নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধু সাবধান ! ব্লগের মালিক বঙ্গালা সাহিত্যকে ধরিয়া বিশাল মাপের ঝাঁকি দিতে নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করিতেছেন। সেই মর্মে তিনি এখন কিটো ডায়েটিং, ডন-বৈঠক ও ভারোত্তলন প্রশিক্ষণে ব্যস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ১। শেষ বসন্তের গল্প । (২০১৪)২। মিসিং পারসন - প্যাত্রিক মোদিয়ানো, ২০১৪ সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী (অনুবাদ, ২০১৫) ৩। আয়াজ আলীর ডানা (গল্পগ্রন্থ - ২০১৬ ৪। কোমা ও অন্যান্য গল্প(গল্প গ্রন্থ, ২০১৮) ৫। হেমন্তের মর্সিয়া (কবিতা, ২০১৮) ৬। কাঁচের দেয়াল (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯) ৭।শহরনামা (উপন্যাস, মাওলা ব্রাদার্স, ২০২২), ৮। মুরাকামির শেহেরজাদ ও অন্যান্য গল্প (অনুবাদ, ২০২৩), ৯। নির্বাচিত দেবদূত(গল্পগ্রন্থ, ২০২৪), ১০। দেওয়ানেগির চল্লিশ কানুন/ফরটি রুলস অফ লাভ (অনুবাদ, ঐতিহ্য, ২০২৪)
গতকাল রাতে, ঘুমানোর আধাঘণ্টা আগে, বারান্দায় দাঁড়িয়ে, চোখের সামনে খোলা প্রান্তর আর অন্ধকার আকাশকে রেখে, ভাবছিলাম - বুড়ো মানুষরা কি ভাবে? বুড়ো মানুষরা কি নিয়ে কথা বলে?
মায়ের শরীর খারাপ ছিল। জ্বর, কাশি। ১০০র আসেপাশে শরীরের তাপমাত্রা। মুখে রুচি নেই। কিছু খেতে চাইছেন না।
করোনা কী?
জানিনা।
বাসায় আমি, বাবা, আমার স্ত্রী - তিনজনের করোনা হয়ে গেছে গত ডিসেম্বর মাসে। মায়ের হয় নি। বোনের হয় নি। আলহামদুলিল্লাহ,
করোনার কারনে কোন ক্ষতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় নি আমার পরিবারের। আবারো আলহামদুলিল্লাহ।
বাসায় বুয়া নেই আজ কিছু দিন। সবাইকে বাসার কাজে হাত লাগাতে হয়েছে। মা ও কিছু কাপড়চোপড় ধুয়েছেন। তারপর থেকেই ঠাণ্ডা। জ্বরজ্বর ভাব। জ্বর।
আশা করি, মা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।
আমার প্রায়ই ২০১৪ সালের কথা মনে পড়ে। মে মাস। বা জুন। ঠিক মনে নেই। রমজান শেষ হচ্ছিল তখন প্রায়। বাকি ছিল, ধরুন, ১০টা রোজা। এরমধ্যে আম্মুর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। বুকের ভেতরে ক্রমাগত কম্পনের অনুভূতি। ডক্টর বললেন লাংসের বায়পসি করতে। আমার মনে পড়ে, বায়পসির প্রেসক্রিপশন নিয়ে আম্মু যখন বাসায় ফিরছিলেন, তিনি অঝোরে কাঁদছিলেন। আমাদের পরিবারে জড়িয়ে ধরার চল নেই। বাবা - মা, স্নেহের সাথে জড়িয়ে ধরে আদর করেন নি আমাদের। অনেক পরিবারে এই চল থাকে। অনেক পরিবারে থাকে না। আমাদের নেই। ছিল না। তার অর্থ এটা নয় যে আমাদের পরিবারের বন্ধন দুর্বল। আমাদের পরিবারের বন্ধন, অনেক রকম পারস্পারিক বিরোধিতা ও মতের অমিল সহই, আলহামদুলিল্লাহ আবারো, অনেক শক্ত।
আমার মা'কে ঐ একদিনই, জীবনে, যদ্দুর মনে পড়ে, আমি কাঁধের পাশে হাত রেখে, জড়িয়ে ধরে আস্তে আস্তে নিয়ে আসছিলাম, দরজা থেকে, ঘরের ভেতর। তিনি কাঁদছিলেন যেদিন। যেদিন ডক্টর বলেছিল, লাংসের বায়পসি করা লাগবে। খারাপ সংবাদ কিছু যদি আসে, তা গ্রহণ করবার জন্যে যেন আমরা মানসিকভাবে শক্ত থাকি। মাকে রুমে নিয়ে এসে বসানোর পর, মা চোখ মুছে বলেছিলেন - ধ্যার। মরলে মরবো। আল্লায় কপালে যা রাখসেন, তার ব্যতিক্রম তো কিছু হবে না। সেই দিন আমি বুঝেছিলাম, আমার মা কোন ধাতুতে গড়া মানুষ।
ধানমণ্ডি ১ এ আনোয়ারা মেডিকেলে আম্মুর বায়পসি যেদিন করতে নিয়ে যাই, এক প্যারালাল পৃথিবীর বাস্তবতা আমার চোখে ধরা পড়ে। এমন কিছু যে পৃথিবীতে এক্সিস্ট করে, ঐ দিনের আগে আমি আসলেই তা বুঝি নি।
