নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজিদ উল হক আবির

সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)

সাজিদ উল হক আবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (২০২০) অ্যামেরিকান কবি লুইস গ্লাকের দুটো কবিতা, আমার অনুবাদে

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৬


ছবিঃ কবি লুইস গ্লাক ( দা গার্ডিয়ানের বরাতে)

১। একটি উপকথা

দু'জন নারী
একই আর্জি নিয়ে
লুটিয়ে পড়লো
প্রজ্ঞাবান সম্রাটের পায়ে। দু'জন নারী,
কিন্তু সন্তান মাত্র একটি।
সম্রাট জানতেন,
একজন দাবীদার ছিল মিথ্যের আবাদি।
তিনি যা বললেন, তা হল -
শিশুটিকে
কেটে দু'ভাগ করা হোক; এভাবে
কেউ ফিরবে না
খালি হাতে। তিনি,
তরবারি কোষমুক্ত করলেন।
তারপর, ঐ দু'জন
নারীর মধ্যে, একজন
ফিরিয়ে নিলো তার দাবীঃ
এটাই ছিল তার চিহ্ন, এটাই ছিল শিক্ষা।

ধরুন
আপনি আবিষ্কার করলেন আপনার মা'কে
দু' কন্যার টানাপোড়েনে ছিন্নবিচ্ছিন্নাবস্থায়;
তখন তাকে বাঁচাতে - কি করার থাকে, ধ্বংস করা ছাড়া
নিজেকে - যাতে তিনি জানতে পারেন
কে ছিল তার মাতৃস্নেহের প্রকৃত দাবীদার,
কে বরদাশত করতে পারে নি
তার মায়ের দু'টুকরো হয়ে যাওয়া।


মূল কবিতা ১ঃ

A Fable

Two women with
the same claim
came to the feet of
the wise king. Two women,
but only one baby.
The king knew
someone was lying.
What he said was
Let the child be
cut in half; that way
no one will go
empty-handed. He
drew his sword.
Then, of the two
women, one
renounced her share:
this was
the sign, the lesson.
Suppose
you saw your mother
torn between two daughters:
what could you do
to save her but be
willing to destroy
yourself—she would know
who was the rightful child,
the one who couldn’t bear
to divide the mother.



২। একাগ্রতার এক আখ্যান

নরকরাজ হেডিস মর্ত্যের এক বালিকার প্রতি তার প্রেমভাবের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে
তার জন্যে পাতালে এক ছায়াপৃথিবী নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেন
সব হুবহু এক, সামনের উদ্যান পর্যন্ত
এমনকি একটি বিছানাও।

সব হুবহু এক, এমনকি সূর্যালোকও
কেননা, তার প্রেমাস্পদের জন্যে বড় কঠিন হয়ে যাবে
আলোকোজ্জ্বল পৃথিবী থেকে সদ্য এসে এতটা অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়া।

খুব ধীরে, ভাবলেন তিনি, তাকে রাত্রির সঙ্গে পরিচিত করাবেন
প্রথমে দোদুল্যমান পত্রপল্লবের ছায়ার সঙ্গে,
চন্দ্র ও তারকারাজি থেকে চন্দ্র - তারকাহীনতায়
পার্সিফোন ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হোক এতে
এভাবেই হয়তো, ভাবলেন নরকরাজ, সে স্বস্তি খুঁজে পাবে এ পৃথিবীতে।

হেডিসের এ ছায়া পৃথিবীতে
সবই আছে, ভালোবাসা ছাড়া
সবাই কী কামনা করে না, ভালোবাসা?

হেডিস অপেক্ষা করলেন বহু বহু বছর
তার নবনির্মিত পৃথিবীতে, তাকিয়ে থেকে
পার্সিফোনের পানে, যে দণ্ডায়মান মর্ত্যের উদ্যানে
ঘ্রাণ নিচ্ছে যে, স্বাদ আস্বাদন করে বেড়াচ্ছে যে
একটি ইন্দ্রিয়ও যদি সজীব থাকে, ভাবেন হেডিস
তবে বাকিগুলোই বা কেন থাকবে না?

