নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শনিবারের চিঠি - পর্ব পাঁচ

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৯


.
বছরে নভেম্বর মাসটা আমার প্রচণ্ড দৌড়ের ওপর কাটে। যদি পরবর্তী বছর কোন বই প্রকাশ হবার থাকে, তো নভেম্বর মাস হচ্ছে তার গোছগাছের বছর। বই লেখা শেষ করে তার প্রুফ নিশ্চিত করা, ফাইনাল ড্রাফট প্রকাশনা সংস্থার কাছে জমা দেয়া, বইয়ের কাভার আঁকানো। ইউনিভার্সিটিতে তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। তার প্রশ্নপত্র তৈরি, পরীক্ষা নেয়া, খাতা দেখা - ইত্যাদি কাজের চাপ বাড়ে। আমার যদি একদিকে পরীক্ষা নেয়ার চাপ থাকে, তাহলে পরীক্ষা দেয়ার চাপ থাকে আমার স্ত্রীর, আমার বোনের। পরীক্ষার পড়ার চাপে ওদের থাকে মেজাজ খিটখিটে হয়ে। উঠতে বসতে ঝাড়ি খাই। এই রুম থেকে ঐ রুমে যেতেও ঝাড়ি খাই। শান্তির মা তখন পরিযায়ী পাখির মতো হিমালয় পানে উড়ে চলে যায় বলে মনে হয়। মন চায় তার পিছু পিছু উড়াল দিতে।
.
যাই হোক, নভেম্বর মাসের চূড়ান্ত চাপ হচ্ছে, কর্মজীবী মানুষদের জন্য, ট্যাক্সের চাপ। বিশেষ করে যদি আপনি ট্যাক্সের জন্য কোন আইনজীবী নিয়োগ না করে থাকেন। যদি আপনার নিজের স্যালারির হিসেব করা লাগে। আমাদের স্যালারি শিট দেয়, সহজেই হিসাব করা যায়। কাজেই গত পাঁচ বছর যাবত ট্যাক্স দিচ্ছি নিজে নিজেই। যা হোক, ট্যাক্সের হিসাবটা শেষ করে কর প্রদানের টাকার চূড়ান্ত অঙ্কটা দেখলে পরের দু' এক রাত মনের কষ্টে ঘুম হয় না। সারাদিন মাথায় ঘুরতে থাকে। মনকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য তখন রাস্তাঘাটে, আসেপাশে তাকাই। নিজেকে প্রবোধ দেই, এই যে খাবলে খাবলে পীচ উঠে থাকা রাস্তা - এ হয়তো আমার ট্যাক্সের পয়সায় বানানো। সরকারি অফিসে যে সম্মানিত স্যারেরা আমাদের হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন, তাদের মাসের বেতনও এই ট্যাক্সের তাকায় হয়। সেতু ব্রিজ কাল্ভারট, চার লেনের ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়ক, এবং আরও যত সড়ক এগুলোও আমার ট্যাক্সের পয়সায় হয়। খুব জোর করে কিছুদিন নিজেকে দেশের সুনাগরিকদের একজন ভাবার চেষ্টা করি।
.
ট্যাক্সের গল্প তো খালি ট্যাক্স হিসাব করার মধ্যেই শেষ হয় না। ট্যাক্স কোন সরকারি ব্যাংকে গিয়ে দেয়া লাগে। তারপর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়া লাগে নির্দিষ্ট কর অঞ্চলে গিয়ে। ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়া আজকাল বেশ সহজ। ২০১৮ সালে কেবল একবার ঝামেলায় পড়েছিলাম। রিটার্নে সই নিয়ে ফর্ম ফেরত নেয়ার জন্যে প্রকারান্তরে টাকা দাবী করছিল কর্মকর্তা। সে বছর আয়কর মেলা হয় নি বলে। এছাড়া প্রতি বছরই মোটামুটি সাচ্ছন্দের সঙ্গে দিতে পেরেছি ট্যাক্স। এ বছর, আর গত বছর তো ইভেন কোন লাইন ও ছিল না।
.
যা হোক, আমার এই শনিবারের গল্প ট্যাক্স অফিসের কচকচানো নিয়ে নয়। গল্পটা এক সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাকে নিয়ে।
.
ট্যাক্সের টাকা দিতে গেছি এক সরকারি ব্যাংকে। প্রতিবছর মতিঝিলে এই ব্যাংকটাতেই আসি ট্যাক্সের চালান জমা দিতে। একদম প্রথম বছর যে ভদ্রমহিলার কাছে ট্যাক্সের চালান দিলাম, তিনি বেশ হাসিখুশি ছিলেন। আমার তৎকালীন কর্মস্থল, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের সঙ্গে তার কি একটা যেন সংশ্লিষ্টতাও ছিল। বেশ কথাবার্তা বলতে বলতে, আলাপচারিতার মাধ্যমে ট্যাক্স দিয়ে এসেছিলাম। পরের তিন বছর ক্যাশে যে কর্মকর্তা বসেছিলেন, তিনি এক বয়স্ক ভদ্রলোক। হাসিমুখেরও না, আবার মুখ গোমড়াও না। যা কাজ, করে দিয়েছিলেন তারাতারি।
.
আজ যার সামনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম, এই ভদ্রলোকের বয়স আমার সমান, অথবা আমার চে বছর দুয়েক কম। খুবই চেতা। দুনিয়াদারী নিয়ে বিরক্ত। ক্যাশিয়ারই বটে। কিন্তু সবাইকে ধমকে ধামকে বাস্তবতা বোঝাচ্ছেন। আমি গিয়ে দাঁড়ালাম তার সামনে। চালান আর চালানের টাকা বাড়িয়ে দিলাম তার সামনে।
.
- এই যে ট্যাক্স দিতে আসছেন, বোঝা তো যায় যে ম্যাচিউর লোক আপনি। তা হাতের লেখা এমন কেন? বুঝায়ে বলেন তো কি লিখসেন এইখানে?
.
আমার টাকার অঙ্কের ওপর কলম ঘোরায়ে বলা মাত্র আমি প্রায় আঁতকে উঠি। আমার হাতের লেখা নিয়ে আমার তেমন বিশেষ কোন গর্ব নাই। তবে এর আগে এরকম পাবলিক ডোমেইনে হাতের লেখা নিয়ে ঝাড়ি খাই নাই বহু দিন। ধরে নিয়েছিলাম, সে বয়স পার করে এসেছি। যাই হোক।