আমি একদম কমবয়সী শিশুকে দেখেছিলাম, ক্রন্দনরত মায়ের কোলে চেপে যে বায়পসি করতে এসেছিল। আমি পরীর মতো সুন্দর ফুটফুটে ৮- ৯ বছরের মেয়েকে দেখেছিলাম, পৃথিবীর সমস্ত আধার চেহারায় নিয়ে বসে থাকা তার পিতামাতার পাশে। সেও বায়পসি করতে এসেছিল। আমি বয়োবৃদ্ধ সফেদ দাড়িওয়ালা মানুষকে দেখেছিলাম, বায়পসি করতে এসেছিলেন তিনিও। আমিও গিয়েছিলাম, আমার মায়ের সঙ্গে। আমার বাবাও সাথে ছিলেন।
আমার মনে পড়ে, আমার মায়ের পীঠ বরাবর সুঁই ঢোকানো হয়, লাংসের সেল বের করে আনার জন্যে।
আমার মনে পড়ে, আমার মা যখন মেডিকেল থেকে বের হয়ে তার সিঁড়িতে দাঁড়ান, লাংসে খোঁচা লাগার ফলে তার কাশির দমকের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছিল।
যেদিন বায়পসির রিপোর্ট দেয়া হবে, সেদিন আমাকে জীবনের সবচে কঠিন পরীক্ষার সামনে ফেলে দেন আমার বাবা। তিনি বলেন, মায়ের বায়পসির রিপোর্ট নিয়ে তিনি বাসায় ফিরবেন না। তিনি অফিসে যাবেন। আমাকেই আম্মুর হাতে রিপোর্ট তুলে দিতে হবে।
আমার মা। এতটুকুই তো যথেষ্ট, আমার জীবনে তিনি কে - তার ব্যাখ্যা দেবার জন্যে। সেই মা'কে, তার জীবনের, হতেপারে, সবচে কঠিনতম সংবাদটি দেয়ার দায়িত্ব আমার কাঁধে পড়লো।
এরপরের দৃশ্যটা আমার আজও মনে পড়লে আমার চোখে পানি এসে পড়ে। আমি আর বাবা, দু'জনে মেডিকেল থেকে রিপোর্ট হাতে বেরিয়ে ধানমণ্ডি ১ এর রাস্তায় বসে কাঁদছি। আমার এক ডাক্তার বন্ধু বলে দিয়েছিল, বায়পসির রিপোর্ট, পাতার একদম শেষে লেখা থাকে।
লেখা ছিল - নো কার্সেনোজেনিক সেলস ফাউন্ড।
আমি আর আব্বু বসে কাঁদছিলাম, কুল কিনারহীন এক বিপদ থেকে বেঁচে গিয়ে। আমি আর আব্বু কাঁদছিলাম, কৃতজ্ঞতাপূর্ণ অন্তরে।
আমার সেই ডাক্তার বন্ধু, যে এখন তার ডাক্তার স্ত্রীকে নিয়ে ইংল্যান্ডের একটা হসপিটালে প্র্যাকটিস করে, আমার মনে পড়ে, সেদিন বিকেলে গিয়ে যখন ওর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্টটা আরেকবার দেখাই, ওর ঠোঁটের কোনে ম্লান হাসির রেখা।
আনন্দ, ছিল হয়তো। ছিল একটা কষ্টও। ওর বাবা লাংস ক্যান্সারে ভুগে মারা গিয়েছিলেন, তার ২ বছর আগে। শেয়ার বাজারে ধ্বস নামলে, ওর বাবা প্রায় সব হারিয়েছিলেন। তাদের দেড় - দুই কাঠার ওপর দাঁড়ানো, খিলগাঁও, সিপাহীবাগের ৩তলা বাড়িটা ছাড়া। সলিমুল্লাহ মেডিকেলের ডক্টর হয়েও, ওর বাবাকে বাঁচাতে পারে নি ও। আল্লাহ বাচিয়ে দিলেন আমার মা'কে।
সেই যুদ্ধজয়ী মা' আমার, তার আবারো শরীর খারাপ আজ-কাল। আল্লাহ চাইলে সেরে যাবেন।
কিন্তু আমার মাথায় প্রায়ই ঘোরে আজকাল এ প্রশ্ন, বুড়ো মানুষদের মাথায় কি চলে। তারা কি ভাবে। তারা কি নিয়ে কথা বলে।
আমার বাবা - মা, আমার দাদা-দাদি, নানা-নানিকে নিয়ে খুব বেশী কথা বলেন না। আমার পরিচিত বয়োবৃদ্ধ স্যার, আমার আত্মীয়স্বজন যারা, তাদেরও দেখি না তাদের বাবা - মাকে নিয়ে কথা বলতে, যারা গত হয়েছেন।
এই প্রশ্ন আমাকে প্রায়ই তাড়িয়ে বেড়ায়, হয়তো, হয়তো একদিন আমার বাবা - মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন। যদি না আমার আয়ুরেখা তাদের চে' সংক্ষিপ্ত হয়।
কেমন হবে সেই দিন, কেমন হবে সেই রাত, যেই রাতে তিনি, তারা - আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন?
মানুষ এসমস্ত প্রশ্ন দ্বারা তাড়িত হয়। কিন্তু এসমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আমিও করি না।
আমি জানতে চাই, বয়োবৃদ্ধ যারা, তারা তাদের পিতামাতা হারানোর শোককে কাটিয়ে ওঠেন কীভাবে? তাদের পৃথিবী গড়ে ওঠে কাকে, কাদের কেন্দ্র করে? কীভাবে পৃথিবীর সবচে গুরুত্বপূর্ণ দুজন মানুষের অনুপস্থিতি একসময় তাদের সয়ে যায়? কীভাবে তারা প্রাসঙ্গিকতা হারায়?
কীভাবে কোন মানুষ প্রাসঙ্গিকতা হারায়, এ পৃথিবীতে?
