নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

খসড়া - লাল টেলিফোন

১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৯

অতীত ছুটে চলেছে চোখের সামনে, ঘটমান বর্তমানের মুখোশ এঁটে। অনাকাঙ্ক্ষিত চক্রবুহ্য ভেদ করে ওপাশটায় আর চোখ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। হা হয়ে থাকা মেটে সবুজ শ্যাওলায় মোড়া জানালার কবাটের ওপাশে শিরিষের ডালপালা আর পাতাদের শনশন, আর এপাশে কামরা জুড়ে প্রবাহিত হতে থাকা শিরশিরে সর্পিল বাতাসের হিসহিস। ছাদজুড়ে দূররাস্তার দুরপাল্লার যানবাহনের হেডলাইটের নকশা। পাতাল থেকে উঠে আসা কুয়াশা হয়তো লুনাকে টেনে পাতালেই নিয়ে যেতো, তবে তার কাঁধে বেতালের মতো চেপে থাকা দায়ভারের তাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। সে কামরার মেঝেতে পা ছড়িয়ে বসে, পাশে কালো প্লাস্টিকের ব্যাগটা নিয়ে।

সে বুড়ি এমনভাবে জিনিসগুলোর নাম বলছিল, যেনবা তা ইত্যকার বাজারের ফর্দ। সাদা ও লাল রঙের দুটো চক, ৩০০ টাকার স্পেশাল মোমবাতি - যা পুরো শহরে কেবল তার কাছেই পাওয়া যায়, রসুনের কোয়া, লুনার বাবার শরীরে একদা সেঁটে থাকা কাপড়ের টুকরো, তার দৈনন্দিন ব্যবহারের আরও দু' একটা জিনিস, জীবিত বা মৃত কালো বেড়াল, লুনার শরীর হতে প্রবাহিত টাটকা রক্ত। প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে একে একে বেরিয়ে আসে সবকিছু। সবার আগে সাদা - লাল চকদুটো। একজন মানুষ স্বচ্ছন্দে এঁটে যায়, পরিধিতে এমন দূরত্ব রেখে দুটো বৃত্ত আঁকে সে। ভেতরেরটা সাদা চকে, বাইরেরটা লালে। দুই বৃত্তের কেন্দ্রে স্থাপন করে সে বিশেষ মোমবাতি। আগুনের স্পর্শ পাওয়া মাত্র তার সবুজাভ শিখা লকলকিয়ে ছাদ ছোঁয় প্রায়। অন্ধকার কামরা আলোর ছোঁয়ায় তেঁতে ওঠে। বেশ বড়সড় চৌকোনা কামরাটায় একধারে একটা খাট, আর কাঠের টেবিল - চেয়ার ছাড়া অতিরিক্ত কোন আসবাব নেই। লুনা কামরাটায় একবার চোখ বুলিয়ে ছোট করে নিঃশ্বাস ফেলে। তারপর আবার হাত ঢুকায় বিশাল সে প্লাস্টিকের ব্যাগে। বেরিয়ে আসে তার বাবার ব্যবহৃত পাঞ্জাবী থেকে ছিঁড়ে নেয়া একটুখানি কাপড়। মোমবাতির আগুনে তার এক ধার পুড়িয়ে ছুঁড়ে ফেলে বৃত্তের মাঝে। রসুনের কোয়া পুড়িয়ে ছুঁড়ে দেয় তার পাশে। রসুন পোড়া ঘ্রাণে ভরে ওঠে গোটা ঘর। বাবার নিত্য ব্যবহার্য জিনিস খুঁজতে একটু বেগ পেতে হয়। অনেক কিছুই তো আছে, কিন্তু এমন জিনিস - যা তিনি যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করতেন... খুঁজতে গিয়ে পাওয়া যায় একটা নতুন ডায়রি, আর মান্ধাতার আমলের ব্যাটারিবিহীন নোকিয়া ১১০০। সিম নেই, চার্জ নেই, ব্যবহার করা হয় না কমপক্ষে পাঁচ - সাত বছর। সবকিছুই জোগাড় করা গেছে আগেপরে, কেবল কালো বেড়াল জোগাড় করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। জ্যান্ত কালো বেড়ালকে এতোদূরে টেনে এনে হত্যা করা, অথবা একটা কালো বিড়ালের মৃতদেহ ঢাকা থেকে এ পর্যন্ত বহন করে আনা - কোনটা যে সহজ, এই ভাবনায় যখন লুনা খাবি খাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুপ্তি তখন জানায় ওর একমাত্র বিড়াল র‍্যাম্বো, যেটার রং ছিল মিশমিশে কালো, তার শেষকৃত্য ওরা সম্পন্ন করেছে একসপ্তাহ আগে। কবর খুঁজে বের করে, কাউকে না জানিয়ে ওটার দেহ তুলে আনা ছিল বেশ হ্যাপা। বিশেষত মাটি খোঁড়ার পর মিরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করে ওর শরীরের আর কিছুই নেই, কিন্তু পশমিনা কালো চামড়াটা এখনো ওর শরীরের পুরো আকৃতি একদম নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলে আছে মাটির নীচে। সবশেষে সে কালো বেড়ালের মৃতদেহ পলিথিনের ভেতর থেকে বের করে শুইয়ে দেয় আস্তে করে মোমবাতির পাশে। মৃতদেহ বলতে তো চামড়াটাই, তাও সাতদিন ধরে মাটির নীচে পুঁতে রাখা, কিন্তু সেটার ওজন খানিকটা বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। উষ্ণও লাগে। সবকিছু বৃত্তের ভেতর, মোমবাতির পাশে ছড়িয়ে রেখে লুনা একটু বিরতি নেয়।