রাত্রিবেলা, কে না চায় অনুভব করতে
পছন্দের সে শরীর, তার পরিধি, নমনীয়তা
বা সেই সমাহিত প্রশ্বাস, যা আশ্বাস দেয় -
আমি বেঁচে আছি, যার অপর অর্থ
তুমিও বেঁচে আছো, কারন তুমি শুনছো আমায়
তুমি আছো আমার সঙ্গে, যখন একজন পাশ ফিরে শোয়
তখন অপরজনও পাশ ফেরে -

এ সবই অনুভব করলেন, অন্ধকারের প্রভু
পার্সিফোনের জন্যে তার নবনির্মিত
পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে। তার মনে এই চিন্তা এলো না যে -
এখানে কেউ ঘ্রাণ নেবে না কখনো
উদরপূর্তির কোন ঘটনাও ঘটবে না এখানে।

অপরাধবোধ? আতংক? ভালোবাসার ভীতি?
- এসব তার মাথায়ই এলো না।
কোন প্রেমিক এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সময় নষ্ট করে না।

তিনি বরং স্বপ্ন দেখে চললেন, ভেবে চললেন কী নাম দেয়া যায় এ জায়গার
প্রথমে তার মাথায় এলোঃ নতুন নরক। তারপরঃ মহান উদ্যান।
সবশেষে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, এর নাম হোক -
পার্সিফোনের নারীত্ব।

মাঠের প্রান্তে একদিন দেখা দিলো মৃদু আলোর আভাস
বিছানার পেছনে। হেডিস বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলেন পার্সিফোনকে
তিনি বলতে চাইলেন - ভালোবাসি তোমায়, কেউ আর আহত করতে পারবে না তোমাকে।

কিন্তু, এতো হবে মিথ্যে ভাষ্য, ভাবেন তিনি,
কাজেই শেষমেশ তিনি বললেন -
তুমি মৃত, কেউই আঘাত করতে পারবে না তোমাকে আর
এ বক্তব্য তার কাছে প্রতিভাত হয়
আরও সত্য, আরও আশাবাদী এক শুরুয়াদের ভিত হিসেবে।


মূল কবিতা ২ঃ

A Myth of Devotion


When Hades decided he loved this girl
he built for her a duplicate of earth,
everything the same, down to the meadow,
but with a bed added.

Everything the same, including sunlight,
because it would be hard on a young girl
to go so quickly from bright light to utter darkness

Gradually, he thought, he'd introduce the night,
first as the shadows of fluttering leaves.
Then moon, then stars. Then no moon, no stars.
Let Persephone get used to it slowly.
In the end, he thought, she'd find it comforting.

A replica of earth
except there was love here.
Doesn't everyone want love?

He waited many years,
building a world, watching
Persephone in the meadow.
Persephone, a smeller, a taster.
If you have one appetite, he thought,
you have them all.

Doesn't everyone want to feel in the night
the beloved body, compass, polestar,
to hear the quiet breathing that says
I am alive, that means also
you are alive, because you hear me,
you are here with me. And when one turns,
the other turns—

That's what he felt, the lord of darkness,
looking at the world he had
constructed for Persephone. It never crossed his mind
that there'd be no more smelling here,
certainly no more eating.

Guilt? Terror? The fear of love?
These things he couldn't imagine;
no lover ever imagines them.

He dreams, he wonders what to call this place.
First he thinks: The New Hell. Then: The Garden.
In the end, he decides to name it
Persephone's Girlhood.

A soft light rising above the level meadow,
behind the bed. He takes her in his arms.
He wants to say I love you, nothing can hurt you

but he thinks
this is a lie, so he says in the end
you're dead, nothing can hurt you
which seems to him
a more promising beginning, more true.