বুড়ো মানুষরা কি ভাবেন? কি চলে, তাদের মস্তিষ্কে? কি বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন তারা?
কীভাবে তারা বেঁচে থাকেন, পছন্দের সকল মানুষকে হারিয়ে, একে একে?
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্যার, আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে। বাবা - মা শুন্য পৃথিবী কেমন হবে, এই প্রশ্ন আমাকে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন যাবত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। খানিকটা বেশী চিন্তা করি বলেই হয়তো। এ জন্যে প্রায়ই অবাক হয়ে ভাবি, বৃদ্ধ যারা, তারা কীভাবে আপনজন হারানোর শোকের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেন নিজেকে। জানতে পারলে নিজেকে আস্তে আস্তে প্রস্তুত করতে পারতাম পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্যের জন্যে।
বায়স্কোপ দেখার মতই, আমার মা'কে প্রায়ই দেখি শুন্য চোখে তাকিয়ে থাকেন জানালা দিয়ে বাইরে। একটু পর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, কীভাবে কেটে গেলে এতো লম্বা একটা সময়!
দোয়া করবেন, যাতে বাবা - মায়ের হক আদায় করতে পারি।
আপনার জন্যে শ্রদ্ধা, সালাম।
নিজের যত্ন নেয়ার অনুরোধ।
২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বুড়ো মানুষরা কি ভাবেন? কি চলে, তাদের মস্তিষ্কে? কি বিষয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন তারা?
কীভাবে তারা বেঁচে থাকেন, পছন্দের সকল মানুষকে হারিয়ে, একে একে?
আমার ভালোলাগে পরিবারের বয়োবৃদ্ধদের অতীত শুনতে, তাদের আনন্দ বেদনা ভালোলাগা ভালোবাসা।
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমারও ভালো লাগে , আপা। আমার এক দাদীশাশুড়ি এখনও জীবিত। নব্বইয়ের কাছাকাছি বয়স। বয়সের অনুপাতে শক্ত আছেন। সুযোগ পেলেই বসে ওনার কাছে ব্রিটিশ, পাকিস্তান আমলের জীবনধারার কথা শুনি। চাকরীজীবী ছিলেন না, ছিলেন ছাপোস গৃহিণী, কিন্তু ওনার সন্তান সন্ততিরা পৃথিবীর পাঁচটি মহাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে জীবন - জীবিকার প্রয়োজনে। কোন উৎসব উপলক্ষে সবাই একত্র হলে ক্যামেরায় একফ্রেমে সবার জায়গা হয় না প্রায়। কতোভাবেই জীবনের সার্থকতা নিরূপণ করা যায়, তাই না? মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার মার সুস্থতা কামনা করছি। বুড়ো বয়সে মানুষ কাছে খুব কম মানুষকেই কাছে পায় গল্প করার জন্য! সমবয়সীরা অনেকে হয়ত গত এবং যারা বেচে থাকেন তাদের সাথে যোগাযোগ তেমন থাকে না! তারাও ভাবেন হয়ত সব চলে যাওয়াদের নিয়ে!
দেশের বাইরে দেখেছি বয়স্করা সমাধিক্ষেত্রে যায়, তারা নাকি সেখানে গিয়ে নিজের পরিবার্, পরিচিত অপরিচিত মানুষের সমাধি দেখে এবং মনে মনে নিজের চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে! অনেক বয়স্কদের দেখেছি সেখানে গিয়ে বসে থাকে। আমাদের দেশে কবরস্থান যেমন মানুষের আতংকের নাম, মানুষ রাতে এড়িয়ে যায়, দরকার না হলে দিনেও যেতে চায় না, বাহিরে এমন না, সমাধিক্ষেত্রে মানুষ ঘুরতে যায়, সেখানে বসে পিকনিক করে! ইউরুপে থাকতে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম এক সমাধিক্ষেত্রে এবং সবাই একসাথে খেয়েছিলাম!
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে, ব্লগার কাছের মানুষ। বার্ধক্যে এসে মানুষ সঙ্গী কম পায় গল্প করার মত্, এ এক কষ্টদায়ক সত্য। করোনার এক বছর ধরে বাসা থেকেই কাজ করছি। নইলে যখন বাসা থেকে যাওয়া আসা করে অফিস করতাম, ফিরে এসে কতোটুকু সময়ই বা দিতে পারতাম, বাবা - মাকে।
আমাদের কবরস্থানগুলোর পরিচর্যা করা হয় না, সামাজিকভাবে যেভাবে পাশ্চাত্যে করা হয়। সমাধিক্ষেত্র নিয়ে আমাদের জুজুর একটা কারন এটাও, ইচ্ছাকৃতভাবে তার পরিবেশ ভুতুড়ে করে রাখা। যদিও শৈশবে আমাদের পাড়ার মসজিদে কোন জানাজা নিয়ে আসা হলে, আমি প্রায় সময় পর্যন্তই জানাজার দাফনের কাজে কবরস্থান পর্যন্ত যেতাম।
বাংলাদেশে কবরকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের একটা দারুণ গল্প আছে। সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন - কান্না
শুভেচ্ছাসহ।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: মা সুস্থ হয়ে যাবেন। ইনশাল্লাহ।
মাকে সময় দিবেন। এতেই মা সুস্থ হয়ে যাবেন অর্ধেক। ঘরের কাজ সবাই মিলে করাই ভালো। আমি সুরভিকে ঘরের কাজে সহযোগিতা করি।
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, রাজীব ভাই।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:১৪
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক কষ্ট। যে কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয় প্রতিটি মূহুর্ত। তারপর বেচেঁ থাকতে হয়, আনন্দে হাসতে হয়, ঘুরে বেড়াতে হয় ...... আর তা একমাত্র সম্ভব হয় নিজ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে। যে কষ্টটা বয়ে বেড়াতে হয় সে কষ্টটা সন্তানদের সাথে ভাগ করা যায় না কিছুতেই।
বয়স্ক মানুষরা একদম ছোট মানুষের মতো। অনেক বেশী এ্যাটেনশান সিকার। তাদেরকে অনেক কিছু দিয়ে খুশি করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু সামান্য একটু খোঁজ নেয়া, পাশে বসা, ওষুধটা খেয়েছে কিনা তার খোঁজ নেয়া, পুরোনো স্মৃতির কথা শোনা..........। দেখবেন অনেক বেশী আনন্দে থাকবেন তারা।
দেশের বাইরে থাকি বলে প্রায় প্রতিদিন কথা বলি বাবার সাথে, এর কথা ওর কথা জানতে চাই, পুরোনো কোন স্মৃতি মনে করে দু'জন খুব হাসি আর যখন দেশে যাই সারাক্ষনই পাশে বসে থাকি। হয়তো অনেকের চেয়ে ভালো আছেন.............