আজীবন চাকরির প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে ছিলেন বাবা। মাসে দু'মাসে একবার আসতেন। পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সাংসারিক লেনদেনের বাইরে কোন কথা হত না। একমাত্র কন্যা লুনার সঙ্গেই ছিল তার লৌকিকতামুক্ত সম্পর্ক। শেষ পোস্টিং ছিল তাহিরপুরের এই অজপাড়াগাঁয়ে। তিনমাস ছিলেন তিনি এখানে। কোন বাড়ি ভাড়া নেন নি, এই হোটেল কক্ষেই দিনচুক্তিতে ভাড়া থাকতেন। এই কামরায়, এখন যেখানে আছে লুনা। পুলিশের কাছ থেকেই এ সমস্ত তথ্য জানতে পেরেছে লুনার পরিবার। কোন এক পঞ্চমীর তিথিতে, চাঁদ ডুবে যাওয়ার মুহূর্তে হোটেলের অদূরে এক শিরিষ গাছের ছড়ানো ডালে তার শরীরকে ঝুলন্ত অবস্থায় আবিষ্কার করে হোটেলের কর্মচারী। বড়
প্রশান্তিতে দুলছিল সে দেহ, চক্রাকারে।

চক্র!

পকেট ছুরির আলতো চাপে আঙ্গুলের প্রান্ত কেটে রক্তের কয়েক ফোঁটা সাদা চকে আঁকা চক্রের মধ্যে ফেলা মাত্রই মোমবাতির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সাদা আর লাল চকে আঁকা দুটো বৃত্তের পরিধির মাঝখানে নিজের অবস্থান আরেকবার ভালো করে দেখে নেয় লুনা। বুড়ি বলেছিল, প্রক্রিয়াটা শুরু হবার পর, গ্রহনাক্রান্ত সূর্যের পেটে ঢুকে পড়া চাঁদের মতো করে যখন জীবিত আর মৃতের পৃথিবী ঢুকে যাবে একের ভেতরে অপরে, তখন লালদাগের বাইরে বেরুলে মহাবিপদ।