চালানের নতুন একটা ফর্ম আমাকে দেয়া হলে আমি বসে বসে যতটুকু সম্ভব যত্ন করে লেখা শুরু করলাম আবার। ভাবলাম, হাতের লেখার জন্যে ঝাড়ি দেয়া কোন স্টুডেন্টের অভিশাপেই হয়তো আজ আমার এই দশা। হাতের লেখা বোঝা গেলে আর কাউকে কখনো হাতের লেখা নিয়ে ঝাড়ি দেবো না এই প্রতিজ্ঞা করে আপাতত ভালো ফিল করার চেষ্টা করলাম। এই ফাঁকে আড়চোখে দেখতে থাকলাম ক্যাশে বসা ঐ লোকটিকে।
.
এক পিয়নকে ঝাড়ি দিলেন তিনি কি এক কাজ পছন্দ না হওয়ায়। তার এক কলিগ কিছু একটা কাগজ বাড়িয়ে দিলে তার সঙ্গেও মোটামুটি দুর্ব্যবহার করলেন। লাইনে, আমার মতো বলির পাঁঠা যে ক'জন ছিলেন, তাদের কথা বাদই দিলাম। অন্তত আরও দু'জনকে নতুন করে চালান ফর্ম ফিলাপ করালেন তিনি। সরকারি ব্যাংক। সেবা দিতে না চাইলেও কিছু করার নেই। এমনিতেও নাকি লসে চলছে, হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপিদের পকেটে। উদ্ধার করা হয় নি এখনও। তবুও সবার চাকুরী বহাল তবিয়তে আছে। এর মধ্যে আমার পুরনো ক্যাশিয়ার ভদ্রলোক এসে হাজির হলে আস্তে করে আমি তার লাইনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ি।
ওখানে দাঁড়িয়েও খেয়াল করলাম, অল্প বয়স্ক সে ক্যাশিয়ার এখনও গজগজ করেই যাচ্ছে।
.
আমার একপর্যায়ে মনে হল, ভদ্রলোক সুখী না তার এ প্রফেশনে। চাকুরির বয়স কম বলে এখনও নিজে পুরোপুরি ধাতস্থ হতে পারেন নি এই কাজে। মেনে নিতে পারেন নি নিজের এ ভবিতব্য। সেবা দানকারী প্রফেশনে আছেন বলে আমরা, গ্রাহকরাও তার সেই রাগের ভুক্তভোগি হচ্ছি।
.
ব্যাংক থেকে যখন বেরিয়ে আসছি, তার ওপর আমার রাগ পড়ে এসেছে প্রায়। বরং তার পারস্পেক্টিভ থেকে চিন্তা করে মায়াই লাগছিল তার জন্য।
.
পৃথিবীতে বহু মানুষ চারিত্রিকভাবে বদমেজাজি, বা খারাপ নন। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারনে তারা বদলে যান। দোয়া করা উচিৎ, নিজের জীবন যাতে এমন না হয়। চেষ্টা করা উচিৎ, নিজের অপছন্দের পেশায় যাতে কখনো স্যাটল না করা লাগে। নইলে শুধু নিজের জীবনে অসুখি একজন মানুষে পরিনত হব আমরা, তাই নয়, আসেপাশের মানুষকেও নিজের অজান্তে কষ্ট দিয়ে বেড়াবো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৮

কালো যাদুকর বলেছেন: অনলাইনে পে করার অপশন থাকলে এসব নিয়ে হয়ত ডিল করতে হত না। তবে কথা হল , চাকুরীর শর্ত অনুযায়ী ঐ অদিসারের যে সার্ভিস দেযার কথা সেটা উনি দিচ্ছেন না। অপ্রোয়জনে গ্রাহককে ভোগাচ্ছেন ৷ এটি অন্যায় ৷ যথাযথ কর্তৃপদ্ধকে জানান দরকার ৷

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সমাধান খুঁজি না। মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। দয়া করে চালান নিচ্ছে, এই বেশী। অন্যায়ের সংজ্ঞা ভিন্ন, এ দেশে সরকারি বিবিধ প্রতিষ্ঠানে।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: শেষ প্যারাতে যেমন বললেন ঠিক তার উল্টো ঘটনা তো রয়েছে । বিশেষ করে বাঙালীর বেলাতে আরও বেশি রয়েছে । নিজের পজিশনের কারণে অনেক মানুষই অন্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করে মেজাজ দেখায় !