আপনার মাকে সালাম, আর ভালো থাকুক উনি সবসময়ই।
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া আপা, আপনার দোয়া, আর বিস্তারিত মন্তব্যে।
বাবা মা বৃদ্ধ বলে আমি এখনও উচ্চশিক্ষার জন্যে বাইরে যেতে মনস্থির করতে পারছি না। বাইরে যাওয়ার কথা বললেই বাবা মুখ ভার করে বসে থাকেন। আমিও চাই না তাদের বৃদ্ধকালে সেবা করার সুযোগটা হারাতে। সৌভাগ্যবান বলেই বাবামায়ের এই বয়স পর্যন্ত তাদের পেয়েছি।
আপনার আর আপনার বাবার স্মৃতি জেনে ভালো লাগলো। মন থেকে দোয়া, আঙ্কেলের সুস্বাস্থ্য আর সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায়।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মায়ের আনুমানিক বয়স কত?
আমি নিজেই বয়স্ক, আমি কি ভাবি সেটা আপনার পোষ্টে আামার কমেন্ট থেকে কিছুটা অনুমান করতে পারবেন। আামার ধারণা, আপনার কাছে যারা পড়ছেন, তারা মাদ্রাসায় পড়ছেন।
১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: চাঁদগাজী নিকটা যে, বা যারা চালান তার উদ্দেশ্যে -
ভাই, মানুষ নিক থেকে ব্লগিং করে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে। নিক থেকে ব্লগিং করে নিজের বয়স, পরিচয়, অবস্থান, পেশা - এগুলো নিয়ে কথা বলতে থাকা একধরনের প্রতারণা।
আপনি, বা আপনারা, যে বা যারা মিলে এই চাঁদগাজী নিকটা চালান, আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই, কেন আপনারা বারবার চাঁদগাজী একজন বুড়ো মানুষ, চাঁদগাজী অ্যামেরিকায় থাকে, চাঁদগাজী ইঞ্জিনিয়ার ছিল, চাঁদগাজী মুক্তিযোদ্ধা - এই সমস্ত কল্পকথা তৈরি করছেন, এবং ধোঁকা দিচ্ছেন ব্লগের বাকি সবাইকে? এটা একটা অপরাধ। আপনার, আপনাদের বোঝা উচিৎ।
আপনাদের বোঝা উচিৎ, যখন, আপনি একটা ফেইক আইডেন্টিটিকে প্রতিষ্ঠিত করে দাবী করবেন সে বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা, তখন তার অনেক অসৌজন্যতামূলক আচরণের বিরোধিতা চাইলেও করা যায় না। তখন সেটা বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করা হিসেবে দেখা হবে।
এই মন্তব্য যারা পড়বেন, এই ব্লগের ব্লগাররা, তাদের অনুরোধ, চাঁদগাজী নিকের নামে যে সমস্ত মিথ, কল্পকথা তৈরি করা হয়েছে, নিকটিকে সেগুলোর নিরিখে ডিল করবেন না। আমার দুঃখ লাগে এটা দেখলে যে, ব্লগের অনেক বয়স্ক ব্লগাররাও বিশ্বাস করেছেন, ধোঁকা খেয়েছেন, এবং মেনে নিয়েছেন সরল মনে যে - এই নিকটা একটা বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধার। এটা একটা ধোঁকাবাজি, জালিয়াতি।
একজন বয়স্ক লোক দিনে ১৮ - ২০ ঘণ্টা অ্যাকটিভ ব্লগিং করে, এটা একটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? তার পরিবারের লোকজন কি তাকে দেখে না? এই ধরনের উত্তেজক মন্তব্য করে প্রায়ই গালি খায়, সেটা তাদের চোখে পড়ে না? আমি আমার বাবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝগড়াঝাটির উপক্রম হলে প্রায়ই ইন্টারভিন করি, এবং বাবাকে থামাই। চাঁদগাজী নিকের পরিচালক যদি আসলেই বৃদ্ধ হয়ে থাকে, তার পরিবারের কেউ খেয়াল করে না যে সে দিনে এতো লম্বা সময় পিসি / ল্যাপটপের সামনে বসে কি করে?
