি তোমাদের প্রাণে ভয় নাই! ওরে ভয় নাই!
.
মিথ্যে আশ্বাস মহাপাপ, সরকার আমাদের বাপ্রে বাপ!
.
পরিশেষে একটি কথা বলবো,
যুদ্ধে মেয়েরা যদি চুড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় না করে মেশিনগ্যান হাতে নেয় তবে অন্তত তাদের ধর্ষিত হয়ে করুণ মৃত্যু হবে না!
.
সময় এখন অসময়! প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত যাতে তা ভাইরাল হতে বাধ্য হয়!
.
খোদার কসম এই নষ্ট কথার ছেলেগুলো একদিন দেশ পাল্টে দিবে! ওরাই একদিন অশুভের গলা টিপে ধরে স্লোগান ধরবে, 'দুর্নীতি কোন চ্যাটের বাল!'
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই ছেলেগুলো একদিন দেশ চালাবে , বলবে মদ খাবো দেশ চু**বো।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭
ইফতেখারুল মবিন বলেছেন: বিএনপির ঈদের পর ঈদের পর শুনতে শুনতে একদিন বলবে-
"বিএনপি কোন চ্যাটের বাল"!
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ! কত অবলীলায় এখন আমরা সবাই এসব বাজে কথা ব্লগে লিখে যাচ্ছি।
এতদিন এসব কথাবার্তা দেখতাম ফেসবুকে আর শুনতাম আসে পাশে আর এখন দেখতে পাছি শিরোনামে, প্ল্যাকার্ডে ও ব্লগে ।
একটা ভালো কাজকে প্রশংসা করতে গিয়ে আরেকটা যেটি ঠিক না সেটিকেও সাপোর্ট করা মোটেও উচিত না। আমি একটা ভালো কাজ করবো বলে আমার আরেকটা খারাপ কে সাপোর্ট করবেন?
যে পুলিশ, রিকশাওয়ালা আমাদের সাথে এসব নোংরা ভাষায় গালাগালি করে আমরাও যদি তাদের সাথে একই ভাষা ব্যাবহার করি তাহলে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্যটা রইল কোথায় ?
আমাদের বড়দের উচিত ছোটদের শেখানো তা না করে আরও সাপোর্ট, খুব ভালো ।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: স্লোগানের ভাষা নির্মাণের মধ্য দিয়ে সমাজের প্রচল ট্যাবুকে ভেঙ্গে দিয়েছে আজকের ছেলেমেয়েরা। আন্দোলনের এই দিকটাও কম অর্জন নয়!
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
এ.এস বাশার বলেছেন: চ্যাটের বাল শব্দটাকে আমি রূপক অর্থে নিলাম....... তবে খুব বাড়া বাড়িও ভাল না......
৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
হাফিজ রাহমান বলেছেন: দেখুন, বিষয়টাকে এতোটা সাহজিকভাবে নেবেন না। শিক্ষা ও অশ্লীলতার সহবস্থান হতে পারে না। দাবি আদায়ের ভাষায় অসঙ্গতি এলে সে দাবি আলোর মুখ দেখে না। সে দাবি যতই যৌক্তিক হোক তাতে মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় না। ছাত্র মানেই শিক্ষার্থী। সুতরাং শিক্ষার্থীর ভাষায় অশ্লীলতা চলে আসা মানে শিক্ষার অমর্যাদা সৃষ্টি হওয়া। অশ্লীলতা সে তো অশ্লীলতাই। স্থান কাল পাত্র ভেদে অশ্লীলতায় শ্লীলতা ফিরে আসে না। সুতরাং ছাত্র ভাইদের আন্দোলন পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও পরম যৌক্তিক। এতে এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের একাত্মতা ঘোষণা করা কর্তব্য মনে করি। কিন্তু কিছু ছাত্রের ফেস্টুনীয় ভাষায় ও সড়ক লেখনের ভাষায় পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও যৌক্তিকতা- কিছুই ছিলো না। এগুলো ছিলো মূলত একটি যৌক্তিক আন্দোলন ব্যর্থ হবার মূল উপাদান। ব্যর্থতা সবার কারণে সৃষ্টি হয় না; কিছু মানুষের কারণেই ব্যর্থতা সৃষ্টি হয়। শিক্ষা ও অশ্লীলতা একাকার করে ফেলবেন না। তবে শিক্ষিত আর অশিক্ষিতের মধ্যকার প্রবেধ উঠে যাবে।
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৩৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ও আমার শাহজাহান (মন্ত্রী) ভাই শোনেন না
বাসগুলোকে দেখে শুনে চলতে বলেন না
আস্তে চলবে, আর ভেপু দেবে সবারে
নইলে বসে চলা আর হবে না না রে ....
যেন এই গানটা (এটা পুরোনো একটা বাংলা সিনেমার গানের প্যারোডি) গেয়ে বললেই দাবি দাওয়া আদায় হয়ে হতো ! কিছু মানুষের রিজনিং এতো আশ্চর্য রকমের ন্যারো ! লেখা ভালো হয়েছে I
@ হাফিজ রহমমান, এই ছেলেমেয়েরা যে এই কথাগুলো শেখালো তার দায়িত্বওতো প্রশাসনকে নিতে হবে নাকি ? শুধু শুধু ছেলে মেয়েদের দায়ী করলেই চলবে ? দেশটা চলছেইতো নোংরামীর মধ্যে দিয়ে এখানে আপনি ফেরেশতা খুঁজছেন শুধু স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ? গান্ধীর কথা একটু ভাবেন I নিজে আগে খদ্দর পরে তারপর সবাইকে বলেছেন দেশের মানুষদের ওটা পড়তে I কমান্ড করতে হলে আগে প্রশাসনের ওপরে সেটার উদাহরণটা সৃষ্টি করতে হবে I নইলে নীচে আপনা আপনি সেটা কখনো হবে না I
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অশ্লীলতা অবশ্যই পরিত্যাজ্য | তবে যে দেশে সংসদে খিস্তি খেউর করা হয়, এক দলের নেতা/নেত্রীরা অন্য দলের নেতা/নেত্রীদের চরিত্র নিয়ে অশ্লীল ইঙ্গিত এবং মন্ত্যব্য করেন, সেই দেশের শিশু কিশোররা তাদের এই শীর্ষ অভিবাবকদের কাছ থেকে এর চাইতে ভালো কিছু শিখতে পারবে কি ? চরম দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা তাদের স্বার্থের জন্য সব ধরণের হীন ক্রমেই লিপ্ত হয়ে পড়েন, দেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে | তাই সর্বাগ্রে প্রথমে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা নেত্রী এবং এদের কর্মী-সমর্থকরা সভ্য এবং ভব্য হতে শিখুক, মানবিক গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার জন্য নূন্যতম সচেষ্ট হউক | তাহলেই তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছ থেকে নূন্যতম শ্রদ্ধা এবং বিনয়ের আশা এবং দাবি করতে পারে |
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
শেষের লাইনটি যেদিন এদেশে দেখা দিবে সেদিন এদেশকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।