(লুইস গ্লাকের কবিতা অনুবাদ সংক্রান্ত কিছু পূর্বকথনঃ

গতবছর সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার ঘোষণার পরপরই দীর্ঘদিন পর আবার আমি অনুবাদ প্রকল্প হাতে নিই। একদা কবিতা লিখতাম, কবি হিসেবে একটা ছোট সার্কেলে সমাদৃত ছিলাম, টুকটাক পুরষ্কারও কবিতা লেখার দায়ে ঝুলিতে এসেছিল। এ বছর আমার কোন মৌলিক বই প্রকাশিত হচ্ছে না বলে প্রাথমিকভাবে, অ্যামেরিকান কবি লুইস গ্লাকের নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির ঘোষণা আসবার পর, তার কিছু কবিতা অনুবাদ শুরু করি। একজন প্রকাশকও পেয়ে যাই, যিনি সে অনুবাদ কবিতার বই এ বইমেলায় বাজারে আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। গ্লাকের ত্রিশটি কবিতা অনুবাদ করবার পর, আমার নিজের অনুবাদের মান নিয়ে মনে অসন্তুষ্টি জন্মে। যদিও জানতাম, আমার প্রকাশক তেমন কোন দ্বিধা করতেন না মেলায় বইটি আনতে, কারন, এবছরের নোবেল লরিয়েটের বই এবছরের বইমেলায় হটকেকের মতোন বিকতো। কিন্তু, মানসম্মত সাহিত্যচর্চার প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আমায় বাঁধা দেয়, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বইটি বাজারে আনবার। লুইস গ্লাকের কবিতা অনুবাদ করা তাই আমার এক একান্ত ব্যক্তিগত অভিযাত্রা হিসেবেই রয়ে গেলো। অনূদিত কবিতাগুলোর মধ্যে অনুবাদের ধারাবাহিকতায় প্রথম ও তৃতীয় কবিতাটি উপরে শেয়ার করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, ইউজিসি প্রফেসর, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ইংরেজি অনুবাদক, প্রফেসর ডঃ ফকরুল আলম স্যারকে আমার এই অনুবাদ প্রকল্পের কথা জানালে তিনি আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ডেইলি স্টার পত্রিকার জন্যে লুইস গ্লাকের অনুবাদ সংক্রান্ত আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে একটি লেখা লিখে তাকে ফরোয়ার্ড করতে। অনুবাদ বইটি আলোর মুখ দেখলো না বলেই পত্রিকার জন্যে লেখাটিও আর শেষ করি নি। লুইস গ্লাকের লিটেরারি বায়োগ্রাফিক্যাল তথ্যাবলির ব্যাপারে কারো আগ্রহ থাকলে, তার/তাদের জন্যে আমার সে অসমাপ্ত লেখাটি, মূল ইংরেজিতে, এখানে তুলে দিচ্ছি -

Louise Gluck would be the second noble prize winner who's work I am translating into Bengali on the very year of their prize winning, but let me be very honest, like most of the literary connoisseurs of Bangladesh, I heard about her just after she bagged the prize. I don't know whether I should feel guilty about that, because in all the literary circles I belong, be it academic or creative, I have never heard anyone talking about her work, even mentioning her name. I don't remember any literary pages of our country publishing her works - either in original or in translations, before. I translated(2015) one of the novels of Patrick Modiano the French Noble laureate of 2014, and against him were a few charges from the readers for him being repetitive, though his diasporic dealing of World War II from a Jew's perspective received undaunted adulation from Noble committee. No such criticisms exits on Gluck's name, rather, she has achieved almost all the existing prestigious literary prizes in her life time, before receiving noble this year. She has won - Pulitzer Prize, Bollingen Prize, National Book Critics’ Circle Award, Lannan Literary Award for Poetry, William Carlos Williams Award, Wallace Stevens Award, and received Guggenheim and Rockefeller Fellowships. She has been the former U.S. Poet Laureate (2003-2004), Chancellor of the Academy of American Poets, Fellow of the American Academy of Arts and Sciences, and two-term judge of the Yale Series of Younger Poets. So without any doubt Gluck was an easier choice for the noble committee, and this selection has not formed any criticism, like the inimitable selection of Bob Dylan formed once.

Instead of picking up one of her books to translate, I have rather gone through the huge archive of her poetry existing online and picked around 75 poems on various issues, to translate. In this write up my attempt would be to introduce Gluck's poetic psyche towards the Bengali readers....

)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুটা কবিতাই সুন্দর। চমৎকার।
এখন কথা হলো- আমি যদি এই কবিতা অনুবাদ করতাম তাহলে অন্যরকম হতো। এর কারন কি?

২৪ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। হানিফ সংকেতের মতো প্রশ্ন যে করলেন, উত্তর সঠিক হইলে কি কেয়া কসমেটিকসের তরফ থেকে পরিবেশবান্ধব গাছ উপহার দিবেন?