আমার ব্যক্তিগত ধারনা এক বা একাধিক চ্যাংড়া ছেলেপেলে মিলে এই নিকটা চালায়। তারা ঢাকা নিবাসী।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রামে এখনো অনেকে টিকা শতকরা দুই চারজনে নিয়েছে। বুড়ারা টিকা নিতেও রাজি না এমন অনেক প্রমাণ আছে
১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আচ্ছা, নেওয়াজ ভাই।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৬
বৃতি বলেছেন: নিজের গভীর থেকে উৎসারিত কথাগুলো নদীর বয়ে চলার মত স্বচ্ছন্দ। পড়তে ভালো লাগলো খুব। আমার এখানে প্রতিবেশি দুজন বয়স্ক বন্ধু আছেন। তাদের চিন্তাভাবনা তরুণদের মতই। আমাদের দেশের বয়স্কদের থেকে যথেষ্ট অন্যরকম। আপনার বাবা মা ভালো থাকুন- অনেক শুভেচ্ছা থাকলো, আবির আর চাঁদগাজী ভাই বা এই নিকের অধিকারী ইচ্ছে করেই উলটাপালটা কথা বলেন, অন্যদের সহনশীলতা পরীক্ষা করার জন্য। এক বা একাধিক চ্যাংড়া ছেলেপেলের কোথায় অনেকক্ষণ হাসলাম ভাল থাকবেন।
১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় বৃতি আপা, আপনার মন্তব্য! : )
আবেগতাড়িত হয়ে যাওয়ায়, বিনা সম্পাদনার এ লেখায় প্রশ্নগুলো শক্তভাবে স্থাপন করতে পারি নি। বয়স্ক মানুষজন কীভাবে নিজের আপনজন হারানোর বেদনাকে সয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে একা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেন - এটাই ছিল আমার প্রশ্ন। আমার বর্তমান মানসিক প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নের কোন উত্তর আমি ভেবে পাই না। আর এ প্রশ্নটাও রেটোরিক প্রশ্ন, যার উত্তর নিজে নিজেই খুঁজে বের করা লাগে, অন্য কারো বলে দেয়া উত্তরে স্রেফ ধারনা পাওয়া যায়, কিন্তু বেদনার উপশম হয় না বোধয়।
এটাও ঠিক যে, পাশ্চাত্যের বয়োবৃদ্ধ মানুষের জীবনদর্শন আমাদের বাবা মায়ের চে' ভিন্ন। আপনি আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, আমি আমার পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে।
চাঁদগাজী নিকের এজেন্ডা আরও গভীর, আপা। স্রেফ মানুষের সহনশীলতা পরীক্ষা না। রাসুল (সঃ) পরবর্তী আরব সমাজের রাজনীতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআর ডিপার্টমেন্টের লিভিং লেজেন্ড ইমতিয়াজ স্যারের একটা বক্তৃতা একবার ট্রান্সক্রাইব করে শেয়ার করেছিলাম, তাতে এই ভদ্রলোক আমাকে জামায়াতের কর্মী ট্যাগ দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, আমি নাকি পকেটে রগকাটার মেশিন নিয়ে ঘুরি, দিন কয়েক আগে এক লেখায় মন্তব্য করলেন, আমার এই লেখা দেখলে আমার চাকরীদাতা প্রতিষ্ঠান নাকি আমাকে চাকরীই দিতো না, এই লেখার পীঠে আমাকে মাদ্রাসা শিক্ষক বলে দাবী করলেন। অথচ, কোন ব্যাখ্যা নেই, কেন, বা কিসের ভিত্তিতে এই মন্তব্য সে করলো। চাঁদগাজী নিকের পেছনে যারা আছে তাদের ইসলামোফোবিয়া মারাত্মক। তা তারা ব্যক্তিগত জীবনে চর্চা করুক। কিন্তু এ সমস্ত মন্তব্য, যা মিথ্যা, অপ্রাসঙ্গিক, ব্যক্তি আক্রমণ, এবং যা আমার ব্যক্তিগত জীবনে, পেশাগত জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে - বাকস্বাধীনতা, পরমত সহিষ্ণুতা চর্চার নামে এধরনের বুলিং তো প্রশ্রয় দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।
ভালো থাকুন আপনি। মাঝে মাঝে লেখা শেয়ার করার অনুরোধ। ব্লগে আমার শুরুর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়, আপনার নাম অ্যাক্টিভ ব্লগারদের তালিকায় জ্বলজ্বল করতে দেখলে।
শুভকামনাসহ!
৯| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আহলান সাহলান রাজীব ভাই। এসে ভালো করসেন। আরও একটা মন্তব্য করি। কেন আপনারে আমি অন্যান্য আরও নিকের পেছনে থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করি, তার ব্যাখ্যাটা দিই। নইলে চাঁদগাজী নিকের মতই অযৌক্তিক চিল্লাচিল্লি করছি বলে মনে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকলে দেখা যায় আপনি ইমদাদুল হক মিলন, স্বকৃত নোমানের মতো বিবিধ সেলিব্রেটি সাহিত্য - সংস্কৃতির ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একসময় পত্রিকায় একসাথে কাজ করতেন। আড্ডা দিতেন। এই সব।
আপনি ব্লগে যেমন সকাল বিকাল স্ববিরোধী কথাবার্তা বলে নিজেরে একজন জাতে মাতাল তালে ঠিক বোকা হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করেন, আপনি যদি আসলেই তা হইতেন - তাহলে এই সমস্ত লোকের ধারকাছ দিয়ে ঘেঁষতে পারতেন?
চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন আপনি ফুলটাইম প্রফেশনাল ব্লগার। একসঙ্গে কয়েকটা নিক চালান - এটা আমার ধারনা। আপনারে কে পে করে, সেটা নিয়েও আমার আন্দাজ আছে। কিন্তু এ বিষয়ে আরও কথা বলতে গেলে বাক স্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা আমার বাক স্বাধীনতা ধরে টান দিতে পারে বিধায় এখানেই ফুলস্টপ দিলাম।
আপনার কি কিছু বলার আছে, প্রকাশ্যে, এ প্রসঙ্গে?