দুর্ঘটনার রাতে লুনার মোবাইলে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে কল আসে। বাবাই করেছিলেন সে কল। তিনি বলেছিলেন, তার অনেক শীত লাগছে। বলেছিলেন, লুনাকে তার কিছু কথা বলা দরকার। কিন্তু সে কথা তিনি বলে শেষ করতে পারেন নি। অপরদিকে লুনার কথাও বাবা কিছুই শুনতে পায় নি। নেটওয়ার্কে সমস্যা ছিল। মুহূর্তখানেক পর নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়। বাবার সম্পর্কে পরবর্তী তথ্য লুনারা পায় পরদিন। জানতে পারে, সারারাত ধরে তার শরীর অল্প অল্প দুলেছে বাতাসের তোড়ে, শিরিষ গাছের ডালে। বাড়ির আর কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করে লুনাকে কেন ফোন করেছিলেন বাবা? সম্ভবত এই কারনে যে, লুনা ছিল তার সবচে পছন্দের সন্তান। টুকরো টুকরো অসংখ্য মায়াময় স্মৃতির উষ্ণতায় যে মানুষটি লুনার শৈশব কৈশোরকে বেষ্টন করে আছেন, মৃত্যুর আগে তার খুব শীত লাগছিল।

বাবার ডায়রি লেখার অভ্যাস তার অজানা ছিল। তালা ভেঙ্গে খোলা বাবার দেরাজে খুঁজে পাওয়া ডায়রির শরীর জুড়ে লুনা হাত বুলাতে থাকে। তারপর তা খুলে বসে। সে ফাঁকে সর্পিল হিমেল হাওয়া একেবেকে প্রবেশ করতে থাকে ঘরের ভেতর। ভেজা সে বাতাস মোমবাতি ঘিরে পাক খায়। আগুনকে ঠেলে মিশিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে সে তা আরও লকলকিয়ে জ্বলে উঠে আসমান স্পর্শ করতে চায় যেন। বুড়ির কথাই ঠিক। হয়তো এই আগুন জীবিত আর মৃতের পৃথিবী মিলেমিশে যাবার আগে নিভবে না। লুনা ডায়রির পাতা উল্টাতে থাকে।

বুড়ির শেষ সংকেতটা ছিল ছোট্ট দুটো লাইনঃ 'শব্দ মিলবে শব্দে, ভেদে ঘুচবে ভেদে'। লুনা এর আগামাথা বোঝে নি কিছুই। শব্দ কীভাবে শব্দকে মেলাবে? ভেদ কীভাবে ঘুচবে ভেদে?

লুনা দেখে, বাবার ডায়রির শেষ পাতাগুলো জুড়ে উৎকীর্ণ কেবল কবিতার লাইন। সে পঙক্তিগুলোর ওপরে মায়াভরে হাত বুলায় ফিসফিসিয়ে পড়ে চলে -

'জানি - তবু জানি

নারী হৃদয় - প্রেম - শিশু - গৃহ - নয় সবখানি,
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয় -
আরও এক বিপন্ন বিস্ময়

আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে

খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত - ক্লান্ত করে ...'


শব্দগুলো কেমন যেন ছড়িয়ে পড়ে ঘরময়। তারা হারিয়ে যায় না। বাতাসের সঙ্গে মিশে কানাকানি করতে থাকে। সোঁদামাটির গন্ধ এড়িয়ে তীব্র রসুন পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে গোটা কামরায়। তারপর, মুহূর্তের নিস্তব্ধতা, এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কানফাটানো বজ্রপাত হয় চরাচর জুড়ে। এতক্ষণ যাবত প্রায় ছোটখাটো এক অগ্নিকুণ্ডের মতোই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা মোমবাতি চড়চড় শব্দ তুলে, কয়েকবার কেঁপে নিভে যায়। মর্গের হিমশীতলতায় আচ্ছন্ন কামরায় সঙ্গে সঙ্গে কিছু একটা পরিবর্তন ঘটে, যেটা লুনার দৃষ্টি এড়ায় না। বজ্রপাতের আলো খানিকটা ঘোলা হয়ে এখনো যেন ঝুলে আছে জানালার ওপাশে। তাতে, অথবা চোখের সয়ে যাওয়া অন্ধকারে লুনা দেখে, বেড়ালের মৃতদেহ আর চক্রের মাঝে নেই। কামরা পুনরায় আঁধারে ছেয়ে যাওয়ার আগে একটা চারপায়ের ওপর ভর দিয়ে খানিকটা ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকা এক বেড়ালের ছায়া সে দেখতে পায় ঘরের এক কোনে।