যাই হোক, আপনি হয়তো ভাবানুবাদের চেষ্টা করতেন। কারন একটা লেখাকে অন্যভাষায় অনুবাদ করার সময় হয় আক্ষরিক অনুবাদ করা যায়, বা মূলানুগ অনুবাদ করা যায়, অথবা ভাবানুবাদ করা যায়। আক্ষরিক অনুবাদ অনুবাদের সবচে বাজে টেকনিক। কবিতার অনুবাদ মূলানুগই হইতে হয়। গদ্যের ক্ষেত্রে ভাবানুবাদটা প্রাধান্য পায় বেশী।

আপনি যদি এই কবিতাটা ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করতেন, তাইলে আর তা লুইস গ্লাকের কবিতা থাকতো না। গ্লাক দ্বারা অনুপ্রাণিত রাজীব নূরের কবিতা হইত।

অটোঃ চাঁদগাজী নিক যে চালায়, তারে জানায়েন যে কমেন্ট মডারেশন থেকে তার নাম মুছে দিসি। চাইলে আবার মন্তব্য শুরু করতে পারে।

শুভসকাল। সুন্দর ব্লগিং মুখর দিন কাটুক আপনার। ধর্ম নিয়া ঘৃণা কম ছড়ায়েন আজকের দিনটায়।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১১

ওমেরা বলেছেন: প্রথমটা গল্প হিসাবে ছোট বেলায় আব্বুর কাছে অনেকবার শুনেছি।
ভালো লাগলো আপনার অনুবাদ।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ, ব্লগার ওমেরা। প্রথম গল্পটা অ্যারেবিয়ান নাইটসের বাদশাহ হারুন অর রশিদের। ওটাকে দারুণভাবে মডিফাই করেছেন নতুন একটা আঙ্গিকে, লুইস গ্লাক।

দ্বিতীয় কবিতাটির মেটাফরিক দ্যোতনা ধরতে পেরেছেন হয়তোবা। পাতালের রাজা হেডিস পৃথিবীর এক রমণীর প্রেমে পড়েন, তাকে পাওয়ার আশা করেন, কিন্তু যখন সে নারীকে তিনি পান, সে নারীকে তিনি যে কারণে, বা তার যা দেখে তিনি প্রেমে পড়েছিলেন, উক্ত রমণী আর সে অবস্থায় থাকে না। তার মৃত্যুর পর সে হেডিসের কাছে আসে, লাশ হয়ে, গ্রীক মিথ অনুযায়ী যেমনটা হওয়ার কথা। হেডিস তো মৃতদের নিয়েই তার পাতালের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

তেমনি, প্রতিটা সম্পর্কেও সাধারণত দেখা যায়, আমরা একজন মানুষকে যা দেখে পছন্দ করি, একবার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেলে চেষ্টা করি তার সেই গুণগুলোই বদলে ফেলতে, তাকে ভেঙ্গেচুরে আমাদের পছন্দ মতো করে পুনঃনির্মাণ করতে। যেমন কোন এক মেয়ের প্রাণবন্ততা, বন্ধুবাৎসল্যবোধ, মিশুকভাব, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলার প্রবণতা দেখে তার প্রেমে পড়লো এক ছেলে। সে আপ্রান চেষ্টা করে ঐ মেয়ের মন জয় করলো। তারপর সে চেষ্টা শুরু করে ঐ মেয়েটিকে চুপচাপ, ঠাণ্ডাস্বভাবের একটা মেয়েতে পরিণত করবার, যাতে করে তার প্রেমে আর নতুন করে কেউ না পড়ে। এভাবে সে হয়তো তাকে বসে আনে, কিন্তু আল্টিমেটলি সে যার প্রেমে পড়েছিল, মেয়েটির সে সত্ত্বার মৃত্যু ঘটে।

শুভকামনাসহ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্লগার ওমেরার মত আমিও প্রথম কবিতাটা গল্পকারে শুনছিলাম আমার শ্রদ্ধেয় দাদাজানের নিকট থেকে।

এটা যে, বিখ্যাত কবি লুইস গ্লাকের কবিতা ছিল, জানা ছিলনা।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্লগার তারেক ফাহিম, উপরের মন্তব্যের জবাবেও বিষয়টা ক্লিয়ার করেছি যে, গ্লাকের কবিতার প্রাথমিক অংশ, যেটা আমার সবাই ছোটবেলায় শুনেছি, সেটা অ্যারাবিয়ান নাইটসে বাদশাহ হারুন অর রশিদের গল্প। ঐ গল্পে দুজন মা আসে একটি সন্তানের দাবীতে। গ্লাক তার কবিতায় গল্পটা ঘুরিয়ে দেন। তিনি বর্ণনা করেন দুজন মেয়ে যখন তাদের মায়ের প্রতি দাবী নিয়ে আসে - তখন অবস্থাটা কি হয়। মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৪৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনুবাদ দারুন হয়েছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৮

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.