১০| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
রিফাত হোসেন বলেছেন: সাজিদ উল হক আবির সাহেব আপনার ধারণা সর্বদা নাও সঠিক হতে পারে।
পুরো পরিবার নিয়ে সুখে ও সুস্থ্য থাকুন সেই কামনা করি।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৩২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: মন্তব্যে ধন্যবাদ, ব্লগার রিফাত হোসেন! ধারণা সর্বদা সঠিক নাও হতে পারে, কখনো কখনো পারেও। আনসলভড ইকুয়েশন সল্ভ করার জন্যে "ধরি এক্স = ..." এভাবেই আলোচনা শুরু করতে হয়ে। ধারণার সৌন্দর্য এই যে, তা আমাদের সমস্যা সমাধানের দিকে নিয়ে যায়। আপনার জন্যেও শুভকামনা! : )
১১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১। কর্মক্ষেত্রে অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছে। কাজ করতে হয়েছে।
২। চাঁদগাজী একজন শ্রেষ্ঠ ব্লগার।
৩। স্ববিরোধী কথা বলি না। এসব আপনাদের ভুল ধারনা। আমি কে আমি 'আম' ই বলি। জাম কে জাম।
৪। চাকরি ছাড়ি নি। আমাকেই মানা করে দিয়েছে। আসলেই অফিস পলিট্রিক্স এর শিকার হয়েছি।
৫। আমাকে কেউ পে করে না। করলে ভালৈ হতো।
৬। আমার নিক একটাই। এবং আমি সামু ছাড়া অন্য কোথাও লেখালেখি করি না।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: রাজীব ভাই, চাকরি স্যাকের কথা যেটা বললেন, তাতে সহানুভূতি, সহমর্মিতা প্রদর্শন না করাটা অমানবিক হবে, কাজেই আমি দুঃখিত, আপনার অফিস পলিটিক্সের শিকার হয়েছেন জেনে। আশা করি, এই সমস্যা আপনি শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবেন। যদিও , আপনার এক থেকে ছয় নং পয়েন্টে আলোচিত তথ্যাবলীর অধিকাংশগুলোই আমি ডাহা মিথ্যা বলে মনে করি। যেমন কিনা আপনি চাঁদগাজী নিকের আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে গিয়ে মিথ্যে তথ্য সরবরাহ করেছেন, আমি নাকি চাই সে তার ব্লগিং বন্ধ করে চলে যাক। সেটা অবশ্যই আমার ইচ্ছে নয়। আমার আকাঙ্ক্ষা হল - চাঁদগাজী নামক একটা ব্যক্তি আক্রমণাত্মক নিক তার ব্যক্তি আক্রমণকে জাস্টীফাই করবার জন্যে এমন যে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্যসম্বলিত রুপকথার প্রচার প্রসার করছে, সে সমস্ত রূপকথা ব্যতিরেকে তাকে ব্লগে ডিল করা হোক। আমরা বিশ্বাস করতে রাজি নই যে সে বয়স্ক, সে একজন মুক্তিযোদ্ধা, সে একজন ইঞ্জিনিয়ার, এবং সে অ্যামেরিকার সিটিজেন সিম্পল। এই বিশ্বাস করতে না চাওয়ায় সমস্যা কোথায়? বরং আপনার আর চাঁদগাজীর একে অপরকে শ্রেষ্ঠ ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে উঠে পড়ে লাগাটাই সন্দেহজনক। যদি মনে করেন ব্লগে সবাই আপনাদের তৈরি গাঁজা খাবে, তাহলে তো হবে না, তাই না?
দ্যাট বিয়িং সেইড, আমি আপনার অবস্থানটা আরেকবার রিক্যাপ করি -
আপনি দাবী করছেন যে, (আপনার ব্লগে নিয়মিত শেয়ার করা আপনার সংসারের তথ্যানুসারে) আপনি দুই সন্তানের জনক, আপনি কোন স্থির চাকরীতে নেই, কিন্তু আপনি সারাদিন বসে ব্লগিং করেন, দিনের সমস্ত পোস্টে কমেন্ট করেন, যদিও কেউ আপনাকে এইকাজটার জন্যে কোন পারিশ্রমিক দেয় না, এবং আপনি এতটাই নিবেদিতপ্রাণ ব্লগার যে আপনি দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে প্রতিদিন ব্লগে পোস্ট হওয়া প্রতিটি লেখা পড়েন, এবং কমেন্ট করেন।
তাই কী?