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বহুমানুষের ক্ষেত্রে সমস্যাটা ইনহেরেন্ট নয়, বলেছি। সবার কথা বলি নি। ব্যতিক্রম আছে। কারন ছাড়াই দুর্ব্যবহার করে এমনও অনেকে আছে। কিন্তু তাদের নিয়ে লেখার প্রয়োজন বোধ করি নি কখনো। যাকে নিয়ে আজ লিখলাম, তার জন্য তো মায়াই হয়। একই কষ্ট অনুভূত হয় রিকশাওয়ালা, বাসের হেল্পারদের প্রতিও। সুযোগ পেলেই ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, বেশী নিতে চায়। ব্যবহার খারাপ করে। দিনের শেষে তাদের যে লাইফস্টাইল, দিনের শেষে তারা যে বাসায়, যে পরিবেশে ফেরে, যে রুমে, যে বিছানায় ঘুমায় - ওতে করে ওদের সুন্দর ব্যবহার করাটাই অস্বাভাবিক।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকের একটি স্থানীয় শাখার সাথে লেনদেন করতে গিয়ে আমি প্রায়ই বিরূপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। সম্প্রতি ডেবিট কার্ড নবায়নের জন্য গেলে সংশ্লিষ্ট মহিলা স্টাফ আবেদনপত্রটি নিয়ে আমাকে বললেন, নতুন কার্ড আসলে উনি ফোন দিয়ে আমাকে জানাবেন। তখন যেন ব্যাংকে এসে আমি কার্ডটি সংগ্রহ করে নিয়ে যাই। কতদিন সময় লাগতে পারে, এ প্রশ্নের উত্তর তিনি অন্য দিকে তাকিয়ে মাত্র একটি কথায় জানালেন, 'জানিনা'। আমি তবু একটি আনুমানিক সময় জানতে চাইলে উনি বললেন, সেটা হেড অফিসের উপর নির্ভর করে। করোনার কারণে অনেক ব্যাকলগ আছে, তাই সময় লাগবে। আমি ঠিক এক মাস পরে ওনার কাছে গিয়ে নতুন কার্ডের অগ্রগতি সম্বন্ধে জানতে চাইলাম। ওনার একই কথা, নতুন কার্ড আসলে উনি ফোন দিয়ে আমাকে জানাবেন। আমি ওনার সাথে আর কোন কথা না বাড়িয়ে ওনার বসের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে একটি সদুত্তর দাবী করলাম। উনি খুব অনিচ্ছাসহ হেড অফিসের কার্ড ডিভিশনের ডিজিএম এর ফোন নাম্বার দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বললেন। সাথে এও বললেন, নাম্বারটা যে আমি তার কাছ থেকে পেয়েছি, সেটা যেন আমি ডিজিএম সাহেবকে না বলি। আমি ওনার সামনে বসেই ডিজিএম সাহেবকে ফোন দিলাম, তবে এবারে খুব ভাল ব্যবহার পেলাম। উনি আগ্রহের সাথে আমার ফোন নাম্বারটি রাখলেন এবং জানালেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি আমাকে অগ্রগতি জানাবেন। তিনি কথা রাখলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই উনি ফোন দিয়ে জানালেন, পরের দিন অপরাহ্নে শাখায় গিয়ে নতুন কার্ডটি সংগ্রহ করতে। প্রথম দু'জনের টেম্পারামেন্ট ঠিক ছিল না, পরের জনের ছিল।

"সমাধান খুঁজি না। মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি" (১ নং প্রতিমন্তব্য) - আমাদের দেশে বাস করতে হলে এ ছাড়া আর গত্যন্তর নেই। এটাই করনীয়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: প্রিয় স্যার, ধন্যবাদ, বিস্তারিতভাবে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্যে। আমার অভিজ্ঞতাও সোনালী ব্যাঙ্কেরই। মুশকিল হয়ে গেছে আসলে মানুষজনের টেম্পরামেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে চলাটা। বাজে ব্যবহারের বিনিময়ে বাজে ব্যবহার করলে নিজের মানসিকতার ওপরেই এমন চাপ পড়ে যে সারাদিন মাটি হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করি ঝামেলা এড়িয়ে চলতে। তার ফাঁকে যদি একটু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে তাকানো যায় পুরো ব্যাপারটার দিকে, তবে তা উপরি পাওনা হিসেবে বিবেচনা করি।

শুভকামনা ও শুভেচ্ছা। আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.