মুহূর্তকালীন নীরবতার পর আবারো একবার প্রলয়ঙ্করী বজ্রপাত হয়, এবং একই সঙ্গে যেন মৃতদের পৃথিবী থেকে এক বুনো বেড়ালের প্রাণান্তকর চিৎকার ভেসে এসে লুনার পরিচিত বাস্তবতাকে দ্বিখণ্ডিত করে দেয়। চিৎকার থামার সঙ্গে সঙ্গে, লুনা টের পায়, জন্তু বা জন্তুর ছায়াটা তাকে কেন্দ্র করে চক্রাকারে ছোটা আরম্ভ করেছে ঘরময়। যে উন্মাদনায় সে পা রেখেছে, তার শেষ কোথায়, তা অজানা। সে ভুতগ্রস্থ মানুষের মতো চার হাতপায়ে ভর দিয়ে ঝুঁকে উবু হয়ে থাকে দুই বৃত্তের পরিধির নিরাপদ ব্যবধানে।

এভাবে কতক্ষণ অতিবাহিত হয়, সে জানে না। তারপর, হঠাৎ ভোজবাজির মতো করেই বাইরের ঝোড়ো হাওয়া থেমে যায়। বৃষ্টি - ঝড় একদম স্তিমিত হয়ে আসে। যেন প্রকৃতি হঠাৎ করেই তার হুঁশ ফিরে পেয়ে বোঝে, সে ভুল সময়ে চোটপাট দেখাচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়া
বেভুলো হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যায় ঘরের ভেতর। পুরনো জানালার শরীরে একটা ঝাপটা দিয়েই চুপসে যায়। কামরা জুড়ে পুনরায় নেমে আসে সুনসান নীরবতা। পোড়া রসুনের ঘ্রাণ ছাপিয়ে কামরায় ছড়িয়ে পরে লুনার খুব পরিচিত এক ঘ্রাণ। ছোটবেলা থেকেই যে ঘ্রাণের
উপস্থিতির সঙ্গে লুনার নিরাপত্তা ও প্রশান্তি জড়িত। বিহ্বলের মতো ডায়রির পাতায় লেখা কবিতার পরের অংশটুকু লুনা স্মৃতি থেকে অস্ফুট স্বরে উচ্চারণ করে -

'চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা একা

যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা ...'


তারপর, নীরব চরাচর ছেয়ে যায় প্রভাস্বর শূন্যতায়। ঠিক কতক্ষণ পর, লুনা টের পায় না, কামরার নীরবতা কাঁচের মতো ঝনঝনিয়ে ভেঙ্গে পড়ে বৃত্তের মাঝে রাখা মোবাইলটার ভাইব্রেশনে। ভেতরে ব্যাটারি নেই, সিম নেই - সেই মোবাইলটাই একটু সময় নিয়ে জ্বলে ওঠে তীব্র লাল রঙে, বেজে ওঠে তার পরিচিত রিংটোন। ঘোরগ্রস্থ লুনা হামাগুড়ি দিয়ে কাছে গিয়ে নিশ্চিত হয়, নম্বরটা তার খুব পরিচিত; এই ফোনে যদিও কখনোই কোন লাল ব্যাকগ্রাউন্ড লাইট ছিলো না। তবে এই মুহূর্ত যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবার নয়।

লুনা জানে, ফোনটা এখন তার ধরা উচিৎ। ফোনটা ধরলেই অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে। সান্ত্বনা নিয়ে বাড়ি ফেরা যাবে। কিন্তু কেন যেন তার ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করে না। মনে হয়, ধরা মাত্রই সে তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে। সব কিছু শেষ হয়ে যাবে এখানেই। তার ক্লান্ত লাগে। সে গুটিসুটি পাকিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়ে, যেমন শৈশবে শীতের রাতগুলোতে সে তার বাবার পীঠের সঙ্গে পীঠ লাগিয়ে শুয়ে থাকতো বিছানায়, আর বাবার স্পর্শে তার ছোট্ট শরীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়তো নির্ভরতার ওম।

লাল রঙের ফোনটা বাজতেই থাকে, বেজেই চলে, যেন অনন্তকাল ধরে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গল্পটা পুরো পড়তে পারলামনা তারপরও মনে হচেছ গল্পটি সুন্দর হয়েছে।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.