আপনি হ্যাঁ বলুন আমার মন্তব্যের জবাবে, আমি বিশ্বাস করার চেষ্টা করবো।
ব্লগে আপনার মিথ্যে / দ্বিচারী কথা বলবার প্রবণতা নিয়ে সবাই সচেতন, তবুও, আমি সাধ্যমত চেষ্টা করবো, আপনার কথা বিশ্বাস করতে।
১২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৪
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার কিছু কিছু ভাবনা শুদ্ধতম। সেগুলো যেকোন মানুষেরই আপন করে নিতে ইচ্ছে করবে৷আমার বাবার প্রোস্টেট পিএসএ ২৫ এসেছিল। এরপর ভালো ডায়াগনস্টিক থেকে করিয়ে ১২ আসলো। এক ইউরোলজিস্ট স্যার বলেন টার্প করাতে, আরেকজন আরও কিছু পরীক্ষা দিলেন ও বায়োপসি করালেন। দুইটা আলাদা আলাদা ল্যাব থেকে আমি যেদিন রিপোর্ট আনতে গেছিলাম, আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ দুইটাতেই খারাপ কিছু পাওয়া যায় নাই। এই উত্তেজনায় আমি হেঁটে হেঁটে চট্রগ্রাম শহরের এক মাথায় থাকা হাসপাতাল থেকে আরেক মাথায় আমার বাসায় গেছিলাম ( যদিও ৯ বছর চট্রগ্রামের বাইরে থাকায় রাস্তাঘাট বেশ ভুলে গেছি) ।
আমার নানা লাং ক্যান্সারে মারা যান। ধানমন্ডিতে যখন বায়োপসি করানোর দিনের কথা এখনও মনে পড়ে।
সবার সন্তানের প্রিয় বুড়ো বুড়িরা সুস্থ থাকুক, সুন্দর থাকুক। আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া থাকলো।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার মন্তব্যে, দোয়ায় ধন্যবাদ, সাজিদ। শুভসকাল। এ সমস্ত অভিজ্ঞতা, যার ভেতর দিয়ে আপনি আর আমি , বা আমাদের মতো আরও অনেকে গিয়েছে, এগুলো জীবনের দৃষ্টিভঙ্গী বদলে দেয়ার মতো অভিজ্ঞতা। এ বদল ইতিবাচক হোক, এবং আমাদের সবাইকে আরও বিনীত করুক, এই কামনা করি। আপনার ও আপনার পরিবারের মুরুব্বীদের জন্যেও দোয়া। ভালো থাকুন।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ১। আমার চাকরি আর হবে না। কারন আমার ক্ষমতাবান মামা চাচা নেই। তাছাড়া তেলামি করে চাকরি নিতে চাই না। তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে শান্তি নাই। মানুষ অতি নোংরা।
২। একটা পয়েন্টও মিথ্যা বলি নাই। আমি সব সময় সত্য কথা বলি। আমি এসব সত্য গ্রহন করতে পারে না। এটা তাদের হীন্মন্নতা।
৩। চাঁদগাজী একজন ভালো ব্লগার। এর উপরে আর কোনো কথা থাকতে পারে না। সামুর সবচেয়ে মহান ব্লগার চাঁদগাজী। উনি দেশোকে ভালোবাসেন। দেশের মানুষ নিয়ে চিন্তা করেন।
৪। শ্রেষ্ঠ ব্লগার হবার গুনাবলি আমার মধ্যে এক ফোটাও নেই। আমি অতি সস্তা ব্লগার। তবে একজন ভালো ব্লগার হবার ইচ্ছা আমার আছে। সেই চেষ্টা অব্যহত আছে।
৫। আমি এখন বেকার। হাতে অনেক সময়। তাই সামুতে পড়ে থাকি। সকালে লেপটপ অন করি আর অফ করা হয় না। এই জন্য পোষ্ট এবং মন্তব্যটা বেশী করা হয়ে যায়। যদি আপনারা চান তাহলে আমি পোষ্ট আর মন্তব্য করা অফ করে দিবো। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার না, যে, যে প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ - না তে চাওয়া হয়, আপনি সেটাও প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে আটটা পয়েন্ট করে ফেলেন?
এখন কী আপনি আপনার চাঁদগাজী নিকের মতো আর একটা মিলাদ মাহফিল আয়োজন করবেন- "ব্লগাররাই বলুক আমি আর ব্লগিং করবো কি না?" অথবা "আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো, তবু আমারে দিব না ভুলিতে" - এই শিরোনামে?
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৫০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা - আল্লাহ তাঁকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া, স্বামীজী। আমার মায়ের অবস্থা এখন আগের চে স্টেবল আলহামদুলিল্লাহ। আপনার মন্তব্যে ধন্যবাদ।
১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার আম্মুর জন্য আরোগ্য কামনা করছি।
বুড়ো মানুষেরা অতীতের কথা, গল্প ফেলে আসা দিনের ঘটনা বলতে ভালবাসেন।
শেষ বা ছোট সন্তানের জন্য চেষ্টা করেন সর্বাত্মক ভালথাকার ভাল রাখার। মৃত্যুর কথা ভাবেন। পরকালীন প্রস্তুতি নেন।
নাতি-পুতিদের খাওয়াতে বা খোজখবর নিতে চান। মাঝে মাঝে একলা একলা উদ্ভট সব বিষয় নিয়ে ভাবেন। জীবনের শুরু থেকে একটার পর একটা দৃশ্যকল্প সাজান আবার সাথে সাথে কোথায় তার ভুল ছিল সেটাও বের করেন।
ভালবাসা চান, গভীর মমতা খোঁজেন।
১৪ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রিয় মাইদুল ভাই, আপনার দোয়া ও বিস্তারিত মন্তব্যে। আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করি।
১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক শুভকামনা ও দোআ আপনার মায়ের জন্য। প্রার্থনা, আল্লাহ রাব্বুল আ-লামীন তাঁকে সুস্থতা দান করুন। দ্রুত আরোগ্য দান করুন। আপনার পরিবারের সকলের জন্য কল্যাণের দোআ।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:২২
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: শুকরিয়া, নকিব সাহেব। আপনার জন্যেও দোয়া, শুভকামনা।
১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
জাহিদ হাসান বলেছেন: স্প্যানকড ও আপনি চাঁদগাজীকে নিয়ে ব্লগে যেসব কটু মন্তব্য করছেন তা অশোভনীয়।
১৬ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: জাহিদ নিকের পেছনে যে আছো,
একটু আগেও একটা পোস্টে গিয়া আমারে গালি দিয়া আসলা। আর আমার পোস্টে আইসা এতোটুকু বলার দম হইল স্রেফ? কটু কথা কই বলসি? আমি বলসি আমি তোমাদের তৈরি মিথ্যা পরিচয়গুলি বিশ্বাস করি না।
তোমাদের মতো বাপ মা ছাড়া নিকরে কোন ব্যাখ্যা আর সুযোগ প্রদান ছাড়াই খোঁয়াড়ে পাঠানো দরকার। তাই করলাম। তুমি একটা মিথ্যাবাদী, জেনোফোব, ইসলামোফোব। তোমরা যে মতপথের লোক, তোমরা সংখ্যায় কয়টা হইবা বাংলাদেশে? দশ - বিশ, একশো? তোমাগো চৌদ্দপুরুষও তোমাদের জেনোফোবিয়া আর ইসলামোফবিয়ারে মেইনস্ট্রিম করতে পারবে না।
তুমি দাবী করো তুমি ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় পড়স। তুমি এটাও বলতে পারবা না যে, যে সময় তুমি ওখানে ছাত্র ছিলা বইলা দাবী করো, সে সময় মাদ্রাসার দারুল ইফতা বিভাগের প্রধান কে ছিল, শাইখুল হাদিস কে ছিল।
এগুলি কইরা বিদেশ যাইতে পারবানা। গেলেও, ড্রেন পরিস্কার করা ছাড়া কোন কাম জুটবে না। ইতরামি ছাইড়া কাম কাজ করো।
আমি ঝগড়াঝাটিতে আগ্রহী না। পড়ি, চিন্তা করি, লিখি। প্লেইন যুক্তিতে কথা বলতে পারলে আসবা, সম্মানসহ। নইলে খোঁয়াড়ে।
এইটা তোমারে বলি নাই। তুমি আর যে নিকগুলি চালাও, সেগুলির উদ্দেশ্যে। ভদ্রতা বজায় রাখতে না পারলে রুথলেসলি সবগুলিরে খোঁয়াড়ে পাঠাবো। কমেন্ট করতে পারবা না। অন্যের পোস্টে গিয়া ম্যাতাবা।
তা ম্যাতাও। যার যতটুকু দৌড়।
১৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা রইলো। আশাকরি তিনি শীঘ্রই আরোগ্য লাভ করবেন।
বুড়ো মানুষেরা জীবনের চলার পথের বহু বাঁধা অতিক্রম করে একসময় তাদের আবেগ-অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যান। তারা ছোটদের সামনে তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ সহজে করেন না। মানুষ তার বাবা-মায়ের শোক জীবনেও ভুলতে পারে না। বুড়ো মানুষেরাও না। তাদের মনে সেই শোক সুপ্ত থাকে। আমার বাবাকে দেখেছি শত সংগ্রামেও কখনো ভেঙে পড়েন না। কিন্তু অসহায় বোধ করলে কখনো কখনো মনের অজান্তেই তার মুখ থেকে বের হয়ে আসে "আজকে আব্বা থাকলে এই করতো, সেই করতো, আমাকে ঠিকই এখান থেকে বের করে আনতো।" ইত্যাদি।
বুড়োরা মানুষের সঙ্গ কামনা করেন বেশি। তারা তাদের কথা বলার মানুষ খোঁজেন। কেউ তাদের কাছে পরামর্শ চাইলে তারা খুব খুশি হন।
১৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ধন্যবাদ, তমাল সাহেব, আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে। আপনার, আপনাদের সবার দোয়ায় আমার মা এখন সুস্থ্য আলহামদুলিল্লাহ। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্যেও ধন্যবাদ। ভালো লাগলো পড়ে, জেনে। শুভকামনা ও দোয়া - আপনার ও আপনার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি।
১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগের একজন উন্মাদ বৃদ্ধ ব্লগার নিয়ে আপনার ধারনা প্রায় সঠিক। অনেক পুরাতন কিছু ব্লগারদের কাছেও শুনেছি এই একাউন্টের পিছনে কয়েকজনের কথা। তবে সে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। এটার চেয়ে বড় সত্য আর কিছু নাই। তাকে আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট নাম্বার দেখাতে বলেছিলাম চোরের মতো পালিয়েছে।
পোস্টের চেয়ে মন্তব্যগুলি ভাল বলেছেন। পোস্ট লাইকড এবং সোজা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা এবং প্রার্থনা! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আগের মত এবারেও তাঁকে সুরক্ষা করুন, তাঁকে দ্রুত আরোগ্য দান করুন।
বুড়ো মানুষেরা পৃথিবীর সবকিছু নিয়েই ভাবেন। তাদের নিজেদের মাতা পিতাকে নিয়ে তো ভাবেন অবশ্যই, তবে সেসব ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাধারণতঃ কাউকে কাছে পান না। সব ভাবনা তাই পথ খুঁজে নেয় প্রার্থনায়। প্রতিকারের একমাত্র মালিক যিনি, তাঁর কাছেই সোপর্দ করে দেন।
বুড়োদের মন যেন বায়োস্কোপের পর্দা। নিশিদিন সে পর্দায় ভেসে ওঠে কত শত মুখ! নিজ সন্তানদের, তাদের সন্তানদের, দূরের কাছের বন্ধুবান্ধবদের, চেনা অচেনা আরও কত মানুষের! ভালবাসার মানুষদের কথা বেশি করে মনে পড়ে, অন্যদের কথাও মনে পড়ে। সেসব স্মৃতি তাদেরকে ভাবায়, কখনো কখনো কাঁদায়। পুনরায় তারা আশ্রয় খোঁজে সেই একই জায়গায়, প্রার্থনায়। বিশ্বাসের তারতম্য ভেদে অবশ্য এর রকমফের হয়, তবে মায়ার অনুভূতি প্রায় সবাইকেই নাড়া দেয়।
চমৎকার এই পোস্টে প্রথম ভাল লাগাটি রেখে গেলাম। +